যখন মৃত্যু হবে ।। সেলিনা আখতার ।। আমার যখন মৃত্যু হবে আকাশ কি দুঃখ পাবে? আমি বিশেষ কেউ ই নই, কোন এক এতিম সন্তান, শিশু থেকে বয়স্ক হয়েছি। আমার এই বেড়ে ওঠার মাঝে জড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষের স্নেহ ভালোবাসা আর করুনা। আমি বিশেষ কেউই নই, গ্রামের পথে-ঘাটে হেসে খেলে বেড়ানো একটি মেয়ে। হাত ভরা চূড়ি থাকতো, গলায় পুথির মালা।আর থাকতো সহাস্যে সবার মন জুগিয়ে চলার প্রচেষ্টা। আজ আমি শহরের বাসিন্দা এমন কিছু বড় মাপের নই আজও। অতি সাধারণ গৃহকোণ আমার। জীবনের কাটাযুক্ত দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসেছি আজ। সম্মুখে শান্তির পথ । একে একে সব প্রিয়জন এগিয়ে চলেছে সে পথে। আমার…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
জীবন নামক খোয়াবনামা পথশিশু দুটো মিছেই রাঁধে ভাত! মা ফুট ওভার বীজের নীচে চুলো ধরায়! ও আল্লাহ বৃষ্টি দাও! তাপদহন আর সইতে পারছি না! নিমিষেই উড়ে গেলো মঞ্জুরিত প্রার্থনা! তীরের ভুমিকা আমি সংহত করি! তীরন্দাজ হয়ে আর শিকার নয় বাচ্চা দুটোর মিছে ভাত আমায় বর্ণগন্ধময়ে অবাক করে! সম্প্রদায় কাকে বলে? বিন্যস্ত শ্রেণী বিন্যাস কে করেছে? আহা ধুলো উড়িয়ে সাইরেন বেজে গাড়ি যাচ্ছে আর পত পত করে ফ্লাগ উড়ছে রাস্তা তুলোধুনো করছে ডিপফ্রিজের গাড়ি! ঊষরিয়া প্রাসাদ তো কিছু জনের কেবল কালসিটে দাগ রেখে যায় বুকের পেখম মেলে প্রায়ীক প্রাঞ্জলীর প্রতুৎগমন কোনো দাঢ্যমানে বহন করা সুরা! সঙ্গোপনে কায়িক শ্রমের কিছু গতর পোড়া…
বাবা শারমিন আখতার মনি তারা হয়ে জলজল করে জ্বলছো আকাশের দিকে তাকিয়ে খুঁজি যদি আবার ফিরে আসো এই ধরাধামে তোমার জন্য অনন্ত ভালোবাসার চিঠি প্রজাপতির ডানায় লিখে দিলাম গ্রহণ করো, তোমার পবিত্র হাতে। আকাশ কাঁদে, বাতাস কাঁদে, কাঁদে বৃক্ষ-ফুল বাবা হারিয়ে নিঃস্ব আমি, হারিয়ে ফেলেছি কুল। মায়ের আঁচল বিছায়ে বসে আছি শূন্যতার হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছি দূর থেকে আমাকে আশির্বাদ করো বাবা।
সরিয়ে দিওনা দূরে সরিয়ে দিওনা দূরে, এভাবেই চাই যেতে দূরে বহু দূরে। পথ যেন কভু না ফুরায় শেষ হয়না চলা অবিরাম চলতে থাকে মিষ্টি কথা বলা। মত্ত হয়ে শোনার কভু হবেনা যে শেষ কাছে তুমি আর আমি দারুণ লাগছে বেশ । মগ্ন আমি তোমার প্রেমে পাগল দিশেহারা তুমি ছাড়া জীবন আমার হবে ছন্নছাড়া। নিশ্চিতে রাখতে চাই তোমার কাঁধে কাঁধ আপন হয়ে থাকবো দুজন আসুক যতই বাঁধ। তোমার মুখের মিষ্টি হাসি আমার যত সুখ যপে শুধু তোমার নাম বুকের ধুক ধুক। আমিও জানি তুমি আমায় ভালোবাসো কত? সাগরের টানে নদী ছুটে যায় যত। তুমি শুনতে পাও আজও কি শুনতে পাও…
রাষ্ট্র খবর রাখে কি মোঃ মাইদুল ইসলাম ডিজেল পেট্রোল কেরোসিন দাম বাড়ছে দিন দিন, জনতার পকেটে টাকা আছে কি? রাষ্ট্র খবর রাখে কি? খাবারের পয়সা নাই জীবনটা অতিষ্ঠ ভাই, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আকাশছোঁয়া নামতে হবে মাঠে অধিকার আদায়ে। আগুন জ্বলবে কবে মিছিল মিটিং কবে হবে? সুখের ফাগুন বুঝি শেষ! প্রজাপতি ডানাতে আগুনের রেশ। ঘরে থাকা চুপ থাকা কোন স্বার্থের বিসর্জন? হয় পড়ি চুরি, নয় নিজের বুকে গুলি করি এ বেঁচে থাকার আর নাই দরকার। শাহাদাতের পথে আয় দলে দলে অপেক্ষায় আছে নতুন আলো, পথ নাই আর বেশি দূর সুযোগ আসে না বার বার।
স্পর্শ আমি তোমাকে ছু্ঁয়ে দিতে চাই আর একবার। হাতের স্পর্শে নয়,মনের স্পর্শে…। সময় হবে কি তোমার, আমাকে এতটুকুও সুযোগ দেবার? তোমাকে শুধু একবার ছুঁয়ে দেখতে চাই, খুব কাছ থেকে না হোক, না হোক সে কোন দীর্ঘ সময় ধরে! তবু একবার ছোঁব। তোমার উষ্ণতা না পাই, শুধু চোখের পলক পরা একটি মূহুর্তে, ইচ্ছায় বা ইচ্ছা লুকিয়ে কোন সহজ বাহানায়! তবুও একবার ছোঁব। তোমার হাজারো আপত্তি থাকুক, চোখে রাগ, মুখে অভিমান থাকুক; বেহায়ার মতো একটিবার তোমায় ছোঁব শুধু একবার ছুঁয়ে দিতে চাই তোমার হাত, অথবা হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল, কিংবা তোমার নরম কোমল ওষ্ঠযুগল। তারপর সেই সুখেই কাটিয়ে দিব কিছুটা প্রহর। তবুও একবার…
