“সাধারণ তুমিটাই আমার অসাধারণত্বের ভাণ্ডার” তসলিমা হাসান অসাধারণ কেউ নয় খুব সাধারণই হইও তুমি এমন একজনকেই চাই জীবনে যার পুরো পৃথিবীটাই হবো আমি। টাকা-পয়সা রূপ-যৌবন নয় চাই সুন্দর একটা মন যে মানুষটা আগলে রাখবে আমায় সারাটি ক্ষণ। ভালোবেসে যেমন আগলে রাখবে ভুল করলে তেমন শুধরে দিবে ছেড়ে যাওয়ার বাহানা না খুঁজে আমার ভালো-মন্দ সবটাকে নিজের করে নিবে। সাধারণ তুমিটাই যে আমার অসাধারণত্বের ভাণ্ডার আমি যে তোমাতেই পরিতৃপ্ত হতে চাই তুমিই যে এই জীবনের কান্ডার। “সাধারণ তুমিটাই আমার অসাধারণত্বের ভাণ্ডার” কানাডা,০২-০৯-২০২২
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
মেঘের ডানায় ওড়ানো আবেগ মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান কবেকার কোন ভাদ্রের এমন রৌদ্রদহন দীঘল দিনে সুখের বদলে কিনেছিলাম বকের মতো সাদা সাদা মেঘ উড়ন্ত মেঘের ডানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিলাম অন্তরের অসীম আবেগ। আবেগগুলো আকাশময় ঘুরে ঘুরে ওড়ে প্রগাঢ় নীলের প্রস্থে লীন হয়, দিন হয়, রাত্রি হয় রাত্রির রূপালী বুকে জোছনার কোমল কাঁচুলি হয় কখনো কখনো বৃষ্টির নূপুর হয়। ছন্দে ও আনন্দে – পাহাড়ের চূড়া ছোঁয়, পুষ্পের – বৃক্ষের প্রজাপতি বুক ছোঁয় তারপর খুঁজে পায় মাটির বুকের শীতল আশ্রয় কেন জানি আজো পারেনি তোমাকে ছুঁতে অনিন্দিতা। তুমি কোথায় লুকিয়ে আছো অনিন্দিতা? চুকিয়ে দাও ভাদ্রের দিনে পোয়াতি ভদ্রার জলস্পর্শে করতলে চিরকাল মিশে থাকবার অলিখিত…
কুহকিনী সামিয়া আফরিন (অর্পা) এইখানে একটা ঘর ছিল, সমান্তরাল জমিতে মাটির কুড়েঘর। সেই ঘর ভর্তি কিছু স্বপ্ন ছিল সাথে অনুভব করা ভালোলাগার খুচরো স্মৃতি। ছিল ঘরের কোণে মারগলা ভাতের বুদবুদ সিকে তোলা দধির ধবধবে সাদা মাখন কলসি ভর্তি কুয়ার জমা আয়না জল। ছিল উঠান জুড়ে কবুতরের ডানা ঝাপটানো বাতাস মোরগ সমেত হাঁস- মুরগীর যুক্তিবিদ্যার লড়াই। ছিল বিলের জলে টলতে থাকা পদ্ম ফুলের গল্প বাতাসে ভেসে আসা রাখালের বাঁশির সুর আর ক্ষেত থেকে আসা পাকা ধানের মৌ মৌ সুবাস। এইখানেই একটা ঘর ছিল, ছিল ঘরের কোণে জ্বলতে থাকা সন্ধ্যা কুপি উত্তরের জানালার ফাকে জোনাক পোকার আলো ছাতিম গাছের ডালে বসা লক্ষ্মীপেঁচার…
