ভণ্ড মাতাল ও উন্মত্ত অপ্সরী ইমরোজ সোহেল ঋণী হয়ে যাই অযাচিত দুঃখের কাছে সুখ ময়ুরের মতো পেখম দুলিয়ে নাচে বেদনার জল সিঁথির সমুদ্র থেকে আলগোছে নীচে পড়ে যায়। সেই জলে স্নান করে পরিযায়ী পাখি আমি তাকে উন্মুখ বেহারার মতো আদরের পালকিতে রাখি সেই মেয়ে আনন্দে স্বয়ংভর চোখ বুজে কে না জানে, একটি মূর্খ মৌমাছিও নিপতিত শুশ্রূষা বোঝে। এতদিন পৃথিবীর সংসারে আছি দেখে যাচ্ছি জোকার আর ভণ্ডের অকুন্ঠ নাচানাচি যতই মানুষ খুঁজি পাই না কোথাও,যেখানেই এই চোখ রাখি শুধুই দেখতে পাই, ভূঁড়িওলা ভণ্ড মাতালের লোলুপ দৃষ্টির ছবি আর তার রাশি রাশি বেজন্মা উদ্ধত কড়ি তাকে ঘিরে মেতে আছে একদল রঙ্গরসে ডুবে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
রফিকুল হক দাদুভাইয়ের অবস্থা ভালো নেই: পঁচাশি বছরের দাদু ভাই বার্ধক্যজনিত নানান রকম শারীরিক অসুস্থতায় নিজ বাসায় দিন কাটাচ্ছেন। সবার নিকট দোআ কামনা। তিনি যেন আমাদের মাঝে আবারও ফিরে আসতে পারেন। আমিন। (দাদুভাইয়ের ৮০তম জন্মদিন -এ প্রথম আলোতে প্রকাশিত, ০৯-০১-২০১৬) দাদুভাই, ফোনটা দয়া করে বন্ধ করেন’, মঞ্চে বক্তব্য দিতে দিতে বললেন দাদুভাইয়ের শিষ্য, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। দাদুভাইকে শুভেচ্ছা জানাতে আসছে একের পর এক ফোন। মঞ্চে বসে হাসিমুখে মুঠোফোনে সেই শুভেচ্ছা গ্রহণ করছেন তিনি। এত ভালোবাসা যাঁর জন্য, তিনি সমগ্র দেশের ভালোবাসার মানুষ, বিশিষ্ট ছড়াকার রফিকুল হক, ‘দাদুভাই’ নামেই তিনি খ্যাত। গান লিখেছিলেন মরমি শিল্পী আবদুল আলীমের জন্য, লিখেছেন অসংখ্য…
একক নিজাম উদ্দিন বিশ্বাসী যে একক স্রষ্টায় স্রষ্টা যে তারে আপন বানায়, সত্য সুন্দর অন্তর খোঁজে মিলে যে তরি ,মানুষ ভজে কেউ বুঝে ,কেউ বুঝে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ , খ্রিষ্টান এক মহাজন বাজাই যে গান কণ্ঠে যে তাদের সুরের ব্যবধান। কেউ শুনে তা কেউ শুনে না । গোপন সঞ্চারী অবোধ পাপকারী পাপঘ্ন চিত্তে জ্বলে মরি , কেমনে বলো গুরু ধরি সহজ পথিক মন হলে না
সম্পর্কের অবহেলা এম এ হালিম শিশির ২৮-০৭-২০২১ইং অবহেলা আর অযত্নে বেড়ে উঠা এইজীবন, তবুও বলি না কারো কাছে আমি লাঞ্ছিত জখম। জীবন যুদ্ধে বারেবারে হেরেও সফলতার নেশায়, আজও আমি বক্ষে ধারণ করি বিষক্রিয়া যন্ত্রণা। বেঁচে থাকার বোধ শক্তি ধীরেধীরে যাচ্ছে পঙ্গু হয়ে, সঙ্গী পাবার আশায় অস্থির থাকি না এখন ভূখণ্ডে। পরিযায়ী জীবনে এখন নেই রজনীগন্ধার সুবাস, কারো সম্মুখে নিজেকে নিয়ে এখন করি না সংলাপ। প্রয়োজনে কাঁটা ফুলে সম্পর্ক হয় খাঁটি, অপ্রয়োজনে দেখিছি কতো সুসম্পর্ক হয় চূর্ণবালি। সমাজ সম্মুখে নিজের দুঃখ করে না যারা প্রকাশ, সম্মান কলঙ্কিত যেন না হয়, মেকি কথায় ব’লে প্রফুল্ল। কতোজন চলে গেলো অমিল সম্পর্কের আগুনে পুড়ে,…
প্রমোশন! প্রমোশন! পারভীন আকতার আমি বাপু ধান্ধাবাজ! ঝানু এক ফটকাবাজ! মুখে বলি রাম নাম ধুরন্ধর ক্ষ্যাপারাম! সামনে বলি চাচা চাচা পেছনে খুঁড়ি গর্ত চ্যাঁচা! হাসির ঝলক ঝলমল হিংসায় ঠাঁসা জ্বলজ্বল। ভালো মানুষ দেখলে করি ক্ষতি কৌশলে! বলে বেড়াই কুকথা, লোক ঠকায় যথাতথা! এবার হবে প্রমোশন! ধোঁকা বাজি উচাটন! লোক দেখানো এন্ট্রি হুকুম ঝাড়ে সেন্ট্রি! আমি শেষ জামানা পা চাটা কলিযুগের সুমনা! গড়েছি সম্পদ পাহাড়! ক্ষমতায় করি সব সাবাড়! প্রমোশন! প্রমোশন! মানবতা লঙ্ঘন! চলছে সার্কাস উত্তাপ! আমি পণ্ডিত চুপচাপ! —————- পারভীন আকতার শিক্ষক কবি ও প্রাবন্ধিক চট্টগ্রাম।
সমুখে প্রগাঢ় অন্ধকার মুহা্ম্মাদ কিবরিয়া বাদল বিভক্ত মানবতা- সবল আর দুর্বল,ধনী-গরীব, নর-নারী, কিবা- শিশু আর কন্যাশিশুতে, যে নামেই বলো- চিহ্নিত সকলই অনৈতিকতার মূলে। মানুষ নৈতিক জীব,এখন কথার কথা- মানবতার সাথে নির্মম রসিকতা! ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে মানবিক জীবনাচার- কিবা নারী কিবা নর, অথবা নিরপেক্ষ লিঙ্গের অধিকারী! যার শক্তির প্রাবল্য যতো বেশী- সেই তত বড় যালিম, হউক সে নারী কিবা নর নতূবা অন্য কিছু- স্রেফ স্থান কাল পাত্র ভেদে। নৈতিক অবক্ষয়ের এ যে অনিবার্য ফলাফল। সকল অশান্তির মূলে অনৈতিকতা বা নীতিহীনতা, বিভক্তি বাড়ায় বিদ্বেষ আর ধ্বংস হয় মানবতা। রুখে দাঁড়াও, রক্ষা করো প্রজন্মরে- সমুখে প্রগাঢ় অন্ধকার!
