Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

স্বাধীনতায় শহীদদের ঋণ ।এস এম শহীদুল্লাহ সরকার। এই বাংলার স্বাধীনতায় একদিন, দিয়েছে যারা প্রাণ, ইতিহাসে তারা স্মরণীয় আজ, গাই তাহাদের গান। এই বাংলার স্বাধীনতায় গেছে, হাজার মায়ের ছেলে, দেশের জন্যে দিয়েছে জীবন, ফিরে নাই মায়ের কোলে। স্বাধীনতার তরে হয়েছে শহীদ, করে নাই কভু ভয়, আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে তারা, স্বাধীনতার করে জয়। এই বাংলা স্বাধীনতায় যায় ; লাখো বাঙালির প্রাণ, পরাধীন দেশ করেছে স্বাধীন, এনেছে দেশের মান। এই বাংলার আকাশে বাতাসে , স্বাধীন পতাকা উড়ে, স্বাধীন বাংলার স্বাধীনতার সুখ, বাংলার ঘরে ঘরে। ঐ বাংলার আকাশে বাতাসে, নেই হাহাকার ধ্বনি, ঐ বাংলার স্বাধীনতায় মোরা, জয়ের ধ্বনি শোনি। স্বাধীন বাংলার মুক্তাকাশে, রাঙা রবি…

আরো পড়ুন

নাজিম হেলাল প্রাণ সঁপেছি তারে গোলাপ জানে না তার গাঁয়ে কত কাঁটা প্রেমিক জানে কি তার মনে কত জ্বালা সবাই তো জানতে চায় ভালোবাসার কালার জানে তো সেজন হায় হৃদয় পুড়েছে যাহার!! প্রেম পাখি উড়ে যায় শূন্যে নিয়ে চিঠি তাপ মগ্ন হলে প্রেম অনলে যায় পুড়ি বুঝি না প্রেমের ভাষা অনাড়ী ধরণ মনির খোঁজে মিলে কি সর্পের দংশন!! প্রেমে সুখ নাহি মিলে বিরহতে দহন মেঘে কান্না জমে থাকে বুকেতে রোদন পাহাড় কেঁদে চৌচির হয় ঝর্ণা হয়ে নামে তার বুকেতে অশ্রু মোর বৃষ্টি হয়ে ঝরে!! অন্ধ আমি তার প্রেমেতে দেখেও দেখি না তার ছোঁয়াতে ফাগুন আসে ফুটে পুষ্প বিছানা এই পৃথিবীর…

আরো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতি এস কে বান্টি ইবলিশের মাথায় রুমাল সাজিয়ে, আজকে শান্তি পাবে না মুসলমান। রামের বেসে থাকলেও নেতা, ধরা পড়বে ঠিকই রাবন। রাজনীতির ওই পাশা খেলায়, ইঁদুর বিড়ালের চলছে খেলা। নেতা মিশে ধর্মান্ধদের সাথে, সাধারণ মানুষের কাটছে গলা। কর্ম-সংস্থানের কথা ছেড়ে, নেতা, ধর্মস্থানে করে মামলা। দেশে সাম্প্রদায়িকের গোল বাঁধিয়ে, গদি, মিডিয়াকে বলে, তোরা সামলা। ভাতা-জীবিদের ভাতার হয়েছে, আজকে মহান দেশের সরকার। বেতনভুক্ত গুন্ডা,পুষে দাঙ্গা বাঁধায়, দেশের জনগণের শান্তির নেই দরকার। অনেক হয়েছে এবার থামাও, দেশে রাম রহিমের লড়াইটা। কবিরা আজকে সজাগ হয়েছে, কলম নিয়ে, দেশে ফিরাবে ঐক্যটা। _______________ Sk Banty, Kolkata 25/12/2022

