একজন আরাধ্যার জন্ম রেশমা আক্তার পর্ব-৪ বাচ্চার মুখ দেখে নার্সেরও বুঝি দয়া হলো। পৌষের শীত। তাই মানবিক কারণেই পাগলীর এইবার জায়গা হলো হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে। রাহেলা তাতেই খুশি। রাহেলা সব ঠিকঠাক করে দিয়ে ঘুমন্ত পাগলীর বুকের কাছে বাচ্চাটা জড়ো করে রেখে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এলো। ফজরের আজান পড়েছে। লোকজনও বের হয়েছে রাস্তায়। রাহেলা বাসায় এসে গোসল সেরে, রান্না খাওয়া করে কাজে যাবার প্রস্তুতি নেয়। ছেলে দুটো স্কুলে চলে গেলে সেও কাজে বের হয়। সারাদিন কাজের ফাঁকে বারবার বাচ্চাটার কথাই মনে পড়লো তার। পাগলীটা বাচ্চাকে খাওয়াবে তো? কোলে নিবে তো? ফেলে রেখে চলে যাবে নাতো? হাসপাতালে কত লোকজন, নিশ্চই মানুষের…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
মিতালী শাহ নাজমুল হুদা সৃষ্টির অপরূপতা মিলে মিশে একাকার, সাদা- কালো মেঘের আনমনা ছোঁয়াছুঁয়ি, ঘাসের গায়ে লেপ্টে থাকা শিশির বিন্দু, মাছরাঙ্গার হৃদয়হারী বরণ এর পাশে বিভীষিকাময় আবহ নিয়ে কটমট চোখে বসে থাকা নিরীহ পেঁচক, কোথায় যেন মিলের সঙ্গীত বেজে ওঠে। তোমার উচ্ছ্বাস, উচ্ছ্বল সুগঠিত তনু আর ঝাকানাকা বেশবাস। লালাভ আবরণ জুড়ে ভোরের স্নিগ্ধতা, কি রাজযোটক মিল। আকাশ স্তব্ধ হয়, পাহাড়ী সবুজ বিবমিষায় হারিয়ে ফেলে খেই, তার সর্বাঙ্গে মিতালী পাতানো ঢেউ।
স্মৃতি-বিস্মৃতির জোছনায় রোকেয়া ইসলাম মায়াবী কোমল স্নিগ্ধ রুপালি আলোতে ভরপুর এক উপগ্রহের নাম চাঁদ। সূর্যের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে আলো নিয়ে যখন তার মোহনীয় রুপ নিয়ে হাজির হয় পৃথিবী গ্রহের মানুষেররা তার রুপে বিমুগ্ধ হয়ে যায়। আরজুও তার ব্যাতিক্রম নয়। আরজুর ভেতর উথলে ওঠে চাঁদের সজীব ভালবাসা। মায়ের মৃত্যুর পর চাঁদ ওর কাছে মা, মুক্তিযুদ্ধের সময় একদিন সফল অপরেশন শেষে দল নিয়ে ফিরছিলো। ঘাড়ে আরিফের শরীর। পুকুরের পাশে আরিফকে শুইয়ে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত আরজু জলের কাছে যায়। অবরুদ্ধ কান্নাকে বুকের গভীরে চাপা দিয়ে আঁজলা ভরে জল পান করে। আরজু বুঝতে পারে আঁজলায় টুপটাপ করে চোখের জল মিশে যাচ্ছে। বিপ্লবীর চোখে জল…
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দিল আরা বেগম অভ্যাস গঠন, শৃংখলা শিখন ,সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির, প্রাথমিক বিকাশ, নান্দনিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, কৌতুহলের বিকাশ, শারীরিক বিকাশ সহ শিশু কে আনন্দময় পরিবেশে লেখা পড়ার প্রতি আগ্রহী করা, এ সকল বিষয়কে সমন্বিত করেই প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি তৈরি হয়েছে। জন্মের পর থেকে শিশু পরিবারের মধ্যে প্রথম শিক্ষা পায়। পরিবার থেকেই শিশু তার আচরণ, চালচলন, কথা বার্তা শেখে। কিন্তু বর্তমানে সমাজ ও বিশ্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী শিশুকে শিক্ষালয় কেন্দ্রিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা গ্ৰহনে অভ্যস্থ করা হয়। এ জন্য সকল শিখন শিক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে, আনন্দময় পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে, যে ধরনের আয়োজন করে শিক্ষা দেওয়া হয়, তাকে বলা হয় প্রাক-প্রাথমিক…
নেপালকে ৩–১ গোলে হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জিতল বাংলাদেশের মেয়েরা। এমন দিনে, স্মরণীয় জয়ে শামসুন্নাহার করেছেন প্রথম গোল। পরের দুটি কৃষ্ণা রানী সরকারের। ২–০ হওয়ার পর নেপালের গোলটি করেন অনিতা বাসনেত। দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা হিমালয়ের দেশে সমুদ্র কোথায়? চারদিকে তো পাহাড়েই ঘেরা। কিন্তু কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার দর্শক যখন একসঙ্গে চিৎকার করে উঠছিলেন ‘নেপাল’, ‘নেপাল’ বলে, মনে হচ্ছিল যেন সাগরের গর্জন। গ্যালারিতে ছিল মেক্সিকান ওয়েভ। ভুভুজেলা আর বাদ্যি বাজনার উন্মাদনায় যেন আকাশ ছুঁতে চাইলেন নেপালি দর্শকেরা। নেপালের পতাকা হাতে, ‘নেপাল’ লেখা টি-শার্ট পরে অনেকে ছবি তুললেন গ্যালারিতে। সবার…
না বলা কথা মোসা: উম্মে জহুরা তারিখ : ১৯/০৯/২০২২ তুমি আমাকে দেখেছো বাহিরটা, ভেতরটা নয়। তুমি কি জানো প্রিয় আমার হৃদয়ের না বলা কথা। জানো না, তুমি কিছুই জানতে চাও না! শুধু না-বলা কথাগুলো রয়ে যায় অন্তরের গহীনে। বলতে চাই, কিন্তু থেমে যাই… কেন জানো…? যে কথা আবার তোমাকে পুনরায় করতে চাই না ওপাশ ফিরে নীরবে চোখের জল মুছে দিলাম। তুমি তা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারোনি। তোমায় তা বুঝতেও দিইনি। এই ভেবে “আমার না বলা কথা” তুমি শুনতে চাইবে বলে?
