বাঁচার ইচ্ছেরা কানিজ সাপি জন্মাবধি তৃপ্তি আর প্রাপ্তির খোঁজে কাকভেজা স্বেতে দুপুর রাত্রি শেষ মৌসুমি সময়ে দেশে যেভাবে মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা পাচ্ছে হ্রাস নির্বিকার মানচিত্রে ভ্রান্ত কৌশলে কিভাবে যাপিত জীবনে আত্মতুষ্টি মিলবে আজন্মকাল এক জীবনে অমৃত জুটে কিছু জুটেনা অনেকটা ইতিহাস সাক্ষী নির্বোধের আসলে ক্ষুধা মিটে না, মিছেই আত্মসমাহিত পরিনামে দুঃখ বিলাসী মন তৃপ্তির আসক্তি প্রাকপুরানিক কাল হতেই সবাইকে মনস্তাপে পোড়ায় খুব অসহায়ত্বে আবেগের সাগরে মুকুরিত হৃদ, চিরচঞ্চল গতিতে খোঁজ সাতটি অধরা অমরাবতী জীবন হেঁটে চলে আজন্মলালিত উদয়াস্ত উদ্বেগ শঙ্কায় নির্জন সৈকতে বিতর্কিত বর্তমান দ্রব্যমূল্যে চাওয়া পাওয়ার ভবিষ্যৎ অবরুদ্ধ অন্তরিক্ষে জমে যাচ্ছে ভয় বিভীষিকা সম্ভব কিভাবে এক আয়েই তৃপ্তির সন্ধান করা…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
অবগাহন তানজারীন ইফফাত শাতি ইচ্ছে আমার আকাশের বুকে তারা হয়ে জ্বলি তারাদের ভীড়ে কেবল আমিই একা, এই রাতে চাঁদ জ্যোৎস্নার মাখামাখিতে আমি শুধু একাই থাকি। ঐ আকাশের একলা গহীনে আমার আর মন ভেজানো হয় না আকাশ-প্রদীপ জ্বেলে। প্রতীক্ষার প্রহরে শূন্যতা আসে, থেকে থেকে বাজে হৃদয়ের বীণা আপন করে আসে সেই অচেনা সুর দেহবল্লরী নেচে নেচে ওঠে, আমি অবগাহন করি আকাশ তোমার নীলিমা ছুঁয়ে।
ঢাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গাঙচিলের অনুষ্ঠান: গত ০৫/০৮/২২ ইং শুক্রবার ঢাকার মিরপুরে গাঙচিল সাহিত্য ভবনের মিনি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন — কবি মোজাইক জহির। আজীবন সদস্য, গাঙচিল। প্রধান অতিথি —- গ্রপ ক্যাপটেন ( অব.) ড. ইদ্রিস আলী। মহাসচিব , গাঙচিল কেন্দ্রীয় কমিটি। উদ্বোধক: জনাব মোঃ হারিস উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। প্রধান বক্তা — কবি এ টি এম ফারুক আহমেদ, সাবেক পুলিশ সুপার। বিশেষ অতিথি —- মোহাম্মদ মশিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। আওলিয়া খানম তুলতুল, কনসালটেন্ট, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আই এল ও)। কবি শাহী সবুর, সাধারণ সম্পাদক, গাঙচিল ঢাকা…
ইচ্ছে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতেও— বেঁচে থাকবার ইচ্ছে! গলিত লাভায়— এক এক করে কতকিছু ঢেকে যাচ্ছে! আমি ভস্মস্তুপে—কূপে একা পড়ে আছি এমন সময়ে মুখ ভেংচায় এক মাছি! পর্বতমালাও ধ্বসে যাচ্ছে! যেন জীবাশ্ম হবার আগে— আবারও আমি—ব্রহ্মপুত্রের পলিবিধৌত অববাহিকায় পায়ে কাদা মেখে—ফসল ফলাতে পারি, সেই ইচ্ছে জাগে! শৈবলিনী শৈবলিনী— তোমার কাকচক্ষুর মতন নির্মল জল জলবিহারে এসে খুঁজি —জলমগ্ন হই। আমি তো দূরের দরিয়ার কাছে যেতে পারবো না— তোমারই কাছে ফিরে ফিরে আসি। বালুবেলা— তটপথ পার হয়ে আসি। তোমারই কুললগ্ন আমি তোমারই জলকল্লোল চিনি তোমারই তরঙ্গতাড়নে তরঙ্গায়িত হই। জলকাদা মেখে আসি বর্ষাভেজা হয়ে আসি কালিঝুলি অবস্থা থাকে না— অভিলাষ আমি তো অনেক আগে আমার…
প্রিয় অভিমান ফারহানা তাছমিন হ্যাপি দুরত্ব কতোটা তীব্র হলে তাকে যোজন যোজন দুরত্ব মনে হয়? বলতে পারো কষ্টকে, কখন মনে রাখে মানুষ? কষ্টকে ভুলে যেতে চাই সবাই আমি বলি অক্ষুন্ন থাকুক , অমলিন থাকুক। একরাশ কান্নার জগতে বাঁচতে দিয়ে চলে গেল যে মানুষ টা তোমায় আমি অভিশাপ দিলাম তোমার ফেরার পথে শুষে নিক তোমার মন মন ফুরানোর গল্প নিয়ে আর কোন গল্প না থাকুক। বিপ্লবি আমি তোমায় ভালোবেসে এখন অভিমানের জয় জয়কার। ভুল করে কখনো কখনো শেষ রাতে চাঁদের সাথে আলো মাখামাখি তুমিময় জুড়ে। চাঁদ খান খান করে ভেঙে ফেলি তীব্র অভিমানে ভাঙা চাঁদ হেসে উঠে জিগ্গেস করে ভালোবাসিস? আমি…
