বাংলায় “কি” এবং “কী”-এর মধ্যে পার্থক্য কী? আসলে বাংলা ভাষায় কিছু শব্দের ব্যবহার অনেক জটিল। তবে জানতে পারলেই সব সহজ মনে হবে। যেগুলো সবাই জানে না। কারণ স্কুলে এসব বিষয়ে কেউ গুরুত্ব দেয় না। যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আসি। আমার স্কুলের বাংলা শিক্ষক আমাকে এর পার্থক্য বুঝিয়েছিল এবং এর ব্যবহার-বিধি শিখিয়েছিল। আমরা যখন কোনো প্রশ্ন করি তখন কী/কি বলি।কিন্তু লেখার সময় বানান আলাদা হয়ে যায়। আমরা যখন কোনো প্রশ্ন করি। আর সেই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ/না বা মাথা নেড়ে উত্তর প্রদান করা যায়। তখন সেক্ষেত্রে বাক্যের শেষে “কি” শব্দটি বসে। উদাহরণ- ১। তুমি কি লিখতে পারো? উ: হ্যাঁ। ২।তুমি কি সাঁতার…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
ঘাত-প্রতিঘাতের নিষ্পেষিত বর্তমানের অনলাইন শিক্ষা [ রুমা পারভীনারা ] ‘শিক্ষা’ গতিশীল ধারণা বিশেষ। সময়ে সময়ে এর অর্থ পরিবর্তিত হয়।তার কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চিন্তা- ভাবনা, বিভিন্ন পরিস্থিতি শিক্ষার অর্থ, ধারাকে পরিবর্তিত করতে সচেষ্ট করে এবং এর ফলে শিক্ষা ক্ষণে ক্ষণে নতুনরূপে জন্ম লাভ করে আসছে আজও একই প্রক্রীয়ায়। বিকাশ প্রক্রীয়া যেমন জন্ম মূহুর্ত থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলে তেমনি শিক্ষাও বিকাশের মতই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে নিরন্তর অঙ্গাঙ্গীভাবে চালিত করে আসছে প্রতিটি মানুষকে।এক্ষেত্রে বিকাশ যেমন শিশুর মনোভাব, আগ্রহ,প্রক্ষোভ সব কিছুকেই প্রাধান্য দিয়েই এগিয়ে চলে।তেমনি মানুষের বোধ শক্তির সমস্ত প্রক্রিয়াকে তীক্ষ্ণ ধারালো উন্নত মস্তিষ্কের উন্নত চিন্তাধারার ক্রমগতি সাধন করে তোলে। ‘শিক্ষা’ শব্দটি একটি…
শেফালির আত্মিক বিণ [ জেবুন্নেছা সুইটি ] দীর্ঘ বত্রিশ বছর পর, শেফালীর মনে এ কেমন আবছা আলোয় চকচক করছিল ঝরে যাওয়া কদমফুলের রেণু! কদমের তলে শেফালী তরে! শেফালির গায়ে কদমের রেণু! সতেরো বছর পর ফুটেছে তাঁরা আত্মীক বিণে! কেউ হয়তো জানতেই পারবে না, কি হ’য়ে গেছে তাঁদের মাঝে। একদিন শেফালী কদমকে জিজ্ঞেস করলো, “আমার কথা তোমার মনে আছে? কতদিন তুমি আমায় বিরক্ত করো না! মনে আছে, প্রতিদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফোঁটায় তুমি আমায় গায়ে রেণু ঝরিয়ে দিতে। আমি চুপচাপ তোমার ঝরা ভালোবাসার ঘ্রাণ নিতাম। তুমি ভাবতে, আমার শোধবোধ কিছুই নেই। আমি তোমার ভাবনায় লুটোপুটি খেয়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিতাম ঘাসের বিছানায়।…
মাঝে মাঝে – ফারহানা আহাসান মাঝে মাঝে কিছু বর্ষণ কিছু ধূসর রঙের মন ছেয়ে যায় মেঘের আড়ালে রয়ে যায় বিবর্ণ হীন বর্ণ। কোথাও মুষল বর্ষণে কেপে উঠে মনের পাটাতন, কোথাওবা নিঃশ্চুপ মনের আহ্বান। আমার সুখের জানালায় এ কোন বিষাদের ছায়া হারিয়ে গেলো দূর আকাশে রৌদ্র মাখা হাসি। আধার যতো হোক কালো আলো আসবে হাতের মুঠোয় যদি ইচ্ছে হয় অটল।
আমার মাতৃচুম্বনের আদি স্বর মুহম্মদ নূরুল হুদা মেঘেদের আড়ালে হাসছিলাম হাহা। ঠা-ঠা ডিগবাজি খাচ্ছিলাম সপ্ত-ঋষির পবনে-পর্বতে। মুহূর্তের তিমিরাক্ষী আলোকপোশাক রূপবদলরত অনবরত। ভীতসন্ত্রস্ত আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম স্বর্গমর্ত্য অমাদিগন্ত। আমার আগে-পেছনে আমাকে খুঁজে খুঁজে পাহারা দিচ্ছিল হাজারহাজার কোটিকোটি আমার আমি। যেহেতু আমার আগে-পেছনে আমার পেছনে-আগে ছুটছিলেন বড়শি হাতে আমার মানবজনক। জনক তো নয়, খলুই হাতে এক মৎস্যশিকারি। শিকারি তো নয়, সুদর্শন চক্র হাতে এক নিমগ্ন নিকারি। নিকারি তো নয়, ধনুক হাতে এক দোলনা-কারবারি… কত অনন্ত পার হতে চলেছে মা আমার সন্তানহীনা। মানুষজনের হাতে হাতে বেদনার বেহালাবীণা। না তিরস্কার, না পুরস্কার; বাবা আটকুঁড়া বাদশাহর ভুবনবিদারী হাহাকার। হাহা কার! হাহা কার? হাহা কার! আমি…
ডুব ডুবে যাওয়ার আগে চিৎকার করে ডেকেছি শুনেছিলে কি? হয়তো শুনেছো খুঁজেছো এতোটাই তলিয়ে গিয়েছিলাম তরঙ্গও থেমে গিয়েছিলো নিঃশ্বাসের বুদবুদও ওঠেনি শান্ত নিশ্চুপ কেউ কখনো ছিলো না যেনো! স্পর্শ এখন অন্ধকার এই খানে নক্ষত্রের নীচে মুখোমুখি আবছায়া ছায়ামূর্তি হাতে হাত ছুঁয়ে আত্মার উত্তাপ প্রবাহিত শিরায় শিরায় ধমনীতে আত্মার স্পর্শ স্বর্গীয় সুবাস ছড়ায় পৃথিবীর সময়ে দেখা হয়না মহাকালের সময়ে পাশাপাশি চিরকাল…..
