Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

মায়া শাহ নাজমুল আগামীর চিত্রায়ন দেখার অপেক্ষায় ট্রেনের জানলার পাশে আমার উদাসী মুখ. বসে বসে চামুচ দিয়ে বরফি মায়া খাচ্ছি। একজন মায়াবতী এক পোটলা মায়া জোর করে গুঁজে দিয়েছিল হাতে। ষ্টেশনে ক’জন মায়া ছিটানো রোরুদ্যমানাকে দেখে ছলকে ছলকে মায়ারা আমাকে গ্রাস করে নিল। প্লাটফরমে অজস্র কোলাহল- চিৎকারে ম্রিয়মান, সবকিছু ছাপিয়ে সবুজ আর সাদা মায়ারা অস্হির সময়কে মায়াবী করে দিচ্ছিল। আমার হ্রদয়ের মত আকাশের মুখ ভার, গাঢ মেঘেরা মমতার বৃষ্টি ছড়ালো বলে। ট্রেন ছেড়ে দিলে বেশ কিছু মায়া কান্না জুড়ে দিল ছুটছে তারাও, যদিও সবকিছু গতির কাছে হীনবল। স্তব্ধ হয়ে বসে আমার মায়ার পুটলী খুলে অপার্থিব আবেগে গলে যেতে থাকলাম ঠিক…

আরো পড়ুন

তুমি বটচ্ছায়া নূরুন্নাহার নীরু প্রবীন তুমি সমাজ চাকা তুমি জীবন আলো, নবীন চলে তোমার রথে আঁধারে পিদিম জ্বালো৷ প্রবীণ পরশে রঙিন যেথা আজকের এই পথচলা, কান্ডারী ওই নবীন তরে গড়ছো চিত্রকলা ৷ আকাশের মত বিশাল অটল বেঁধেছো বাঁধন মায়া, জীবন নদীর মোহনা তরঙ্গে তুমিই বটচ্ছায়া৷ প্রবীণ প্রবর শ্রদ্ধাভরে নবীন চলে যদি, সমাজপটে বইবে রহম সুষমা নিরবধি৷ মানবতার তরে লড়াকু লড়তে একটাই এক দফা, কন্ঠের স্বাধীকার ছড়িয়ে দিতে করো না আপোষ রফা৷

আরো পড়ুন

পারি না হাসিতে আমি হাসিতে যেয়েও পারি না হাসিতে। পারি না বাজিতে বাঁশের ও বাঁশিতে। আমি ঝরঝর করে ঝরিতে শিখিনি, আমি কুলকুল রবে নদীতে ভাসিনি। আমি বিদ্যুত চমকে চমকিত হইনি । আমি শিলা বর্ষণে ভয়ার্ত হইনি। আমি আগ্নেয়গিরিতে জ্বলিয়া উঠিনি । আমি তুহিন মেরুতে বরফে জমিনি। আমি নিজের মাঝে বাঁচতে চেয়েছি, নিজের মতো করে সাজতে চেয়েছি। দিলে না বাঁচতে, দিলে না সাজতে বিষ ঢেলে দিলে, বড় আস্তে আস্তে। —-শরাবান তহুরা, বুয়েট/ঢাকা

আরো পড়ুন

কবিতা: হজমহীন কষ্টগুলো মনের মাঝে কিসের আগুন জানলো নাতো কেউ, কষ্টগুলো উথলে উঠে বইছে দুঃখের ঢেউ। সুখপাখিটা পালিয়ে গেলো আমায় ফেলে একা, কষ্টজলে মরছি ডুবে পাই না সুখের দেখা। কষ্টগুলো হয় না হজম আটকে থাকে গলায়, দুঃখকাঁটা বুকে নিয়ে কষ্ট ভীষণ চলায়। জীবন আমার মোমের মতো একলা একলা পোড়া, বন্ধুবিহীন কষ্টে আছি নেইতো আমার জোড়া। “ম” আতঙ্ক শেষ বিকেলের মিঠে রোদ, আমায় আর আগের মতো স্পর্শ করে না। তবুও আমি বিমর্ষ মন নিয়ে ছাদে উঠি। সূর্য ডুবতে দেখেই আমার কান্নারা উথলে ওঠে। ভয়ে মুষড়ে পড়ি আমি। সূর্য ডুবলেই আমার চারপাশটা অন্ধকারে ছেঁয়ে যায়। নিকষ কালো আঁধার আমায় গিলে…

আরো পড়ুন

ভিড়/ভীড় দেখা গেছে, সচেতন লেখক ছাড়া কেউ ’ভিড়’ লেখেন না; বর্জিত বানানে ‘ভীড়’ লেখা অনেকেরই অভ‌্যাস। অথচ, এটি সংস্কৃত ‘মিল’ থেকে উৎপন্ন তদ্ভব শব্দ। প্রমিত নিয়ম অনুযায়ী তদ্ভব শব্দের ই-ধ্বনি হ্রস্ব ই-কার দিয়ে প্রকাশ করতে হয়। তাই, ’ভিড়’ সংগত বানান। পূজা ও পুজো ’পূজা’ তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ, যার গঠন হলো – √পূজ্+অ+আ; ধাতুর বানানদৃষ্টে ‘প’-এ দীর্ঘ ঊ-কার হয়। কিন্তু পুজো হলো তৎসম ‘পূজা’ হতে উৎপন্ন তদ্ভব শব্দ (পূজা>পুজো)। প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী তদ্ভব শব্দ হ্রস্ব উ-কার দিয়ে লিখতে হবে। দুটো শব্দ দিয়ে আবার কিছু পৃথক পৃথক শব্দ গঠিত হয়েছে। যেমন – ’পূজা’ দিয়ে পূজাপার্বণ, পূজাবেদি, পূজামণ্ডপ, পূজারি, পূজারিনি,…

