আবুল আহসান চৌধুরী’র জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। আবুল আহসান চৌধুরী (১৯৫৩) মূলত গবেষক ও প্রাবন্ধিক, এইটুকু পরিচয়ের সরলবিন্যাসে তাঁর কর্মকাণ্ডকে স্থিতি দিলে, অনেকটা অবিচার করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচডি. ডিগ্রি পাওয়ার পর গবেষণা ও লেখালেখির ক্ষেত্রে তিনি থেমে যাননি। সাহিত্যের অধ্যাপনাও করেছেন, তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমিসহ ও অন্যান্য পুরস্কার পাওয়ার পরও নিজের সচল ও ধারাবাহিক অবস্থান থেকে দূরবর্তী হননি! তিনি এই সময়ের এমন একজন গবেষক, যাঁর গবেষণার পরিমণ্ডল এখনও প্রসারিত হচ্ছে–দিগন্তে দিগন্তে, থিতু হওয়ার লক্ষণ নেই। যার ফলে তাঁর গবেষণা-আবিষ্কারের ফলাফলের জন্য আমরা এখনো এক ধরনের চঞ্চলতা নিয়ে অপেক্ষা করি। তিনি গবেষক হিসেবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন, গবেষণার ক্ষেত্রে সচল…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
অনন্যা’ এ বছরের শুরুতেই প্রকাশ করেছে আমার প্রিয় লেখক-কথাসাহিত্যিক মাজহারউল মান্নানের স্মৃতিকথা, ‘শিক্ষকতার চুয়ান্ন বছর’। গত সপ্তাহের ৭ তারিখে বইটির পাঠ-উন্মোচন হয়। আমন্ত্রণ পেয়েও আমি কপালপোড়া, সে-অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। ফলে, লেখক মাজহারউল মান্নান Sir-এর একপশলা বকা খেয়েছি ০৮ তারিখে। ফেসবুকেই এর অধিকাংশ লেখা ধারাবাহিক আকারে পড়া হয়েছে। আমার চেয়ে আরো বেশি নিয়মিত পড়েছেন লেখকের বন্ধুপক্ষে ডা, মফিজুল ইসলাম মান্টু; আর বিপক্ষের অনেকজন। তাঁরা তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ-বইটির জীবনঘনিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গীকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। শিক্ষক তিনি সারাজীবন, যেমন বিদ্রোহী ছিলেন সারাজীবন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গের নূরলদীন। জনাব মাজহারউল মান্নান মসৃণ মোজাইকে নরম পা ফেলে ফেলে শিক্ষকতার কাজ…
তোমাকে করবো বরণ হাসি দিয়ে জাহান আরা খাঁন কোহিনূর কত ব্যাথা আছে হৃদয় মন্দিরে দাউ দাউ করে জ্বলে থাকা আগুন নিভিয়েছি আমি হাসি দিয়ে সংগোপনে কত কণ্টকময় পথ ঘাট অতিক্রম করেছি তাও হাসিমুখে। এই হাসিটুকু একাকীত্বের অন্ধকারে সঙ্গি হয়েছে আমার দিনে রাতে এই হাসিমুখ সঠিক পথে রাখে মোরে এই হাসি মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ জাগ্রত করে। নতুন বছরে বিধাতার কাছে চাওয়া হাসি যেন অম্লান থাকে মোর রোগে শোকে সব হাসিতে থাকেনা প্রাণ সব ছবি বলেনা কথা কত রক্তক্ষরণ এই হাসিতে আবার হাসিতে হাসিতে কখনও কখনও প্রাণ যায় খুলে তাই তো আমি হেসে যাই সবার সনে সবাই হেসে যাও প্রাণ খুলে…
ভালোবাসার রেণুদি (আহাম্মদ কবীর হিমেল) রোজ সকালে তুমি যখন পূজার ফুল তোল গুনগুনা গুন গান গেয়ে ছন্দ নিয়ে চলো, আড়াল থেকে তোমায় দেখে কেউ একজন পুড়ে দেখতে যদি তুমি আছো তার হৃদয় খানা জুড়ে। তার মন্দিরে তোমায় পূজে সকাল দুপুর সাঁঝে, সাহস করে কয়না কভু ভয়ে মরে লাজে। তুমি হলে তার রেণুদি বলো কেমন করে বলে! তুমি ছাড়া মরণ আমার যেয়ো না কো চলে। ভালোবাসার বিনে সুতায় মালা গেঁথে রোজ পূজার ছলে কাছে এসে নেয় যে তোমার খোঁজ। তুমি যখন আদর করে চিবুক টেনে চুলে দাও বিলি ভালোবাসার উষ্ণ ছোঁয়ায় চমকে উঠে পিলি। আলতা চরণ কাজল চোখে কি অপরূপ লাগে…
