শৈশব কিনতে চাই হুমায়ূন কবীর ঢালী বিনিময়ে সবকিছু দেব তবুও হারানো শৈশব কিনতে চাই শৈশবের একমুঠো আবেগ কিনতে চাই কেউ কি আমার সবকিছু নেবে? নেবে যৌবনের গান, পৌঢ়ত্বের আশির্বাদ, আর্থিক স্বচ্ছলতা, ব্যাংক ব্যালেন্স, প্রেমসঙ্গী, কিংবা উত্তরাধিকার? শৈশব পুরোটা দিতে না পারলেও আংশিক দাও আংশিক না পারলে সামান্য শৈশব দাও যাতে সামান্য শৈশব নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারি আমৃত্যু। আমার স্থাবর-অস্থাবর সব নাও তবুও প্রাণের শৈশব ফিরিয়ে দাও।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
পিতাপৃথিবী আসাদ কাজল আমার একটা পৃথিবী ছিল সেই পৃথিবীতে-লক্ষ কোটি দরোজা ছিল লক্ষ কোটি জানালা ছিল সেই দরোজা দিয়ে সেই জানালা দিয়ে-নিঃশ্বাস নিতাম আমি বাবা যখন চলে গেল সেই পৃথিবীর-লক্ষ কোটি দরোজাগুলো লক্ষ কোটি জানালাগুলো- বন্ধ হয়ে গেল আমার নিঃশ্বাস যেনো বন্ধ হতে লাগলো আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল বাবা তুমি এসে- সেই পৃথিবীর লক্ষ কোটি দরোজা লক্ষ কোটি জানালা খুলে দিয়ে যাও আমার দম যেনো বন্ধ হয়ে আসছে আমি আর নিঃশ্বাস নিতে পারছি না আমি নিঃশ্বাস নিতে চাই।
আগামী সাইদুল ইসলাম আগামীর অনেক বাকি চলার পথ। যেতে যেতে খাচ্ছি শুধু হোঁচট , জানিনা কিসের নেশায় ছুটছি এই পথ। কত দেখাবে আর ক্ষমতার দাপট , অতীতেও ছিল অনেক ক্ষমতাবান। আজ হয়ে গেছে তারা নিষ্প্রাণ, কিছু মুহূর্তের জন্য এসেছি এই দুনিয়া, দুনিয়া চলার জন্য প্রয়োজন হয় কতনা শিক্ষা। তাই ভাবছি আগামীর পথ নয় সহজ, মৃত্যু ব্যক্তির কাছে আছে শিক্ষা আমাদের আগামীর পথ। তাঃ-৩১- ৮- ২১
উল্কাপিণ্ড মোকাররম বিন হাসেম আমি মানুষের অহংকার দেখে হাসি, অহংকারগুলো পায়ের তলায় বাজায় যে বাঁশি কত বিভৎস রূপে এসে দাঁড়ায়; সবকিছু হারিয়ে এসে দাঁড়ায় পায়ের তলায়। অহংকার তুমি বড়-ই বেরহম, চিন না জাত আর বেজাত; শিক্ষিত আর কুশিক্ষিত, তুমি বড়-ই নিষ্ঠুরতম অদ্ভুত। এর অধঃপতন এতো নির্দয় পাষাণ হৃদয় দেখে হয় সংকিত, সাময়িক সুখে ভুলে যাই কতো শত দুঃখের ক্ষত। তোমাদের আর্তচিৎকারে বারেবারে ব্যথিত হয়েছি, জঘন্যতম অহংকার আমি দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছি। পতনের হওয়ার সময় লাগে কি বেশি, সেতো নিজেই সর্বনাশী।
জাফর ইকবাল জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ মৃত্যু: ৮ জানুয়ারি ১৯৯২ অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী। তিনি আশির দশকের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। জাফর ইকবালের বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ ও ছোট বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ দুজনেই সংগীতশিল্পী। সংগীতশিল্পী জাফর ইকবাল ১৯৬৬ সালে বন্ধু তোতা, মাহমুদ ও ফারুককে নিয়ে গঠন করেন ব্যান্ড গ্রুপ ‘রোলিং স্টোন’ এবং তার সিনেমায় প্রথম প্লে-ব্যাক করা গান ছিল তার ভাই আনোয়ার পারভেজের সুরে নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীত ‘বদনাম’ ছবিতে প্রথম গান করেন ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও/আমি তো এখন আর নই কারও’।…
