স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করতে পারবে কিনা, ইসলামের বিধান: সাধারণত স্ত্রী তার স্বামীকে সম্মান প্রদর্শন করবে—এটাই স্বাভাবিক। তাই এ সম্পর্কে ফাতাওয়া শামিতে বর্ণিত আছে, ছেলে কর্তৃক তার বাবাকে এবং স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীকে নাম ধরে ডাকা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। ইবনে আবেদিন শামি (রহ.) ওই বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘বরং এমন শব্দের মাধ্যমে ডাকা উচিত—যেটা সম্মান বোঝাবে। যেমন—হে আমার সর্দার, অমুকের বাবা ইত্যাদি অথবা সম্মানসূচক পেশার সঙ্গে সংযুক্ত করে ডাকবে। যেমন—ইমাম সাহেব, ডাক্তার সাহেব ইত্যাদি)। কারণ, বাবা ও স্বামী—তাদের উভয়ের হক একটু বেশি। (রাদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার : ০৬-৪১৮) তবে স্ত্রীকে বোন বা আপু বলে ডাকা মাকরুহ। হাদিস শরিফে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
জল আস্তরণ অদেখা অনল জ্বলে অবিরাম পাঁজর ডাকা হৃদয়তলে না আছে ধোয়া না যায় ছোঁয়া দগ্ধ ভষ্ম যাতনা প্রতি পলে। বরষার শ্রাবন আঁখিযুগল বহে অঝর ধারায় অশ্রু লহর ভাসি দিনমান সেই স্রোতে নিয়ে কষ্টের নীল বহর। চাঁদ জাগা রজনী, জোস্নার প্লাবন স্নিগ্ধ মলয় সুনসান খুশিতে দোল তটনীর জল, আমি নিশ্চূপ নির্বাক বোহেমিয়ান। কান্নারা গেছে সুখের বাড়ি বাজিয়ে দুখের নুপুর বিষন্ন মর্মর প্রতিক্ষণ আমার উদাস তপ্ত দুপুর। আমি বালির বুকে আঁকি ছবি জল আস্তরণে লিখি নাম দিগন্ত নীলিমায় উড়িয়ে স্বপ্ন খুঁজি স্বপ্নের ডান বাম। রৌদ্রছায়া জুড়িয়ে ক্লান্ত কায়া সবুজ তরুবিথীর ডাল পথেপথে আজ যোগিনীবেশে গুড়ি হয়ে বেসামাল। আহার নিদ্রা নির্বাসনে অনাহারে…
মৃত্যুই শেষ সুষমা (সুরমা খন্দকার) অজস্র রজনী ঘুমাই না। অপরিপক্ক ভুলের কাছে অভ্যস্ততা বনাম অভিমানরা যাকে গ্রাস করে, সেতো নিজ থেকে নিস্পৃহ জীবনের সুচনা করে। মৃত্যুর দিকে তর তর এগিয়ে যাওয়াই যে জীবনের নাম। জীবনের সূচনাই যে মৃত্যুর জন্য। পুরো জীবন যেন তিন ঘণ্টার সিনেমা। এ যে পরম সত্য জেনো, নির্মম সারকথা – মৃত্যুই হলো শেষ সুষমা। তবু স্বপ্নরা অর্গল ভেঙে আহত পাখির মতো ডানা ঝাপটায় । পুরোনো, গতদিনের স্মৃতির মতো ফাঁক ফোকরে আটকে থাকে উড়ে বেড়ানোর স্বাধীনতা। স্বপ্নরা দুঃখ আলিঙ্গন করে নিঃসঙ্গ স্বাধীন হয়। অদ্ভুত মায়ার বৃষ্টিতে স্বপ্নরা কাঁদে একাকী। কবিতার শেষ যতি চিহ্নের মতো স্বপ্নরা একা একেলা।
বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ৭৬তম জন্মদিন আজ। প্রখ্যাত এই ঔপন্যাসিক ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বাংলায় বিএ অনার্স এবং ১৯৬৮ সালে এমএ পাস করেন। কর্মজীবনে সেলিনা হোসেন দীর্ঘদিন বাংলা একাডেমিতে চাকরি করেছেন। একাডেমির পরিচালক পদে থাকা অবস্থায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন। পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির। নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের লেখালেখির শুরু ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী মহিলা কলেজে পড়ার সময়। সে সময়ের লেখা নিয়ে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘উৎস থেকে নিরন্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তার রচিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে – ‘উত্তর সারথি’ (১৯৭১) ‘জলোচ্ছ্বাস’ (১৯৭৩), ‘জ্যোৎস্নায় সূর্যজ্বালা’…
মেঘলা আকাশে আকাশে কালো ঘন মেঘের সাথে ঝিরঝির বইছে বাতাস , রিমঝিম বাদলে প্রেমের বৃষ্টি ধারায় ভিজে যায় চারপাশ। মেঘের স্বচ্ছ স্ফটিক জলে ভেসে হৃদয় হয় সিক্ত, চমকিত তড়িৎ-এ ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে মন হয় রিঔ। পুবালি বাতাসে ভিজে যাওয়া আঁচলে লেখা হয় প্রবন্ধ, মেঘলা আকাশের গুরু গুরু ডাকে জেগে ওঠে ছন্দ। তোমার মনের রংধনু গায়ে মেখে দীঘিতে ফোটে পদ্ম, পুলকিত হৃদয়ের বন্ধ জানালাটা খুলে ছড়ায় সুবাসিত গন্ধ ।। তসলিমা হাসান কানাডা: ১৩-০৬-২০২২ বিরহ রোদন কবিতা লেখার অপরাধে নাম হয়েছিল নষ্টা, চরম শাস্তি হলো হয়ে গেলাম একা । বিনিদ্র রজনী কাটে একাকী প্রতিটা প্রহর, প্রকৃতি সেদিন ছিল পাশে হয়ে বিরহ…
সীতাকুণ্ডের অগ্নি গ্রাসে (এম এ বাশার) জ্বলছে আগুন সীতাকুণ্ডে পুড়ছে মানুষ মরছে মানুষ, আহাজারি চলছে দেশ জুরে। সীতাকুণ্ডের অগ্নি গ্রাসে কত শিশু বাবা হারালো! মা হারালো তাহার সন্তান, দেশ হারালো তাহার মান! ফায়ার ফাইটার পুলিশ সবে চেষ্টা করে জীবন দিয়ে অগ্নি নিয়ন্ত্রণে, আগুনে পুড়ে মরছে মানুষ মরছে পুলিশ ফায়ার ফাইটার! সব মিডিয়া প্রচারে বিশ্ববাসী জানে, পুড়ছে মানুষ ভয়াবহ আগুনে! সবে মোরা দোয়া করি আল্লাহর দরবারে সবাই কে রক্ষা করো আল্লাহ, সীতাকুণ্ডের অগ্নি থেকে সকল জনতারে। এম এ বাশার নয়াপাড়া-মাটিফাটা, শ্রীবরদী-শেরপুর।