শিহরিত ক্ষণ সালমা আক্তার মুন, কি? ভাবছো হাত বাড়াবে না? মন ছুঁতে হাত মেলে ধরতে হয় কে বলেছে? মন ছুঁতে কোন এক শিহরিত ক্ষণ যথেষ্ট, তরুণ আপ্লুত ক্ষণ নীল জ্যোৎস্নার মতই, অতি সহজে মনের আঙিনায় গলে গলে পড়ে, চুপসে নেয় ভালোলাগা, ছুঁয়ে থাকে, যুগ যুগ ধরে! কী? ভাবছো বড্ড ব্যস্ত তুমি? দেখার গন্ধ যখন নেশার মতন টানে, তখনও কি বলবে প্রেমের চেয়ে বড় নেশা ধরনীতে দ্বিতীয়টা আছে? নেশার টানে হৃদয় ভুলেই যায় ব্যস্ততা, হ্যাঁ, এবার শোন সত্য, তুমি ভালোই বাসো না, মোহের কাছে হেরেছো, তাই তো প্রেমের নেশা বোঝ না, অতৃপ্ত হৃদয়টা কি চায় তাই খোঁজ না, এরচেয়ে বড় অভাগা…
“আমার মা” অনুপ্রভা বড়ুয়া লীনা আমি যত দূরেই যাই চলে, আমি বুঝব না কিছুই, তবু, তুমি তোমার নাড়ির টান তো পাবে টের। সে যন্ত্রনাতে ছটফটিয়ে মরলেও তুমি বুঝতে দেবে না! জানি, অভিশাপও বেরবে না ঠোঁট থেকে… কত বেলা লুকিয়ে লুকিয়ে ছিল মেঘের আড়ালে, না সেজে-সেজেই তোমার সাদা হয়ে এল চুল… তোমায় এখন কব্জা করেছে ব্যাধি, প্রতারনা করে দৃষ্টি… তবু তোমার হিসেবে – আমার বয়স বাড়েনি এতটুকু! কত জ্বরের জলপট্টির হিসেব কি আমার মনে আছে? পরীক্ষার ঘুমহীন রাতের পর মুখে খাবার যোগানো সকাল… নিজের সুখের বদলে আমার নতুন জামা, বা প্রতিদিন জোরজবস্তি আর একটু বেশি ভাত! এসবের হিসেব লিখে রাখিনি আমি,…
ক্ষমা আমি চাই মোঃ আলমগীর হোসেন মানুষ হইয়া অমানুষ হইলে কেনো তুমি নিজে সম্পদ ঘরে নিলে অন্যের সম্পদ কাড়ি। ধনে মানে গুণে ভাবছো বড় হইছো তুমি তোমার সম্পদ লোটে পুটে খাবে অন্যে যানি। যে কাজ করছো তুমি স্মৃতি হবে ভাই মরে গেলে খালি হাতে একা যাবে তাই। গরিব লোকের সম্পদ নিলে চালাকি করে কি জবাব দিবে তুমি দয়ালের কাছে গিয়ে। অসৎ পথে কামাই করে সম্পদ করা যায় সেই সম্পদে মান সম্মান সব নিয়া যায় এপারে সেপারে তোমার চলা হবে দায়। জ্ঞনের বিচার শক্তির বিচার করবেন মালিক সাঁই। ভয় করে কি জবাব দেবো দয়ালের ঠাঁই আমি যে মহা পাপি খুঁজে তাহা…
আমার মা মাগো তুমি আমার স্বর্গ আমার মর্ত, এ জীবন তোমারি দান। দশ মাস দশ দিন কষ্ট ভোগে, দেখিয়েছো পৃথিবীর আলো, মৃত্যু ভয় করেছো জয়, আত্মতৃপ্তি আর হৃদয় ভরা স্বর্গীয় আনন্দ, মুখে অমৃত হাসি নিয়ে জন্ম দিলে। কতো রাত জেগেছ বুকে জড়িয়ে! গল্প বলে ঘুম পাড়িয়েছো,শুনিয়েছো কতো গান, যতো বায়না সবি পূরণে চেষ্টা ছিলো আপ্রাণ, নিজে আধা পেটে থেকে খাইয়েছো মোরে, ঘাম ঝরা রক্তে শিক্ষার আলো জ্বেলেছো, চলার পথ করেছ সুগম, দেখিয়েছো স্বপ্ন। ছেঁড়া কাপড় জড়িয়ে অঙ্গে, দিয়েছো নতুন কাপড়। খালি পায়ে হেঁটেছো মাগো, দিয়েছো জুতা আমার পায়ে। মনকে পাথর করে হেসেছ, খেলেছো আমার সাথে, জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছো আমায়…
