কয়লা বা ব লু ম ও লা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জেনেছি প্রতিটা মানুষের মধ্যেই আছে মহা মূল্যবান রত্ন রত্নের ভান্ডার। এক একটি রত্ন পরশ পাথরের চেয়েও মূল্যবান এক একটি পরশ পাথর মানুষের দুঃখের সাক্ষী বহন করে। যার জীবনে যতো দুঃখ তার বুকের মধ্যে ততো পোঁড়া কয়লার স্তুপ আর পোঁড়া কয়লার মধ্যেই থাকে পরশ পাথর নামক এক মহা মূল্যবান বস্তু। কোন কোন মানুষ তার অন্তরের মধ্যেখানে স্তুপ স্তুপ কয়লার মহা স্তুপ জমা করে রাখে, সে পোঁড়া কয়লার কিছু অংশ যদি কোন মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হতো, তবে সাগরের সমস্ত নোনা জল বাষ্প হয়ে নিমিষেই উড়ে যেতো। জীবনে এক একটি মানুষ যে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
বেদনার কোরাস আফলাতুন নাহার আমায় একা ফেলে চলে গেলে সুখের খোঁজে! সুখ!!! সুখী হতে কতকিছু লাগে বলতে পারো? এত এত পৌষ গেছে, বসন্ত গেছে ফিরে আসোনি! শৈশবের বারান্দায় দাঁড়িয়ে খুঁজেছি তোমায় কৈশোরের কুয়াশার আঁধারে আক্রান্ত পাহাড়ের শীর্ষে খুঁজেছি তোমায়! জলপাই ফলের রঙে রঙিন শহরের গলিপথে খুঁজেছি তোমায়! যৌবনে সন্চিত স্বর্ণমুদ্রার বাক্সের ভিতরে খুঁজেছি তোমায়! আক্ষেপ-তাড়িত কবিতার জীবদ্দশায় খুঁজেছি তোমায়! মৃত্যর কাছে নিজেকে সমপর্ণ করে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ খুঁজেছি তোমায়! তবু বলিনি সুখ চাই! সুখের খোঁজে যাইনি কোন আনন্দিত আতংকে ভরা আবেগীয় পরিমন্ডলে! অপেক্ষার শহর, এ শহর থেকে অন্য শহর,,, কেবলই পাথর! কবিতার শব্দ আজ নিথর, গানের সুর আজ বেসুর, করতলে পায়রার…
একটুকরো কাগজ সোহরাব হোসেন। বউমা ঘরে আছো ও বউমা ? জি আছি——–! তো এত রাতে কেন ডাকছেন? এক টুকরো কাগজ হবে? বহুদিন লিখিনা মনের কষ্টগুলো। তোমার শাশুড়ী গত হয়েছে প্রায় একযুগ! হঠাৎ মনটা শুধু ছটফট করছে, ভাবলাম মনের আকুতিগুলো লিখে রাখি! বুড়া মানুষ——— পরে হয়তো আর মনে নাও হতে পারে। শুধু একটুকরো কাগজ চাই, বউমা? মনে রেখো; এর বেশি কখনো চাইবো না। আমি জানি! যুক্তিসংঙ্গত এই মানসিক চাহিদার দাবি খুব মানসম্মত তবুও হয়তো ওটুকুই জুটবে না। তোমাদের কাছে তেমন অপরাধ নেই! তারপরেও অনুরোধে বলছি? কিছু না ভেবে একটুকরো কাগজ দাও! ততোটা সুন্দর আর সুমসৃণ না হলেও চলবে, শুধু কলমের কালিগুলো…
বড় অচেনা লাগে নাছরীন মিতা চেনা এ শহরটাকে বড় অচেনা লাগে চেনা এ পৃথিবীটাকে বড় অদ্ভুত লাগে প্রিয় মানুষের হাসির আড়ালেই লুকিয়ে আছে অন্য পৃথিবী! তবু সব অভিমান অভিযোগ পেছনে ফেলে রেখে ফিরে যাই বার বার। প্রতিদিন প্রতিমূহুতেই মনের অজান্তে কতো রঙীন স্বপ্নকে ধূসর রঙে সাজাই প্রিয় মানুষের হাসির আড়ালে অচেনা পৃথিবীটাকে দেখে। চেনা শহরটাকে বড় অচেনা লাগে।
তুচ্ছ আমি জেরিন বিনতে জয়নাল সকল অপেক্ষার অবসর ঘটিয়ে অপ্রাপ্তির খাতায় আজ তোমার নাম। তোমার জন্য সাধনা করেছি বহু বছর কিন্তু, তুমি যে সাধ্যের বাইরে তা মাত্র জানলাম। আমি ভালো আছি আমার মত করে, তুমি চাইলে যেতে পারি আরও অনেক দূরে। আমি হতে পারি তুচ্ছ, তবে মূল্যহীন নই। তোমার মন জমিনে ঠাঁই হয়নি, তাই অবহেলার কুটিরে বাস করব, তা নয়। আমি মুক্ত আকাশের অচিন পাখি, ডানা মেলে উড়তে জানি নীল আকাশের বুকে। আমি কথা বলি মেঘেদের সনে, ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেই সবার মনে। হয়তো কোন ক্ষনে, মুখোমুখি হব আবার- কথা হবে তো সেদিন? নাকি এড়িয়ে যাবে চোখে চোখ পড়লে? পথভ্রষ্ট…
