স্পর্শ মাকসুদা খাতুন ফেসবুকে দেখেছিলাম তোমার ছবিখানি, ছবি দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম তোমার সাথে দেখা করবো আমি। ছুটি নিয়ে দেখা করতে এলাম 200 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দেখলাম তোমায়, নীল শাড়িতে দাঁড়িয়ে আছো জারুল গাছের নিচে চারিদিকে জারুলের ফুল দিয়ে রাস্তা গিয়েছে ঢেকে। তুমি চেয়েছিলে দূরে কোথাও তাই এই জায়গাতে এসেছি আমি, তোমার অন্তরের ছোঁয়ায় হাটছি পাশাপাশি। বসলাম গিয়ে নদীর পারে মাছ ধরছে জেলে, তুমি আমার মুখের দিকে তাকিয়েছিলে এককভাবে। বললাম তোমায় তোমার হাতের উপর রাখতে চাই আমি আমার হাত বললে হেসে রাখতে পারো। যখন আমি রাখলাম হাতের উপর হাত বিদ্যুৎ খেলে গেল আমার শরীরে, ফিরে আসার সময় বললো সে কেন…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
ছোট বোন টুনটুনি মোঃ শফি উল্লাহ (মিয়া ভাই) তোর মিষ্টি মিষ্টি সুন্দর কথা, জুড়ায় সবার প্রাণ আদব কায়দা শিখে তুই, রাখবি মোদের মান। তুই যে আমার সোনার খনি, সবার নয়ন মণি আদর করে ডাকে সবাই, মাইমুনা টুনটুনি। আমার বোনটি ছোট্ট অতি, ধরে হরেক রকম বায়না। বোনটি আমার খেলনা কিনবে, তার যে দেরি সয় না। পুতুল কিনবে গাড়ি কিনবে, কিনবে নানা রকম সাজ শপিং করতে যাবে বোনটি আমার তৈরি হয়েছে আজ।
জাতীয় কবি বিজন বেপারী যাঁর কবিতায় আগুন ধরে সহজ সরল মনে, নিপীড়িত মানুষগুলো হুংকার দিতে জানে। দুঃস্থ জানায় বিদ্রোহ আজ দাঁড়ায় পেতে বুক, ধনী কেনো ভোগ করিবে এই সমাজের সুখ? ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতিটা তোমার কাছেই শেখা, মানবতার সেবক তুমি জীবদ্দশায় দেখা। যে কলমে আগুন জ্বলে প্রেমের বাঁশি বাজে, শিশুর মুখের প্রিয় ছড়া তাঁর লেখনীর মাঝে। জাতীর কবি নজরুল তুমি মাথায় রাখি তত, ক্ষণ জন্মে ধন্য এ দেশ শ্রদ্ধা অবিরত। _________ বিজন বেপারী ঝালকাঠি, বরিশাল।
উত্তরবঙ্গের নদ-নদীগুলোর নামের উৎপত্তি বিশ্লেষণ: কনক সরকার। ভারত। (Copyright Reserved, Ref- IJHSSS, Volume-IX, Issue-II, March 2023, pp-18-24.) ………………………………………………………………….. তিস্তা নদী= “তিস তিস” বা “টিস্ টিস্” শব্দে বহে, তাই তিস্তা নদী। কুলিক নদী= “কলকল” শব্দে বহে তাই কুলিক নদী (রায়গঞ্জ)। তোর্সা নদী= বর্ষাকালে তীব্র স্রোতে “টস টস” বা “টরস টরস” শব্দ উৎপন্ন করে, তাই (টোর্সা) তোর্সা নদী। ঘড়ঘড়িয়া নদী= “ঘড় ঘড়” শব্দে বহে তাই ঘড়ঘড়িয়া নদী (কোচবিহার)। রায়ঢাক নদী= “ঢক ঢক” ঢাকের মতো শব্দ উৎপন্ন করে তাই রায়ঢাক নদী। ঢাকসি নদী= “ঢক ঢক” শব্দে বহে তাই ঢাকসি নদী। জলঢাকা নদী= বর্ষাকালে জল “ঢক ঢক” শব্দে বহে তাই জলঢাকা নদী। গঙ্গা নদী=…
বর্ষাকাল চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষাকাল বছর ঘুরে আসে, মেঘের ভেতর লুকিয়ে তখন সূর্যমামা হাসে। বৃষ্টি পড়ে সারাটা দিন টাপুর টুপুর তালে, বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে সবুজ গাছের ডালে। বৃষ্টি পড়ে মাঠটা জুড়ে বনের পাখী চুপ, এই বর্ষায় বাংলাদেশের পালটে যায় রূপ। বৃষ্টিতে সব ভিজে ভিজে দুষ্টু ছেলের খেলা, কদম গাছের ডালে ডালে যেন ফুলের মেলা। বর্ষাকালে পুকুর ঘাটে সোনা ব্যাঙের গান, এই বর্ষায় এই বাঙালির তাইতো নাচে প্রাণ। _____________ বড় বাজার, চুয়াডাঙ্গা
