আবার যদি দেখা হয়
তসলিমা হাসান
কখনো যদি আবার দেখা হয়
রেল স্টেশনে অথবা চলন্ত ট্রেনে
তাহলে কি না দেখার অজুহাতে
চশমার ফাঁকে পত্রিকার পাতায়
চোখ বুলিয়ে নিজেকে লুকাবে?
নাকি ইউটিউব বা ফেসবুকের গভীরে মগ্ন হয়ে অভিমানে নিজেকে আড়াল করবে!
নাকি আবেগের অনুভতিগুলোকে উপেক্ষা করে অশ্রু সিক্ত নয়নে অপলক দৃষ্টিতে নতুন কিছু আবিস্কার করে দীর্ঘ দিনের সঞ্চিত কথাগুলো একে একে বলে যাবে
শেষ গন্তব্য পর্যন্ত!
যদি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দেখা হয় সমুদ্রের সৈকতে —
তবে কি দু’হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে প্রিয়া এসো মোর বুকে,
একটু বসো পাশে।
আর আমি তোমার সান্নিধ্যের স্বাদ উপভোগ করে দেখবো নীলাকাশ, সমুদ্রের ঊর্মিমালার খেলা।
গাঁথবো হাজারো কথার মালা।
নাকি তুমি প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে বিরহের মালা উপহার দিয়ে নিজের অনুপস্থিতি ঘটাবে!
কোনদিন যদি দেখা হয় হাসপাতালের বেডে দু’চোখ ভরা চল নিয়ে,
তাহলে কি কাছে এসে জল মুছে চোখে কাজল এঁকে দিয়ে বলবে প্রিয়া জল নয়, তোমার চোখে কাজল মানায়।
কপালে হাত রেখে কি বলবে
চিন্তা করো না, ভয় পেয়েও না
আমি তো আছি তোমার পাশে।
নাকি ব্যস্ততার কারণ দর্শায় নিজের প্রস্থান ঘটাবে?
আর বলবে তুমি সুখে থেকো,
ভালো থেকো!
আবার যদি দেখা হয় গোলকধাঁধার এই পৃথিবীর কোন প্রান্তে,
তাহলে কি বলবে আমি তোমায় ভালোবাসি।
অনেক ভালোবাসি।
পাগলের মতো ভালোবাসি।
আমি আবার তোমার প্রেমে পড়তে চাই।
আমি তোমার প্রেমের অমৃত স্বাদ নিতে চাই।
আমি হিমালয়ের পাহাড় চিরে দেখতে চাই।
নাকি বিদায় সম্ভাষণ জানিয়ে বলবে —
প্রিয়া ক্ষমা করো আমায়,
আমি পারিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে!!!
তসলিমা হাসান
কানাডা, ২৭-০২-২০২৩