আমরা শোকাহত: পৃথিবী নশ্বর, একদিন সবাই কে এই পৃথিবীর অলিক মায়া ত্যাগ করতে হবে। তারপর ও কিছু অকাল মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হয়।কবি, বিশিষ্ট লেখক Kabir Hasanur আমি তাকে সরাসরি কখনো দেখিনি, ভার্চুয়াল পরিচয়। ভীষণ ভালো লিখতেন । আমাদের গ্রুপেই পরিচয়। লেখালেখি নিয়ে দুই একদিন মোবাইলে কোথাও হয়েছে। কিন্তু যতটা জানি অত্যন্ত বিনয়ী ভদ্র এবং রুচিশীল মানুষ। আমি তার লেখার একজন ভক্ত পাঠক। অসাধারণ আবৃত্তিও করতেন। আজকে যখন ফেসবুকে দেখতে পেলাম এই ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিটি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গেছেন, সত্যিই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। জানি না বিধাতার কোন রহমত এখানে নিহিত আছে। তবে মহান আল্লাহ যা করেন তা-ই…
মেঘ বালিকা মেঘের মেয়ে মেঘ বালিকা মেঘের দেশে বাড়ি ওড়াও কেন মেঘের ফানুস, দাও যখন তখন আড়ি। আমি নাকি মেঘ বালিকা, কি যে বলো তুমি!আমি শুধু হাসতে জানি, মেঘের মতো ভাসতে জানি আকাশ ভেবে তোমার বুকে রাখতে পারি সলাজ এ মুখ খানি। ইচ্ছা করে দু’চোখ ভরে কাজল পরি।তমাল কালো চোখের দিকে তাকিয়ে তুমি বলবে, ভ্রমর নাকি? আলতো হেসে মুখ নামাবো লাজুক আমি। শিশির যেমন নবীন ধানে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দেয় তেমনি করে ওষ্ঠ তোমার ছুঁয়ে দেবে আমার অধর খানি বলবে তুমি, তোমার চোখেই আকাশ ভেবে উড়বে আমার কপোত আঁখি, পল্লবেতে বাঁধবে যে ঘর, নীড় হারানো ছোট্ট পাখি। তুমিই আমার…
প্লেব্যাক সম্রাট [ জগলুল হায়দার ] বাংলাদেশের রফি তুমি তুমিই আবার কিশোর* তোমার গানে পোলাপানের গলায় ছিল কী শোর! তোমার প্লেব্যাক তোমার গানে সত্তুর আর আশিতে আমারা সবাই মজেছিলাম ভালবাসাবাসিতে। রুশদি তুমি মাসুদ রানা** পূর্বপাকের দিন তোমার গানেই হিট সিনেমা গানের কতো সিন। জব্বার হাদি বসির ফারুক সিদ্দিকী আর নবী প্লেব্যাকে তো তারাও ছিলেন দারুণ সুরের ছবি। কিন্তু তুমি টেক্কা দিলে গলায় ঝড়ের গতি নাম্বার ওয়ান গানের হিরো প্লেব্যাকে নেই যতি। ‘চুমকি’ চলে দেখলে পথে আমরা চলি পিছে ‘মাগো মা’য় মায়ের শরণ বেহেস্ত পায়ের নিচে। গানের যখন রমরমা দিন তখনই গান ফেলে কি অভিমান, বললে না ক্যান হঠাৎ চলে গেলে?…
হঠাৎ কখনো হয় যদি দেখা [ নাজনীন আক্তার মুন্নী ] অনেক বছর পরে হঠাৎ কখনো হয় যদি দেখা — আমাদের পরিচিত কোনো জায়গায় চিনতে পারবে কি আমায় ? যদি চিনে ফেলো তাহলে অনুরোধ থাকলো ভুলেও কখনো জিজ্ঞেস করো না আমায় আমি কেমন আছি ? আমার ভালো থাকার কারন গুলো কেড়ে নিয়ে আমায় যদি আবার জিজ্ঞেস করো আমি কেমন আছি ? শুনতে বড়ই হাস্যকর শুনাবে! আমি তো ভালোই থাকতে চেয়েছিলাম ভালো থাকার মন্ত্রও পেয়েছিলাম — হাসো অনেক হাসো — কথায় কথায় হাসো এমন হাসি হাসো যেনো দুঃখরাও লজ্জা পায় তার দুঃখ প্রকাশ করতে! ঠোঁট দুটোও যেনো ভুলে যায় তার কষ্টের কথা…
