রম্য রচনাঃ রবীন্দ্রনাথের চিঠি, আজকের মোবাইল ফোন ও আমাদের কথন! আমি আপনি যতই চিঠি, প্রেমপত্র লিখি না কেন তার দৌড় বড়জোর প্রিয়জন বা প্রেমিকার কাছে। চিঠি বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের নিম্নোক্ত বক্তব্যটি প্রনিধান যোগ্য বিশেষ করে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে। তিনি বলেছেন, “তাঁর চিঠি হল ভিড়ের আড়ালে অন্তরঙ্গ মানুষের সঙ্গে আলাপ প্রতিলাপ তা সর্বসাধারণের সাহিত্য দরবারে উপস্থাপিত করবার নয়”। তিনি এখানে গোপনীয়তার ঘেরটোপের কথা বুঝাতে চেয়েছেন। এখনকার সময়ে পত্র লিখার রেওয়াজ যেন বিদায় নিয়ে প্রায় হারাতে বসেছে। এখন প্রেমিক-প্রেমিকা কানে কানে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা চালাচালি করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে! এই অভ্যাস আমাদের সমাজে বেশী করে দানা বাঁধতে পেরেছে গভীর রাতে রাতজাগা প্রেমিক প্রেমিকার…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ সবুজ ইসলাম’র গল্পগ্রন্থ: শ্রেষ্ঠ চরিত্র: বইয়ের নাম: শ্রেষ্ঠ চরিত্র বইয়ের ধরন: গল্পগ্রন্থ লেখক: সবুজ ইসলাম প্রকাশনী: প্রতিবিম্ব প্রকাশ। সম্পাদনায়: আবুল খায়ের। প্রচ্ছদ: আল নোমান ISBN No: 978-984-96667-8-3 প্রতিবিম্ব প্রকাশ (সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা) অফিস: বাড়ি:০১ (চতুর্থ তলা), সড়ক: ১৪/বি, সেক্টর: ০৪, উত্তরা, ঢাকা ফোন: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯ ইমেইল: khair.hrm@gmail.com ওয়েব: https://protibimboprokash.com/ পেজ: https://www.facebook.com/protibimboprokash
এস এ কে রেজাউল করিম “মাদার তেরেসা স্বর্ণপদকে” ভূষিত: সম্প্রতি (কলকাতা): কলকাতা (ভারত) এর প্রায় শতবর্ষের পুরানো অখন্ড বাংলার বাংলা সাহিত্যের সংগঠন বর্তমানের মহাবঙ্গ সাহিত্য ট্রাষ্ট কর্তৃক রবীন্দ্র সদন (বাংলা অ্যাকাদেমি) চত্বরের বিখ্যাত অবীন্দ্রনাথ সভাকক্ষে আয়োজিত একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য কবি জনাব এস এ কে রেজাউল করিমকে সাহিত্য জগতে বিশেষ অবদানের জন্য “মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক” প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় শ্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যয় (কবি ও কৃষিমন্ত্রী পশ্চিম বঙ্গ সরকার ভারত), শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক সৌগত রায়, শ্রদ্ধেয় শ্রীকুমার বন্দোপাধ্যয় (কবি ও প্রতিষ্ঠিত চার্টার্ড এ্যাকাউন্টেন্ট), শ্রদ্ধেয় রাকেশ চন্দ্র শুক্লা (ইস্টার্ন জোনাল ডিরেক্টর কলকাতা নারকোটিক ডিপার্টমেন্ট) প্রমুখ।…
