জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন’র জন্মদিনে নিবেদিত কবিতাটির জন্যে ধন্যবাদ জানালো বেবী নাজনীন। আঞ্চলিক ভাষায় রূপান্তরের আহ্বান– পাঠকবৃন্দের প্রতিও ♦ সালেম সুলেরী বেবী নাজনীন ব্ল্যাক ডায়মন্ড-খ্যাত জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী। ‘মেরিল প্রথম আলো’ অনুস্ঠানে নায়িকা পূর্ণিমা খেলা দেখালেন। বেবী’র কন্ঠ নকল করে গাইলেন বহুচেনা গানটি।”কাল সারারাত ছিলো স্বপনেরও রাত…”। দর্শক দারুণ উপভোগ করলেন। কিন্তু অনেকের আক্ষেপ– প্রিয় শিল্পী বেবী কোথায়! কতোদিন ধরে বাংলাদেশ তাকে পাচ্ছে না। সেই যে বেগম জিয়ার কারাবরণের পর গেয়েছেন কারামুক্তির গান। সেই থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে পড়েছেন। তবে না, হয়রানিমূলক কোন মামলা-মোকদ্দমা নেই। দীর্ঘদিন ধরে সার্বজনীন শিল্পী হিসেবে বিচরণ বিদেশে। বিএনপি দলীয় রাজনীতিসিক্ত হলেও গানের বেলায় ভিন্নচিত্র। অনুষ্ঠান-আয়োজনে বেবী…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
বিশ্ব শিক্ষক দিবস হাসানা হেনা আজ ৫ অক্টোবর। বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও আমার কিছু আত্ব কথন। ১৯৮২ সাল। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের কোন একদিন অর্থাৎ স্কুল জীবনের বিদায়ের দিন। আমরা বিদায়ী ছাএ ছাএীরা শিক্ষকদের বক্তৃতা শুনছি আর কান্না কাটি করছি। এমন সময় মাইকে ঘোষণা শুনলাম হেড স্যার বক্তৃতা দিবেন। এ ঘোষণার কয়েক মিনিট পরে ই শুনতে পাচ্ছি স্যার বলতেছেন ” আইজ্য তোমাদের এমন একটা জিনিস দিউম যা টাকা দিই পাইতা নো” স্যার এতটুকু বলেই থেমে গেলেন।আমি কান্না বন্ধ করে মাইকের দিকে কান খাড়া করলাম জিনিস টা কি যা টাকা দিয়ে পাওয়া যায় না। আরও ২/১ মিনিট পর…
মনে রেখো মোঃ মাইদুল ইসলাম’ আমি বলছি কেউ শুনছে কি জানি না, আমি বলব কেউ মানবে কি জানি না, আমি আছি আমি থাকবো যেকোনো প্রয়োজনে, এটাই সত্যি মিথ্যা নাটক আমি জানি না, বন্ধু দেখো চারপাশ আঁধারে ঢাকা, বলো কতদিন? এভাবে চলবে প্রহসন। আমি ভাবুক বলবো কথা আজীবন, নাই ভয় জীবন তো আমার একটা, কি দাম? এ বেঁচে থেকে সবার, হও সোচ্চার নাও ফিরে তোমার অধিকার, মনে রেখো এ জমিন তোমার আমার। ৩-১০-২১
হুইঞ্চেননি (নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় লেখা) শাহানা সিরাজী হুইঞ্চেননি ও রুনুর বাপ আইজ্জা একখান নোয়া শাই হিঞ্চি হগলে আঁর মুইয়া, এম্মা, কী বেতাইল্লা চাই রইছে! আঁই তো শরমিন্দা হই গেছি শরমে লাগে যেন মরি যাইয়ের গৈ! কই, আন্নে তো একবার কইলেনও না ও রুনুর মা তোয়ারে হাড়ি হাতার নানি লাইগছে! আজ্ঞো দইন বাইর মনিরুইল্লা আছে না, হেতেভমাড়ি কাডের কোদাইলদি, আঁই যাইয়ের শাক তুইলতাম আঁর হাঁর আওয়াজ হাই, হেতে কোদাইল হালাই খা-ই গেছে হেতার চোখ দুইয়ান,আন্নে বিশ্বাস কইত্তেনন, লাগে যেন কনে মদিচ লাগাই দিচ্ছে, এইক্কা লাল অইছে! কঞ্চাই আঁর নোয়া শাইর লগে হেতার কীয়ের রিলেশন! আঁই গাল ভেংগাই চলি আইছি কইছি কিয়া…
কাঁটা রহস্য: অহনা নাসরিন কতোবার তোমাকে বারণ করলাম খোঁজ না কাঁটা রহস্য মানলে না এ বারণ। আবার ত্রিশ বছর পর জাগিয়ে তুললে- পুরনো সে ক্ষত ভালোবেসে মনের বাগানে গোলাপ ফোটাবে তার পাশে সন্দেহ কাঁটা রাখবে সে তো ফুটবেই; ফুলের কি দোষ! সুবাস নিবে যখন বুকে রক্তক্ষরণ হবে না! কি করে ভাবলে? নারী, ফুটন্ত গোলাপ; বহুমাত্রিক হৃদয়ে সুবাস ছড়ায় তাই বলছি তোমায়- ভুল করেও কাঁটারহস্য কখনো উন্মোচন করো না।
