সমাজ তুমি কি চাও সুরমা খন্দকার। দীপাবলি হলে প্রেমের স্বরলিপিতে দশ দিগন্ত নড়ে চড়ে তুমি হলে একখানা প্রেম কাব্য শত শত প্রাণে দিলে প্রেমের ঝকঝকে লাল তৃষ্ণা। মগজের নালি বেয়ে সুশীলের বেরোলো স্বচ্ছ পিপাসা পরষ্পরের দৃঢ় তীব্র আলিঙ্গনে নাড়িয়ে দিলে সমাজের হিংস্র নীতিমালা। তুমি প্রেমিক! রক্তের ভেতর লুকোনো ঠাণ্ডা কফিন, যতি বিহীন, অভদ্র, অপাঠ্য প্রেমের ঘটালে প্রস্থান। তুমি নেই, শূন্যতার স্তম্ভে স্তম্ভে আয় ফিরে আয় হয় হত্যা নয়তো আত্মহত্যা… যদি আত্মহত্যা হয় তবে মৃত্যুই শেষ সমাধান নয়। যদি হত্যা হয় তবে জনমন্ডলি মৌলিক ধ্বনিতে কাঁপিয়ে দেয়। সময়ান্তের দুর্ভাবনা আর নয়। এভাবে হত্যা আর নয়।। সমাজ তুমি কি চাও? মুখে মুখে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
আমরাই পারি দিল আরা বেগম সবুজেঘেরা ,ছায়া সুশীতল সুন্দর একটি গ্ৰাম । সেই গ্ৰামে এক প্রান্তে একটি বাড়ি ছিল, বাড়ির পাশেই ছিল একটি নদী । বর্ষাকাল , নদী একদম ভরপুর। নদীতে নৌকা চলে পাল তুলে।মাঝি গান গায় মনের আনন্দে । গোয়ালারা বিশাল নৌকায় বড় বড় বালতি ভর্তি দুধ নিয়ে যায় শহরে বিক্রির জন্য। মুখে ভরা হাসি নিয়ে জোরে জোরে শব্দ করে অনেক জন মিলে নৌকা বেয়ে রায় । নদীর এক ধারে জেলে মাছ ধরে । জাল থেকে মাছ উঠানো সে কি দৃশ্য ! মাছ গুলো যেন চিক চিক করছে। এ যেন প্রতি দিনের দৃশ্য। প্রতিদিনের এ দৃশ্য দেখে দেখে যেন …
একি শহরে বাস করি আমরা শারমিন আখতার মনি ১৮/০৬/২২ তবু্ও দেখা হয় না। আমি মাঝে মধ্যে দুর হতে দেখতে পাই আপনাকে। কিন্তু আপনি তা দেখেন না। আপনাকে কালো রঙের শার্ট ও বাদামী রঙের প্যান্টে মানিয়েছে বেশ। পথে যেতে যেতে আমি শুধু আপনাকেই খুঁজি। হুম বুঝতে পেরেছি শনিবার বিকেলেই ঠিক ঐখানেই বসে আপনি সিগারেট টানেন। সিগারেট আমার পছন্দ নয় কিন্তু আপনি আনমনা হয়ে এমন করে সিগারেট টানেন, আমার দেখতে ভালোই লাগে। অনেক দিন কাছ থেকে দেখা হয় না আপনাকে।
টানা ২ বছর কোভিড আক্রান্ত পৃথিবীর আর অন্যান্য সবাইর মত আন্তর্জালে ১৪তম এবং ১৫তম বইমেলা অনুষ্ঠিত করে ১৬তম টরন্টো বাংলা বইমেলা উন্মুক্তভাবে করার আনন্দে উদ্বেলিত কানাডা প্রবাসী বাঙালী মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ একটা সত্যকে আরেকবার প্রতিষ্ঠিত করেছে যে আমাদের সবার হৃদয়ে আমরা লালন করি বাংলাকে এবং বাংলাদেশকে! ৬ ও ৭ আগষ্ট (শনি ও রবিবার) টরন্টোর বাঙ্গালীপাড়ার বহুলভাবে ব্যবহৃত ভেন্যু ৯ ডজ রোডে অবস্থিত লিজিয়ন হল এর মেইন ফ্লোরের মঞ্চে খুব সাধারণভাবে কিন্তু একান্ত শৈল্পিক একটি ব্যানার ১৬তম টরন্টো বাংলা বইমেলার অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছিলো আর অনুষ্ঠানে আসা সব মানুষ ছবিতে ধারণ করতে থাকে বইমেলার স্মৃতিকে! এবারের বইমেলার উদ্বোধনে সবার প্রিয় কবি আসাদ…
