কে আমি সাফিকা জহুরা জেসী আমি নারী! স্বাধীনচেতা আর মুক্তিকামী নারী! জানি না, কবি, নাকি দেবী! তবে, সকল বিসর্জন মেনে নিতে রাজি নই আর! আমি প্রতিবাদ মুখর; যতই হই কারও কারও অপ্রিয়! আমি ভালবাসা কুড়াই! ভালবাসা বিলাই! অন্যের ক্ষতি করিনা কখনো, অতীব শান্তিপ্রিয়! যতটা ক্ষতি মেনে নেয়া যায়; মেনে নিতে নিতে, মানিয়ে নিতে নিতে পাহাড় – সমুদ্র পাড়ি দেয়া শেষ ! আজ নিজের জন্যও বাঁচতে চাই, নিজের জন্যও হাসতে চাই, কেবলই হতাশা, না রয় অশেষ! প্রতিবেলা ভাঙ্গি, প্রতিবেলা গড়ি নিজকেই নিজের শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করি। স্বপ্ন বুনি, ব্যার্থতা গুনি, তবুও আর নাহি অপরের শুনি! হ্যাঁ, আমি ঋণী, তাদের কাছে যারা আমাকে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
প্রতি আক্রমণ সাদিয়া নাজিব নারী নির্যাতনে প্রতিবাদ আমি করি না প্রতিবাদ ভীরুর ভাষা। আক্রমণে প্রতি আক্রমণ ই মূলমন্ত্র আমার। আমি ঘৃণা করি না নির্যাতককে নির্যাতিতই ঘৃণ্য যদি না সে জ্বলে ওঠে স্ফুলিঙ্গ! আমি প্রতিবাদ করি না রুখে দেই কাপুরুষের “কাম” বিশ্বময় অধঃপতিত পুলিঙ্গের অশ্রাব্য খিস্তি ধর্ষনের আরেক নাম। আজ আমি দুপায়ে দলি চোখের জল জেনো” নারী” ক্রন্দন তোমার অচল, নিস্ফল। তাই ভীরু নারী, অনুভব করি না তোমার জন্য কোনো মমতা! প্রতিবাদ নয়,ক্ষোভ নয়,ঘৃণা নয় ঢিল মারলে পাটকেলটি ছোড়ো অসুস্থ ইঙ্গিতে থুথু মারো। ইতরের হাত দাও ভেঙে দাও হও ইস্পাত কঠিন করো আক্রমণ সংঘর্ষেই হোক নির্যাতনের অবসান। প্রতিবাদ নয়,বিচার নয় প্রতি…
স্বপ্ন মেঘের সন্ন্যাস রাত্রির গহীন আঁধারে মিশে হারিয়ে যায় আমার নির্ঘুম স্বপ্নগুলো ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশিরের কণার মতো, যে স্বপ্ন এঁকেছিলাম শঙ্খচিলের ডানায় ভর করে ওই সাগরের সীমানায় বসে অবিরত। যুগ যুগ ধরে যে স্বপ্ন লালন করি আমার অন্তরের গভীরে এক কাঙ্খিত আবেশে, সেই স্বপ্নগুলো উবে যায় বুঁদ বুঁদ হয়ে মিলিয়ে যায় সাগরের নীলে, তলিয়ে যায় নিরেট আচ্ছাদনের শান্ত তলদেশে । আমি অহর্নিশি খুঁজে ফিরি আমার স্বপ্ন মেঘের কল্পিত সুরক্ষিত এক আবাস, ছুঁতে চাই মেঘের বুকের পিঞ্জরে বন্দি সেই রক্ষা কবজ, পেতে চাই এই অবরুদ্ধ প্রেমের নিঃশর্ত এক আশ্বাস। গোধূলি বেলায় রঙ তুলির আঁচড়ে এঁকে যাই স্বপ্নের ধুধু সাঁঝ বেলা…
শূন্যতায় উদারতা হাবিবা করিম ভূ-তলে ঝড়ের তাণ্ডবে তৃণ তছনছ কহে, কষ্ট স্পন্দনে ভূ কম্পে মোর ছাতি ফাটে। আকাশ পানে চেয়ে বলে এতো ঝড়ে ক্ষতি নেই তোমার তাইতো তুমি উদার মহান সুখে আছ তাই শুনি এতো বিশালতার গান। আকাশ বলে ভুল ভাবনা কত মেঘো কষ্টে বুক বাঁধি দেখো না ? তৃণের জনম নেই, এ আমার কান্না বজ্র কষ্টে বুক ভাঙ্গি জানো না ? বৃষ্টি কান্নায় বুক ঝরায়ে যাই সেই কান্নাতে তৃণ ছুঁইতে চাই না পাওয়াতে নীলিমায় উদারতার গান শূন্যতা গুছাতে বিশালতাই প্রাণ। ভূ-পৃষ্ঠ কহে, আছে তৃণ তাই হারাবার ভয় তৃণ বিহনে আছে আমার ক্ষয় ক্ষয়িত রূপে আমি দুর্ভিক্ষ হাহাকার দুঃখের বাহন…
বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির! ১৯২১ সালের ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের রাত। কলকাতার ৩/৪সি, তালতলা লেনের একটি বাড়িতে বসে কাঠ পেন্সিলে এই কালজয়ী কবিতা লিখতে শুরু করেন সদ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধফেরত বাইশ বছরের যুবক কাজী নজরুল ইসলাম। বিশ্লেষকদের ভাষায়, রবীন্দ্র জমানার সাহিত্য থেকে বেরিয়ে সেটি নতুন এক সাহিত্য ধারার সূচনা হলো। একশো বছর পরেও সেই কবিতার আবেদন ফুরায়নি, রয়ে গেছে আগের মতোই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”ঔপনিবেশিক ভারতের সেই সময় যখন নজরুল আবির্ভূত হলেন, তখন তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঔপনিবেশিক বিরোধিতা বড় করে তুলছেন। বল বীর, চির উন্নত মম…
