বৈচিত্র্যময় শরৎ আইরিন সুলতানা লিপি শরৎ রাণির যৌবন খানি টলমলে ঘাসের ডগায়, পেঁজা পেঁজা সাদা ফুলে ভোমর আলিঙ্গনে মাতায়। শরৎ হাওয়ায় প্রেম যে বাড়ায় দিকে দিকে প্রজাপতি, সন্ধ্যে নামে আকাশ ঘামে জোনাকিরা জ্বালায় বাতি। পুব আকাশে সূর্যি জাগে রাঙা ঠোঁটে হেসে, পথের আলে নদীর কুলে কাশফুল দোলে কেশে। শরৎ ছোঁয়ায় হাওয়ায় জানায় শিউলী বকুলের সুহন্ধ, ঝিঝির ডাকে পাতার ফাকে পালা-নৃত্য গানের ছন্দ। উঠোন ভোরে শিউলি ঝরে ক্ষেতের কচি ধানের পাতায়, সাদা আকাশ ঝিরি বাতাস ধানের ক্ষেতে ঢেউ নাচে। আকাশ যখন গোমরা তখন লাগে হায় চরম গরম, গাঁয়ের বঁধুয়ার উড়ায় ঘোমটা বাওলা বাতাসের নাই শরম। শরৎ কালে হাওর বিলে শাপ্লা-পদ্মের যৌবন…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
আমি শুধু আমার জন্য কোহিনূর আক্তার আমার ভালো থাকাটা প্রেমময় নয় । তাই ভালো থাকা থেকে দূরে চলে যাই ছোট্ট কোনো ঝিলের পাড়ে , থম থমে পুকুরটার ঢেউ খুঁজতে! হয়তো আমি আমার জন্য নয় । সবার জন্য আমি, আমার জন্য আমি একা, শুধু একা । হয়তো এই বেঁচে থাকার নামই ,খোলা আকাশ নয় প্রাণ খুলে অক্সিজেন নেবার মতো স্বাভাবিক বেঁচে থাকা নয় । আমি শুধু আমার জন্য। ২৯/৯/২১
তুমি আমার নও ফাতিমা আফরোজ সোহেলী এই যে তুমি শূন্যে ছেড়ে দু’ হাত হাঁটছ একা। একা একা…। বেশ অনেক, অনেকটা দূর। হাটার পথে কতো পথেই মিশছে তোমার পথ। কতো পথিক কতো টানে টানছে তোমায়; গল্প কতো বাড়ছে তোমার। বিশ্বটাকে পাচ্ছ তুমি তোমার ক্রোড়েই ত! সে তুমি; আমার বলেই ত! কি করে হয় প্রমাণ তুমি আমার নও!? তুমি আমার বলেই; তোমার বুকের উদার বনে শত শত চোখ শত মুখ, শত মন। এইযে হাজার মনে যেতে স্বাধীন তুমি। শত প্রেমের প্রাচীর ভেঙ্গে কৃষ্ণ তুমি। সে আমি; রাধে বলেই ত!? কি করে হয় প্রমাণ তুমি আমার নও!? এইযে তোমার নামের পাশে এইযে তোমার…
কচি খন্দকার একজন বাংলাদেশী ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও টিভি নাটকের প্রযোজক। বর্তমানে তিনি তার অভিনয়ের পাশাপাশি সেরা একজন নাটক নির্মাতা হিসেবে বাংলার নাট্য পাড়ায় জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৬৪ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর কচি খন্দকার জন্ম গ্রহণ করেন কুষ্টিয়া জেলায়। তার বাবার নাম খন্দকার খায়রুল আনাম ও মায়ের নাম খন্দকার আনোয়ারা বেগম মায়া। তিনি সাত ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পেশাদারী ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। ফুটবল খেলায় তিনি গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। বাবার মত কচি খন্দকারও ভালো ফুটবল খেলতে পারেন। কচি স্কুল জীবনে পড়াকালীন সময় থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিনয়ের সাথে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে তিনি যখন নবম শ্রেণিতে…
কৃষ্ণকালিয়া সালমা ডলি ২৮.০৯.২০২১ সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করি চলন্ত জাহাজের কার্ণিশে দাঁড়িয়ে। খুঁজি কেবল তোমার সান্নিধ্য নির্বোধ ভঙ্গিতে। চোখ জুড়ে অকুল পাথার কখনো উষ্ণ মরুভূমি। সোমত্ত রাধার অন্তর জুড়ে অশান্ত ঢেউ, সেই ঢেউ পাড়ি দেই অসভ্য যন্ত্রনায়। অবশেষে আধখানা চাঁদ যখন আলো আধাঁরের খেলায় মত্ত নির্জন আকাশে, প্রনয়ের চোখ খুঁজে পায় কৃষ্ণকালিয়া। লুটে নেয় রাধিকার যাবতীয় সঞ্চয় আহ্লাদে, বন্যতায়, দৈন্যতায়, যন্ত্রণায়, অনুরাগ-বিরাগ ও অবারিত মমতায়। তোলপাড় করে ঝাঁঝাল স্বভাব। ভালোবাসার মুহুমুর্হু অভিসার। প্রচন্ড ঢেউয়ের ধাক্কায় খিল খুলে যায় বৃষ্টির সকল অগ্নিবলয় ভিজে হয় শীতল । জলপাই রংয়ের ভূমিতে খেলা করে প্রজাপতি আর ঘাসফড়িং। শীতার্ত দিনে বসন্ত বিরাজমান দোয়েল কোয়েল…
