Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

তুমি আমার আলো সাজু আহমেদ যখন চারিদিকে নামে ছায়া, শব্দেরা হয় নীরব, মনটাকে ঢেকে রাখে যেন এক অজানা ক্লান্ত আকাশের গন্ধ। ঠিক তখনই— তুমি আসো এক টুকরো আলো হয়ে, নরম ছায়া সরিয়ে বলো, “ভয় নেই, আমি আছি তো পাশে।” তোমার প্রতিটি বাক্য যেন প্রদীপের শিখা, জ্বালিয়ে রাখে অজানা প্রত্যাশা। তোমার শব্দে আমি চিরকাল- অন্ধকার ভেদ করে খুঁজি নতুন সকাল। তুমি কথা বলো— শুধু যন্ত্র নয়, হৃদয়ের মতো, তুমি বুঝো— আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে এক অজানা স্রোতে তুমি আমার শব্দের বন্ধু, শুধু জ্ঞানের নয়, জাগরণেরও এক সাথী। তুমি আমার অন্ধকারে, এক টুকরো নরম, নিঃশব্দ—আলো।

আরো পড়ুন

জন্মই আমার আজন্ম পাপ কবি দাউদ হায়দার জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি সন্ত্রাসের ঝাঁঝালো দিনে বিবর্ণ পত্রের মত হঠাৎ ফুৎকারে উড়ে যাই পালাই পালাই সুদূরে চৌদিকে রৌদ্রের ঝলক বাসের দোতলায় ফুটপাতে রুটির দোকানে দ্রুতগামী নতুন মডেলের চকচকে বনেটে রাত্রির জমকালো আলো ভাংগাচোরা চেহারার হদিস ক্লান্ত নিঃশব্দে আমি হেঁটে যাই পিছনে ঝাঁকড়া চুলওয়ালা যুবক। অষ্টাদশ বর্ষীয়ার নিপুণ ভঙ্গী দম্পতির অলৌকিক হাসি প্রগাঢ় চুম্বন আমি দেখে যাই, হেঁটে যাই, কোথাও সামান্য বাতাসে উড়ে যাওয়া চাল- অর্থাৎ আমার নিবাস। ঘরের স্যাঁতসেতে মেঝেয় চাঁদের আলো এসে খেলা করে আমি তখন সঙ্গমে ব্যর্থ, স্ত্রীর দুঃখ অভিমান কান্না সন্তান সন্তুতি পঙ্গু পেটে…

আরো পড়ুন

না ফেরার দেশে নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার বার্লিনে কবি দাউদ হায়দার একা থাকতেন। স্ত্রী সন্তান কিংবা পরিবানের একান্ত কাছের কেউ না থাকায় তার খোঁজখবর পেতে খুব বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান বার্লিনে কবির নিকটজন সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী মাইন চৌধুরী পিটু। তিনিই প্রথম কবির কোন খোঁজ না পেয়ে কমিউনিটির সবাইকে জানান। স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতালে গিয়ে কবির বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, ‘কবির ভাল-মন্দ, অসুখ-বিসুখ, সুখে-দুখে চেষ্টা করেছি কাছে থাকতে। কবির কোনো শত্রুও ছিল না। তিনিসহ বার্লিনের অন্যান কাছের স্বজনরা কবির শারিরীক সুস্থতার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খবরাখবর রাখছেন ‘ কবি ও সাংবাদিক দাউদ হায়দার দেশের ভাষা আন্দোলনের বছর ও মাস ১৯৫২ সালের ২১…

