ইচ্ছে ইচ্ছে হলেই হারিয়ে যায় ইচ্ছে হলেই ফেরে ইচ্ছে হলেই চোখের তারায় স্বপ্ন একে চলে। ইচ্ছে তার এলোমেলো মানতে চায়না বাধ তাইতো সে হারিয়ে যায় আপন মনের সাধ। ইচ্ছে তার পাগলা ঘোড়া ছুটছে অবিরাম পথের বাঁকে হারিয়ে খোঁজে হারিয়ে ফেলা নাম। হারিয়ে ফেলা স্বপ্নগুলো আবার যদি পায় খুঁজে তাইতো এতো ছুটেচলা আশা নিয়ে ঘরে ফেরা পথের বাঁকে স্বপ্ন বোনা স্বপ্ন একে চলা। ইচ্ছে হলেই হারিয়ে যাওয়া ইচ্ছে হলেই ফেরা নিজের ঘরে ফেরা॥ আনাড়ি মন ইচ্ছে হয় যদি নতুন একটা জীবন পেতাম এক জীবনের ভুল গুলি সব শুধরে নিতাম। কিন্তু ভুলের খাতা বেজায় ভারী, ভুল গুলো সব আনাড়ি ভুল, শাসন…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
জীবন বোধ নিলুফার জেসমীন রুমা নিদ্রাহীন রাতে যখন যাপিত জীবনের অসংখ্য ছোট বড় গল্প এসে ভিড় করে, ধুমকেতু হয়ে ঝরে পড়া স্বপ্নগুলো তখন মনের অলিগলি পেরিয়ে মস্তিকের ভাঁজে ভাঁজে সুর তাল লয় হারিয়ে কেবলই অচেনা রাস্তা খোঁজে… কখনো আবার দ্বিধা-দ্বন্দ্বের চোরাবালিতে ডুব দিয়ে বিশ্বাসের নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। ছোট বেলায় মা’ বলতেন, আগে বড় হ’ তখন বুঝবি জীবন কী? সাঁতচল্লিশটি বছর পেরিয়ে গেলো তবুও বুঝিনি, জীবনের রঙ আসলে কী? আজকাল অনেক মেয়েকেই দেখি সমাজ সংসারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিক্কনের ঝংকারে ছন্দ তুলে দিব্বি উপভোগ করে বর্ণাঢ্য জীবনের স্বাদ ! আর ছেলেদের বেলায় অর্থ, পেশিশক্তি আর ক্ষমতা থাকলে সবটাতেই তাদের সাতখুন…
অন্য মনে তুমি ফারজানা লুবনা তুমি আমার শ্রাবন দিনের গান। তুমি আমার মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা অন্য আরেক প্রাণ। তুমি আমার রোদ পড়া দিন। একটুকরো একলা আকাশ। তুমি আমার উদাস মনের ভীরু কলতান। তুমি আমার নাবলার কথার সব বলে ফেলার হাসি। তুমি আমার স্বপ্নে বাঁচা মনের ঘরের আশা। তুমি আমার এক টুকরো জীবনের হাতছানি। তোমায় নিয়ে তাইতো আমি আপন মনে বাঁচি।
জীবন বড়ো বেশি ছোট সুরমা খন্দকার। বেশ কটা দিন গেছে আলগোছে তুমি চাঁদ ও দেখতে না বৃষ্টির ঝুম ঝুম শব্দে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির অনুরাগও বুঝতে না। অমানিশা ঘোর রাত বেড়ে যায় চুপিসারে। আমার তোমাকে মনে পড়ে বারে বারে। শেকলের বেলাজালে তোমার সংকুচিত হাত। ধরা ছোয়ার বাইরে তোমার ভিতর জুড়ে অদ্ভুত তফাৎ! ভীষণ অভিমান রাত জেগে নিশাচর হয়ে। অদ্ভুতুড়ে আবছা মনে পথ গুনে রই পথ পানে। ভুলাও আসন করে বসে সংগোপনে সেযে অবলীলায় বেঁচে রয় নিজ গুনে। যেন বহুদূর থেকে শোনা মিষ্টি আহবান, যেন বইয়ের পাতার ভাজে আবছা স্মৃতি গোলপের যেন ম্লান পাপড়ি। তবু কিছু থেকে যায় না থাকার আধিক জুড়ে।…
আলোর মিছিল খান জান্নাতুল ফেরদৌস আলাপী (অপরাজিতা) পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় একদিন মৃত্যু এসে নিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে সেই অনন্ত জীবনে,আমার মাটির ঘরে আর আমার ঠিকানাই।একথা যদি প্রতিটা মানুষ ভাবত এখানে কোন মানুষই আর অপরাধি হতো না শয়তানও ধোকা দিতে পারত না, অথচ মানুষ যে কত বড় অপরাধী তাদের অপরাধ হিসাব করলে শয়তানও হার মেনে যায়।একজন কে আমি চিনি, তার কাজই হচ্ছে নারী পটানো, নারীদের সাথে ছলনা করা প্রেমের অভিনয় করে মিথ্যে ভালোবাসা দিয়ে তাকে জয় করা,তারপর তাকে ছেড়ে আবার নতুন নারী শিকার করা।আচ্ছা ভালোবাসাতে কি অভিনয় হয়? এর উত্তর আমি আজও পায়নি তবে যারা বেশ্যা বৃত্তি করে, তাদের…
