বছরের কিবা মানে।
(নিশাত জেসমিন)
ছোট্টবেলায় পড়েছিলাম মজার একটা গল্প
এখনো স্মৃতির পাতায় ভাসছে অল্প অল্প।
পড়শোনায় বাবুর মন বসে না কিছুতেই
বই ফেলে উঠে পড়ে সামান্য ছুঁতোতেই!
স্কুলে সে যায় না কখনোই নিজের ইচ্ছেতে
সময়টা পার করে শুধু বইখাতা গোছাতে।
প্রতিদিনই রয়েছে নতুন নতুন টালবাহানা
মা খুব মাথাব্যথা করছে আজ স্কুলে যাব না।
ঠিক আছে আজ ঘরে বসে সব পড়া তৈরি করো
মা তার চেয়ে আমাকে একটা মজার ধাঁধা ধরো?
এভাবেই বাজে কখন যে বৎসরের বিদায়ের ঘন্টা
বার্ষিক পরীক্ষা তো সামনে তাই খুব খারাপ মনটা!
মা এবছর বুঝি খুব তাড়াতাড়ি দিন শেষ হয়ে গেল!
দিনপঞ্জিতে নির্ঘাত হিসেবের বড় ভুল আছে বলো?
সবকিছু ঠিক আছে শুধুমাত্র বেঠিক তোর মোটা মাথা
বাকি সব মনে গেঁথে থাকে ভুলিস কেবল পড়ার কথা!
প্রতিবছরই সে পরীক্ষা দেয়, হয় না একবার ও কৃতকার্য
৩৬৫ দিনে এক বৎসর হিসেব কোন পণ্ডিত করেছে ধার্য?
বারো মাসে এক বৎসর একথাও তো সব মানুষই জানে
পড়তে যার ইচ্ছে হয় না সেই বোঝে বছরের কিবা মানে!
২ Comments
ভীষণ সুন্দর মজাদার একটা কবিতা পড়ে মন ভালো হয়ে গেল।
সুন্দর একটি কবিতা পড়লাম, এ যেনো সকালবেলার এক কাপ * চা*