একবিংশ শতাব্দীর বউ মোঃ ইসহাক মিয়া ০৩/০৮/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ বাড়ছে শিক্ষা, হ্রাস হচ্ছে মনুষ্যত্ব, নীতি আর্দশের ধার ধারে না। শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রীতি, হয়েছে বিলুপ্ত, স্বামীর হুকুম বউ মানে না। শ্বশুর শ্বাশুড়ি, দেবর ননদী নিয়ে একসাথে বউ, থাকিতে চায় না। সকাল বিকাল করে নিত্য ক্যাচাল, শুধুই, সংসার ভাঙার বাহানা। বিয়ে করে, সাজিয়ে নতুন সংসার, অসার জীবন, গোপন যাতনায়। জীবন অঙ্গার, মেটাতে আবদার, বউয়ের, নিত্য নতুন ধরা বায়না। ননদী নয় তো, যেন কেনা দাসি, শ্বাশুড়ি, চাকরানীর মানও পায় না। তবু, বউ বাজায় ভাঙা রেকর্ড, ভাল্লাগে না তার, এত যন্ত্রণা। অঝোরে ঝরে বোনের চোখের পানি, ভাই হয়েও তা, চেয়ে দেখে না। আঁচলে লুকিয়ে মুখ,…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
ফেরার কথা নাসিমা হক মুক্তা মনের ভিতর জুৎ করে বসে আছে নাগর এক্কেবারে কোটরে- খুব শান্তভাবে আমিও হজম করছি- মস্তকে ঠুকে ঠুকে উল্লাস করছি – সুখের আল পথ থেকে শিল্পের সম্মুখে। সুখগুজরানো অদৃষ্ট বাঁকে শুধুই বাউল মূর্ছনা গানের চূড়ায় আছড়ে পড়ে; ভালো লাগার শুঁড়শুঁড়ি- শরীর থেকে ছন্দ ছুঁয়ে যায় তালশিখরে.. পরস্পর আঁকড়ে ধরে স্বর্গের জমিটুকু! লাজ- শরমের ভারী পর্দা টুকরো টুকরো করে জড়াতে গিয়ে ভুলে যায় ফেরার কথা….
ফের জন্মে চখাচখি হবো তাহ্ মিনা নিশা শুধু বলতে চেয়েছিলাম… তুই আমারই থাকিস। কেন যেনো সেটা আর বলা হয়নি তুইও আমার চোখের ভাষা বুঝিসনি সেই সময় আর আমিও লজ্জা সংকোচ ঘুচিয়ে বলতে পারিনি। আজ এতোগুলো বসন্ত পেরিয়ে তাই তুমুল আফসোসের মাথা খুঁটে খাই। নাহ্ শুধু আমি একা নই, তুইও একটু সাহস করে যদি বলে দিতাম! একটু যদি তুই আমার মনের কথা বুঝতি! তবে আমাদের অন্যরকম একটা ইতিহাস হতো সেই গল্পে… “অতপরঃ রাজা-রাণী সুখে রহিলেন” —এই সাইনবোর্ড লেগে….নোটে গাছটি মুড়োতো। যা কেবল গল্প কাহিনীর সমাপ্তিতেই দেখি তা, আমাদের জীবন গল্পেও হতে পারতো। মনে কর, আমরা দুজন যদি হতাম চখাচখি! তবে ডানা…
ছাগলশুমারি জগলুল হায়দার বর্মি যাওয়া কর্মীগুলা পেনশন নিছে কবে তথাপি বোর্ড সেই লিগেসি দেয়নি আজো জবে’। বড় সাহেব সেও তো বুড়া নাতির ছাতি ধরে রোজ সকালে নাতির সাথে ইশকুল ডিউটি করে। নুতুন মেলা বড় সাহেব আজো আছে পদে যদিও পানি শুকাইছে খুব দেশের নদী নদে। তাদের দেয়া নিয়োগ নিয়ে ঢুকছে আরো চ্যালা আগের মতোই শুমারিতে চলছে তো সেই খ্যালা। হিসাব সোজা ঐকিক নিয়ম থাম্ব রুলে সব ফেলে ছাগল করে শুমারি তাই পুরানা চাল চেলে। বাড়ি বাড়ি না গেলেও তো বর্মী গেছে আগে এখন তো সব ডিজিটাল, আর তাও কী যাওয়া লাগে? প্রসেস এখন হইছে ইজি অই কোভিডের নামে ঘরে বসেই…