আরো পড়ুন

ডিমের তেভাগা। । শিরীন আকতার বানী । একদিন দেখো ঠিকই আমি আস্ত ডিমের ভাজা, খাবোই খাবো তারিয়ে তারিয়ে করে সেইরকম মজা। ভায়ের সাথে ভাগ হবে না কোনো সেদিন ডিমের পেটে চলবে না আর মায়ের হাতের খুন্তি ছুরি। আমি খাবো মন ভরে, পুরোই একটা ভাজা ডিম। ভাবছো তুমি কি আর এমন ডিম খাওয়া কি আছে বারণ? নয়কো বারণ কোনো। শুধু ভাগে ভাগে তেভাগাতে ছোটো থেকে ছোট্ট যে হয় হিসাব, আমিই দেখো বড় হয়ে খাবোই খাবো একটা ডিমের পুরো, মা তো আর আসবে না আবার করতে ভাগ, কেন যে মা একটা ডিমের করতো তেভাগা! বড় হয়ে বুঝলাম শেষে আসল হিসাব মায়ের মনে ডিমের…

আরো পড়ুন

ফেরারি মন ইভা আলমাস এখানেও নীল আকাশে মেঘ ভাসে বিচিত্র গাড়ি বহর ছোটে অবিরাম শিশুদের কাকলী কানে ভেসে আসে পাখালি শুরু করে সকালের গান। এখানেও রমণীরা খোঁপা বাঁধে পুরুষের ব্যস্ততায় রুটি রুজি ওখানের মতো করে শিশুরা কাঁদে তবু কেন ব্যতিক্রমকেই খুঁজি! পাখিদের নীড়ে ফেরা চেনা ছবি সন্ধ্যায় একই ঢঙে দেখা মেলে আঁধারের গা বেয়ে ওঠে রবি মা-শিশু একই রঙে খেলা খেলে। গাছে গাছে সবুজের সমারোহ ঐশ্বরিক প্রেম তাও একই আছে নেই কোন ব্যতিক্রমী আবহ মনে হয় তবু কী যে নেই কাছে! মন কেন ছুটে চলে সেই দেশে কে আমায় বারেবারে পিছু ডাকে বোঝাতে গেলেও মন বোঝে না,সে অকারণে পিছু হাতড়াতে…

আরো পড়ুন

পরশ যুথিকা জ্যোতি মনের ভাব প্রকাশ করবার জন্যই বিধাতা আমাদের দিয়েছেন কথা বলার শক্তি। দিয়েছেন পঞ্চ ইন্দ্রিয়শক্তি। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা এবং তক। আর সেই সঙ্গে গড়িয়ে দিয়েছেন, একটি সুন্দর মুখমন্ডল। বিশেষ করে মেয়েদের রূপরাশি এবং পরিপূর্ণতায় মহান সৃষ্টিকর্তা এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন, যার সৌন্দর্য্যের অপার মহিমায় বাচ্চা, বুড়ো, জোয়ান প্রতিটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চুম্বকের মতো। কখনো মুগ্ধ বিস্ময়ে এতোটাই অভিভূত হয়ে পড়ে যে, পলকমাত্র দৃষ্টিপাতেই আবেগের বশীভূত হয়ে প্রেমের পত্তন ঘটে হাবুডুবু খায়। শুধুমাত্র তরুণ যুবকই নয়, নবীণ প্রবীণ প্রতিটি মানুষ একেবারে দেওয়ানা হয়ে যায়। কিন্তু মেয়েদের বেলায় তার কিছুটা ব্যতিক্রমী হলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তেমনভাবে প্রকাশ্যে কখনো দৃষ্টিগোচর হয়…

আরো পড়ুন

প্রিয় কবিতা আলো আহমেদ হে মোর প্রিয় (কবিতা) কোনদিন বলব না ভালোবাসো বলিনি তুমি কাছে আসো বলিনি নিঃশ্বাস হয়ে এ দেহে মিশো এ জীবনে জলে জলের অতলে ঝিনুকের মত আমারে তোমার বুকে টানলে, চিরকালের মত আবার দুরেও গেলে সরে আমি পুরি তোমার অনলে জীবনে পেয়েছি শ্মশান প্রণয়ে পুস্পে কতো যতনে চিতায় দিয়েছি অবসান, মরণেরকালে দিয়োগো মাটি যদি গো থাকি তোমার পরানে! ___________________ আলো আহমেদ ওরলেন্ডো ইউএসএ