রক্তিম হাসি সালমা আক্তার শূন্যতার মত এতো নিকটে কেউ কি যেতে পারে? শত ব্যস্ততার, শত কোলাহলেও একলা করে নিয়ে নিতে পারে শূন্যতা, প্রেম যখন উত্তাল বিরহের ঝড় তোলে, তখনই শূন্যতার দু হাত জড়িয়ে রাখে, ভেতর বাহিরমূল, মূখ হাসে, চোখে হাসে না, চোখের হাসির সাথে চমকের লেনা-দেনা, শূন্যতা কাছে আসতেই চমক বিদায় নেয়, রাত্রির সূর্য দেখার ইচ্ছের মত বিফল প্রচেষ্টা, রাত্রি আসতেই সূর্যটা রক্তিম হাসিতে বিদায় নেয়! আমার সূর্য দেখার ইচ্ছেটাও অভিমানে দৃষ্টির বৃষ্টিতে ভিজে, বেঁধে রাখে মমতায় কিযে!
কবর আয়েশা সিদ্দিকা কনক, মায়াবী রাতে আকাশের তারা গুনি, তোমার কথা মনে করে তোমার মুখটা আমার ঠিক মনে পড়ে না, মাঝে মাঝে তোমার গন্ধ খুঁজে পাই, তোমার ফেলে যাওয়া কাপড়ে, স্নেহের ছোঁয়া লুকানো শাড়ির আঁচলে তোমার আমার সম্পর্কের মালা গাঁথা জন্ম লগ্ন থেকে , মালার গিট্ শক্ত করতে গিয়ে, তুমি হয়েছিলে ক্ষত বিক্ষত। না জানি শত কষ্টের মাঝেও, কত স্বপ্ন দেখেছিলে আমায় নিয়ে আমাকে তো পাওয়া হলো, সেই সাথে স্বপ্ন হলো চুরমার আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে, তোমার ঠিকানা আজ অন্ধকার ঘর মাটির চার দেয়ালের মাঝে তুমি আছো ঘুমিয়ে, যার নাম কবর ! আয়েশা সিদ্দিকা কনক স্থান: টরন্টো, কানাডা
ভালবাসা পিংকি দে, আমার উদীপ্ত উচ্ছ্বাসে উপচে পড়ে তোমার বিরামহীন ভালবাসা, হৃদয়ের সেই সুউচ্চ আলপথে তুমি হেঁটে চলো অবিরাম। আমার গভীর উন্মত্ত তৃষ্ণায় তোমার সুপেয় বারিধারা আনে অনন্ত প্রশান্তি। বিস্তৃত ধানক্ষেতের শরীর জুড়ে তোমার- আমার ভালবাসা, স্বপ্নের রঙ ছেয়ে গেছে সবুজ ধানের কোমল ডগায়। ধানের সোনালি বর্ণে-গন্ধে-রূপে আমাদের সংসার। আবার কখনো অভিমান অপরাহ্ণের ছায়া মেখে করে সায়াহ্নের প্রতীক্ষা। সায়াহ্নের আভায় চড়ে অভিমান গোধূলি ক্ষণে সন্ধ্যার নিমগ্নতায় মগ্ন। অভিমানের ক্লান্তি বিলীন হয়, সন্ধ্যার ঐ সপ্তর্ষিমণ্ডলে। তারা আর চাঁদের মিষ্টি নরম আলোয় ভালবাসা নবরূপে দীপ জ্বালায়।।