উপনিবেশ মুক্তির লড়াই ও সেই আজাদি কথা জগলুল হায়দার ভারতবর্ষে ইংরেজ উপনিবেশিক শাসনে বাংলা ও বাঙালির একটা গ্লানি ছিল বৈকি। ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রহসনমূলক যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মাধ্যমেই মূলত ভারতবর্ষে ব্রিটিশ রুলের পথ সূচীত হয়। ফলে বাঙালির মনে এই গ্লানি মোচনের দায় ছিল। জগত শেঠ, মীর জাফর, রাজ বল্লভ, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ সূচীত সেই গ্লানি মুছতেই বুধোয় (বোধয়) আজাদির আদি সংগ্রাম-পর্বে ফকির মজনু শাহ’র নেতৃত্বে প্রথমত ফকির ও আলেম আর পরে ফকির-সন্যাসিদের যুগপৎ বিদ্রোহ, হাজি শরিয়ত উল্লাহ-তিতুমীরদের ফরায়েজী ও নীলকর বিরোধী বিদ্রোহের মাধ্যমে বাংলার মানুষ তার প্রায়শ্চিত্ত শুরু করছিল। অবশ্য এই সমসাময়িক কালে হিন্দুস্তানেও মুসলিম আলেমরা, খাস কইরা শাহ…
কবি-লেখক হিসেবে নারী কেন বেশি দূর যেতে পারে না যিনি কবিতা লেখেন– তিনি কবি। এই পরিচয়ের ক্ষেত্রে কোনও লিংগভেদ নেই। যদিও বেশ আগে ব্যাকরন বইতে পুংলিংগে কবি, আর বিপরীতে স্ত্রী লিঙ্গে মহিলা কবি শব্দটি মুদ্রিত ছিলো। আমাদের ক্লাস টিচার কিন্তু আমাদেরকে সেই সময়েই ধরিয়ে দিয়েছিলেন কবি ‘কবি”ই।‘ মহিলা কবি ‘বলতে কিছু নেই। প্রারম্ভিক এই কথা গুলোর তাৎপর্য বা অবতারনার উদ্দেশ্য, উপস্থাপন ব্যাখ্যা এই দুটি বিষয়ে পরে আসছি। আগে কবির স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে দু’চারটি কথা বলি। কীভাবে কবি কবিতা লেখেন? কি ভাবনায় ভাবিত হন কবি? কি তাঁর মনোভুবনের রুপ? কার্ল গুস্তভ ইয়ং বলছেন– ‘সৃষ্টির উপকরণ আসে অবচেতনের অতল থেকে। সচেতন স্তরের…
দিবা অধরা আলো দিবাকরের আলো হয়ে আঁধার টাকে দিব সরিয়ে রোজ প্রভাতে। অহ তোমায় রঙ ছড়াবো প্রকৃতির এই হরিৎের রঙ বাহারে। সাগর জলে ডুববো রোজ প্রেম কুঁড়াবো ঝিনুক মাঝে মুক্ত হয়ে, অথৈজলে কাটবো সাঁতার অষ্টপ্রহর তোমায় আলো দিয়ে প্রণয়ডোরে। এই জন্মে মিথ্যা জানি পরের জন্মে তোমার হব, বসন্তেরি পরাগ হয়ে অনুরাগে জড়িয়ে রবো। সুবাস হয়ে মাতাল হাওয়ায় ছুঁয়ে দিব অধর খানি। শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে দেহ মাঝে লেপটে রবো । রাত মোহিনীর জোছনা হয়ে জোনাকির মিটি মিটি আলোয় তোমায় রাঙিয়ে নিব। আঁধার তখন মুখ লুকাবে চুপিসারে অভিমানে। শুকতারারও হিংসে হবে তোমার আমার অভিসারে। বিদ্রঃ- আলো দিয়েই দিবস হয়, দিবস তাই জড়িয়ে…