দুঃখ রাখি ঢেকে (রিতুনুর) ১৩/০১/২০২২ ইংরেজি দুঃখ রাখি ঢেকে হাসি আনি ডেকে তোমার হাসির আড়ালে এক মহাসাগর দুঃখ লুকিয়ে নিরবে নিভৃতে কাঁদবেই। রাত যতোই ঘুটঘুটে হোক না আঁধার শেষে ভোর এসে দরোজায় কড়া নারবেই। গাছপালা ম্রিয়মাণ থাকে কখনো কখনো…. আবার ফাগুনে নতুনের ছোঁয়া পায়, সবুজে ছেয়ে যায় গাছে গাছে। ফুটে বনে লাল পলাশ শিমুল নদীর ও আছে জাত কূল, জোয়ার ভাটা! জীবন চলার পথে আছে পরোতে পরোতে ভুল। তবু বাঁচতে হয় সাজতে হয় হাসতে হয় হাসির আড়ালে লুকাতে হয় দুঃখ। পৃথিবীকে সুখী করতে আকাশটা যেমন হয় বহুরূপী কখনো আলো কখনো কালো মানুষের জীবন ও তেমনি ধুপছায়ার মতো বহুরূপী তাইতো দুঃখ…
জারি রবে কাওয়ালি জগলুল হায়দার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বলা যায় আউয়াল-ই খেয়ালের জনক যে এই প্রিয় কাওয়ালি। গানে খোদা নবীপ্রেমে সুফিদের সাওয়ালি কাওয়ালের পথ বেয়ে বেড়ে ওঠা কাওয়ালি। দরগার ফকিরের আনন্দ শাওয়াল-ই ইসলামি ভাবে আসে সুধাময় কাওয়ালি। এ সুধায় মজে তাই ভূপাল ও ভাওয়ালি বাংলার প্রাণে লাগে প্রিয় সুর কাওয়ালি। লাহোর দিল্লি ঢাকা সবই এর হাওয়ালি হিন্দুস্তান জুড়ে এক গান কাওয়ালি। তারানার তোতা পাখি খসরুর* বাওয়ালি ভূভারতে নিয়ে এলো প্রেমগীত কাওয়ালি। নজরুল নিজে হন এর বড় গাওয়ালি উর্দুর ভ্রাতা জানি বাংলার কাওয়ালি। শিল্পের সুষমাকে তাও তোরা ধাওয়ালি অতঃপর প্রতিবাদ; জারি রবে কাওয়ালি। * হিন্দুস্তান তথা ভারতবর্ষে কাওয়ালির জনক কবি আমীর খসরু।…
হাতে হাত রেখে হাঁটি ( কথোপকথন) (মাহমুদা বেগম সিমু) রওনক : অকৃত্রিম তোমার মিষ্টি হাসি, তোমার চাহনিতে লিখতে চাই আমার জীননের গল্পের শেষ ইতি। যেখানে থাকবে শত ভালোবাসার উপলব্ধি আর থাকবে প্রেম রাশিরাশি! তোমাকে বড্ড ভালোবাসি! সারাজীবন চলবে আমার সাথে? রনিতা : ভালোবাসার স্বপ্ন দেখতে ভীষণ ভয় হয়। যদি স্বপ্ন হঠাৎ কাঁচের মতো ভেঙে যায়? বাস্তবিক জীবনের আঁধারের আনাচে কাঁনাচে যদি কোনোদিন তোমার ভালোবাসাও হারিয়ে যায়? তাই বড্ড ভয় হয়! রওনক : ওগো প্রিয় তুমি যদি চাও এঁকে দিব তোমার প্রতিচ্ছবি, আকাশের নীল নীলিমায় । বুকের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে সাজাবো প্রেমের তাজমহল। হবো তোমার ওই সুন্দর চোখের কাজল। রনিতা: শুনেছি…
দুঃখের জমিনের দেই সেচ (নাসরিন সিমি) অন্ধকারে বেভুল পথে চলেছি আমরা হাড় পাঁজর সব ছিনিয়ে নিয়েছে কেউ তারপরেও দুঃখের জমিনে দেই সেচ বুকের ভেতরে রাখা অনাবাদী জমিটুকু যেন তাঁর লাঙ্গলের ফলায় চষে চষে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে পলাতক ফেরারী নষ্ট পুরুষ কষ্ট দিয়ে আবাদ করে দুঃখ আমি বসে দুঃখের জমিনে দেই সেচ ফেরারী স্মৃতিগুলো ফাঁস দেয় প্রতিদিন কোন ঠোঁটে আর চুমুর স্বাদ পাইনা বুকের ভেতর জড়িয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে ঠোটঁ চেপে ধরে বলেনা ভালবাসি কেবলি অনাহূত সঙ্গমের আহ্বান শুনি বিষে দংশিত জর্জরিত নীল বুকের স্তন আজকে কাদাঁয় আর জর্জরিত করে।
মা (সাবেকুন নাহার মুক্তা) মায়ের মধুর স্নেহের ছায়া হেথা হোথা খুঁজি ভাই, মা হারিয়ে জগৎ ফাঁকা মায়ের আদর কোথাও নাই। মায়ের স্নেহ আদর ভরা শাসন গুলো কোথা পাই, মাগো তুমি ফিরে এসো মনে মনে জপে যাই । মায়ের কোলে রাখলে মাথা সুখে ভরে থাকতো মন, চোখের জলে ভাসে স্মৃতি পাবো না আর সেই যে ক্ষণ। জন্ম নিয়ে মায়ের কোলে দেখে ছিলাম প্রিয় মুখ, সুধা ভরা সেই না বদন খুঁজে খুঁজে কাঁদে বুক। ধরার মাঝে নিকষ আঁধার জেঁকে বসে রাতের ফাঁদ, আমার মনে আলোর ধারা মাগো তুমি পূর্ণ চাঁদ।
জাগতে তো হবেই (ইশতিয়াক রুপু) কবিতায় আলো থাকে জেগে উঠার ডাক স্বচ্ছ জলের নদীর কথা তিন মোহনার বাঁক। শালুক দীঘির কেচ্ছা থাকে সূর্য বিলের গল্প দেহের বাকে স্পষ্ট ছোঁয়া স্পর্শ থাকে স্বল্প। শাপলা ডাটায় পালক ঝরে ডাহুক পাখির ডুব রাতের বেলা টিনের চালে শব্দ টুপ টুপ। আরো থাকে, ডুবো নদীর পাতাল পুরীর গান, তিস্তা বাঁধে হারায় দুকূল নাড়ী ছেড়া মান। কবিতার আলো দেখি জল পদ্মের ঘাটে যাই যেতে চাই আমি সেথা বয়স কুল্লে ষাটে । NY/USA