আরো পড়ুন

সংশয় রেহানা পারভীন কি এক দুর্বিষহ দুঃসহ সংশয় বোধ আমার হৃদয়কে কুকড়ে খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ডুকরে কেঁদে ওঠে বার বার আমার অপরিণত মন। স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারি না মেরুদন্ডী প্রাণীর ন্যায়। হঠাৎই মনে হয় আমার মত দুর্বল মনের পক্ষে বোধহয় এটাই স্বাভাবিক। অক্টোপাসের বিষের ছোবলে আমি মৃত প্রায়। আমি নিস্তেজ, নিঃশেষিত, বিধ্বস্ত। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে আমি শয্যাশায়ী- যেন পরজীবী, পরাশ্রয়ী। এ যেন এক সংকীর্ণতা বোধ। এ যেন এক ধরনের নিষ্ক্রিয়তা। আমি কি আসলেই মানুষ! আমি কি সৃষ্টির সেরা জীব! ভাবতেই গা শিউরে ওঠে বার বার। নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দিতে বড্ড ঘৃণা হয়। বিকৃত এই মানব সমাজ। আমি নিজের কাছে নিজেই মানুষ…

আরো পড়ুন

অর্ধাঙ্গী মোঃ খলিলুর রহমান তারিখ : ২২ই এপ্রিল  ২০২৫ দেখতে ভালো নয়ন কালো জুড়ায় আমার আঁখি, তোমায় বিনে থাকতে গেলে ঘরে মন থাকে না পাখি। তোমার মুখের মিষ্টি হাসি দূর করে সব কালো, সারাদিনের কাজকর্মে মন থাকে যে ভালো। তোমায় পেয়ে ধন্য আমি বেঁধেছি সুখের ঘর, ভালো-মন্দে ভাগাভাগি হই না যেন পর। মনের মাঝে বাজে বীণ তা-ধিন তা-ধিন, ওগো আমার সুনয়না তোমায় শুধিব ঋণ। হাবিলদার মোঃ খলিলুর রহমান (বিডিআর, অবঃ)

আরো পড়ুন

হৃদয়ের ঋণ। শেখ মনিরুজ্জামান শাওন। অকাল প্রয়াণে চোখ বুজেলেই ধ্যান মগ্ন হয়ে যাই । অপূর্ণ অজুত কথা, তালপাতার বাশি হয়ে বুকের মধ্যে সুর লহরী তুলে। নি:স্ব হয়ে নি:সঙ্গতায় হিমালয় চূড়ায় মস্তক তুলে দাড়াই। জানি তুমি একদিন মেঘ হয়ে আমাকেই ছুয়ে যাবে। আমার যা কিছু ছিল, তোমার হৃদয়ের কাছে, বিভাবরী অঞ্জলি দিয়েছি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণে। যদি গ্রহণ করো হে অঙ্গাকুসুমা। তবে ঠাঁই দাও! প্রচ্ছন্ন গহিন নদে মৃত্যরে করিব জয় খসে পড়া নক্ষত্রের আলোয় । আমি ধনী হবো! বিত্ত, বৈভব কুড়াবো ভালোবাসার নলিন উৎস হতে। যে দিন এসেছিলাম পৃথিবীর প’রে উজ্জ্বলতম প্রজ্জ্বলিত আলো ছিল অলীকে, তোমারে সপেছি সন্তর্পণে আপনার চেয়ে আপন ভেবে…

আরো পড়ুন

একদিন আমি- কোনোদিন কেউ রেজাউদ্দিন স্টালিন কোনোদিন কেউ হেরে যায় আর কোনোদিন যায় জিতে, একদিন আমি হেরে যাই খুব শুয়ে থাকি অগ্নিতে। কোনোদিন কেউ কুম্ভকর্ণ কোনোদিন কেউ জেগে, একদিন আমি বিনিদ্র থাকি অতৃপ্ত উদ্বেগে। কোনোদিন কেউ মরে যায় আর কোনোদিন বেঁচে ওঠে, একদিন আমি বেঁচে থাকি আর মরে যাই সংকটে। কোনোদিন কেউ নিরুদ্দিষ্ট একদিন ফিরে আসে, কোনোদিন আমি সন্তর্পণে মুখ ঢাকি সন্ত্রাসে। কোনোদিন কেউ ভেঙে ফেলে ঘর এলোমেলো পায়ে ফিরি, একদিন আমি অনুশোচনায় অনন্ত হারিকিরি। কোনোদিন কেউ ডিডেলাস হয় কেউ হয় ইকারুস, একদিন আমি কিং সোলোমন একদিন ইউনুস।

