তোমাকে আঁকি কল্পনায় ডুবে আহেদ ফাতেমা ৮/৯/২০২১ তোমাকে গড়তে গিয়ে, নিজেকেই ভেঙেছি কতবার নিজেকে গড়তে গিয়ে তোমাকেই আঁকি কল্পনায় ডুবে ৷ মনের আঙিনা জুড়ে তোমাকেই সাজিয়ে খুঁজি, আমার হৃদয় ভূবনে তোমার ছবি এঁকে যাই নিরবধি। হৃদয় কাননে ফোটা ফুল, ফুটে আছ হৃদয়ের গভীরে সুবাস ছড়িয়ে । তুমি আমার অনুরাগের ছোঁয়ায় ছন্দ কবিতা, ফাগুনে শুভ্র জোৎস্নার আলো মেখে এগিয়ে এলে। তুমি আমার ভোরের আলো ফোটা রবি শশী ভ্রমরের গুঞ্জন মিষ্টি মধুর সুরে তোমাকে খুঁজে বেড়াই। গুনগুন শব্দ মধু আহরণে বসে আছে প্রতিটি ফুলের কলিতে কলিতে। তোমাকে চাই তোমায় নিয়ে স্বপ্ন বুনি হৃদয়ের মাঝে তুমি আমার অনুরাগের ছোঁয়া ফাগুনে গান। তোমার মাঝে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
কর্মবীর পারভীন আকতার ভয় দেখানোর দিন শেষ, দায়িত্ব কর্তব্যে মোরা অবিচল অশেষ। চাকরী করি গোলামী নয়, সত্য নিশান উড়াব নির্ভয়। ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে মানুষ নয়, বস নয় বন্ধুত্ব সৃষ্টিই প্রকৃত জয়। যেদিন থাকবে না গদি ক্ষ্যামতা, সেদিন ভাব কী করবে জনতা। আজকে এ আসবে কালে সে, তড়িঘড়ি সব ঠিকঠাক দুষ্ট নাশে। নির্ভয় চাপমুক্ত চাকরী জীবন চাই, লাথি গুঁতো মেরে দাপটের দিন নাই। সবারই আছে ইহকাল পরকাল, সম্মানে থাকি যেন কর্মবীর চিরকাল। ———————- পারভীন আকতার শিক্ষক, কবি ও প্রাবন্ধিক। চট্টগ্রাম।
বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো, এই ৪০ কোটি শুক্রাণু মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু। আর বাকিরা? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে, তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি অথবা আমরা সবাই। কখনও কি…
দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর গভীরতার প্রেম চাই শিল্পী মাহমুদা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর গভীরতার প্রেম চাই দিন দিন বাষ্পকণা হয়ে যাচ্ছি, তবুও বুনো উষ্ণতার খোঁজ পাই মাটি সংলগ্ন প্রাণ ছেড়ে যেতে পথ খুঁজি কিন্তু যেতে আমারও কষ্ট হয় না বুঝি!! তবুও নতুন কিছু অবিরত খুঁজি, আমি তো বাষ্প নয় , বৃষ্টি আর শিশির কণা হতে চাই। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর গভীরতায় মাটিতে মেশানো প্রেম চাই। নির্বাসনের বৃত্ত পূরণ করতে করতে নিজেই নির্বাসিত হয়ে যাচ্ছি নিত্যই ভাবনায় তাই খুঁজে পাচ্ছি। হঠাৎ দেখি বারান্দায় আধো চাঁদ সমুদ্র, ঘরে কাচের পুকুর। তল আছে, জল আছে,গভীরতায় আছে, অথচ আমি মৃত্তিকার ঘ্রাণ চাই। তবুও তুমি আমি নির্ঘুম রাত-দিন।…
সংগোপনে ক্যামেলিয়া আহমেদ আলোটি নিভিয়ে ভালোই করেছো,আর কোন বৈচিত্র্য নেই এখানে! অন্ধকার আস্তরণে সময় নিথর অসম্ভব আকাঙ্ক্ষা এখন অনিশ্চয়তার অন্বেষণে কল্পনাগুলোর যে উন্মানা ছিলো তা ঢুকে গিয়েছে শহরের পথে কংক্রিটের ভাঁজে- এখন ভালোলাগে নির্জন রাজপথ স্তব্ধতার পরশে সে পথ হেঁটে যাবো নিশ্চয়তায়- অতীতের জন্য কোন মনস্তাপ থাকলো না! সঙ্গীবিহীন সহযাত্রী নিস্তাপ রাত্রী, আর অন্ধকারের পঙক্তি চিত্রায়িত হবে কবিতার ছলে না বলা কথারা- যে ভাবনা রাত জাগায় দুই প্রহর সে শব্দগুলো ছড়িয়ে দিলাম অন্ধকার উঠোনে যদি প্রয়োজন হয় কুড়িয়ে নিও কোন জ্যোৎস্না পেলে- পেছনের সময় থাকলো পথের চিত্রে এখানে আর কোন বৈচিত্র্য খুঁজো না ! ইতিকথারা অদৃশ্য হয়ে গেছে সংগোপনে !