তোমার আমার মাঝে – ফারহানা আহাসান তোমার আমার মাঝে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে এটাই স্বাভাবিক। হয়তো তুমি আর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারো না আমার চাওয়া পাওয়া। কারণ আজ আর তোমার চোখ আমার চোখের দিকে স্থির হয় না। আসলে তুমি জানতে চাওনা আমারও কিছু বলার আছে। সেদিনও হয়তো দুরে নেই, যখন তোমায় ছুঁয়ে দেখার আশায় বসে থাকবো। আমি আস্তে আস্তে তলিয়ে চলেছি প্রতিনিয়ত, তোমার এক কাপ চায়ের সঙ্গী আমার হয়ে উঠে না। কারন আমার উঠন জুড়ে শুধু তিক্ততা জায়গা করেছে। দোষটা কি দুজনের, না আমার একার কিংবা তোমার। কোথায়! কখনো জিজ্ঞেস করলে না সারাদিন ঠিক ঠাক ছিলাম তো? জীবনের…
আহ! হোসনে আরা রিতা আহ! আমি বাঁচতে চাই আমি বাঁচতে চাই আমাকে ছেরে দাও বলছি ছেরে দাও। আমার আকাশ এখন কালো মেঘ ভেসে বেড়ায় অসীম নীল ডানা মেলে উড়ে যায়, স্বপ্নের গাংচিল অথচ আমি বলতে পারিনা আমি ও তোমাদের মত মুক্তো আকাশে ভেসে বেড়াবো আমার আতৎচিতকার চারিদিকে প্রতিধ্বনি হচ্ছে তুমি কি শোনতে পাও? স্নিগ্ধ সকালের প্রতীক্ষায় ক্লান্ত দুপুর থমকে দাঁড়ায় এই দিগন্ত, চোখের সীমানায় কেউ কি ডাকে? নিশ্চুপ গভীর মায়ায়? – আহ! কখনো ভাবি দৃষ্টিগোচরে হালকা বাতাস ছুঁয়ে যায় আমাকে এ হচ্ছে প্রকৃতির প্রাণে র ছুঁয়াতে । জীবনের নাশকতা কখনো আত্মসুখ হতে পারে না , নগ্নতা দেহের স্পর্শ আত্মসুখ নয়…
অন্ত্যমিল কানিজ ফাতেমা যতই তোমরা জ্বালবে আগুন রুদ্ধ করবে দ্বার, অকূল পাথারে অথৈ সাগরে খুঁজে নেব আমি পার। তোমরা আমায় তুচ্ছ জ্ঞানে যতই ফেলবে ছুঁড়ে, মেঘ হয়ে উড়বো আমি অসীম আকাশ জুড়ে। যতই তোমরা বিদ্ধ করবে বিষের বাক্য বান, ফনিক্স হয়ে বক্ষ পেতে অনল করবো পান। যদি কালো রাতের অশুভ ছায়া প্রাণকে করে বিদ্ধ, নব নব রূপে জন্ম নেব আমি যে অনিরুদ্ধ। আমি মায়া হবো ঘুর্ণিবাতে অসীম জীবন ভাসিয়ে নেবো, লক্ষ কোটি হৃদয় ছোঁবো জীবনের মাঝে বিলীন হবো। আমি স্বপ্ন নীল শঙ্খচিল হাওয়ায় ভাসি অনাবিল, নানান রূপে জীবন দেখি খুঁজো না আমার অন্ত্যমিল।
আবরার এইচ বি রিতা আচমকা নয়, দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা আপনার সৃষ্টির চেষ্টার পর আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম যে, আমি মারা যাচ্ছি অক্সিজেন হ্রাস পাচ্ছিল, যা আমার সঞ্চালনকে ধীর করে দেয় নিঃশ্বাস নেওয়া অসম্ভব হয়ে গেল শরীরের প্রতিটি একক অংশ এমনকি আমার রক্তের রেখাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল আমি রক্তক্ষরণ করছিলাম, আপনার সৃষ্টিরা বুঝতে পেরেছিলেন আমার হার্টবিট, রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল আমি চিৎকার করেছিলাম, কিন্তু কেউ শুনতে পায়নি মরে যেতে যেতে এক ফোঁটা পানির আবদার; তাও রাখেনি সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আপনার সৃষ্টি হৃদয়-রোগে আক্রান্ত আমার কিছুই করার ছিল না; শক্তির উৎসটুকু শুধু হারিয়ে ফেলা ছাড়া। অবশেষে দেখলাম, স্কিপিং রোপ আর…
একটি বইয়ের আত্মকাহিনি গুলশান কবীর আমার নাম ‘তোমার চোখের জল’। আমার জনকের নাম হুমায়ূন কবীর ঢালী। এবছর আমার ৩০ বছর পূর্ণ হলো। আমার খুব আনন্দ লাগছে ৩০ বছর পূর্ণ করতে পারায়। সাধারণত বাংলাসাহিত্যে বিখ্যাত লেখকদের ভালো বই ছাড়া কেউ টিকে থাকতে পারেনি। যেমন বাংলাসাহিত্যে টিকে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসুদন দত্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়সহ অনেক লেখক। এসব লেখকের বই এখনো দাপটের সাথে বিচরণ করছে পাঠকদের মনে। এদের পরেও অনেক লেখকের বই রয়েছে যা টিকে গেছে এবং টিকে থাকবে। এই তালিকাও ছোট নয়। শওকত ওসমান, মাহমুদুল হক, আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস, শওকত আলী,…