শিক্ষক সম্মান জায়েদা আনোয়ারী মিনু আমি বাকরুদ্ধ মন অবরুদ্ধ যন্ত্রণার যাতাকলে বিবেক লুণ্ঠিত পৃথিবী বিস্মিত শিষ্টাচার রসাতলে। হায়রে একি শুনি সোনার দেশে! শিক্ষকতা লাঞ্চিত কুণ্ঠিত বেশে। শিক্ষক মোদের জাতির সম্মান আলোকশিখা প্রাণের তাঁদের লাঞ্চনা করিস রে যারা ঘৃণা জানাই তাদের। জন্ম যেথায় হোক না যথাতথা শিক্ষক দেন জীবনে সার্থকতা। শিক্ষক শেখান জীবন আদর্শ সঠিক জীবন দিশা, জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে ভুবনে জ্ঞানেতে জাগান তৃষা। শিক্ষক মোদের পথ প্রদর্শক মূর্ত প্রতীক সততার শাসক। শ্রদ্ধায় মস্তক করি অবনত অবগুণ্ঠিত হৃদয়ে শিক্ষক সম্মানে সন্ত্রাস দমনে সংগ্রামী হই নির্ভয়ে। ইতিহাস সাক্ষী জনশ্রুতি আছে শিক্ষক সেরা বাদশাহের কাছে। যুগে যুগে তাই জ্ঞানীরা সবাই দেন শিক্ষক সম্মান…
আজ ০৬/০৮/২২ ইং শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গাঙচিল সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম ফারুক আহমেদ সভাপতি, গাঙচিল উত্তরা শাখা। প্রধান অতিথি: গ্রুপ ক্যাপ্টেন ডক্টর ইদ্রিস আলী মহাসচিব, গাঙচিল কেন্দ্রীয় কমিটি। বিশেষ অতিথি: শিউলি খান মুখ্য সমন্বয়ক, গাঙচিল। শ্রী অমর দাস: কবি ও কথা সাহিত্যিক কোচবিহার, ভারত। সাজিনুর রহমান: কবি ও সংগঠক কোচবিহার, ভারত। আতিক হেলাল: বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার। গাঙচিলের কর্ণধার খান আখতার হোসেনের নির্দেশনায় উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন কবি হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে ভারতীয় কবি অমল দাসকে গাঙচিল উত্তরা শাখা থেকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়। কবি অমল দাস তার স্বরচিত বই সকলের মধ্যে বিলি করেন। অর্থ শতাধিক…
বাবা নাফিসা খান কেবল বস্তুবাদী ভালোবাসার ক্ষয় হয়, এ স্নেহ অধ্যাত্মিক- কিছুটা ইশ্বর বাকি এক অধীশ-কখনও মানব তিনিই ভগবান পক্ষান্তরে ক্রান্তদর্শী। প্রস্তরযুগ পেরিয়ে- আদি মানব কিম্বা আধুনিক- অতি স্বাভাবিক স্রোতে আসে ভাঙন কখনও সখনও প্রজ্জ্বলনের মেঘে জ্বলে ওঠে অভিশাপ বুকে নিয়ে- বাবা তখন আমাদের এক মস্ত বট । টাপুর টুপুর ঘোড়া চলে, বৃষ্টি নামে অনিবার অবিরত, শাকুল বনে ময়ূরী মন দোলে, অঞ্জলিতে ডিম দিয়েছে যাদুর বলে-একটি মেয়ের ছোট্ট কথা শোনায় যখন বাবা হেসে ! আবার এল কারা, পেখম পরে ঘোড়া দলের, হুলুসস্থল উমরগড়- রাক্ষসী রানী ? ধ্রুবজ্যোতির আচ্ছাদনে রাজাপুত্রের আগমন, খুকিও যেন শিশির আধাঁর আলো নক্ষত্রের উদ্দীপকে- বাবা আমার এমন…
আজ ২২শে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস: বহু প্রতিভার নিজস্ব এক সত্ত্বার অধিকারী এই কবি তার আপন প্রতিভার আলোয় উদ্ভাসিত করে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছিলেন বিশ্ব দরবারে। পেয়েছিলেন বিশ্বকবির সম্মান। তিনি বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ কবি।বাংলা সাহিত্যের এই অসামান্য প্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বাংলা সনের ২৫ বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদাসুন্দরী দেবী। বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ কলকাতায় পৈতৃক বাসভবনে ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়ান দিবসে অনন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ১৯২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ সময় ঢাকা…