বাবা গল্প আফছানা খানম অথৈ রফিকুজ্জামান হাই স্কুল টিচার ছিলেন। দু’ছেলে এক মেয়ে হওয়ার পর উনার স্ত্রী মারা যান। তিনি ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর বিয়ে করেননি। যাক দু’ছেলে ভালো ভাবে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে।আর মেয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর ভালো বর দেখে তার বিয়ে দিয়ে দিলেন।রফিকুজ্জামান এক সময় চাকরী থেকে অবসর নিলেন।ততদিনে দু’ছেলের চাকরী হয়ে গেল।বড় ছেলে জাবেদ ব্যাংক অফিসার, ছোট ছেলে আবির অডিট অফিসার।যাক ভালো ভাবে বাবা ছেলের দিনকাল অতিবাহিত হচ্ছে।বড় ছেলে জাবেদ রিলেশন করে বিয়ে করল।তার কয়েক মাস পর ছোট ছেলে আবির ও বিয়ে করে বউ ঘরে তুলল। এর ফাঁকে কেটে গেল কিছু সময়।এক দিন দু’ছেলে প্রস্তাব করল।…
ছবি ফ্রেমে সমরেশ কবি সুরমা খন্দকার ক্ষতি হলো আকাশের কাঁদছে প্রকৃতি, বিলাপে ফুল, পাখি, নদী বৃষ্টির চোখে জল পাহাড়, চা বাগান, জলপাইগুড়ির কান্নার ঢল তোমার চলে যাওয়ার পর- অনর্গল… ভালোবাসা ক্ষণিকের নয়, অনন্তের তুমি অথবা তোমাদের কালের সাক্ষী হয়ে রইল ‘উত্তরাধিকার’ অবসন্ন হৃদয় গল্পচ্ছলে কবিতা লিখবে না আর… অসমাপ্ত কথার মতো আজীবন রবে জন্মান্তর রাজনীতির জটিল আবর্ত বুঝিয়ে দিলে দাহ্য বস্তুর কোন সৃষ্টিশীল ক্ষমতা নেই প্রকারন্তর শুভ সময়ের ডাক দিলো অশুভ ‘কালবেলা’ এ আক ছেলেখেলা… সহস্র বছর ধরে কয়েকশো বছর কেটে যাবে- ‘কাল পুরুষ’ ‘দীপাবলি’রা সংগ্রাম করতে শিখে গেছে একাকী আরেকটু বাকী, বাকী বুরুশে বেণী টানা হুঁশ ছেড়ে যায়নি মাধবীলতাকে…
বলতে গেলেই মহাবিপদ দেবদাস হালদার এমন অনেক কথা আছে কখনো তা যায় না কাউকে বলা? আর বলতে গেলেই মহা বিপদ! চালান দেয় কেউ গজারি কাঠের চলা? সন্দিগ্ধ এ মনটাও তখন একটু হলে ও দোটানাতে ভীমড়ি খায়! পরিশেষে সব কিছুতেই আসে দ্রুত স্থবিরতার অনেক দায়? তারপরেও থাকে কিন্তু লোকলজ্জার ওই উল্টো সিধে উটকো ভয়? শেষ অবধি টেণ্ডলের হয় পোয়াবারো আর মজাও সে হাতিয়ে লয়?
মা গো তুমি কত দূরে ডা: সুরাইয়া হেলেন অনন্তকাল শুধু হাহাকার হায় মাগো তুমি কোথায়,কোথায়? মাগো তুমি কত দূরে, কত দূরে, কখন আসবে মাগো আবার ফিরে? অনন্তকাল ঘুরে ঘুরে বারে বারে আসবে কি ফিরে বহু অন্ধকার পায়ে ঠেলে তোমার ফেলে যাওয়া এই স্বপ্ননীড়ে? আদি-অন্ত এই স্বর্গসম পৃথিবীর তীরে জড়াতে আবার আমায় স্নেহমায়া ডোরে মাগো তুমি কোথায়,কোথায় কত দূরে, কত দূরে, কত দূরে? —————————————– (মা দিবসে সকল মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসা।রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগীরা।)
ছায়া সঙ্গী অনিতা দাস আমি তাহার ছায়া সঙ্গী হলেম বসন্ত না ফুরানোর দিনে এক রাত্রির যাত্রী হলেম নক্ষত্রের দলে, জোনাক আলোর ঝিলমিলিতে সঙ্গী হলেম নিশি ভোর হলে জামরুলের বনে দৌঁড়ে চলি ছুঁয়ে দেখবো বলে, কঙ্কন পরা রমনীর কোমল হাতের স্পর্শে তোমায় জাগবো সহস্র বছর ধরে। কেন জানি শত যুগ অপেক্ষার পরে তুমি এলো নির্ঝরের লক্ষ কোটি স্বপ্ন নিয়ে, অতীতের যত গ্লানি ম্লান করে সিংহল সুমুদ্র হতে গুটি গুটি পায়ে হেটে নিস্তব্ধ বুকে ঢেউ জাগাতে। মহাকালের যাত্রায় জীবন রেখে প্রেমের অর্ণিবান শিখা জ্বেলে পুরোনো অশ্বত্থের নিচে ধ্যান মগ্ন ঋষির নিশ্চল আসন পেতে অনন্তকালের পরে তাহারেই বাধিলাম আমি আমৃত্যু, আরেক জন্মের অপেক্ষায়…