রঙিন পাতার বিদায় সম্ভাষণ–আমার যাবার সময় হলো যাই রে মানুষ… লুৎফর রহমান রিটন, কয়েক সপ্তাহ কানাডায় ছিলাম না। ফিরে এসে দেখি এরই মধ্যে আমার সবচে প্রিয় ঋতু ফল-এ সবুজ পাতাগুলো ঝলমলে রঙিন হয়ে ঝরে পড়ার জন্যে অস্থির হয়ে পড়েছে। অটোয়ায় রাতে এসেছি বলে রঙিন পাতাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। এসেই শুনলাম সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে থেমে থেমে। আমি জানি এই সময়টায় বৃষ্টি হওয়া আর প্রবল বেগে বাতাস বওয়া মানে–রঙিন পাতাদের বিদায় জানাতে প্রকৃতি ব্যাকুল। মিলিয়ন-বিলিয়ন বৃক্ষের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন সবুজ পাতার দেশ কানাডা। সহস্রকোটি বৃক্ষের–বার্চ, ওক, পাইন, ম্যাপল এবং অন্যান্য গাছের বিস্তীর্ণ এক অভয়ারণ্য যেনো বা দেশটি। পুরো কানাডা জুড়ে সমতল কিংবা…
দুর্ভিক্ষ শাহনাজ পারভীন, গতবছর পৌষের হিমকুয়াশা দুপুরে তরুণ রোদ্দুরের ঠোঁটে মায়াবী এক ঝলক হাসি দেখেই আমি ছন্নছাড়া আবেগে রোদ্দুরের প্রেমে পড়েছিলাম বিশ্বাসের ঝড় সাথে কথার মিছিল, আর-প্রেমের উন্নয়নে বেহিসেবি সোহাগ! কলমের সহমর্মিতায় প্রেমপদ্ম লিখে লিখে ভরে গেছে কবিতার খাতা। কিন্তু কাঁটাছেড়া কবিতার কাছে রয়ে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছুঋণ! বহু আগে একবার ঋণ শোধ করে দিতে চেয়েছিলাম-পারিনি! সূর্যডোবা এক সন্ধ্যায় শালবন ধরে হেঁটে যেতে যেতে গন্তব্যের মাঝপথে ভন্ড প্রেমিকের মতো রুক্ষমূর্তিধারণ করে আমার পথরোধ করে চটুল বাতাস, গলায় কুসুমগন্ধি ফুলের মালা দেখে বখাটের মতো লোলুপ রসনায় শিস বাঁজায় ধ্রুবক; আমি সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে অহেতুক বাক্যালাপে না জড়িয়ে বিকেলের হাত ধরে চলে আসি…
আমার কলম রহীম শাহ আমার সঙ্গে বেরোয় এবং আমার সঙ্গে আসে মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে। আমার সঙ্গে ঘুমোয় এবং আমার সঙ্গে ওঠে আমার সঙ্গে বাস রিকশায় এদিক-সেদিক ছোটে। আমার সঙ্গে ফাইলের উপর হয়ে পড়ে হাজার কীর্তি করে বেড়ায় লাল দেয়ালের ঘরে। হাজার শব্দ গেঁথে গেঁথে বাজার বাড়ায় আমার এমন চুড়োয় দিলো তুলে সাধ্য না যে নামার। বাজার জুড়ে রাজার খ্যাতি হাজারে এক নাম এক কলমের জন্যে আমার অনেক অনেক দাম।
অধিপতি মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সুদ খুর সমাজে অধিপতি তাদের বেশি নাতিপতি সমাজের চিত্র পাল্টে গেছে তারাই এখন কোটিপতি। সুদের নেশার কঠিন নেশায় সমাজে আজ অসঙ্গতি। নেশার লাঠিম ঝিম ধরেছে শেষ বয়সের ভীমরতি।। তাদের কাছে জিম্মি সমাজ কামার, কুমার, জেলে তাঁতী। জ্ঞানী, গুণী আর সম্মানিত করছে না আজ মাতামাতি। ভদ্র যারা ঠেকছে তারা অভদ্ররা উঁচু রাতারাতি আসল সোনা চকচকে নয় নকল সোনার চকমকি। প্রতারক আর মিথ্যাচারি তাদের হাতেই সবার গতি সমাজ গেছে আজ রসাতলে দুষ্টরাই সমাজের অধিপতি।
