ওরে মন সুজল মুশফিক ওরে মন, তুই এত উদাস কেন? পাগলা হাওয়ায় দুলিস কত। কখনো মায়ায় কখনও হিংসায়, কখনো প্রচন্ড প্রতিশোধের ক্ষত। ওরে মন, তুই এত হিংসুটে কেন? কারো ভালো থাকায় হিংসে যদি সুন্দর দেখে তোর আগুন নদী। প্রেম দেখে তোর হিংসে খুবি।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
বর্ষা হও তুমি দিলরুবা খানম এমনও বরষা সে এলো যে, যেমন উদ্যাম বাসনারা কপট চোখ রাঙ্গিয়ে কইছে, “তুমি রিমঝিম ঝন্কারে নাচন তোলো ওহে বৃষ্টি রাগিনী”, মেঘ দূত তার বার্তা পাঠালো “কি অসন্তোষে বিজরী চমকে ওই এলো বর্ষা এলোকেশী সুহাসিনী ” সে ঝুমঝুম নিক্কনে কয়ে যায় কথা ” আমার মন কেমনের দিন যে এলো” তুমি হও মেঘ কি উতাল হাওয়ার আকুতি, আমিতো জানি তুমিই হবে আমার ঝুম বৃষ্টি আর পাগল মাতাল করা অনুভুতি….
ভালোবাসা সেলিনা পারভীন মন পিঞ্জিরায় বসত তোমার কেমোনে ভুলিব বলো, আয়নায় মুখ দেখি যখন সামনে ভাসো তুমি তখন। দুই নয়নে দেখে শুধু, তোমার ছায়া কল্পনার বাস। আমি জানি তুমি নও আমার, আমি কিন্তু ঠিকি তোমার। ভাবছো কিছুই বুঝি না আমি, মন কে করছো অবহেলা তুমি। তবুও আমি তোমার আছি, পারো যদি,নিও খবর একটুখানি। অবসরে থাকবে যখন, ভাববে মন আমার মতোন। চাওয়া পাওয়ার হিসেব ভুলে, ভালোবাসবে মন খুলে।
অভিসারে সুখানন্দ মোঃ নূরুল কাইয়ূম (ফারুক)। আরও একটু থাকো কাছে; দেখিবো তোমায় মন ভরে, প্রেয়সী লজ্জা করো না পাছে; কত ভাবনা তোমায় ঘিরে! কথোপকথন কানে কানে; কেউ শুনতে পাবে না ক্ষণে, ভালোবাসি সখি মনে প্রাণে; দিব্যলোকে কেহ নাহি জানে! আমি দেখিবো না রবি শশী; তুচ্ছ তব পূর্ণিমার জ্যোতি , জগতে শ্রেষ্ঠ মোর প্রেয়সী; দীপ্ত আলোয় উজ্জ্বল রাতি! তুমি মোর নীলাকান্ত মনি; ঔজ্জ্বল্যে হীরক কোন ছার , পরশে কাটে ভাগ্যের শনি; তুমি যে অনন্যা মনিহার! অতুলনীয়া রূপসী নারী; দর্শনে সার্থক চক্ষুদ্বয় , জ্যোতির্ময়ী ম্লান বিভাবরী; বশীভূত দুরন্ত হৃদয় ! কিছু চাহি না ; চাহি তোমায়; অনুভবে স্বর্গীয় আনন্দ , অজ্ঞাত অবস্থান…
চাচা ভাই দেবদাস হালদার আমি যাকে অনেক আগে থেকেই বলতাম ভাই, বাসাবাড়ি করার পর আমার মেসো শ্বশুর তিনিও তাকে ডাকেন ভাই। একদিন কোন এক কারণে শ্বশুর মশাইয়ের সাথে সেই ভদ্রলোকের ব্যবসায়িক অফিসে গেলে শ্বশুর মশাই আমাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এই ভাবে, –জুয়েল ভাই?এ আমার জেঠাইসেরবড় মেয়ের জামাই,দেবদাস। ব্যাংকে চাকরি করে। তার কথা শুনে আমাকে না চেনার ভান করে জুয়েল ভাইও তার ঐ ঠোঁটের ঈশান কোনে মুচকি হাসির রেখা টেনে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, — জামাই, প্লিজ বসুন। আমি আর তখন কি করবো?তার আহ্বানে মাথা নেড়ে সম্মতি জানাই এবং মুখ টিপে একটু হাসি দিয়ে তার বিরাটকায় টেবিলের…
ধান্ধা শুধু টাকা জয়নাল আবেদীন দিবা রাত্রি স্বপ্ন দেখেন ফ্লাট কিনবেন ঢাকা প্রশাসনে চাকরি করেন ধান্ধা শুধু টাকা। চেয়ারে বসে দৃষ্টি শুধু মক্কেল যদি আসে এমন ভাব দেখান তিনি পায় না বেতন মাসে। পয়সা ছাড়া হয়না কাজ এমন দফতর আছে পয়সা দিয়েও ঘুরতে হয় সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে। দেখতে সুফি টুপি মাথায় কলপ মাখা দাঁড়ি ফাইলে সই করার আগে দেখেন টাকার সাঁড়ি।
