ঘুমঘুম চোখে ফরিদা সফি গভীর গহ্বরও একদা শূন্য হয় পরিত্যক্ত হতে হয় খনিকে জেল্লা হারিয়ে নিস্প্রভ ফের ফিরে আসে মাটির বুকে নিঃস্ব স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল অতীত কানাগলি চোখ রাঙায় গোলকধাঁধায় সুনসান নীরবতা আঁধারচেরা আলোকরশ্মি নেই টুংটাং ঝনঝন কোন শব্দেই ভাঙে না নৈঃশব্দ নিস্তব্ধ বাতাস কাঁপে না ভারী নিঃশ্বাসে নিঃশব্দ শশ্মানে তবুও আলোড়ন তুলে নদীর ছলোছলো ধ্বনি ভরা নদীতে চর জাগে জলের সম্মোহন ভুলে নতুনের পদভারে জাগে প্রাণ নতুন চরে জলের অত্যাচার সয় নির্বিকার প্রেম কাম ক্ষুধা দেখতে দেখতে ফুরায় নয়নসুধা অজান্তে ক্লান্ত চোখ আশ্রয় নেয় চোখের পাতায়।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
সাহিদা সুলতানা রীমা ছুটি ধরাময় এক অসীম সময়ে আজও আছি দাঁড়িয়ে। নিবিষ্ট হচ্ছে আমার মায়াবী ভোর, স্নিগ্ধ গোধূলি, আধো লাজের সাঁঝবেলা। সকালটি হীম স্নিগ্ধ ও মায়াবীতায় ছড়িয়ে আছে, অনুভূতিতে চারপাশের অস্তিত্ব হারাই আর একটি কাঙ্ক্ষিত দিন পেলাম জীবনে! ধরার বিচিত্রতা জন্ম অব্দি আজও অপরিসীমভাবে মোহিত করে। অগণিত মানব, জীবনের বাণে ছুটে বেড়াচ্ছে ধরাময়। আমিও তেমনই বাণে ভেসে আছি! জীবন ছুঁয়ে থাকে মৃত্যু ও বেঁচে থাকার খুব কাছে, স্বাদ নেয় তার একান্ত সান্নিধ্য, প্রতিদিন, সময়ে, ঘণ্টায়, মূহুর্তে। পিছে তাকিয়ে দেখে হয় নি কিছুই এক জীবনে সব পাওয়ার প্রসার, না ভাবি এমন সময় মনুষত্য দিয়ে সুন্দর করি যা বেঁচে রবে তোমারও চলে…
ফাঁকি মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ভাবছি জীবন পুরোটাই ফাঁকী থেমে নেই তার ধান্দাবাজি। জীবন বাঁচাতে জীবন সাজাতে কর্ম করতেও মানুষ রাজি।। ঘুমিয়ে আছি আর উঠব কিনা মেলতে পারব কিনা আঁখি, বলি এটা আমার ওটা আমার মিছে দুনিয়ায় সবই মেকি।। কর্মের সাধনা কর্মের বাসনা এটাই মানুষের আসল পুঁজি, পৃথিবীটা শুভঙ্করের ফাঁকী স্রষ্টার দেওয়া বিধান খুঁজি।। রঙের দুনিয়া রঙিন ফানুস প্রতিযোগিতায় বুনি বাড়ি ঘর, নাটাই হাতে যিনি ছাড়ছে সুতো তিনি স্রষ্টা আজব কারিগর।। জীবন শেষে এসে দেখি ভাই হিসেব নিকেশ অনেক বাকি, পুরো জীবনে যতটুকু করেছি জীবনের পুরোটাই ফাঁকী।। _____________________ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা লক্ষ্মীপুর