হে নেতা এবিএম সোহেল রশিদ। রাতের পৃষ্ঠা উল্টালে ভোরের বিচ্ছুরণ একে একে ভিড় করে কতশত মৃত্যুশোক— আজ এই নিদানকালে এদের বড় প্রয়োজন মিছিলের আগে, তাদের সাথেই দেখা হোক। সমাগত জনতা বলুক- হে নেতা! তোমার আদর্শ থেকে বিচ্যুতি আমাদের ফেলেছে স্বৈরাচারের গ্যাড়াকলে— অথচ তোমার দেখানো পথে পৌঁছাতাম যদি গনতন্ত্রের উচ্চাসনে সম্পর্কহীনতার বরফ সহজেই যেত গলে। রাজপথ ডেকে বলে এসো আমার বুকে এখানে দাঁড়িয়েই রুখে দাও আগুন-চোখ — গুম হওয়া নেতা ফিরুক চেতনার উদ্যোগে বঞ্চনার স্রোতে স্বপ্নদ্রষ্টার সাথে হোক সংযোগ। অধিকারের দাবী দ্রোহ ছড়াক মৃত্তিকায় পদদলিত ফুটপাত হয়ে উঠুক মুক্তির মঞ্চ— পৌঁছে দিক গনতন্ত্র স্বৈরাচারীর ঠিকানায় নির্মিত হোক আবার উদার নীতির মালঞ্চ।
কাপুরুষ শামীমা ইসলাম (নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা) কচু গাছে ফাঁস লইছে মনে অইল কষ্ট, বাঁচতে চাইলে পিরিত কইরনা জীবন অইব নষ্ট। আগে থেইক্কা ভালা অইও মনে জ্বালা নাই, প্রেম পিরিতি বিষম জ্বালা চিন্তা করো তাই। কাপুরুষ জন্ম নিয়া অই মইরা যাইতো চায়, এমুন মরা হেডম ছাড়া হেই বেডারাঐ পায়। বেডা নামে কলঙ্ক হেরা কচু গাছে ফাঁস, হিজলা মানু আরো ভালা তরার কফালে বাঁশ। ছেরিরা সব ব্যবসা করে ছিনি মিনি করে, কলঙ্কের মালা গলায় পিন্ধা লজ্জা শরম নাইরে! লোক সমাজে ইজ্জত নিয়া করছে তারা খেলা, সবল সমাজ ধ্বংস কইরা নিম্ন জীবন ভেলা। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী যারা আল্লাহর ডর আছে, শিক্ষা দেও…
বাংলাদেশের ছেলে হাবিব ও বেলারুশের মেয়ে নাতালিয়ার সাংসারিক জীবনের নানা খুঁটিনাটির মজার সব ভিডিও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। ভ্রমণ, শপিং, রান্না-বান্না, খেলাধুলার ভিডিও তারা আপলোড করেন ফেসবুক ও ইউটিউবে। জার্মানির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ স্টেডিয়ামে কাজ করতে গিয়ে হাবিবের সাথে পরিচয় নাতালিয়ার। ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তারা বিয়ে করেন। নাদিয়া নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তারা জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সনি অঙ্গরাজ্যের কেমনিজ শহরে থাকেন। হাবিবের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায়। পড়াশুনা করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১২ সালে জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখে উচ্চশিক্ষার জন্য যান তিনি। বর্তমানে পড়াশোনা শেষে জার্মান একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটিং ফার্মে ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট…
ব্যথার দহন মমতাজ মনী শেলী ১৬/০১/২০১৯ আমি যেমনই থাকি না কেন লোকের তাতে কি যায় আসে? আমাকে বলতেই হয় ভালো আছি,, ভালো কি সত্যিই তাই আছি? একেই কি বলে জীবনের চিত্র আঁকা? এতো মরণের সামিল হয়ে বেঁচে থাকা, কৌতুহলী দৃষ্টি যেন ছোবল মারে ক্রমান্বয়ে অসময়ের অসহায় নাজুক অসঙ্গতি বুঝিনা তাদের কেমন মতিগতি,, যার নেই কোন নিয়ম নীতি। প্রশ্নবাণে জর্জরিত যেন চাবুকের ঘা, লোভী শিকারির লোলুপ দৃষ্টি যত্রতত্র,, নিরাপত্তার অভাব বোধে করুন আঁকুতি,, কতটা ক্লান্তি এসে ভর করে বিরক্তিকর, অর্বাচীন তিক্ততা অসংলগ্নতার সমাহারে বিদ্ধ হই বারেবারে প্রতিবারে। লজ্জায় অপমানে ঘৃণিত ক্রোধান্বিত তিক্ত হৃদয়ের চৌকস ফলার তীর লালসার ক্ষুরধার দৃষ্টির আড়ালে নিজেকে…
তেড়ে কেটে তাক্ এম.আর.মনজু ২৭.০৯.২১. তেড়ে কেটে তাক্ তেড়ে কেটে তাক্ দিহান বাজায় তবলা তবলার বোলে নাচে হেলে দোলে কাজের ছেলে কবলা। তবলারই সুরে গান গায় জোরে দিহান সোনা আমাদের সোরগোল শুনে ঘুম ভেঙে যায় ওরে পাশের বাড়ির সামাদের। তেড়ে কেটে তাক্ তেড়ে কেটে তাক্ তেড়ে কেটে তাক্ তাক্ তাক্ দুষ্টোমীটা রেখে রে কবলা চুপটি করে রে তুই থাক্।