ফেরারীর কাঠগড়ায় সাকেরা নাছরিন বলতে পারো ওরা কারা? প্যান্ট ছেঁড়া মাথা ন্যাড়া! বলবো আমি? নেই কি কাম! নাই বুঝি আমার মাথার দাম? যাচ্ছে কোথায়? মন যেদিক চায় নাই তো হুশ! ওদের কি দোষ? বাপ মা কারা? গডফাদার যারা কিসের তাড়া দিশেহারা ফিরবে কখন? যখন তখন ডাকো ওদের, বলবো কথা, নেইতো ওদের মাথা ব্যথা কি করা যায়? শুধু হায় হায় ওরাতো সব ছাওয়াল পাওয়াল! ওদের পিছে ধূর্ত শেয়াল! হত যদি তোমার ছেলে? একটি একটি দিতাম জেলে? আর গডফাদার? লুকিয়ে আঁধার, আরে আরে! গডফাদার কারা? জানেন না বুঝি? ওরা কাঁচাটাকায় মোড়া! এ সমাজের বিষফোঁড়া! আরে বোকা সত্য ঢাকা, যায়না রাখা! মুখোশগুলো তাড়িয়ে…
জসিম মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা চলচ্চিত্র অভিনেতা জন্ম: ১৪ আগস্ট ১৯৫০ মৃত্যু: ৮অক্টোবর ১৯৯৮ আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন।পেশাদার নাম জসিম নামেই অধিক পরিচিত। চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, ফাইট পরিচালক ও একজন মুক্তিযোদ্ধা। অনেকেই তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশনের পথপ্রদর্শক হিসেবে মনে করেন। তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা আজিমের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন। ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। জসিম ১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বক্সনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম আবদুল খায়ের জসিম উদ্দিন। জসিম ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে একজন সৈনিক হিসেবে দুই নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ৯০ এর দশকে একটি ছবির…
নয়নের আরশি শাহানা চৌধুরী নয়নের আরশিতে দেখেছি তোমার মুখ, ওগো মোর সুন্দর, হেরীতে দাও তোমার মুখ খানি , মোর নয়ন মাঝে । ছিলাম আমি ফুলের বনে ঘুমিয়ে তুমি ভ্রমর গুন গুনিয়ে ভাঙালে সে ঘুম, আমি দু’চোখ খুলে তোমাকে হেরিলাম , ওগো মোর মন চোর স্বপ্নে ঘেরা – জীবন আমার তোমাতে মুগ্ধ যে , হারিয়ে গিয়েছি কখন আমি তোমার হৃদয় গভীরে, তুমি দু’হাত বাড়িয়ে নিলে আপন করিয়া । অন্তত কাল ভাসবো মোরা প্রেমের সুখের সাগরে, যদি ঝড় আসে তুমি দু’বাহু দিয়ে ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে রেখ এই মোরে যদি পথ ভুলে তুমি চলে যাও বহু দূরে, যদি আর কভু নাহি আস ফিরে,…
অঞ্জলি মঞ্জিলা শরীফ মানবতার বিপর্যয়ে সমাজের অবক্ষয়ে অজস্র দানবের কড়াল থাবা রুখতে হয়তো তুমিই গেয়ে যাবে শিকল ভাঙার গান, ফুলে ফেঁপে উঠা কষ্টগুলো ডালপালা ছড়ায় জুলুম আর অত্যাচারে স্বপ্নরা যখন বুক পাঁজরে মুখ থুবড়ে পড়ে, রক্তের কণায় কণায় তখনও তোমার নীরব কণ্ঠের তুমুল বিদ্রোহ। রক্ষাকবচ তুমি, তুমিই সাহিত্য ভূমে দক্ষ চাষি, তাদের কাছে হলুদ ফুলের স্বপ্নগুলো সাজিয়ে দিতে, সকাল হতে দুপুর পরন্ত বিকেল মাঝরাতে অন্ধকারের সীমানার ওপাড়ে বিরহী বাদুরের মলিন ডানায় নকশি কাঁথার ফোঁড়ের প্রতি পরতে তোমার আশার শব্দ ছড়াও। আদিঅন্তের ইচ্ছাগুলোয় অঞ্জলি দিতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে তোমার খড়স্রতা নদীর তীরে একা পিঁপিলীকার ছোট্ট পায়ে নরম স্পর্শিত চিহ্ন রেখে যাই একান্তে…
পিতা রবিউল ইসলাম তোমার সাথে আমার রক্তের বন্ধন তুমিই তো আমার জন্মদাতা পিতা, তোমার সাথে ভালোবাসার চিরবন্ধন যেমন করে জড়িয়ে থাকে বৃক্ষলতা। সন্তানকে অনেক করতে চাই বড় ঝরায় যে গায়ের কতো ঘাম, আমার মুখে হাসি ফুটাতে বাবা খেটে যায় কতো অবিরাম। বাবা একজন তিনি শুধুই বাবা, যায় আসে কি বাবার পেশা, হাজার অপরাধের অপরাধী বাবা তবুও নিরপরাধ বাবার ভালোবাসা। এই জগতে অগণিত কতো বৃক্ষ বটবৃক্ষের মতো নেইকো ছায়া, এই জগতে অগনিত কতো মানুষ বাবার মতো কেউ করে না যে মায়া। সন্তান বাবার কলিজার টুকরো সন্তান বাবার দুই নয়নের আলো । পৃথিবীর এপারে পৃথিবীর ওপারে সব বাবাকে আল্লাহ রাখুন ভালো।।