শেষ বিকেলের গল্প তসলিমা হাসান নদীর তীরেই বাংলো। রাতে নৌকা থেকে যখন নামি বুঝতে পারিনি। বিদ্যুৎ ছিল না। অফিসের দুজন কর্মচারী ঘাট পর্যন্ত এসেছিলেন । বাংলোয় পৌঁছে দিয়ে চলে যান। দেখভাল করার জন্য কেয়ারটেকারকে বার বার বলে গেলেন। কেয়ারটেকার মোতালেব খুব বিনীত ছেলে। বয়স ১৩-১৪ হবে। যা বলি তা-ই শোনে। কাছাকাছি থাকে। বাবার চাকরি সে করে। বাবা অসুস্থ । গত তিন বছর ধরে সে ই দায়িত্ব পালন করে। তিনদিনব্যাপী আমার পরিদর্শনের কাজ আজ শেষ। বাক্সপেট্রা গোছানো শেষ। ফাইনাল রিপোর্ট দাঁড় করানোর জন্য কাটাছেঁড়া করছিলাম । কলম চালাচ্ছিলাম নিমগ্ন হয়ে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকার । ডাকলাম, মোতালেব ! সন্তর্পণে…
তোমার প্রিয় রেখা শফিকুল ইসলাম হাসান স্বরবৃত্ত ছন্দ-৪/৪/৪/২ বসে আছি ঊষালগ্নে আবার হবে দেখা । তুমি আমার প্রাণের প্রিয়া প্রিয়তমা রেখা । কুহুক ডাকে মাতাল মন-যে তোমায় খুঁজে বেড়ায়। সূর্যমুখী উঠলো জেগে আমার প্রেমের পাড়ায়। শিশিরভেজা সবুজ ঘাসে বিন্দু জলের খেলা। ঘরের কোণে ছিদ্র দিয়ে ঊষার কিরণ মেলা। নদীর ঢেউয়ে কলকলানি শব্দে আমি মাতাল। ডিঙ্গি মাঝি বৈঠা হাতে তুলছে দেখো সে পাল সূর্যের কিরণ নদীর বুকে ঝলমলিয়ে উঠে। মুগ্ধ করে ভাবের কবি সেই কবিতা পাঠে। তুমি বন্ধু থাকো দূরে আর হবে কি দেখা। আশায় আশায় বাঁধে বাসা তোমার প্রিয় রেখা।
শিমুল ফুলের বাসি মালা [ নার্গিস পারভীন ] পর্ব– ০১ ২৩/১০/২০২২ রথীন শোভার বিয়েটা বুঝি আর টিকলো না– এক বুক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন পরেশ কাকা। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম – কেন, কি হয়েছে ওদের আবার? পরেশ কাকা ঠোঁট দুটো বিস্তার করে মাথা নাড়লেন। আমি পুনরায় জানতে চাইলাম, কি সমস্যা বলুন তো কাকা? –হুম, বলতে তো হবেই। আর কতকাল চেপে রাখা যায় বলো! অবশ্য আমি নিজেই আগে এসব কথা শুনিনি। জানো তো শোভা কত মুখচোরা; নিজের কষ্টে ভেঙ্গে যাবে তবু মুখ খুলবে না। এতদিন জানতাম মেয়েটা আমার বড়ো ভাগ্যবতী–রথীনের মতো এমন একটা জামাই আমার, রুপে গুনে বংশ মর্যাদায় একেবারে পারফেক্ট, অনন্য–…
উপলব্ধি দিল আফরোজ রিমা পর্ব-৩ ওরা দু’ জনে ঘর বাধবে। এমন সময় একদিন নিলাঞ্জনা বলল, সবাই মিলে চলনা শেষ বারের মতো শান্তি নিকেতনে ঘুরে আসি। সবাই রাজি হলো ওরা কলকাতা থেকে বাসে রওয়ানা হলো। শান্তি নিকেতনে পৌঁছাতে পাচ ঘন্টা সময় লেগে গেল। বীরভূম জেলার বোলপুরে হোটেল উৎসবে ওরা দুপুরের খাবার এবং অনেকে নামাজও সেরে নিল। তারপর বেরিয়ে পড়ল রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী দেখার জন্য। বিশাল এলাকা জুড়ে গাছপালা ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে এ বিশ্ব বিদ্যালয়। এক পাশে শান্তি নিকেতন অন্য পাশে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভবন সমুহ ও হোস্টেল। এখানে মালঞ্চ বাড়ি, বর্তমানে যা বিশ্বভারতী পাবলিকেশন অফিস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্ব ভারতী ঘুরে…