বিড়াল উদ্ধার করে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন ৪ বাংলাদেশি গত সপ্তাহে দুবাইয়ে ভাই’রাল বিড়াল উ’দ্ধারের ভিডিও দেখে চারজন প্রবাসী সংযু’ক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্ম’দের কাছ থেকে প্রত্যেকে ৫০ হাজার দিরহাম (প্রায় ১২ লাখ টাকা) পান। দুবাইয়ের চারজন বাসিন্দা, যারা গর্ভবতী বিড়ালের দ্বিতীয়তলার বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় তার জীবন বাঁ’চানোর পর ভাই’রাল হয়েছিল- তারা দুবাই শাসকের কাছ থেকে ৫০ হাজার দিরহাম নগদ পুরস্কার পেয়েছেন। সংযু’ক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মহম্ম’দ বিন রশিদ আল মাকতুম কর্তৃক অচেনা নায়ক’ হিসেবে প্রশংসিত এই চারজন ব্যক্তি তাদের দ্রুত চিন্তাভাবনার জন্য…
শ্বাসরুদ্ধ গোপন কামরুন নাহার রুনু =============== আপেলের মতো গোলগাল জীবনে- চোখে পড়ে আয়োডিনযুক্ত লাল লাল ক্ষত! সংসারে যতোই কলাপাতায় মুড়িয়ে বানাও মাছের পাতুরি ঘরে বাহিরে কিংবা আঙিনায়, থেকে যাবে গতকালের সম্ভাষণ! যা ঘটছে তাই সত্য,যা ঘটবে তাই ইতিহাস! কিছু লেনদেন, কিছু হেরাফেরি,কিছু কৌতূহল,কিছু রহস্য, মুখোশের আড়ালে কিছু মাতাল ঘ্রাণ মেখে; কালের স্রোতে আটকে পড়া- বোতাম আর শার্টের সম্পর্ক চিনে নেয়; শরীরে ঘামের কারুকাজ! চারুকলা বৃক্ষরা ক্রমাগত মিলায় মাটির নিরুদ্বেল দেহে, ছড়ায় নৈমিত্তিক পাললিক জীবন, হামাগুড়ি থেকে হাঁটাহাঁটি চলা, চৌকাঠ থেকে জমিনের বীজতলা লিখে যায় এক অসমাপ্ত কবিতা,যার শেষ পঙক্তিতে- শ্বাসের তটরেখা বেয়ে উড়ে চলে; সূর্যানুগামী কোন ফুল, হয়ে শ্বাসরুদ্ধ গোপন………………
বৃষ্টির ছড়া স্কুল যখন ছুটি হল আকাশ ছিল ভারী দিদি আমি দু’জন মিলে যাচ্ছি ফিরে বাড়ি। হঠাৎ পথে বৃষ্টি এল ব্যাগে বই খাতা, বৃষ্টি ভেজা অনেক মজা সঙ্গে নেই ছাতা। মাটির রাস্তায় অনেক কাদা আছাড় খেয়ে তবুও হাসি, জামা কাপড় ভিজে গেলে সর্দি জ্বরে আমরা কাশি। তসলিমা হাসান কানাডা, ৩০-০১-২০২১
প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর জীবনাবসান প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন। রোববার (২৯ আগস্ট) রাত ১১টা ২৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এ সাহিত্যিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। গত ৩১ জুলাই থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অশীতিপর এই সাহিত্যিক। সেই সময় শহরের একটি হোটেলে নিভৃতবাসে থাকার পর, তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। ৩৩ দিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। তবে এবার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা…
জীবন মোহনার খোঁজে সানজিদা এস কে বসন্ত ভোরে যে ফুল ফোটার কথা ছিলো সেই ফুল ফোটেনি, কলি গুলো অবেলায় অবহেলায় লুটিয়ে পড়ে রয় বিস্তৃত ভূমিতে, সত্ত্বাহীন দেহে তার কাকুতি মিনতি চলে অবিরাম অনবরত, কে শোনে তার এই আকুল আর্তনাদ? আকাশের যে মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরার কথা ছিলো সেই মেঘ আজ পাংশুটে, হারিয়ে যায় সে নীল আকাশের অন্তরালে , একাকীত্বের ভয়াল আগ্রাসনের দহনে নিথর প্রাণ নিয়ে করে সে দিন বদলের অপেক্ষা। ঝর্ণার বুক চিরে এক খরস্রোতা দুগ্ধ ফেনিল নদী মোহনার পথ হারিয়ে হয়ে যায় নিরুদ্দেশ, জানে না সে তার এই একাকী পথ চলার শেষ কোথায়? নিষ্প্রাণ দেহ নিয়ে ছুটে যায় অজানা…