আরো পড়ুন

হাসনাহেনা । ফারহানা আজাদ রচনা । বৌ সেজে বসে আছি যে যার অপেক্ষায় সে সারা রাতেও এলো না। রাত গভীর হলে ,অপেক্ষায় আর সারা দিনের ক্লান্তিতে এক সময় ঘুমিয়ে গেলাম। নতুন জায়গা আর আতঙ্কে বার বার ঘুম ছুটে যাচ্ছিল। এক সময় সকালের আলো জানালার ফাঁক গলে ঘরে প্রবেশ করলে জেগে চোখ বুজে নিজের বর্তমান জীবন নিয়ে ভাবছি। গতরাতে যে আতঙ্ক কাজ করছিল আমার মধ্যে, তার কিছু আজ কমেছে। এই রাতটা আমাকে যে সময়টা দিল তাতে নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে নিতে পেরেছি। তবে যে লোক বিয়ের রাতে বাসর ঘরে অনুপস্থিত তার সম্পর্কে কোন ধারণা করতে পারছিনা। নিজেই খাটে উঠে বসলাম। ঘরের চারদিকে…

আরো পড়ুন

স্বপ্ন ভেঙেছিল তসলিমা হাসান চয়নিকা আজও বারুইপুর লোকালে বসে আছে। মুখটা ওড়নায় ঢাকা। শুধু ওর সুন্দর বাদামী চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে। এই পথে রোজ হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে সবাই ওকে এভাবেই দেখে। কেউ কৌতুহলান্বিত হলে তাকে শুধু চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দেয় ও ভীষণ বিরক্ত। নামটা জানতে পেরেছে সবাই ওর প্রেমিক হিমাদ্রীর থেকেই। যে রোজ এই ট্রেনে চড়ে শুধুমাত্র ওর জন্যই। – ‘আজ এত দেরি হলো! ‘চয়নিকা হিমাদ্রীকে, – ‘আজ তোমার জন্মদিন, তাই মা পায়েস দিয়েছেন’। হিমাদ্রী চয়নিকাকে। – ‘ও মনে আছে তোমার মায়ের ! ‘ চয়নিকা কটাক্ষের সুরে। – ‘মা আজও অনুতপ্ত !’ হিমাদ্রী দিন দশেক পরে এক যাত্রী…

আরো পড়ুন

মৌনতায় ভালোবাসার চারুপাঠ ।। গোলাম কবির ।। না, আজ আর কোনো কথা হবে না, দিনটি হোক শুধুই নীরব মুখোমুখি বসে থাকা পরষ্পরের দিকে তাকিয়ে থাকার। এভাবেই আজ হোক মৌনতায় ভালোবাসার কথা বলা চোখের ভাষায়! দুপুর গড়িয়ে লাজুক সন্ধ্যা নামুক তোমার চোখে, লজ্জা পাওয়া লাল রঙের সূর্যটা ডুবে যাক, হেমন্তের কুয়াশা চাদর বিছিয়ে পথঘাট ঢেকে দিক, আজ কোনো কথা নয়! শুধুই চুপচাপ বসে মুখোমুখি তাকিয়ে কেটে যাক সারাবেলা, বকুলের গন্ধে মাতাল হাওয়ায় উড়তে থাকুক তোমার অবাধ্য এলো চুলগুলো। নীরব থেকেই আজ হয়ে যাক বলতে চাওয়া অনেক না বলা কথা, মৌনতায় আজ হোক ভালোবাসার চারুপাঠ।

আরো পড়ুন