জীবন হবে অলংকার
(ফরিদা ইয়াসমিন)
০৯/০৬/২০২২
(বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে)
বিশ্বে এখন পরিবেশ পরিস্থিতি ভয়ানক মহাবিপর্যয় ,
একের পর এক মহামারী গ্রাস করেছে সারা বিশ্বময় ।
যুদ্ধ কামান গোলা বারুদ মিসাইল বোমাবাজির ক্ষয়,
মানুষই তার পৃষ্ঠপোষক অস্বীকার করার কথা নয়।
জাপানের নাগাসাকি হিরোশিমায় আণবিক বোমার বিস্ফোরণ!
বিশ্ব যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় হৃদয়ে এখনও বইছে রক্তক্ষরণ।
চেরনোবিল এর আণবিক চুল্লী দুর্ঘটনা ভীষণ শঙ্কাময়।
শারীরিক-মানসিক আর্থিক সর্বক্ষেত্রেই বিশ্বে মানুষেরই পরাজয়।
গ্রীষ্মে নদ নদী শুকিয়ে মরুভূমি হয়েছে পানির সংকটে,
গভীর বালি সারাক্ষণই হচ্ছে ভরাট নদ-নদীরই বুকে।
হাওর বাওর খাল-বিল নিত্য বইছে উজান পানির ঢলে,
রক্ষা বাঁধের ফাটলে গ্রাম প্রান্তর ডুবেছে পানির তলে।
ঠাঁই নেই কোথাও যেন জীবনে কঠিনতম সংশয়
বজ্রবিদ্যুৎ বাসস্থান শস্যহানি অকাল ঝড়ঝঞ্ঝায়।
যত্রতত্র পলিথিনের যথেচ্ছ বিপন্ন ব্যবহারের ফলে
পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় মাটি ক্ষয় যার চলে।
পানি বায়ু শব্দ পরিবেশ দূষণ সব দুষণেই মানুষ,
পরিবেশটা ছারখার করছে নাই কোন তার হুশ।
জলাশয় নদ-নদীতে কলকারখানা ঢালছে বর্জ্য সারাক্ষণ ,
জলজ প্রাণী যাচ্ছে মারা বর্জ্যেই নদীর সমাপণ।
অসচেতন মানুষ সারাক্ষণ যত্রতত্র ফেলছে আবর্জনা ময়লা,
বিশ্ববাসী নয় সচেতন সব ক্ষেত্রেই চলছে দারুন অবহেলা ।
বন জঙ্গল পাহাড় পর্বত করছে ধ্বংস বিশ্বমানব জাতি,
গ্রীনহাউস এফেক্টটাই তো মানুষের কারসাজি হচ্ছে রাতারাতি।
সাগর বুকে বাড়ছে উচ্চতা মাটি ক্ষয় বিষবাষ্পের অকল্যাণে,
উত্তর- দক্ষিণ মেরুর গলছে বরফ বিশ্ব তাপমাত্রার গর্জনে।
সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা ও বাড়ছে পরিবেশ বৈরিতায়,
বন বনানী ধ্বংস সাবাড় নদী ভরাট মানুষের অজ্ঞতায়।
মানুষের কোন নাই চেতনা পরিবেশ রক্ষার খেয়ালে,
নিজের আখের গুছাতেই সর্বক্ষণ ব্যস্ত মানুষ ব্যস্ত কোলাহলে।
মানুষ নিজেই বিপর্যস্ত পরিবেশে নিজেরই মৃত্যুর কারণ,
আর তো সময় নাই রে মানুষ হও রে সবাই সচেতন।
গাছ লাগাও পরিবেশ বাঁচাও পরিচ্ছন্ন রাখ পরিবেশ,
মাস্ক পর হাত ধোও সামাজিক দূরত্ব রাখ তবে অশেষ।
নির্মল পরিবেশ তৈরি কর নিজেই বাঁচার প্রয়োজনে,
যত্রতত্র না ফেলো আবর্জনা পরিষ্কার রাখো নালা নর্দমা জনে জনে।
পরিবেশ সুস্থ রাখো বিপদ তাড়াও বিশ্বমন্ডল কর পরিষ্কার,
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবেশের খেয়ালে জীবন হবে অলংকার।