হে মহানায়ক, বঙ্গবন্ধু।
সুরমা খন্দকার।।
ভেবেছিলাম লিখবো এক মহানায়কের গল্প।
ধন্য সে নায়ক যার উপর দুলতে থাকে স্বাধীনতা।
জাগিয়ে তুলেছিল জাতির ঘুমিয়ে থাকা সত্তা।
জাগিয়ে ছিলে উদ্বিগ্ন প্রেম মানবতার কথা।
ছ’দফা, গর্জে ওঠার কথা, আগরতলা মামলা,
স্বাধিকার আন্দোলন, এসব অজানা নয়।
যদিও দেখিনি জেল জুলুমের কঠিন সময়।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক অমর মহাকাব্য।
জানতে হবে শুরু থেকে শেষকে আমরা যারা নব্য।
জেল জুলুমের আগল ভেঙে, পাক-হানাদারদের বড়াই ভেঙে –
বুক ফুড়ে ফুটে ওঠল স্বপ্নের মতো এক রক্তজবা।
আমরা সে স্বপ্নের আদি-অন্ত দেখবো বলে চেয়ে থাকি।
আকস্মাৎ রক্তে ভেসে যায়, পাশবিক শক্তিতে ডেকে যায়
আমাদের রক্ত জবা স্বপ্ন!
ধন্য হে নায়ক! যার নামের উপর হয় সোনালি সকাল।
ধন্য হে নায়ক! যার হাত ধরে এনে দেয় পুরোদস্তুর এক ভূ-খণ্ড।
দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল শোকের মিছিলে, বিলাপে, ক্রন্দনে।
এ কেমন চলে যাওয়া! হে জাতির পিতা!
ফিরে এসো বুকের ভিতর।
ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় তুমি স্বপ্নের পথিকৃৎ!
মৃত্যু নেই তোমার!
জীবিতদের চেয়েও আধিক জীবিত তুমি!!
১ Comment
অসাধারণ।