মন্দ প্রেমিকা [আরেফা রাববী মিলি] ইচ্ছে হলে চলেই যাবি, জানি তা জানি, তবু মিথ্যে করে না হয়- হাত বাড়িয়ে দিস। তোর কাছে যে ইচ্ছে- গুলো আছে জমা, আর একটি বার- ছুঁয়ে দেখতে দিস। একটু না হয় শান্ত জলে- ভিজিয়ে দিবি তুই? অবাধ্য সেই মৌন- জলের ঘুর্নি বাটে। ভালোবাসে যেমনি- করে রোজ বিকেলে, প্রেমিক ছেলে সেই- আঙুল ছুঁয়ে হাঁটে। চোর-পুলিশ খেলা- খেলতে পারিস তুই, জানি বলবি তখন- এটাই আমার দোষ। লাটাই সুতো টান- পরলে হঠাৎ করেই- পারবি কি বলতে? আগের মতই বলিস! “তুইও কিন্তু মন্দ প্রেমিকা নোস”।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
ভানুমতীর খেল [রহিমা আক্তার লিলি] ০১-০২-২০২২ আমিতো ভাই সারাজীবন চুপটি করে রই। যাচ্ছে যাক না বেখেয়ালে নিয়মনীতি খালেবিলে, কানের পাশে আগুন লাগে কোনো কথা না কই। চোখে কালো পট্টি বাঁধা অন্ধ আমি নই। নিয়মনীতির আতুর ঘরে ঘুণপোকারা নড়েচড়ে, অনিয়মের দুষ্টচক্রে পাপের বোঝা বই। তেলাপোকায় আতর মাখে পিপড়ে মাখে ঘি। চোখ থাকিতে অন্ধকানা কোনো কিছু বলতে মানা, যাচ্ছে সবই রসাতলে আমার তাতে কি! দুর্নীতিরই তবলা বাজায় যেন তুফান মেইল। দিন চলে যায় গোলেমালে গরীব মরে যাঁতাকলে, রুই কাতলা গভীর জলে চুনোপুঁটির জেল। তেলের মাথায় ঢালো তেল ন্যাড়া মাথায় বেল। আমি যে এক বোবাকালা আমার আবার কিসের জ্বালা! চক্ষু বুজে জাবর কাটি…
অন্তর্ধানের ৫০ বছর : উদ্ধার নাটকীয়তায় চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের জীবনে ‘বেহুলা-সুচন্দা বনাম মনসা-সুমিতা’র অভিশাপ! # কবিতার আরশিতে অন্তর্ধানে’র কলঙ্ক… সালেম সুলেরী ১৯৮৬ সালে আমার সাক্ষাৎকার নিলো দু’জন প্রতিশ্রতিশীল তরুণ। অথচ আমি নিজেই তখন এক তরুণ লেখক-সাংবাদিক। সাপ্তাহিক পরিবর্তন-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। যাঁরা সাক্ষাৎকার নিলো তাঁদের এড়াতে পারিনি। কারণ তাঁদের বাবা কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব জহির রায়হান। তাঁদের মা খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা সুমিতা দেবী। আর তাঁরা দু’জন হলো– অনল রায়হান, বিপুল রায়হান। ‘মিডিয়ায় তারুণ্যের শক্তি’ বিষয়ক প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করছিলো। তাঁরা দু’জন তখন একটি মুূ্দ্রণ-মিডিয়ায় জড়িত। জানালো– মিনার মাহমুদ ও আমার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। মিনার তখন সাপ্তাহিক বিচিন্তা’র সম্পাদক-প্রকাশক। তসলিমা নাসরিনের তৃতীয় স্বামী তখনও হয়নি। আর…
বাংলাদেশ [জগলুল হায়দার] ডাকে বাংলাদেশ আঁকে বাংলাদেশ ফাঁকে বাংলাদেশ রাখে বাংলাদেশ হাঁকে বাংলাদেশ থাকে বাংলাদেশ অন্তরে। শ্বাসে বাংলাদেশ বাসে বাংলাদেশ ঘাসে বাংলাদেশ হাসে বাংলাদেশ আসে বাংলাদেশ ভাসে বাংলাদেশ মন্তরে। নীদে বাংলাদেশ হৃদে বাংলাদেশ জিদে বাংলাদেশ খিদে বাংলাদেশ ঈদে বাংলাদেশ অন্তরে। মাঘে বাংলাদেশ বাঘে বাংলাদেশ রাগে বাংলাদেশ লাগে বাংলাদেশ জাগে বাংলাদেশ মন্তরে।
ভাষার মাসটা এলে [চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু] কত যে ছড়া লিখে যাই শুধু ভাষার মাসটা এলে, মনের ভেতরে বাংলা ভাষার ছন্দটা যায় খেলে। কৃষ্ণচুড়ার রক্তে ভেজা থোকা থোকা ফুলগুলি, ফাগুন এসেছে আগুন ছড়াতে আমরা কি আজও ভুলি শহীদ মিনার তখন সাজে বর্ণমালা দিয়ে, শ্রদ্ধা জানাই মাথা নত করে লাল লাল ফুল নিয়ে। আমার ভাষাকে আমরা এনেছি হৃদয়ের মাঝে সুখ, নতুন করে শপথ নিতে গর্বে ভরে বুক।