হিমেল হাওয়া সাবেকুন নাহার মুক্তা হিমেল হাওয়া বইছে আজি শিশির ঝরে রাতে, ঘাসের ডগায় টলোমলো সূর্য উঠা প্রাতে। রঙে ভরা শিউলি ফুটে মিষ্টি সুবাস ছাড়ে, ঘ্রাণে ভরা মাতাল হাওয়া মনটা যেনো কাড়ে। শরৎ কালে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, জ্যোৎস্না ধোয়া চাঁদনি রাতে জোনাক পোকার মেলা। এমন দিনে হিয়ার মাঝে ছন্দে কাঁকন বাজে, রঙে রঙে নানান ঢঙে মনটা কেবল সাজে। এমন দিনে আমার প্রিয়া যদি থাকে পাশে, হৃদয় দিয়ে বাসবো ভালো এই না কার্তিক মাসে ।
মানবদেহ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ ১। হাড় সংখ্যা – ২০৬ ২। পেশী সংখ্যা – ৬৩৯ ৩। কিডনি সংখ্যা – ২ ৪। দুধ দাঁতের সংখ্যা – ২০ ৫। পাঁজড় সংখ্যা – ২৪ (১২ জোড়া) ৬। হৃদয়ের চেম্বার সংখ্যা – ৪ ৭। স্বাভাবিক রক্তচাপ – ১২০/৮০ ৮। রক্তের PH – ৭.৪ ৯। মেরুদন্ড মেরুদন্ডের সংখ্যা – ৩৩ ১০। নেক মধ্যে #Vertebrae সংখ্যা – ৭ টি ১১। মাঝারি কানের হাড়ের সংখ্যা – ৬ ১২। মুখে হাড় #সংখ্যা – ১৪ ১৩। স্কাল মধ্যে হাড় সংখ্যা – ২২ ১৪। বুকে হাড় সংখ্যা – ২৫ ১৫। অস্ত্র হাড় সংখ্যা – ৬ ১৬। মানুষের প্রতিটি কানের ভিতরে…
আয়েশা সিদ্দিকা কনক-এর গুচ্ছ কবিতা: আমার বাংলাদেশ সূর্যের কিরণ আলো ছড়ায় যে দেশে হেসে হেসে, সেই দেশে ফড়িং নাচে সবুজ ঘাসে ঘাসে। দোয়েল পাখি শিস দিয়ে গায় যে দেশের গান, সেই গানে ভোরে উঠে আমার প্রাণ। যে দেশের পথে পথে স্বাধীনতার গল্প গাঁথা, সেই দেশ আমার বঙ্গমাতা। যে দেশে ভাষার লাগি দিয়েছিলো প্রাণ কিছু হাসি উজ্জ্বল মুখ। সে দেশ আমার বাংলাদেশ। এই দেশে একদিন রাজপথ রাঙিয়ে ছিল লাল রক্তে। হয়েছিল খালি বুক কিছু দুঃসাহসী মায়ের যারা দিয়ে ছিলো তাদের সোনামানিক তাই আজ মোরা বাংলায় কাব্য লিখি। বাংলায় আনন্দে মাতি, গাই বাংলার গান। গর্ব করে বলি একুশ আমার প্রাণ। বিজয়ের…
ভাসানের ডিঙায় শিল্পী মাহমুদা গ্লানির দহন নয়, ক্লান্ত দিনের শেষে আসে বিমর্ষ রাত আত্মবিশ্বাসী সন্ধানে জানি থাকবে না – রাখবে না এ হাতে হাত, হালকা হিমেল হাওয়ার কাছে পাঠিয়ে দেবো খোলা চৈত্রের সকাল যার পদশব্দে শুনে তুমি সাজাবে অজস্র ছায়ার দেয়াল পরিকল্পিত প্রত্যাখ্যান আর হাসির আড়ালে পালিয়ে আছে কান্না , মৌসুমি ফুলের উল্লাস চাই শুধু, চাইনা তো অনেক কিছু হিরা – মতি পান্না । স্মৃতিচিহ্ন জ্বলতে জ্বলতে জ্বালাবে আরও চোখের বর্ষায় ধুয়ে মনে দুলবে খেয়া কারও তুলবে বাঁশের বাঁশিতে তোলা ভালবাসার সুর আর চোখের বৃষ্টি পাক তখন নিখাদ আপন সমুদ্দর । এ জন্মে কি পেলাম কি পেলাম না হিসেব না…
এক কৌটা দুধের জন্য হুমায়ুন কবির আমি দূর থেকে লক্ষ করছি ছোট চাচা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। একজন কর্মচারী দোকান খুলে ভেতরে-বাইরে ঝাড়ু দিচ্ছে। ভাবলাম, এত সকালে আসাটা বোধ হয় ঠিক হয়নি! যাত্রাতেই আমি তার সামনে গেলে তিনি রাগ করতে পারেন ! কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে যাত্রা-অযাত্রা একদম গৌণ! তবু প্রায় পনেরো মিনিট দাঁড়িয়ে থাকি। তারপর ধীরে ধীরে দোকানের দিকে রওনা হই। সামনে গিয়ে ভেতরে না ঢুকে চাচাকে সালাম করি। সালামের জবাব না দিয়ে তিনি কঠিনদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। আমি অস্বস্তিবোধ করি। মিনিট খানেক পর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, দোকান খুলতে না-খুলতেই কেন এসেছিস? কী প্রয়োজন? হতভাগা! আজ আমার…
