তোমাতেই বসবাস লাবণ্য সীমা মোর আপনালয়ে তোমার নিত্য আসা যাওয়া, বলতো? কতটা ভালোবাসলে আগুন আমাকে স্পর্শ করবে না কবির বোধে, “যতটা ভালোবাসলে সন্ন্যাসী হওয়া,যায় ততটা” এত জ্ঞান অর্জন করতে করতে তুমি সন্নাসীর পথ ধরো পথিক তোমার ঠিকানা পেয়ে যাবে নিশ্চিত। মন কে বলেছি, বন্ধ করো তোমার দ্বার ভালোবাসাকে রূদ্ধশ্বাসে দম বন্ধ করে হত্যা করো! তোমাকে ভালোবেসে, আমি আগুনের সাথে দ্বন্দ্ব , আর প্রতিহিংসার সাথে আপোষ করেছিলাম। তাতে কোনও লাভ হলো না আমার। তুমি আমার ভালোবাসাকে উপেক্ষিত করে আমারই সহপাঠী করলে নিমন্ত্রণ । তোমার হৃদয়ে আমি ছবি হয়ে গেলাম কখন তা নিজেই জানতে পারলাম না। আমি দাড়িয়ে রইলাম সে পথ দিয়ে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
বাতিঘর নিশাত জেসমিন [ (প্রিয় শিক্ষক ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে নিবেদিত কবিতা, স্যারের জন্মদিনে) ] নদী ও চাষীর গল্পে হয়েছিল বাংলার কৃষকের স্বপ্ন বোনা বহে জলবতী ধারা কুলকুল রবে মাঠে ফলেছে সোনালি শষ্যকণা। অসীমের ভেলায় চড়ে কেটেছিল আহারে আমার বোকা শৈশব ভাঙো দুর্দশার চক্র তোমরা প্রাণ থেকে প্রাণে হোক নিত্য উৎসব। সুফলা ধরিত্রীর বুকে কেবল শুধুই ফল-ফসলের গান মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় এটা তোমার আশা জাগানিয়া শ্লোগান। আমার উপস্হাপক জীবন তখন তোমার সঙ্গে হয়েছিল অন্তরঙ্গ আলাপ দেখ খর যৌবনের বন্দি বকছে অপ্রস্তুত কলামে কি প্রলাপ! যখন আমার ওড়াউড়ির দিন কেবলই মনে হতো হারানো দিনের কথা…
দহন পিওনা আফরোজ একটা রাত, অতলান্ত অন্ধকারে ডুবে আছে কি ভীষণ মায়া, কি গভীর স্পর্শ অনুভবের। একটা রাত, কি তৃষ্ণা , কি তৃষ্ণা বুকে, আলজিভে গভীর শূন্যতায় আর্তনাদে ফেটে পড়ে বারুদের ছাই বাড়ায় দহন, পোড়ায় ভীষণ। একটা রাত, দুলে উঠে শরীরের সুবর্ণ শেকড় একটাও তারা নেই স্বয়ং রাতও থাকবে না অবশিষ্ট সারা বুকে শুধু কামনা আছে, হৃদয়ে ভালোবাসা আছে বুক পেতে কে নেবে কাছে? শীর্ণ শিরা বেয়ে শুধু দুঃখ নেমে যায় শুধু তুষের অনল জ্বলে, তীব্র দহন জ্বলে স্বপ্নের বাঁধ ভেঙে ঘননীল বুকের মায়ায়।
আশা আরজু আরা দিনের শেষে আভাস আলোয় ডাকছে ডাহুক ত্রাস ডাকে বুঝতে চায় না, তারই সঙ্গীনী এই ত্রাসের ডাকের মধ্যখানি স্খলিত হচ্ছে এক করুন কলকন্ঠ। যায় দিন , করে না তো কারো জন্য অপেক্ষিত, হায় ! এই ধারার সীমাহীন চাওয়া, তবুও তো কেউ ছাড়ি না চেয়ে থাকি অবধারিত। এ কোন আশা ,যে আশার আলো মৃনালের পত্রাঙকুর মত। অধরার পিছে নিরুদ্যম যাত্রা, কুন্ডলিত কংকনে বাজে কি রিনি ঝিনি শব্দ নির্ঘুম রাত, তাই কাটে একাকিত্ব । ছুটছি আর ছুটছি, যেন রানারের মত ছুটে চলা কোন প্রেয়সীর অপেক্ষারত পত্র এ হাত থেকে আরেক হাতে পৌঁছে দেওয়া । তবুও তো হয়, রানার ছুটার এক…
রত্নছায়া কণা মির্জা এই শহরের অলিতে গলিতে নিয়ন বাতির তলে যখন আপনার রত্নছায়া দীপ্তি হয়ে ভাসে। আপনার ছায়া সঙ্গী হয় সকল অভিসারে, আপনার পুরাতন আপনার অসুখ আপনার ছায়া দীপ্তে আমার সুখ। প্রেমে পড়া বারণ হাত ধরা বারণ আপনার ছায়া স্পর্শে আপ্লুত হয় দেহ মন। কতটা কাছে দুজন মুখোমুখি আপনার ছায়াতে কতো চুম্বন আঁকি, জীবনের সত্য সম্পর্ক অজ্ঞাত চিত্রে অস্পষ্ট নিরব স্বরে শুধু ভালোবাসি।