ক্ষমা উদার চিত্তে ক্ষমে যেই জন ছড়ায় তাহার গুনের জ্যোতি, চাহিলে ক্ষমা করে দেয় মার্জনা দয়ার বলে জগত পতি। তবে কেন রাগ পোষ মনে পাল্টে ফেল তোমার রীতি, সকলই রবে ভবে গ্রাসিলে মরন কৃতকর্ম হবে তোমার সাথি। এতেই মোর সুখ আমি হতে পারিনি ভবে তেমন কারোর প্রিয়জন, তবে অনেকেরই আবার হয়েছি আমি প্রগাঢ় প্রয়োজন। পাওয়া না পাওয়ার বেদনায় কাঁদে না বুক, বিলাই নিজেকে অন্যের তরে এতেই মোর সুখ। এটাও নহে কোন অংশে কম পাওয়া বটে? জন্মে নর রূপে মধুময় এই ধরনীর তটে। মরনে যদিও কাঁদিবেনা কেহ স্মৃতির পটে। ফরিয়াদ সনেট কবিতা অমবস্যার আঁধারে ঘেরা গতি পথে জরাজীর্ণ জীবনের…
ফেইক সুরমা খন্দকার। জীর্ণ শীর্ণ বিকেল কি জমকালো হয়। কথার বিশ্বস্ত সাধুতায় চরম সরলতা উপস্থাপন তীব্র প্রেমের উপাখ্যান পুজোর থালার মতোন গোছানো বুকের ভিতর বেনামি ঢেউয়ের তোলপাড়। নাম পরিচয়হীন বলে তা হয়ে গেলো ফেইক! রাতের পর রাত। ভুলে গিয়ে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ জীবন কে মনে হয় অযাচিত ক্ষণ। পৃথিবীকে চোরাবালির মতো আঁকড়ে ধরে আমি লিখতে চেয়েছিলাম ভালোবাসার নাম। বিচ্ছিরি বিকেলে বুঝে নিলাম তুমি শঠতার উর্ধে শুধুই দাতা। আমার একলা চলা অপেক্ষমান ভরা ছিল কেবল ছল আর শঠতা। যে আবেগ অনুভূতি লুকিয়ে রেখেছিলাম গহীনে তোমার বেনামি বেওয়ারিশ আবেগগুলো, আমায় বদ্ধ বাতাসে উড়িয়েছিল। ভাষার অসীমতা বার বার আমায় ভুলিয়েছে আমি অযোগ্য। আমি…
জলরঙের কালচার তসলিমা হাসান কবিকে কখনও বিশ্বাস কোরো না বিশ্বাস কোরো না কবির হাসি কিংবা দুঃখকে। সবটাই নিয়মভাঙা জলরঙের কালচার। কবিকে কেবল ক্ষয়ে যেতে দাও অবিশ্বাসী পৃথিবী কবির জন্য নয় কবি কেবলই এক দ্বিখন্ডিত ‘বিভ্রম’! অথবা তৃষ্ণার্তর চোখে দেখা অপরাহ্ণের মরীচিকা। কবিকে কখনও বিশ্বাস কোরো না বিশ্বাস কোরো না কবির যুক্তি কিংবা সন্ধিকে। কবিকে কেবল মরে যেতে দাও ছদ্মবেশী পৃথিবী কবির জন্য নয় কবি কেবলই এক অনাদিকালের ‘অপভ্রংশ’! অথবা শিলালিপির বুকের শুকনো জমাট ক্ষত। কবিকে কখনও বিশ্বাস কোরো না বিশ্বাস কোরো না কবির হাসি কিংবা দুঃখকে। কবিকে কেবল জন্ম নিতে দাও অপবিত্র পৃথিবী কবির জন্য নয় কবি কেবলই এক অমীমাংসিত…