সন্ধানী বীণ জলখাবারে জল থাকলে পিঁপড়ে তাড়াতে জলঢাকা লাগে। এ যে নয় সেই জলঢাকা নদী! প্রজাপতি পাখনা মেললে, পাখায় রঙ থাকে যদি! শুঙ্গ ভুলে চোখ খুলে কারো চোখ দেখে প্রজাপতি ফুলের মতি গতি! জলের পরিধিতে প্রজাপতি ওড়া, সেসবও পরাগরেণুর মাখামাখি আর মধু গ্রন্থির মধুজল ছিটাছিটির অনুরাগ অনুভূতি পরিধিহীন দিগন্ত চৌহদ্দি। জল+ পরাগ+ মধুগ্রন্থি=প্রজাপতি মধুপরাগী। মাঝে মাঝেই প্রজাপতি হয়ে যাই… অদ্ভুত অনুভূতি আতপ চাল সেদ্ধ হচ্ছে, দিয়েছি নুন তেল সামান্য পেঁয়াজ, এক আধটু আদার কুঁচি রসুন কুঁচি। ঘ্রাণেই তোমার গাল থেকে ঠোঁটে খসে পড়লো প্রশংসার উচ্ছ্বাসনীতি। আমি পলান্ন রেখে শাড়ির কুঁচি গোছাতে ব্যস্ত, চোখে ভ্রুকুটি। হায়! হায়! শব্দ পেছন থেকে…
প্রিয় জানতে ইচ্ছে করে খুব জানতে ইচ্ছে করে। খুব বেশি মনে পড়ে তোমাকে। তুমি কেমন আছো বেশি ভালো আছো তো। তবে কি কখনো মনে পড়ে আমায় আমার বেশ মনে পড়ে। আমি আর হয়তো তোমায় ভুলতে পারবো না বড্ড মনে পড়ে তোমাকে। অচেনা অতিথি ছিলে তারপর হলো বিনিময়। তারপর হলো শুভক্ষণ তারপর একদিন অনেক দূরে। আমার বেশ মনে পড়ে অনেক জানতে ইচ্ছে করে। ভুলে গেছো আমাকে অনেক সহজেই ভুলে যেতে পারছ। তোমার হৃদয়ের আকাশে আমি হতে চেয়েছিলাম ওই আকাশের তারা। খুব জানতে ইচ্ছে করে বড়ো ভালো আছো তো। আজ যখন তোমাকে চাই তুমি ততটাই অনেক দূরে। তবে কেন এসেছিলে মোর জীবনে…
ওয়াইড ভিশন স্কুল এন্ড কলেজে দুই দিনব্যাপী ভিন্নমাত্রা প্রকাশনীর একক বইমেলার উদ্বোধনে থানা শিক্ষা অফিসার: “পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই” সৃজনশীলতায় ভিন্নতা এই স্লোগানকে ধারণ করে ভিন্নমাত্রা প্রকাশনী বই পড়া আন্দোলন হিসেবে স্কুল ভিত্তিক বইমেলার আয়োজন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ” ওয়াইড ভিশন স্কুল এন্ড কলেজ -এ ২ দিন ব্যাপি বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – উত্তরা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিসেস সাবিকুন্নাহার লিপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন – সাবেক পুলিশ সুপার বিশিষ্ট গীতিকার, সংগঠক ও কবি এটিএম ফারুক আহমেদ, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কবি রেজাউল করিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও…