ধ্রুবতারা শামীমা আহমেদ ঢেউয়ে ঢেউয়ে নীল তরঙ্গে ভেসে ভেসে মন বিহঙ্গে এ আমি কোন কিনারায় এলাম! ঘন ঘন নিঃশ্বাস পতনে উষ্ণতার স্পর্শের ছোঁয়াতে এ আমি কোন সমুদ্রে ডুবে গেলাম! টুকরো টুকরো কথালাপের বিঁনুনিতে বিন্দু বিন্দু আবেশের অলংকারে এ আমি কোন মায়াজালে জড়ালাম? সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম অনুভূতির সম্মোহনীতে এ কোন মাদকতায় বুঁদ হলাম? পলে পলে অপেক্ষার অবসানে— এ কোন বারতা পেলাম? চৌদিকে বইছে দখিনার সুবাতাস মৌ মৌ করা সুগন্ধের কারাবাস। —সূর্য যেমন স্থির ঐ বিস্তীর্ণ গগনে তুমি থেকো তেমনি আমার এই জীবনের অবশিষ্টাংশে চন্দ্র যেমন শোভিত ঐ অবারিত আকাশে আমায় রেখো তেমনি তোমার অনন্ত অবকাশে ক্ষণে ক্ষণে দিশেহারা দিকভ্রান্ত পথ বেভুলা নিন্দুক…
স্মৃতি বিস্মৃতিতে এক কাপ চা কানিজ সাপি প্রতিবারের মতোই এবারেও খুব ইচ্ছে হচ্ছে বৃষ্টির জলে ভাসি ভালোবাসার চৈতন্যে তিনশ ফিট রাস্তার পাশের টঙঘরের চায়ের চুমুকে বৃষ্টির ফোঁটার নোনতা তৃপ্তিটা এখনও মেঘলা সমুদ্রে ভাসছে দুই শহরের বাসিন্দা আমরা দুজনে হলাম এই আষাঢ়ের শুরুতে আকাশ ভরা বৃষ্টি আমার শহরে, তোমার শহর ভাসছে অস্বাভাবিক অবিরাম বৃষ্টি আর বানের জলের স্রোতে কতদিন চলবে ঘুরেফিরে ঘনমেঘ বৃষ্টির উতরোল যেভাবে শহরে পানি বাড়ছে গৃহহীন হয়ে যানবাহন চলা মুশকিল এক পিতাকে দেখলে তিনটা বাচ্চা নিয়ে বুক সমান পানিতে বাঁচা মরার লড়াইয়ে, কেউ ভাসিয়ে দিয়েছে বাচ্চা ভাতের পাতিলে ভাঙা রাস্তায় রক্তারক্তি অবস্থা জেনেও ছুটলে নিজ শহরের মানুষগুলোর পাশে…
সাদামেঘ মুসলেমা পারভিন শূন্য হাতে ফিরি আমি জীবনের কোন পথ কোন দিকে বাঁক নেয় জানা নেই আমার। আমি তথৈবচ তবু গন্তব্য খুঁজে ফিরি। আকাশে সাদা মেঘ বেখেয়ালে ঘুরে বেড়ায়, অজস্র বৃষ্টির জল বুকে নেই তার, জানি আমি এই মেঘ বর্ষণবতী নয়। সে কেবল অকারণ — সব জীবনে হয়ত গন্তব্য থাকে না। কিছু প্রাণ হয়ত কেবলই সংখ্যাত্বত্ত্ব! কিছু মনের অর্বাচীন ভাবনা হয়ত কেবল সাদামেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে ধরাতল সবুজ করার সক্ষমতা নেই তাদের। তবু ভাবি সবই কেবল সংখ্যাবাড়ানোর জীবন? অচেতন চিতে তবে কেন চেতনা? তবু কেন এত দুঃখবোধ? তবু কেন এত সৃষ্টির তাড়না? সবই যদি কেবল সাদামেঘ? জুলাই ২৫, ২০২২
মিনতি মোঃ ইসহাক মিয়া অনেক চেষ্টার তরে,বহুদিন পরে শুনিলাম আনন্দের বার্তা।আসিতেছে নতুন অতিথি,মোর ঘর আলোকিত করিতে।প্রীত সংবাদ পেয়ে হর্ষে নাচে হৃদ,কাঙ্খিত বাসনা হতে যাচ্ছে পূর্ণ কিছুদিন পরে। তথ্য পেয়ে জীবনের জংধরা চাকা মরিচা ঝেড়ে বেগবান হয়ে আবারো সজোরে চলতে লাগিল। দোয়া চাই সবাকারে মোর অনাগত সন্তানের তরে,যত বালা-মুসিবত কাটুক সবের দোয়া বদৌলতে।এসে ধরাধামে জ্ঞান গুনে যেন বিশ্ব করে জয়,উত্তম মানুষ রূপে চিরজীবী হয়ে সার্থক জনম গড়ে নর কুলে।
নিলীন অনুভবে জেবুন্নেছা সুইটি ও পাহাড়? তোমার সবুজ চোখে কেনো এতো জল? কিসের ব্যথা? কিসের কষ্ট? কেনো ঢালো কাকচক্ষু স্বচ্ছ পানির ঢল? আমার সিন্দুকজুড়ে কত কষ্ট কত হতাশা কত ক্লেশ! তোমার সমান অভিমান নিয়ে ফিরে আসি সেই খবর রাখো তুমি? ও পাহাড়? তোমার চাপাকষ্টে আমার হৃদয় নোনাজলে ভাসে ক্ষতবিক্ষত এই মনে অভিযোগের সুর ওঠে কত না বলা কথা, বুকের জমিনে বীজবপন করে প্রতিনিয়ত। আমারও তো আছে ঢের অভিমান অভিযোগের প্লাবন। একপা দুইপা করে হেঁটে চলি তোমার বুক ঘেঁষে, আপন স্পর্শে আরও কাছে পাব বলে। কিন্ত, ব্যথিত হৃদয় গুটিয়ে চলে আসি ফেলে আসা আপন র্নিবাসনে। ও পাহাড়, তোমার কান্নার আওয়াজে ছন্দের…
