Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

সোনালী কাবিন – আল মাহমুদ | Sonali Kabin-al mahmud ১ সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়ো না হরিনী যদি নাও, দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দু’টি, আত্মবিক্রয়ের স্বর্ণ কোনকালে সঞ্চয় করিনি আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি; ভালোবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্ব্ন, ছলনা জানিনা বলে আর কোন ব্যবসা শিখিনি; দেহ দিলে দেহ পাবে, দেহের অধিক মূলধন আমার তো নেই সখি, যেই পণ্যে অলঙ্কার কিনি । বিবসন হও যদি দেখতে পাবে আমাকে সরল পৌরুষ আবৃত করে জলপাইর পাতাও থাকবে না; তুমি যদি খাও তবে আমাকেও দিও সেই ফল জ্ঞানে ও অজ্ঞানে দোঁহে পরস্পর হব চিরচেনা পরাজিত নই নারী, পরাজিত হয়না কবিরা;…

আরো পড়ুন

কবিতা : ধূসর জীবন আমার —/ আবুল খায়ের জীবন যেমন যাচ্ছে কেটে যেতে দেয়া হোক চোখের জলেই হবে দূর মনের যত শোক আঁধার কেটে আলো এসে তবে ভোর হোক তুমি যদি শান্তি পাও আমার কষ্ট দেখে আমিও তাই কষ্টকে নিলাম গায়ে মেখে রঙ্গিন আলোয় কাটুক দিন জয় তোমার হোক প্রণয় নেশা থেমে একদিন, প্রাণে প্রেম জাগুক মরণ আসুক, ধূসর জীবন ধূসরে পড়ে থাকুক। _______________________ পতিতা আবুল খায়ের নেতারা সব পতিতা, আর পতিতারা শাসক জনগণ সব কেনা দাস, শীতের লেপ তোষক। ভদ্রতা নম্রতা ছাড়ো, আমজনতার গুষ্ঠি মারো! আরো চাই আমি আরো, হোক নিজের পোয়াবারো। অতি দরদি তুমি অধিপতি, মান্যবর সমাজপতি কতো…

আরো পড়ুন

আত্মত্যাগ-মানবতা এবং হতাশা দূরীকরণে ‘ঈদুল আযহা’ মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ কবির ভাষায়— ঈদুল আযহা এলো আবার মনের পশুর সাথে.. টাকার পশু কুরবানি দাও বিলাও গোস্ত হাতে।” আত্মত্যাগ ও মানবতার বার্তা নিয়ে প্রতিবছর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সামনে হাজির হয় একটি ধর্মীয় উৎসব ‘ ঈদুল আযহা’। যা জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে   বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইবাদাতের মাধ্যমে পালিত হয়। মক্কা নগরীর জনমানবহীন ‘মিনা’ প্রান্তরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দুই আত্মনিবেদিত বান্দা হযরত ইবরাহীম( আঃ) ও  হযরত ইসমাঈল( আঃ) আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তুলনাহীন ত্যাগের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, তারই স্মৃতিচারণ হচ্ছে ‘ঈদুল আযহা’ বা কুরবানির ঈদ। কবির ভাষায়— “দিবে পুশু…

আরো পড়ুন

বানান সমাচার কি না/কিনা/কীনা/কী না না কি/নাকি/না কী এই শব্দগুলো ব্যবহারে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়ে।  আসুন বিস্তারিত জেনে নিই। ———————————————- ★ কি না সন্দেহসূচক, বিতর্কমূলক, অনিশ্চয়তা এবং প্রশ্নবোধক অর্থ প্রকাশে “কি না” ব্যবহৃত হয়। যেমন: ১. সে টাকা দেবে কি না জানি না। (সন্দেহসূচক অর্থে) ২. আমার লেখায় কোনো ভুল আছে কি না বলো। (বিতর্কমূলক অর্থে) ৩. তুমি যাবে কি না? (প্রশ্নবোধক অর্থে) ৪. তিনি প্রচ্ছদটা আঁকবেন কি না বুঝতে পারছি না। (অনিশ্চিত অর্থে) . ★ কিনা “কিনা” শব্দটির নির্দিষ্ট অর্থ নেই। এটি মূলত বাক্যালঙ্কার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, যে শব্দটি না থাকলেও বাক্যের অর্থ পরিবর্তন হয় না, তাই বাক্যালঙ্কার। যেমন:…