দেশটা গরিব, খেলছে জরিপ সালেম সুলেরী কোথায় ঘোড়া কোথায় টাঙা, গরুর গাড়ি ডাকো, জ্বালানি তেল আকাশছৌঁয়া, দাম হেঁকেছে, হাঁকো। মোটর ছেড়ে সাইকেলে ভর– কমছে যাওয়া আসা, ‘পদ্মা সেতু’র যাত্রী কমায় হতাশ কি প্রত্যাশা? রসুইঘরে রান্না কাবু, তেলের বোতল খালি, তরকারিতে স্বাদ বাড়ে না, রাঁধুনি খায় গালি। তেলের ওপর ভাসছিলো দেশ- ‘খেল-‘এর ওপর ভাসছে, ভয় লাগে ভাই– শ্রীলঙ্কা ক্যান দেশটা দেখে হাসছে! দেশের পুঁজি হতাশাতে, রপ্তানি ব্যয় ঢের, বিপ্লবী-বাঘ বাংলাদেশের ভয় কি জখমের? ভিন-মিডিয়ায় নতুন জরিপ, কি তার ফলাফল, সব নাগরিক ঐক্যে বাড়াও– দেশ-দেহটির বল। গরিব দেশের ওপর জরিপ, চলছে টানাটানি, বাংলাদেশের মানুষ জানে টানতে নিজের ঘানি। স্বরবৃত্ত # নিউইয়র্ক, আগস্ট…
সাঁঝের বাতি শারমিন আখতার মনি নষ্ট সময়ের কষ্টের প্রতীক্ষা না পাওয়া বেদনা প্রহর কাটে স্বপ্ন আসবে শেফালীর মালা হাতে উজাড় করে ভালোবাসবে বেলা-অবেলায় প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায় ক্লান্ত শেষ বার স্মৃতির দুয়ারে খুঁজে পাওয়ার আশায় জ্বালি সাঝেঁর বাতি
সাতরাঙা ভালবাসা জেবুন্নেছা সুইটি কষ্টেগাঁথা গাঢ় নীল আকাশটায়, একটুকরো মেঘ জমে থাকতো। বর্ষার মৌসুমে মেঘের আহবানে, পেঁজা তুলোর নিয়মিত আসা-যাওয়া। আকাশে যত কষ্টই থাকুক না কেনো, কখনো মেঘের উপর কষ্ট ঢালেনি। একসময় মেঘ রেগে গিয়ে নীলকে বললো, তুমি তো আচ্ছা বেকুব! তোমার কি কষ্ট নেই? হুম অনেক কষ্ট মেঘ। কিছু কষ্ট, রাগ-ক্ষোভ, ঘৃণা আমাকে দাও। নীল মৃদু হেসে বললো, কী লাভ বলো? মেঘ রেগে গিয়ে বজ্র’কে ডাকলো, বজ্র বললো জ্বি হুকুম স্যার? যাও নীলকে আঘাত করো। জ্বি হুকুম স্যার। যেই কথা সেই কাজ! নীল হেসে বললো, কি লাভ হলো? মেঘ দাঁত কেলিয়ে বললো, একটুও কষ্ট হয়নি? নীল বললো, না… তাকিয়ে…
মন্দ যদি বলে জায়েদা আনোয়ারী মিনু সবার কাছেই পারবে কি ভালো হতে? মন্দ হয়েও থাকবে যে কারো কাছে, এটাই ধ্রুব সত্যি। তাই মন্দ বলে কেউ যদি বলে বলুক, তোমার কাজের উলটো মানে খুঁজুক, পাত্তা তারেই দিওনা একরত্তি। যে করেনা কভু কারো ক্ষতি শুধু ভালোর বেসাতি গায়, তার তরেও কত মানুষ জন কাঁটা বেঁধায় পায়। তাই যার যা খুশি মন্দ বলুক শত করিস না মাথা কারো কাছেই নত। সব ভালো তো সার্বজনীন নয় একথাটি জেনো তাই সব কাজেতেই বলবে সবাই ভালো, বিশ্বাস তুমি করিও না কভু হেনো। জন্মেছি মোরা শ্রেষ্ঠ জনম লয়ে তাই করবো ভালো কাজ, মন্দ বলবে হয়ত পিছে কেউ…
কেউ কারো নয় আরজু আরা কেউ কারো তো নয় ঝুল বারান্দার আঁধার কোণে তাই তো হাসনাহেনায়; ফুঁটে থাকে, অন্যকারো জন্যে নয়। এটাই কি তার যশ চেতনার পরিকল্পিত প্রণয়? কেন, নাইবা হবে, দগ্ধ গন্ধে সর্প শীতল পংকিল কর্দমা ছেড়ে ঠাঁই নেয় তারই আশ্রয়। তার চিন্তন, এই মাতোয়ারা গন্ধ বিলাস তার জন্যই! সে চিন্তার ধারক আজকাল প্রতিহত করছে তোমার ধারনায়, গুমরে মুচরে হচ্ছি তোমারই প্রনয় পাবার আশায়। হয়ত, তেমনি বিষাক্ত সর্পের ন্যায় দু:সাহসিকতায়! তব হেরি , আমি তুচ্ছ নির্বিকায় জোর খাটাচ্ছি , তোমাকে সেই প্রত্যাশিত চাওয়ায়, জলান্জলি দিতে দিতে নি:স্ব করে দিচ্ছি! না পাওয়ার এ কোন অবান্চিত চাওয়ায়? আবারও একই বাক্যালাপে, “কেউ…