বাবুর দাদীমা শারমিনা ইয়াছমিন বাবুর লক্ষী দাদীমা, খায় শুধু মিঠা পান। ঠোঁট লাল করে, বেসুরে গায় রসিক গান। একদিন না পেলে, নেয়ামত সেই মিঠা পান, গোমরা মুখে হায়, যায় যায় তার প্রাণ। পানের সাথে খায় জর্দা, চুন ,সাদা পাতা। সুপারি না কিনলে, মুখ’টা শুকিয়ে তেজপাতা। ছোটদের মতো অভিমানে, বদ্ধ রুমে মুখ ফুলিয়ে। বকবক সুরে দেবে চোদ্দ গুষ্টির নাম ভুলিয়ে। দাদীমা দেখতে শ্যামলা, নয় তো তেমন কালো। পান পেলে উনার, মনটা থাকে ভীষণ ভালো। বয়সে চুল পেকেছে, বুড়ো হয়নি তো মন। নাতির সাথে সবসময়, হেসে খেলে কাটায় জীবন।।
তুমি তো সেই মোহাম্মদ মিজান উদ্দীন চেপে ধরেছে মন, তোলপাড় অকারণ হঠাৎ হয়েছে সনে, প্রথম পরিচয়, কেমন জানি, বৃষ্টির ছন্দে, মনে হাওয়া হতভম্ব হচ্ছে,অশান্ত জমিন হৃদয়। নয়ন এক দুষ্টু, কেমন অনুভব চলছেই, প্রহরে প্রহরে মন, কথা বলে ভেতর, দিবানিশি উড়ছে, অন্য রকম ছোঁয়া নিয়ে সত্যি কি জানি, সেই কি নিবে খবর। নম্রতা সুরে,সুন্দর পরিচিতি এক ক্যাফে, মুগ্ধতা ছুঁয়েছে, মনের খুব গহীনে, কোমলতা হৃদয়,ধীরে ধীরে ভবেতে ভাবে আমার উপলব্ধি, সেই তোমার নামে। শুকনো মন মাটিতে, প্রেম ফুলের বাগান আশায় বাধঁছে,প্রতি নিয়তেই, অনুভূতি হাসছে, তোমার তরে ভাবতেই সত্যি বলছি, তুমি তো সেই।
ইট-পাথরের পাদদেশে তসলিমা হাসান বিস্তীর্ণ জমিন জুড়ে ব্যাপক উর্বরতায় চাষ হতো যে ফসল সবুজে সবুজে ভরে যেত যে জমি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবল চাপে বসত বাড়ি নির্মাণের ধূম আর অনু পরিবার গঠনের চলমান প্রক্রিয়ায় আবাদি জমি আজ চরম সংকটে। বড় বড় ইমারতের ছাদেও চলছে চাষাবাদ বিশিষ্ট কৃষি সাংবাদিক শাইখ সিরাজ স্যারের ভাষায় যদি বলি — তাহলে কারোরই অজানা নয় ” ছাদ কৃষির” নাম। কেন জানি মনে হয়, কৃষিও আজ যাদুঘরে। অনুরূপ নদী-নালা-পুকুর-ডোবা বাঁশ ঝাড়ে পাখির কলতান সবই বিলুপ্ত প্রায় — ফ্ল্যাট বাসার ব্যলকোনিতে খাঁচায় পোষা ময়নার ডাকে কি মন ভরে? কৃত্রিম পার্ক আর রিসোর্ট সেন্টারে কি গোল্লাছুট খেলা যায়? মাটির মানুষ…
অভীপ্সা সাঈদা আজিজ চৌধুরী সদাস্মিত যন্ত্র নগরী মাধুরী অনুভব সুরেলা সঙ্গীত। তোমার ভৈরবী ব্যাকুল সুর হৃদয়ে তরঙ্গ খেলে অবিরত। আমার অভীপ্সা তোমাকে জুড়ে, দেবালোকে তুমি উর্বশী রক্তিম আবেগ নিয়ে আমি অবিশ্রান্ত বিরহে বানভাসী। বুকের ভেতর দ্যুতিময় ক্যানভাস রক্ত মন্জরী চিত্রলিপি হৃদয়ে পুন্জীভূত অভিমান নিস্তরঙ্গ জীবন ছিঁড়ে যায় গ্রন্থি। বুকের বুননে কত পুষ্প ফুটালে তুমি হবে যে তুষ্ট কতগুলো চাঁদের লকেট দিলে উপহার আমায় দেবেনা কষ্ট। পানকৌড়ি বেশে প্রেমিক সেজে জলজ পুষ্প নীড় বাসনা শতাব্দীকাল ধরে তুমি অধিশ্বরী প্রেমিকা কেমন কপট ছলনা। রক্ত মাংস মানবী নাকি মিশরের রাণী পিরামিডের মমি এত শত বন্দনা চন্দ্রাণী রচনা পদ্যের স্রোতে ভাসি। কেন বন্দনা নিজেও…
বন্ধুত্বের বন্ধন রাবেয়া আহমেদ চামেলী বন্ধুত্ব হচ্ছে ভালোবাসার এক প্রগার বিশ্বাস, তাকে অটুট রাখবো যতক্ষন থাকবে নিঃশ্বাস। মনে হয় হৃদয়ের মাঝে, সারাক্ষণ আপ্লুত রাখি, আনন্দের ঝরনা ধারা তাইতো ভাগ্যবান তারা যারা খুশির বন্যাধারা করে প্রকাশ। আমি তুমি সবাই যেন এক হয়ে যাই, একরাশ ভালোবাসা পেয়ে এসো না সবাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে শান্তির পরশ লাগাই। এতে আনন্দ খুশি সুখ যেন খুঁজে পাই। বর্ণিল শুকতারাগুলো যেন মিলেমিশে করছে বিশাল উদারতার বিকাশ। বন্ধু আছে নির্ভরতা আর বিশ্বাসে বন্ধু হচ্ছে চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে। সমুদ্রের গভীরতার এক কষ্টের ঝলক বন্ধুুর আনন্দ সুখে থামছে না পলক। এসো না আমরা পৃথিবীর মানুষের ভিন্নতা দূর করে,…