আরো পড়ুন

ট-বর্গীয় বর্ণগুলোর আগে ’ণ’ স্থলে ‘ন’ দিয়ে যুক্তব্যঞ্জন : ফেসবুকে সচরাচর দৃশ‌্যমান বানান বিভ্রাট ===============ঃ ফেসবুকে প্রায়শ দেখা যায় যে, অনেকেই নির্বিচারে ট-বর্গের (ট, ঠ, ড, ঢ, ণ) বর্ণগুলোর আগে ণ’ স্থলে ‘ন’ দিয়ে যুক্তব্যঞ্জন গঠন করে থাকেন। অল্পসংখ্যক লেখক ব্যতীত অনেকেরই এটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এই ভুল ঘটার কারণগুলো হলো :- ১. ব্যাকরণসম্মত নিয়ম না জানা ২. শুদ্ধ ভাষার চর্চায় মজ্জাগত অনীহা ৩. লেখায় ও বর্ণ-মুদ্রণে অসাবধানতা ৪. ক্ষুদ্রাকৃতি মনিটরে দৃষ্টিবিভ্রম আলোচ্য যুক্তব্যঞ্জন তৈরিতে ফেসবুকের অনেক বন্ধু সচরাচর যে-সব ভুল করে থাকেন, সে-গুলোর কিছু দৃষ্টান্ত নিম্নে তুলে ধরা হলো :- ১. “চব্বিশটা ঘন্টাও পেলাম না, অথচ মনে হয়…

আরো পড়ুন

জাতীয় ফল কাঁঠাল-এর পুষ্টিগুণ আশা করি অনেকের ধারনা পাল্টে যাবে: অনেকের ধারণা কাঠাল খেলে ওজন বাড়ে ! কথাটা ঠিক না। জাতীয় ফল কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। মানব দেহে যেসব পুষ্টির প্রয়োজন তার প্রায় সবই আছে কাঁঠালের মধ্যে। পাকা কাঁঠালের সুঘ্রাণ ও স্বাদ অতুলনীয়। তবে কাঁচা কাঁঠালের তরকারিও কিন্তু স্বাদে আর পুষ্টিগুণে কম না। কাঁচা কাঁঠাল রোগব্যাধি উপশমে যেমন কার্যকর তেমনই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। কাঁঠাল খেলে ওজন বেড়ে যাবে, এটা ভুল ধারণা। তাই শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে কাঁঠাল খেতে পারেন। কাঁঠালে কোলেস্টেরলের মাত্রা শূন্য। তাই কাঁঠাল স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। যেকোনো বয়সের মানুষ এটা খেতে পারেন। কাঁঠাল…

আরো পড়ুন

বাঙালি জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা: বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক ও বাঙালি জাতিসত্তার কবি’ হিসেবে পরিচিত মুহম্মদ নূরুল হুদা, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি। তিনি ১৯৪৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হাজী মোহাম্মদ সেকান্দর সওদাগর, মাতা আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি ১৯৫৯ সালে পূর্ব পোকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে মেধা-বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৫৯ সালে ঈদগাঁও হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে ঈদগাঁও হাইস্কুল থেকে এসএসসি (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় (কলা বিভাগে) কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়…

আরো পড়ুন

একটি ভ্রমণ ও কিছু উপলব্ধি নাসরিন সুলতানা সাল ২০১৪। ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪। সেদিন বাসা পাল্টালাম।বরাবরই বাসা পাল্টানোর সময় আমার হাজবেন্ড বাসায় থাকে না।তার বাসা পাল্টানোতে খুব ভয়।তো সে ঢাকায় যেয়ে বসে আছে।আমরা নতুন বাসায় উঠে কোন রকম একখান খাট খাটিয়ে মা আর মেয়ের শোয়ার ব্যবস্হা করে নিলাম।আর রান্না করার সরাঞ্জাম গুলো ঠিক করে নিলাম।পরের দিন ফোন এলো তোমরা চলে এসো সাদি আর দোলন কক্সবাজার। আমাদের যেতে বলছে।কালই রওনা দাও।এলোমেলো ঘর বাড়ি রেখে চলে গেলাম।ঢাকায় যেয়ে এক আত্মীয়র বাসায় রাত কাটিয়ে ভোর সাতটার গাড়িতে রওনা দিলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। পথে মা মেয়ে বমি করতে করতে হয়রান।আমার হাজবেন্ডের সাথে কোথাও গেলে আমাদের বমি…

আরো পড়ুন

বিনম্র শ্রদ্ধা: আল মাহমুদ (কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক) মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ জন্ম: ১১ জুলাই ১৯৩৬ মৃত্যু: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি।তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। উল্লেখযোগ্য রচনাবলি লোক লোকান্তর কালের কলস সোনালি কাবিন মায়াবী পর্দা দুলে…

আরো পড়ুন

ভাললাগা ও ভালবাসা রীনা আক্তার (মানিকগঞ্জ) ভাললাগে প্রিয়ার দুটি চোখ, ভালবাসি প্রিয়ার মায়াবীনি মুখ। ভাললাগে প্রিয়ার সুন্দর কেশ, ভালবাসি প্রিয়ার সদ্য বেশ। ভাললাগে প্রিয়ার মুখের হাসি, ভালবাসি তাই পূর্ণিমা রাত্রি। ভালবাসি না খোদা ব্যতিত ভয় করা, তোমাকে পাব এ আমার শত জনমের সাধনা।

আরো পড়ুন