আরো পড়ুন

পটে আঁকা জীবন মরিয়ম লিপি জীবন ছিল পটে আঁকা ছবি আঁধারে আঁধারে হয়েছে জলচ্ছবি, এখন আর স্বপ্নগুলো রঙিন হয়ে ধরা দেয় না অস্পৃষ্ট এই হৃদয়ে ভরে উঠে ধুলোপড়া মূুর্তির মতন। আঁখিজল জমে হয়েছে অট্টালিকার প্রলেপ রুদ্রজ্বালে বুনেছি যে মালা ভাসিয়েছি আজ তা প্রেমহীন ভেলাভূমিতে, মৌনতা ভিড় করে অন্ধকূপ হতে স্মৃতিকথা ম্লান হয়ে যায় একাকীত্বের ঘরে, আর কতকাল ভাসাবো এই হৃদয় শূন্যতার হাহাকারে, তুমিহীন এই জীবন কতটা আশ্রয়হীন সে কথা শুধু বিধাতাই বুঝে।

আরো পড়ুন

আজ ফকির লালন শা্হ-এর ১৩১তম প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। লালন (জন্ম: ১৭৭২ – মৃত্যু: ১৭ অক্টোবর, ১৮৯০)[২] ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি;যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।[৩] তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক।তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন।লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৪][৫] তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।তাকে ‘বাউল সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।[৬] লালন ফকির সাঁই, শাহ (ফার্সি ভাষায় سای) লালনের জীবদ্দশায় তৈরি করা একমাত্র চিত্র, ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এঁকেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম লালন…

আরো পড়ুন

তোমার জন্য রাজিনা চৌধুরী। কবিতার প্রতিটি লাইন তোমার জন্য আনি বর্ণমরমরে। তুমি রয়েছো ঘিরে আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে। শুধু তোমার জন্য আমার হৃদয়ে প্রতিটি স্পন্দন। সুখ দুঃখ নিয়ে এই পৃথীবিতে বর্তমান আমি। বেঁচে থাকার আনন্দ শুধু যে তুমি আমার। সব মহা সমুদ্র পাড়ি দিতে পারি অনায়াসে তোমার জন্য। তোমার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই চাঁদের জ্যোৎস্নায় স্পষ্ট। আকাশ ভরা তারা সারা রাত জেগে থেকে তোমার জন্য, ফুলে ফুলে শোভা পায় কিশলয় যার অঙ্কুরোদগমনের পর। আমি তোমার জন্য তপস্যা করতে পারি এক জনম। করতে পারি অপেক্ষা সাত জনম। বাঁচতে পারবো না কিন্তু তোমাকে হারিয়ে। আমি স্বপ্নে বিভোর হই তোমাকে পাশে পেতে, তোমার জন্য ঘনবারি…

আরো পড়ুন

কথার কথা হোসনে আরা জেমী কত কথাই বলার ছিল; সব কথা হয় না বলা বাকরুদ্ধ হয়ে যাই মাঝেমাঝে সেই আবেশে ভাবতে থাকি, কেমন করে কথা না বলে থাকতে পারো কত কথা শুনবে বলো, সুখের কথা, দুখের কথা, ব্যথা-বেদনার কথা, কাব্যকথা, স্বপ্নকথা, স্বপ্ন ভাঙ্গার কথা, ভালোলাগা ভালোবাসার কথা, অনুভবের কথা; আবেগ অনুভূতির কথা, জীবনের গল্পকথা, নানানকথা, দশের কথা, দশের কথা কথায় কথা রাখবার কথা অনেক কথাই বলার ছিল, শুনবে বলে , কত কথা বলা হলো, শুনলে বলে ! নানা কথা আবোল তাবোল বলেই গেলাম তারপর রয়ে গেলো অনেক কথা; না বলা কথা। ব্যাথার কথা আছে অনেক; ব্যাথা শেষে রইলো পরে কথার…

আরো পড়ুন

কবির মাহমুদ-এর শিশুতোষ ছড়ার সমাহার ১) আমার এই দেশ পাখিদের কলরবে ওঠে রোজ রবি সবুজের বুকে হাসে শেফালির ছবি। কৃষকের মুখে হাসি হলুদের মাঠে খুকাখুকি বই হাতে বসে রোজ পাঠে। ফুল ফুটে ফুল বাগে দোয়েলের গানে, শত নদী বয়ে যায় কল-কলতানে। মাঠ ঘাট ছায়াঘেরা সবুজের হাসি, আমার এই দেশটারে কতো ভালোবাসি। ২) খাঁচার পাখি বন্দী কেন? খাঁচার ভেতর পাখি কেন ওদের বন্দী করে রাখি? চায় না ওরা আদর ভালোবাসা চায় না এমন সুখের স্বর্গে হাসা। যতই আদর করো না তার সনে মন টিকে না, চায় যেতে তার বনে। তার ঠোঁটে আজ নেই বুলি কি সাধে? খাঁচা থেকে মুক্তি পেতে…

আরো পড়ুন