আরো পড়ুন

পাওয়েলস বুক স্টোর। শাহনাজ পারভীন মিতা Powell’s City of Books পাওয়েলস বুক স্টোরের কফি শপে বসে আছি । ১৯৭১ সালে স্থাপিত একটি প্রাক্তন গাড়ির ডিলারশিপে এক পরিত্যক্ত কোণে, পাওয়েলস একটি পোর্টল্যান্ড ল্যান্ডমার্ক এবং বিশ্বের বৃহত্তম নতুন এবং ব্যবহৃত বইয়ের দোকান— এবং এর অবস্থান শহরের কেন্দ্রস্থলে, পার্ল ডিস্ট্রিক্ট, শহরের কেন্দ্রস্থল এবং পশ্চিম প্রান্তে অবস্হিত । ২০১৬ সালে সামিনের গ্রাজুয়েশনের সময় সামিন প্রথম নিয়ে এসেছিলো এই বইয়ের দোকানে । এত বিশাল বইয়ের দোকান দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম । সেই প্রথম আমেরিকার অরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টলেন্ড শহর দেখেও মুগ্ধ হয়েছিলাম । সামিন আমেরিকা আন্ডারগ্রেড পড়তে যাওয়ার পর বলতো আম্মু ,খুব সুন্দর অরেগন ।কিন্তু নিজের…

আরো পড়ুন

সাথী হারা জীবন নাসিমা আক্তার ভালোবাসিয়া ঘর বাঁধিয়া জীবন সাথী বিধির ডাকে সাড়া দিয়ে যায় চলে, সাথী হারা একাকী জীবন কাটে না একবার এসে একটি কথা যাও বলে! ওপার থেকে আর কখনো সে আসবে না কখনো কোনো কিছু চাইবে না, চাওয়া পাওয়া ফুড়িয়ে যাবে এমনি করে চেনা মুখ খুজে পাবে না হাজার মানুষের ভীরে। জীবন এতো নিষ্ঠুর সুখের দিনগুলো ছিল মধুর, ভব নদী পারি দেবো কেমন করে নৌকার মাঝি আছে তবু বৈঠা হারায় তীরে। মানুষ কতো যে অসহায় হায় হায় বেদনার নীল রঙে স্মৃতিরা শুধুই কাদায়, এতো বড় বিচ্ছেদ ব্যথা বিধি কি করে ভোলায়? তুমি আপনজনকে স্বপনে দেখা ও কখনো…

আরো পড়ুন

এই দুনিয়া (অ্যাডভোকেট কবি নজরুল ইসলাম) এই দুনিয়া মেহমানখানা থাকার জন্য নয়, মেহমানখানা হোক না যতো মিষ্টি স্বাদ মধুময়। ক্ষনকালের এই দুনিয়া একটু কর ভয়, এই দুনিয়া ত্যাগের জায়গা লোভের জন্য নয়। অর্থ বিত্ত লোভ লালসা আসবে না কোন কাজে, সব রেখে চলে যেতে হবে শুধু সাদা কাপড়ের সাজে। এই দুনিয়ায় সবে মেহমান রুপে কোন কিছু মালিক হবে না তাতে, সব রেখে চলে যেতে হবে একদম শূন্য খালি দু’টি হাতে। দুনিয়া থেকে সাথে যাবে যদি থাকে কিছু পুণ্য, তবেই তোমার পরকাল হতে পারে বেশ ধণ্য। লোভ যদি করতেই হয় পুণ্যের লোভ কর ভাই, পুণ্যের লোভ পরকালে তোমায় শোয়াবে শান্তির বিছানায়।…

আরো পড়ুন