অভিযোগ নয় শাহনাজ শারমিন অভিযোগ ছিলো আমার প্রতি কিন্তু ভেবে কি দেখেছ কখনো আমারও কিছু বলার ছিলো। ভালোবাসার দায়টা না হয় আমার ছিলো তাতে তো তুমিও দিয়েছিলে সম্মতি। পালিয়ে গেছো, নাকি ধোঁকা দিয়ে আজ আর প্রশ্ন করবো না। ঐ যে বললাম, ভালোবাসার দায়টা আমার। তবে কি জান, নিঃস্ব হয়ে কাউকে ভালোবাসতে হয় না। তাহলে যে, নিজের অস্তিত্বের মৃত্যু ঘটে। আমাকে ভাবতে হবে না তোমার, তবে, ভাবনাগুলো আমার হৃদয়ের রক্তকণিকায়, মিশে গেছে একাকার হয়ে। ঐ যে বলেছি, তোমাকে ভালোবাসাটা ছিলো শুধুই আমার দায়। তোমার স্মৃতির পাতায় হয়তো, ধূলো জমে গেছে। আর তোমার স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে এখনো আমি কাঁদি। কি বোকা আমি,…
“ব্যুৎপত্তির আগমন” জেবুন্নেছা সুইটি গ্রীষ্মের তপ্ততা মিটিয়ে ব্যুৎপত্তি আগমনে এই মন লঘু। আষাঢ়-শ্রাবণ মিলে আমরা দু’জন। নদী-নালা, খাল-বিল পানিতে থৈ থৈ জলে রূপান্তর। কালবৈশাখীর গুরুগর্জনে প্রাণ চঞ্চল তুমি-আমি। নিজেরই পিপাসিত ঠোঁটে বিচিত্র প্রকাশে যৌন তৃপ্তির নেশায় বৈচিত্র্যময় ইন্দ্রজাল। পল্লীর মাঠ-ঘাট, জলে ভরপুর, নদীর দু’কুল ঘেঁষে ছলাৎ ছলাৎ। কাশ ফুলের আগমনে কদম-কেয়ার বনে, বাবুই পাখিরা বুনেছে ঘর উঁচু তালগাছটায়। দুলছে ঘর, বৈশাখী ঝড়ে, বাবুই পাখিরাও দুলছে ডরে। কত আষাঢ় এল গেলো! বর্যাকে ছুঁয়েছিলাম কিন্ত ছুঁইনি কদম ফুল। দু’চোখ ভিজেছে নোনা জলে বৃষ্টি ভেজায় দু’কূল! তুমি বলেছিলে একদিন, কদম ফুলের রেণুতে পূর্ণ সুভাষ মাখা, ছোঁওনা তাকে, পাবে সে বুকে ব্যথা। যদি পারো…
সভ্যতার গায়ে আঁচড় নাসরীণ রীণা আদিম বসনে স্বাধীনতা খুঁজছো সভ্যতার গায়ে দিয়েছ আঁচড় আধুনিকতা নিয়ে রীতিমত মস্করা আব্রুকে দিলে কষে এক চড়। বসনের স্বাধীনতা একান্তই নিজের তাতে কোনও ক্ষতি নাই সম্ভ্রম যদি খোয়া যায় তোমার তার স্বাধীনতা পাবে কোথাই? দালাল বাজার, লক্ষ্মীপুর।
এলোমেলো শব্দজট নিলুফার জেসমীন রুমা জীবনকে সহজ করে দেখতে গেলে ক্রমশ আরও জটিল হয়ে উঠে, জীবনের সহজ কিংবা জটিল হওয়ার নিজস্ব কোনো ক্ষমতা আছে কিনা জানি না। নাকি চারপাশের অনুঘটক গুলোই জীবনকে জটিল করে তোলে? অবরুদ্ধ মস্তিকের নিউরনে বিচরণ করে নানা রকম প্রশ্নের ঝড়! প্রতিদিনের ক্ষুধা তৃষ্ণা ভয় আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে চোখের পাতায় ক্লান্তি নেমে আসে… মৃত্যু কি মুক্তির পথ? নাকি হিসাবের কাঠগড়ায় দাঁড়াবার পূর্ব প্রস্তুতি? হাজারো লেখার ভীড়ে এলোমেলো শব্দজটে হাহাকার আর বিতৃষ্ণা ছাড়া কোথাও কোনো সঠিক উওর খুঁজে পেলাম ন।
