আত্মার মেলবন্ধন
তুমি আমার আত্মার চেয়েও নিকটতম আত্মীয়
আমার শ্বাস-প্রশ্বাস, শিরা-ধমনীতে নিত্য পদচারণা তোমার
মহাসমারোহে আমার আত্মার পূর্ণতা লাভের জন্য ছুটছ,
সকল পার্থিবতাকে তুচ্ছ করে।
তুমি না থাকলে
আমার আত্মার আলো রশ্মিময়তা পায় না
তুমি না এলে
অন্তহীন নি:সঙ্গতা তৃষ্ণার্ত পথিকের মত আমাকে পান করে ফেলে
তুমি না থাকলে
অনুভূতির নাগালের বাইরে ভয়ংকর আত্মাগুলো আমাকে তাড়া করে ফেরে।
তোমার আমার আত্মীয়তাকে
কেউ চিরতরে বিলুপ্ত করতে পারবে না,
তোমার আমার নশ্বর মায়ার বন্ধনকে
কেউ মৃত্যদন্ড দিতে পারবে না।
তোমার আমার না বলা কথাগুলোকে
কেউ পত্রিকায় ছাপাতে পারবে না,
পারবে না কোন আর্কাইভে সংরক্ষণ করতে!
তোমার আমার পবিত্র আত্মার স্বর্গীয় আবেগময়তা
পৃথিবীর তিনভাগ জল প্লাবিত করে নিয়ে যাবে
আনন্দের অমরত্বের দিকে।
যেখানে আত্মারা মিলিত হয় অদৃশ্য সংবিধানের শক্তিকে স্থগিত করার উদ্দেশ্যে।
দূর্গ
আফলাতুন নাহার শিলু
শত্রুদের আকাশে আজ দুস্কর আলোর বিস্তৃতি
নিজেকে রক্ষার জন্য পথে রহস্যময় ফুল ফোটাতে চায়
বদলে দিতে চায় নক্ষত্রখচিত আকাশের মহিমাকেও!
কী দুঃসাহস!
স্বনামধন্য কবি-লেখকদের পদধূলি আর চাটুকারিতায় সম্বল
স্বদেশ বিরোধীতার আড়ালে দেশপ্রেমের গানের রচয়িতা
এক ফোঁটা বিশুদ্ধ মানবিক আলোর ছটায় ঝলসে যায় তারা
ওরা জন্মান্ধ!
ভয়ংকর সত্যের আবহে রূপলাবণ্য হারিয়ে পথহারা
ওরা বদলাতে চায় গোলাপের রং, তুলে-বেছে ফেলতে চায় ডাষ্টবিনে
ওরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কথিত জ্ঞানী!
শুদ্ধ কাঠে তৈরী ইমারত ভেঙে গড়তে চায়
সুবিধাবাদের বেলাভূমি
পদ্মফুলের ঘ্রাণে মুগ্ধতা পায় না,
চায় লাল পানপাত্র আর বাহারী জাঁকজমক!
ওরা সর্বগ্রাসী রাতে মিলিত হয় একনিষ্ঠতার চান্চল্যে
ওরা মানুষের পায়ে পায়ে চলতে থাকে
অদৃশ্যমান শয়তানের মতো॥