আকাশী গাঁয়ের ললনা
সাঈদা আজিজ চৌধুরী
নদীটির তীর ঘেঁষা আকাশী গ্রাম।
তীর ভাঙা ঢেউ খেলে সবুজ গাঁয়ের দেহ লেহন করে।
আকাশের মতো বিশালকায় ফসলের মাঠ,লোকে বলে আকাশী মাঠ।
মমতার সবুজ রেশমী চাদর মহাকাশের মতো জুড়ে থাকে।
রেশমী চাদরের এক প্রান্তে তুমি দাঁড়িয়ে আরেক প্রান্তে আমি।
নিলাজ পূবালী হাওয়া—
তোমার বাসন্তী শাড়ির আঁচল,কি আনন্দে মেতে ওঠে
তুমি প্রাণপণে জড়িয়ে রেখেছো,আড়াল করেছো নিজেকে আঁচলখানি টেনে।
আকাশী গাঁয়ের ললনা ঘরে ফিরে সন্ধ্যের অজুহাতে ।
অস্থায়ী গোধুলি দিগন্ত রেখার মতো তুমি মিলিয়ে গেলে।
রমণীয় স্বপ্নে ছন্দপতন, বন্ধ হয় দুরন্ত সুহাস পূবালী নিঃশ্বাস
রেশটুকু রয়ে যায় আকাশী মাঠ ঘিরে।
আঁধার নামছে ধীরে,ঝিঁ ঝিঁ পোকারা এক টানা শিষ তোলে।
পড়ন্ত আলোর নীচে দূর গাঁয়ে সূর্য ডুবে যায় সন্ধ্যার উপকূলে।
আবছা আলোয় নিসর্গ-শরীর রহস্যাবৃত অনন্যরুপে।
ভরহীন কক্ষপথে একাকী দাঁড়িয়ে থাকি লক্ষ্যহীন নক্ষত্রের টানে।
পাহাড়সম অদৃশ্য সীমান্ত পিলার,ভর্ৎসনার বিচ্ছিন্ন উপত্যকা।
ভোরের শিশির যেমন ক্ষণিক আনন্দ ছড়ায় তুমিও তেমনি হৃৎপিন্ডের গুহায়।
তোমার-আমার উদয়াস্তের এ খেলায় প্রাচীন কিংবা নবীন কোনো সিল্ক রোড আদৌ হবে কি নির্মাণ !
অথবা সহস্র কোটি বছর বিচ্ছেদের দহন আকাশী গাঁয়ের ললনা !