ঘূর্ণিপাক সময় কানিজ সাপি খুব বিস্মিত মগ্নচৈতন্য ধূমায়িত রিক্ত মন নির্বিকার ভ্রান্ত সর্বনাশ সময়ের কাছে নতজানু অন্ধকার বন্ধ দ্বারে ঘন নিঃশ্বাসে মুখ গুঁজে আছে মানুষ অগ্নি স্ফুলিঙ্গ যাত্রা শুরু হবে কবে কোথায় কখন অজানা এটা নতুন পৃথিবী নীতির যুদ্ধে মরীচিকা নীল নির্মম ভাঙা পথ অবচেতনার তল হতে বহু কষ্টে অতিক্রম আশার বিজ্ঞাপনগুলোয় সম্ভাবনার সংকেত আবার অমানুষের ছোবলে কালাকালের কাছে পরাজিত নির্বাক ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিরাট আত্মপরিচয়গুলোতে ভ্রান্তির ঘূর্ণিপাকে প্রেতের আত্মপ্রকাশ বিবেক অবিবেকের বিকর্ষণ এরপর আবার চলবে সগৌরবে অবিবেকের শাসন যে গলির রাস্তাটায় রাজ্যের অন্ধকার বাঁচার শ্লোগানের উদ্বেল বিক্ষোভ হয় খুব হাজার হাজার ডানা ভাঙা দাঁড়কাক ক্লান্ত করাঘাতে শেষমেশ উড়তে পারে না…
ডুবন্ত জোছনা এবিএম সোহেল রশিদ সর্বভুক এই শহরে হতে পারিনি কখনো আপন। তোমার কাছে লম্পট, অন্যদের কাছে বখাটে বন্ধুরা নীচু স্বরে বলে, ব্যর্থমানুষ হোস না খ্যাপাটে ল্যাম্পপোস্টে লেগে আছে অপেক্ষার রক্তক্ষরণ। ঘোরপ্যাঁচযুক্ত পথ মাড়িয়ে রয়ে গেলে অধরা ক্ষতচিহ্ন ভেদ করে ফুটেছে লাল কৃষ্ণচূড়া— ছিলাম তোমাতে ব্যস্ত, দেখেনি আদ্যপ্রান্ত কী করে পালায় প্রজাপতি, সম্ভাবনার বুক চিরে কত ফোঁটা কান্না ঝুলে ঘাসে, বাজলে তানপুরা। দেখা হয়নি রাতের শহর, ময়ুরের পেখম নৃত্য। ওয়ান ওয়ে ফ্লাইওভারে হেঁটে হেঁটে চাঁদের দূরত্ব মাপি ভাবি নির্বাসিত সময়, কী করে পুড়ে পেঁচার ঠোঁটে সড়কদ্বীপের ঝরণায়, লেখে ডুবন্ত জোছনা ইতিবৃত্ত। বাতাসে কান পেতে শুনি প্রত্যাখানের পাণ্ডুলিপি ব্যবধান অঙ্কের যোগফল,…
ফিরে এসো শেখ মুজিব জেবুন্নেছা সুইটি রাতভর মিটিং, চোখে নেই ঘুম নেই বিশ্রাম! সকালে নাস্তার টেবিলে চিন্তিত! বিছানায় শুয়ে এক দন্ড স্বস্তি পাইনি যে সে আমাদের জাতির পিতা “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব”। বেগম মুজিব মাথায় হাত রেখে বললেন, “একটু স্থির হোন”। ঘুরে উঠে বসে গেলেন বঙ্গবন্ধু, বললেন “আমার সামনে লাখো মানুষ, কি করে স্হির থাকি বলো? তাদের হাতে বাঁশের লাঠি, লগি-বৈঠা, চেয়ে দেখো আমার পিছনে অস্ত্র মেশিনগান, স্টেনগান বন্দকের নল মাথায় ঠেকিয়ে। আর, আমাদের আছে ছুরি-কাঁচি দা বটি! নেই কোন ভারী অস্ত্র। আমরা হার মানবো না, আমাদের আছে বুদ্ধি, আছে সাহস, মনোবল আর লক্ষ কোটি জনতা। বুদ্ধি দিয়ে রুখে দাঁড়াবো, পাকিস্তানি…