ভুল রথে ছুটছি মোরা কাজী নাজরিন ভুল রথে ছুটছি মোরা সত্যি বুঝতে বেমালুম অন্যায়কে ন্যায় ভেবে দিব্যি দিচ্ছি সুখের ঘুম। মানুষ হচ্ছি মনুষ্যত্ব ছাড়া ন্যায় অন্যায় বুঝি না অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের দোষ খুঁজি না। উচ্চতর ডিগ্রি আছে নয়তো মোরা মানবিক আচার আচরণে সেটা প্রকাশ পায় অমানবিক। যাচ্ছি মোরা দেশ বিদেশে ঘুরছি কতো আনন্দে অন্যায়কে ন্যায় ভেবে বেজায় খুশি সানন্দে। দামী দামী গাড়ি বাড়ির নেশায় আমরা অবিরাম বিলাসবহুল রেস্তোরায় বিল পে করি হরদম। বেড়ে ওঠার মূল কদর করে আজকাল ক’জনা? সেইসব নিয়ে লাট সাহেবরা এখন যে আর ভাবে না। সেইসব জায়গায় জটিল হিসেব অন্যসবে আহলাদ অন্যায় কে ন্যায় ভেবে…
একটি বার দেখাবার জন্য শারমিন আখতার মনি ভয়ংকর অসুখের নাম কাউকে দেখতে চাওয়া। এর চেয়ে ভয়ংকর রোগ পৃথিবীতে আর কিচ্ছুটি নেই। জীবন থেকে থেমে গেছে প্রিয় মুখটি তৃপ্তি নিয়ে দেখবার জন্যে। জানবে না কোনো দিন অনুভূতি কতটা কঠিন। বুঝতে পারবেও না কোনো দিন বিধ্বস্ত হৃদয়ে বলি ভালো আছি। এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি সমুদ্রের সামনে। একটি বার দেখার তীব্র আক্ষেপ ফুরিয়ে যাচ্ছি একেকটি বার। অসহ্য অস্হিরতায় কেঁটে যায় দিন বড্ড অবহেলায়।
রঙ শিরিন আফরোজ বাহিরপানে চোখ পরতেই মনের অজান্তে চোখ পড়ে তোমাতে, কতশত বছর ধরে তুমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছো ছাঁউনি হয়ে এই ধরণির ! অগণিত চোখ তোমাতে চোখ রেখে স্বপ্ন বুনে যায়…. ভালোলাগা, মন্দলাগার নালিশ রাখে তোমাতে জমা! তোমার রঙ নীল সত্য সেটা, মাঝেমাঝে বাহারী সাজে তোমার বুকে রঙেরা ছুটে দিকবিদিক, তোমার রঙের খেলার সাথে জীবনের মিল! কখনো আলো আবার কখনো আঁধার তুমি, কখনো বা এলোমেলো অস্থির জীবনের মতো গরমিল।
কথা দাও মা মোঃ আনোয়ার হোসাইন আসিফ পৃথীবীর সব সৌন্দর্য আমি এনে দিবো তোমার হাতের মুঠোয় কথাদাও তুমি নিবে? আকাশের লাজ রাঙা আবির দিয়ে তোমাকে সাজাবো আপন হাতে কথাদাও তুমি সাজাতে দিবে? স্নিগ্ধ মনোরম আলো আমি ছড়িয়ে দিব কথাদাও তুমি ছড়াতে দিবে? হৃদয়ের সব উষ্ণতা দিয়ে ভালোবাসবো তোমাকে নিস্তব্ধ নিভুতে একান্ত নিজের করে কথাদাও তুমি ভালোবাসতে দিবে? আজ হতে একহাজার বছর পর হলেও আমি তোমারই রব কথাদাও তুমি আঁচল বিছিয়ে রাখবে? যেখানেই থাকি ছুটে আসবো এক বুক ভালোবাসা নিয়ে কথাদাও প্রিয় মা’ তুমি আমাকে আলিঙ্গনে জড়াবে?
নিজেকে সীমাবদ্ধতায় রাখো মিথ্যে এই দুনিয়ায়– কারোর কাছে সম্পুর্নভাবে নিজেকে উম্মুক্ত করো না, কাউকে সম্পুর্ন ভাবে বিশ্বাস করো না, সবার থেকে ভালোটা শেখো, নিজের গোপন।… যা কিছু ব্যক্তিগত… তা সম্পূর্ণ নিজের মধ্যে রেখো। স্বেচ্ছায় ছোটবড় সবাইকে যখন বেশি প্রাধান্য দিবে, দেখবে, অবহেলাটা বাড়বে দিগুন। মিথ্যে এই শহরে– যখন তোমার গোপন সব কিছু জেনে যায়, তখন তোমার প্রতি ঘৃণা বাড়বে দিগুন, নাম শুনলেই – তোমার প্রতি বাড়বে সন্দেহ, বুঝতেই পারবে না তুমি- তাদের কাছে পঁচে গেছো এমন!! নিজেকে নিয়ে করিও না অতিরঞ্জিতা, জানো না সৃষ্টিকর্তা পছন করে না- অতি বাড়াবাড়িতা, তাই নিজের মধ্যে রাখো সীমাবদ্ধতা, তাহলেই থাকবে সব কিছুর সখ্যতা!! …