তোমাকে ভালোবেসে সেই ধোঁয়াশার গহীনে, আলো-আঁধারের লুকোচুরি। যেখানে জীবন বুকভরা আশা নিয়ে ভালোবাসা পাবার আহাজারি। যেখানে ভোরের ঝিলমিল সোনালী আভায় প্রাণ দোলা দেয়, যেখানে ক্লান্ত দুপুর আর পড়ন্ত বিকেল মায়ামাখা আমেজ ছড়ায়। সেখানে তুমি এসেছিলে হাস্যউজ্জ্বল রবি হয়ে আর প্রাণের সব সুরগুলোর ভালোলাগার তাল নিয়ে। শুরু হয় প্রতীক্ষার শুধু তোমাকে ভালোবেসে আরো কাছে পেতে চাই । ভালোবাসা দিতে চাই, ভালোবাসা পেতে চাই । অনুভবের গভীরে যেতে চাই তোমাকে কাছে পেয়ে পেয়ে। ভালোবাসার সাজা এই দগ্ধ হৃদয়ে বিষাদের কান্নার মূর্ছনা মনের জানালায় আজ কালো মেঘের ছায়া হৃদয় চিরে তুমুল বর্ষণ… কোথাও কেউ নেই বড়ো একা তুমি ছাড়া বড্ড বেশি ভালোবেসেছিলাম…
টরন্টো শহরে আত্মপ্রকাশ করলো আবৃত্তি সংগঠন ‘কণ্ঠচিত্রণ’: গত ১১জুন কানাডার টরন্টো শহরে বেশ আনন্দঘন পরিবেশে আত্মপ্রকাশ করলো আবৃত্তি সংগঠন ‘কণ্ঠচিত্রণ’। এই শহরে বাংলা কবিতা পাঠ বা আবৃত্তিকে জনপ্রিয় করেছেন – এমন অনেকেরই একাগ্রতা আর নিবিষ্টতারই ফলশ্রুতি আজকের নতুন প্রজন্মের মাঝে কবিতা নিয়ে এই উদ্দীপনাপূর্ণ আলোড়ন। হাসান মাহমুদ, রূমানা চৌধুরী, হিরু ইসলাম, রাশেদা মুনীর, সুমি রহমান, মৌ মধুবন্তী, মেহরাব রহমান, অনন্ত আহমেদ, আহমেদ হোসেন, শেখর গোমেজ, মেরী রাশেদীন প্রমুখ শিল্পী ব্যক্তিগত কিংবা দলগত পরিবেশনার মাধ্যমে টরন্টো শহরে বাংলা কবিতা আবৃত্তির শ্রোতার সায় সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এবং এখনো এই সাধনায় তাঁদের অনেকেরই নিমগ্নতা বিদ্যমান। ‘কণ্ঠচিত্রণ’ তাদেরই কবিতা প্রেমের বহুদা বিস্তৃত…
জলের ঢেউ (নাসিমা খান) তুমি কোথায় যাও? আমিতো বলতে পারিনা যেওনা তুমি কেন চোখের ভাষা বুঝে নিতে পারো না? জলজ মাছের মতো কার একুরিয়ামে ভিজতে যাও? একটু দাঁড়াও! ওটা ডাহুকী জলজ পাখি তুমি আর ঐ জলে নেমো না! এখানে এক বুক শুভ্র সফেদ ফেনা এখানে জলজ নদী, উছলে পড়া ঢেউ এই বুক শুধুই তোমার নিরবধি, আমি শুধু আর নয় কেউ জল তোমার তৃষ্ণা জুড়ায় জল তোমার পরিচিত কেউ তাই এখানে রেখেছি আমি এক বুক জলের ঢেউ
জীবন হবে অলংকার (ফরিদা ইয়াসমিন) ০৯/০৬/২০২২ (বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে) বিশ্বে এখন পরিবেশ পরিস্থিতি ভয়ানক মহাবিপর্যয় , একের পর এক মহামারী গ্রাস করেছে সারা বিশ্বময় । যুদ্ধ কামান গোলা বারুদ মিসাইল বোমাবাজির ক্ষয়, মানুষই তার পৃষ্ঠপোষক অস্বীকার করার কথা নয়। জাপানের নাগাসাকি হিরোশিমায় আণবিক বোমার বিস্ফোরণ! বিশ্ব যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় হৃদয়ে এখনও বইছে রক্তক্ষরণ। চেরনোবিল এর আণবিক চুল্লী দুর্ঘটনা ভীষণ শঙ্কাময়। শারীরিক-মানসিক আর্থিক সর্বক্ষেত্রেই বিশ্বে মানুষেরই পরাজয়। গ্রীষ্মে নদ নদী শুকিয়ে মরুভূমি হয়েছে পানির সংকটে, গভীর বালি সারাক্ষণই হচ্ছে ভরাট নদ-নদীরই বুকে। হাওর বাওর খাল-বিল নিত্য বইছে উজান পানির ঢলে, রক্ষা বাঁধের ফাটলে গ্রাম প্রান্তর ডুবেছে পানির তলে। ঠাঁই নেই কোথাও…