বাস্তবতা রোজিনা খাতুন রাস্তা চলছি একা, কাঁধে একটা ঝোলা। যেতে যেতে ঝোলা থেকে বের হল সময়, আমাকে বলল বয়স কত কতদিন ধরে হাঁটছো এ পথ। আমি উত্তর খুঁজে না পেয়ে হাঁটতেই লাগলাম। তারপর ঝোলা থেকে একটা আয়না বের করলাম। তার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পেলাম। জিজ্ঞাসা করলাম- কে আমি, কোথা থেকে, কিভাবে, কেন? এসেছি প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে আবারো চলতে লাগলাম আয়না বলল- দাঁড়াও তোমার উদ্দেশ্য শেষ হলেই চলে যাবে। আবার চলতে লাগলাম আমার সাথে আমার ছায়াটি হাঁটতে লাগলো পিছন ফিরে তাকাতেই পৃথিবীর সমস্ত মায়া হাত বাড়িয়ে আমাকে ডাকছে যেওনা। ফিরে এসো, মায়ার জালে আটকে গেলাম মমতা আমাকে ভালোবাসা…
সঠিক পথে চলুক মাথা মোঃ হাবীবুর রহমান তীব্র বাতাস ঝঞ্ঝা ঝড়ের যখনই দেখি আলামত, যখনি আসে বজ্রাশঙ্কা ভূমিতে কম্পন মহাবিপদ, যখন প্লাবন রোগের প্রকোপ মহামারীর হাতছানি; মনটা তখন ভীত-বিহ্বল আল্লাহ খোদায় বেশ মানি! আবার যখন সব স্বাভাবিক সবকিছুই চমৎকার! রিপুর তাড়ায় সাড়া দিয়ে বিপথগামী হই আবার। বিশ্বাসীদের তুচ্ছ করি মূর্খ নাদান ভাবি তাদের, কূপমন্ডুক দেই উপাধি বলি জ্ঞানে ঘাটতি ওদের ! গোটা যৌবন এলোমেলো প্রৌঢ়ত্বেও দদুল্যমান, বার্ধক্যে জরায় কাবু তখন ধার্মিক মোসলমান! তখন মনে সত্যিকারের ভাবনা এসে ভর করে, কিতাব মতে পরকালের ভাবনা রাতে নিদ হরে! সুকাজ কু’কাজ যেটুকু হোক যাই করেছি জীবন ভর, ওই ও’পারের বিচার কালে যাচাই হবেই…
আমার স্বপ্নীল দুনিয়া পান্না দেব নাথ ঘন বর্ষা বয়ে চলছে অবিরাম ঝরনাধারা কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি সৃষ্টিকর্তার এই এক অপার মহিমা বিমোহিত মন দুচোখ শুধু চেয়েই থাকে। হাজারো স্বপ্ন উঁকি মারে হৃদয়ে শান্ত ভাবনা বয়ে চলে স্নিগ্ধ শীতল হয়ে ওগো মেঘ তুমি ডেকো না আমায় গর্জনে কম্পিত হৃদয় চক্ষুতে আসে জল। দেখেছো স্বপ্ন বেঁধেছো আশা ক্ষণে ক্ষণে কেনো বিজলী চমকাও অদৃশ্য মায়ায় বাঁধিও না আমায় ঝরছে বারি কাজল মাখা দুই আঁখিতে। হৃদয় মাঝে এঁকেছি তোমার দৃষ্টিভঙ্গি তুমি ছলনাময়ী অজস্র অশ্রুর মায়াবি বেদনা কোনো অজানা দ্বীপে হারিয়ে যাবে আমার সাথে? নতুন করে ফুটবে ফুল হৃদয়ে। অজানা এক প্রেম কাহিনি জানবে সবে…
০১) বাঙালি বয়ান রক্ত দিয়ে লেখা আমার বাংলা ভাষার নাম; এবার তো আর বলবে না কেউ- “বলিস না বাংলা তোরা, এখন তবে থাম!” লাখো বাঙালির প্রাণের ভাষা…. বাংলা যে তার নাম; এবার তো আর বলবে না কেউ- “যুদ্ধে তোরা নাম!” বাংলা আমার মায়ের ভাষা, বাংলায় বুনি মান। পাঁচ রতনের জান খেলো সব; পাকবাহিনীর গান! এবার তো আর বলবেনা কেউ- “তোরা মিছিল ডেকে আন!” স্বাধীন মোরা লাল-সবুজের, মুক্ত হাসির তান। এবার তো আর বলবেনা কেউ- “ভাঙনা তোদের ভ্রাতৃটান!” (২) হাতে খড়ির পূর্ব-পর যাচ্ছ কোথা? আধ্যাত্মিকতায়। কেমন সেথায়? প্রাচীন কথায়। আছে কী তবে? ধ্যান হবে। বাহ! বাহা! বাহ! শুনতে কেমন? মধু…