নষ্ট মায়া (তনিমা জাহান) চোখের সামনে ঘোলাটে চশমার কাঁচ ভাতের হাড়িতে বাড়ানো চুলার আঁচ ক্যাফেইন হয়ে ক্রমাগত জাগাচ্ছ রাত মস্তিষ্কে আজ চরম বিভ্রাট! মেনিনজেস-এ রক্তের দাগ এলোমেলো অনুভূতিতে নিউরনে ক্লান্তির ছাপ, ডেন্ড্রাইট-এ চরম অস্থিরতা আ্যাক্সন-এ সমর্পিত বিষণ্ণতা সিন্যাপস্-এ অবিরত তোমারই প্রতিচ্ছায়া! তুমি মানে- এক নষ্ট মায়া…! লেখক পরিচিতি: কবি বেগম তনিমা জাহান লাকী ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতাঃ মরহুম মোঃ মমিনুল হক এবং মাতাঃ মরহুমা ফিরোজা বেগম। চার বোনের মাঝে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ। মাত্র ৬ (ছয়) বছর বয়সে কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত হওয়া। কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি হামদ-নাথ, উপস্থিত অভিনয়, একক অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতায় তার স্ব-প্রতিভার স্বাক্ষর…
পারাপার সালমা আক্তার মুন কে আপন, কে বা পর? সৃষ্টি, ষোলো কলা একই হাতে, ধ্বংস তারই এক ঈশারাতে, দেখার ভেতর অন্য এক দেখার আধার, কেবল গ্রহণ লাগা সময়ের পারাপার! কেন? দায় ঠেকে, ডেকে নেয়া, তাড়নার তোড়ে বেঁধ গড়া, মনের মোহে, মরমী মরা, এক নয়, নয় বাঁধা, চিরস্থায়ী শিকলে, সম্পর্কের গোলক ধাঁধাঁ, মেঘমালা জলে! ঐতো শূন্যে শূন্য মারে চাল বাষ্প, ভাসায় মেঘের ভেলা বৃষ্টি ভেঙে জলের খেলা, জল গড়িয়ে নেমেছে, জল তরঙ্গরূপে মুগ্ধ শিশু, মহাকাশে চালে, চাল ধোঁয়া ধুপে! মিষ্টি হাসির মুক্তোয় ফুল, গৌরবে ফুঁটে, ঝরেও যায়, গন্ধ, সজীব শোভা ছড়ায়, অপার শোভা স্পর্শ করে পরিপূর্ণতা, জীবন রচে ভাংচুর আর গড়নের…
তবুও বৃষ্টি আসুক ঠিক এই মুহূর্তে তুমি তাকিয়ে আছো চাঁদের দিকে, আর চাঁদটা তাকিয়ে আছে আমার মুখের দিকে। ভেবেছো কখনো কতোটা জ্যামিতিক ছন্দে বাঁধা তোমার-আমার জীবন! তপ্ত দুপুরে যে সূর্যের আলো আমি গায়ে মাখি, তুমিও কি হাত বাড়িয়ে তা ছুঁয়ে যাও না! নাকি গা বাঁচিয়ে পালিয়ে বেড়াও স্বভাবসিদ্ধ! তবু বৃষ্টি এলে ছুঁয়ে দিও তাকে। আজো বৃষ্টি এলে আমি বৃষ্টিতে ভিজি। নোনাজলের ঘনত্ব তাতে অনেকটাই কমে যায়; আবারও বৃষ্টি এলে ছুঁয়ে দিও তাকে। কিছু বৃষ্টি ধারা আমারও গাল ছুঁয়ে যাক। তবু বৃষ্টি আসুক একদিন দিনমান ঝরাপাতার গান শুনবো শুনবো বৃষ্টির অভিমানী সুর। উপত্যকা ক্ষয়ে ক্ষয়ে যে ঝরণা নামে শত বছর…