বরেণ্য কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম মুকুলের জন্মদিনে শিশুদের হাতে তুলে দিলেন বই। ছিল আরো নানান আয়োজন। শতরঞ্জি লিটিলম্যাগ আয়োজিত লেখক ও ইতিহাস গবেষক রেজাউল করিম মুকুল এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো কোমলমতি শিশুদের বই, শিক্ষা উপকরণ এবং মানুষের মতো মানুষ হবার শপথ পাঠ। ০৪ অগাস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রংপুরের দেওডোবায় শিক্ষার্থি বান্ধব মানবতার স্কুল ‘বেগম রোকেয়া বিদ্যা নিকেতনে’র কোমলমতি শিশুদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শতরঞ্জি লিটিলম্যাগ সম্পাদক ও প্রকাশক সাকিল মাসুদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিশুদের হাতে বই, শিক্ষা উপকরণ উপহার বিতরণ ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন রেজাউল করিম মুকুল, সাংবাদিক ও লেখক আফতাব হোসেন,…
দিনলিপি রোজ নামচা হয় না। সুরমা খন্দকার। এর চেয়ে ঢের দুঃখ নিয়ে মানুষ বাঁচে, হয়তোবা সবাই শিখে যায়। রপ্ত করে ফেলে। অবাঞ্চিত সময় আর ব্যক্তিগত দিন লিপি রোজ নামছা হয়না। দিন কাটে বিষণ্ণ স্রোতের মতন উজানের খোঁজ নেই — হাসি কান্নার সিন্দুকটা বুকের মধ্যে রেখেই মানুষ কিসের অপেক্ষায় দিন ভর হাঁটে, রাত্রি যাপন করে। আচমকা হয়তো নিশ্বাসের মতোন করে কাউকে খুঁজে পায়, হয়তোবা পায় ও না। আশ্বাসে-বিশ্বাসে কুসুম কোমলে পুজার তুল্য ভাবে মোহের ইন্দ্রজালে। হয়তোবা ভুলে থাকা জীবনে বিচ্ছেদ ই ঘর বাঁধে বুকের পাটাতনে। হয়তোবা এভাবেই থাকে, এভাবেই আছে। হয়তো এভাবেই বাঁচতে ভালোবাসে।
মিতালি ড. নজরুল ইসলাম খান সেলফোনে কথা মেসেঞ্জারে বার্তা বিনিময় এই করে তোমার সাথে ফেসবুকে পরিচয় ভেবেছিলে এই সূত্রে ধরেই যদি হয় তোমার আমার শুভ পরিণয়। রাত জেগে জেগে তোমাকে জেনেছি আমি সময় করে করে ব্যয় জমানো কথা শেষ না হতে হতেই একদিন দেখা করার খুঁজলে উপায়। তোমার আবদার ফেরত দিতে আমি ছিলাম বড্ড অসহায় তাই একদিন দেখা হলো কিছুটা হলো ভাব বিনিময়। আশা দিয়েছিলে কথা দিয়েছিলে আবারও দেখা হবে যদি সময় হয় আমি ভেবেছিলাম এমন করেই কতো জনে কথা দিয়ে করে গেল নয়ছয়। তারপরও ছিল আশা ছিল ভরসা অচিরেই দেখা হবে নিশ্চয় দেখা হলো কথা হলো সারাবেলা জুড়ে কেটে…