মেঘের খামে চিরকুট মিজানুর রহমান বিশ্বপ্রেমের রং-তুলি দেবো, মুখ পৃষে আত্মবিশ্বাস দেবো, হাজার পশলা বৃষ্টি দিবো, আরো দিবো শতমুঠো রোদ্দুর, নিত্য শেখাবো ভালোবাসা সুমধুর! এই যে, প্রেমপ্রসন্নমেঘদুহিতা; অর্থহীন সব সঙ্গ সাঙ্গ করে যাবি? অভিসারে অন্য পাড়ে! বিন্দু বিন্দু প্রেম সমুদ্র অতিক্রমে যাবি? একটা বড় হৃদয় দেবো! মেঘের ভেলায় ভেসে যাবো এক স্বপ্নমধুর গল্প খেলায়। ভালোবাসায় ভিজিয়ে দিবো তেপান্তরের তপ্ত মেলায়। যাবি? চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেবো! নীল আকাশের নীলাভ দেবো, অন্তরীক্ষে শশিকরের ঘর বানাবো, সঙ্গে থাকার কথাও দেবো। যাবি, ভিন্ন এক পৃথিবী দেবো?
আবছা হৃদ এন.আই.রোকন আল জাহাঙ্গীর রজনীকান্তের প্রভায় দীপ্তিময় হয় যেমন ত্রিযামা, তেমনি রাব্বুল ফালাকের প্রভায় পুরিয়ে দাও রোষের দামামা স্পৃহা রিক্ত কর ক্ষণ কর তব মন। দিরত সম তমিস্রার কেন এত আয়োজন? তব মাঝে মোর কেন এত অন্তর? কেন তব হৃদ এত শ্রমকাতর? ইষৎ হিংসায় লভিবেনা ভগবান, লোর দিয়ে ধুলে পাবি তার চরণ। অজ্ঞাত সেই মহাজন হবে জ্ঞাত, হালত অতিমাত্র নিথর কর দ্রুত। বল হে অনির্বাণ কর মোরে দান, তুমিত দাতা, নিরুপম ও রহমান। তব আভা মম ললাটে দে আলক্ষে জ্বালিয়ে। মম অখ্যাতি দুর করেদে তব জ্যোতি দিয়ে। আবছা হৃদে আভার সন্ধান, তব সাহায্যেই সম্ভব হে মহিয়ান।
বিলাপ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (টাঙ্গাইল) ভাই আর মেরোনা লাগছে বেজাই দম ফুরিয়ে যায়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে পড়ছি তোমায় পায়। তুমি মানুষ আমিও তাই আর দিওনা জালা, ভাই… চোখের সামনে দেখছি আমি ,মরণ ফুলের মালা। ও ভাই ,একটু ওদের বল কিছু নাও কেড়ে ঐ হাতের দা, দেখ আমার দেহ কেটে করছে ওরা কেমন ঘা। আহা বউটা আমার যাচ্ছে লড়ে একাই ওদের শনে, এতোটুকুও নাই কি বিবেক এতো লোকের মনে। বউ রাখতো ওসব ,দৌড়ে পালা আমিও চলে যাই, দেখা হবে পরপারে খোদার কাঠগড়ায় ।
ভালো ছেলে নূরুল ইসলাম (মানিকগঞ্জ) এক যে আছে মোদের ক্লাসে একটি ভালো ছেলে ডাকে তাকে সবাই মিলে ফিরোজ মিয়া বলে। ফিরোজ মিয়া পিতামাতার আদরের ছেলে পড়াশোনা করে সে যে খেলাধুলা ফেলে। মা তাহারে বললেন সেদিন আদর করে স্কুলে যাও আজকে তুমি ডিসকো জামা পড়ে। ডিসকো জামা পরবো না মা, ফিরোজ মিয়া বলে স্কুল ড্রেস পড়তে হবেই স্কুলেতে গেলে। স্কুলের নিয়ম ভঙ্গ হবে ডিসকো জামা নিলে লেখাপড়ায় ভালো, ফিরোজ নিয়ম মেনে চলে।