বই ও মানুষ [শামসুন নাহার] দিন যায়, মানুষ বদলায়, বইয়ের পাতা উল্টায়, মানুষের চিন্তা পাল্টায়, যেদিক থেকে আলো আসে, মানুষ সেদিক পানে দৌড়ায়। কত বই আলো ছড়ায়, কত মানব জ্যোতি বিলায়, আলোকজ্যোতি যে বই ছড়ায়, উত্তরমেরু থেকে দক্ষিণ মেরুতে খবর যায়, যে মানুষ দেখার তা দেখতে পায়। বই মানুষকে পড়তে শেখায়, বই মানুষকে বলতে শেখায়, বই হাসায়, বই কাঁদায়, বই বেঁচে থাকার সাহস যোগায়, বই মানুষকে ভাবতে শেখায়। বই স্বপ্ন দেখায়, বই স্বপ্ন জয়ের গল্প শোনায়, বই সত্য দেখায়, বই রাস্তা দেখায়, বই প্রেরণা যোগায়, বই বাঁচতে শেখায়। বই বুদ্ধি বাড়ায়, বই অজানাকে জানায়, বই যুক্তি শেখায়, বই যুক্তি দিয়ে…
সে যেন আমার চেয়ে বেশিদিন বাঁচে [ নির্মলেন্দু গুণ ] ৩১ জানু ২০২২। সাবানে জড়ানো দীর্ঘ কালো চুল তুমি ভুল করে রেখে গিয়েছিলে। খুলতে গিয়েও আমি তা খুলিনি। এই হোক বিহঙ্গের শেষ-আলিঙ্গন। বাথটাবে জলপদ্ম ভাসে। বুঝি ওটা জলপদ্ম নয়–, তোমার অবর্তমানে তোমার প্রণয়চিহ্ন হাসে। পুরুষের চোখে জল আসে! দেখি বেসিনে ফুলের মতো তোমার হারানো মুখ ফুটে আছে লাল টুথব্রাশে। কতো কী যে মনে পড়ে। কতো স্মৃতি, কতো চুম্বন, তোমার রক্তিম মাঢ়ী, বিবসনা ওষ্ঠ মনে আসে। এগুলো সামান্য বলে জানি, তবু কেন জানি মাঝে-মাঝে খুব অসামান্য বলে মনে হয়। কেন যে এমন মনে হয়? প্রেম তবে ছিলো? হয়তোবা ছিলো। এসব প্রশ্নের…
ড.এস,এ, তালুকদার তারিখঃ ৩১/১/২০২২ মায়ের গর্ব দেশের সোনা লক্ষ নাগরিক পারেনি যা পেরেছে তা মেজর সিনহা। টেকনাফ জুড়ে ইয়াবার আসা যাওয়া আইনের রক্ষক ওসি প্রদীপ নিশ্চিত করেছে যা। পাহাড়ের আড়ালে অবৈধ যতো খেলা মাদকের অভয়ারণ্য গড়েছিল ওসি প্রদীপরা। ক্রসফায়ার করে পাখির মতো মেরেছে মানুষ ভুয়া মামলায় জড়িয়েছে অনেককে জেনেছে দেখেছে অনেকেই খোলেনি মুখ। সেখানেই ফেলেছে ফোকাস সাহসী সন্তান মেজর সিনহার দ্যুতিময় চোখ। শৃংখলিত আবদ্ধ জীবনে বাংলার খোলা আকাশ যায়নি বলে দেখা এসেছিল বাহিরে অনুসন্ধিৎসু নিষ্পাপ দুটো চোখ নিয়ে জাতিকে সুন্দর কিছু উপহার দিতে। টেকনাফের মিশন ছিল সর্বনাশা ইয়াবায় দিশেহারা লক্ষ মানবকে বাঁচাতে। পারেনি এড়াতে রক্তচোষক ওসির চোখকে জড়িয়ে যায় আইনের…
দিন যায় [লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব] গ্রামের মাঝে বেড়ে ওঠা প্রাণের শ্যামল বাংলায় শৈশব কাটে কষ্টের ভেলায় আমার সোনার বাংলায়। শ্যামল ছিল সহজ সরল সবার কাছে প্রিয়জন তার ভেতর লুকিয়ে ছিল সুন্দর একটা মন। শ্যামল শ্যামল বলে সবাই ডাকতো আদর করে সেই ডাক শুনে শ্যামল ছুটে যেতো সবার তরে। সবাই বলে কাঁচা শ্যামল কাঁচা গায়ের ছেলে হঠাৎ তুমি ফাঁকি দিয়ে কোথায় চলে গেলে। দিনের পর দিন চলে যায় তার খবর মিলে না যুদ্ধে বুঝি গেছে শ্যামল ফিরে আর আসে না।
পতিতা [তসলিমা হাসান] আমায় তুমি পতিতা বলো, নষ্টাদেরকে বলবে কি? এই সমাজের দোষেই তো আমি পতিতা হয়েছি ! বাপটা আমার অল্পবয়সে দিয়ে দিলো বিয়ে, প্রথমেতে সুখেই ছিলাম স্বামীকে নিয়ে । জামাই আমার কসাই চামার, একজনেতে নাকি মেলেনা সুখ । সুখের লাগি আনলো ঘরে, সতিন নামক আরেক মুখ । বাপও গেলো মা ও দিলো অচিন দেশে পাড়ি, স্বামীর ঘরে চলছে তখন অত্যাচার আর ঝাড়ি । বছর দেড়েক পরে, নতুন এক অতিথি এলো কোল আলো করে । ভাবলাম এই বুঝি মোর ভাগ্যে ফিরে এলো হাসি , কিন্তু এই পতিতার জীবন শুধুই সর্বনাশী । ছেলেকে মোর দুচোখে দেখতে নাহি পারে, সতিন নামক জল্লাদটি…
