জন্মদিনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান:
সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল (কবি ও সাংবাদিক)
জন্ম: ৩০ মে ২০২৩
এক নজরে:
“কবি ও সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের জন্মদিন আজ (৩০ মে)। তিনি মূলত কবি হলেও শিল্প-সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করছেন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে নগরায়ন, নাগরিক জীবন, জীবনের জটিলতা, প্রেম, পরবাস, পরাবাস্তব প্রভৃতি প্রতিফলিত হয়েছে।
বর্তমান বাংলা কবিতার মূলধারাকে তিনি শাণিত করছেন, বাঁক ও বিবর্তণে ভূমিকা রাখছেন। সব্যসাচী দুলাল সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য তিনি দেশ-বিদেশে পুরস্কৃত হয়েছেন।
দুলাল ছাত্রাবস্থায় দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেন। ১৯৮০সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান এবং ১৯৯৬-এ খালেদা জিয়ার শাসনামলে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। তারপর স্বাধীনভাবে লেখালেখি, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি।
প্রবাসী বাঙালিদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন নিউজ এজেন্সি ‘স্বরব্যঞ্জন’, সেই সঙ্গে ‘পাঠশালা’র প্রকাশনা। দীর্ঘ দিন প্রবাসের পত্র-পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন। টরেন্টো থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বাংলা রিপোর্টে প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাকের কানাডাস্থ বিশেষ প্রতিনিধি এবং সিবিএন ২৪’এর উপদেষ্টা।
তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। বিটিভির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দৃষ্টি ও সৃষ্টি’র উপস্থাপক। তাঁর লেখা বেশকিছু গান ও নাটক বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নাটকসমূহ, সাযযাদ আমিনের কথা, জাকির, সাদিকের জীবন ও সাহিত্য, বৃক্ষ বন্দনা, মুহম্মদ আলির চিঠি, ভালোবাসি ভালোবাসি, ওডারল্যান্ড, শাখা ও শেকড়, বনসাই, বৈশাখী ইত্যাদি। ‘ও ও বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’, ‘এ দেশ আমার মায়ের আরেক নাম’, ‘ঐ পতাকায় তাকিয়ে দেখি আমার মায়ের শ্যামলা মুখ’…সহ বেশ ক’টি জনপ্রিয় গানের রচয়িতা। বর্তমানে ‘কানাডায় ১৯৭১’ নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৯০টি। বর্তমানে তিনি সপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন।”
জন্মদিনে ম্যানগ্রোভ সাহিত্য-র নিবেদন
। মূল্যায়ণ মানচিত্রের টুকরো ।
‘দুলালের মতো তরুণদের কাছে পরাজিত হতে গ্লানি নেই। কারণ, এরাই শিল্প- সাহিত্যকে প্রবাহমান ধারায় অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে, সুন্দর ও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়’।
সৈয়দ আলী আহসান
তবু কেউ কারো নই-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানের ভাষণ ॥ ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫, জাতীয় দৈনিকসমূহ, ঢাকা।
‘দুলাল নিজের উদ্যোগ এবং উদ্যম শুধু কবিতা রচনায় সীমাবদ্ধ রাখেননি, অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিস্তৃত করেছেন।…দুলাল কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না হয়েও রাজনীতি সচেতন। দেশ ও দশের কথা তিনি ভাবেন; মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত এই তরুণ সব সময় কিছু না কিছু করছেন। প্রশংসনীয় তাঁর এই কর্মতৎপরতা। সাংবাদিকতার সঙ্গেও তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছেন’…
শামসুর রাহমান
২৭ আগস্ট ১৯৯৩, দৈনিক ভোরের কাগজ, ঢাকা
‘সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের কবিতা ক্রাফটস ম্যানশিপটা খুব ভালো। গুছিয়ে টুছিয়ে লিখতে পারেন। কবিতা লেখার হাতটা করতলগত। …সমকালীন অসঙ্গতি, সামাজিক অথবা রাজনৈতিক প্রসঙ্গ অনেকের মতো দুলালও ব্যবহার করেন।… লক্ষণীয়, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল বাংলা কবিতার তিনটি ছন্দই কাজে লাগিয়েছেন’।
ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল
১৬ জানুয়ারি ১৯৮৬, সাপ্তাহিক পূর্বাণী, ঢাকা।
নামের সাথে সাথে মাহমুদ থাকলেই আল মাহমুদ হওয়া যায় না। তবে তোমার কবিতায় কোনও কোনও পংক্তি মনে দাগ কাটে, তা স্বীকার করতেই হবে। যেমন, ‘পচে যাচ্ছে চুল, পচে যাচ্ছে নখ’… এই পচন জীব-জড়কেও ছাড়িয়ে যায় এবং এই উচ্চারণ মারফতী তত্ত্বের ইঙ্গিত দেয়।
আল মাহমুদ
(আল মাহমুদের চিঠি থেকে) ৬ জুন ১৯৮৭
‘সত্তর দশকের শেষ দিকে যে ক’জন কবি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তাদের মধ্যে নাসিমা ও দুলাল অন্যতম। দুলালের কবিতায় সময় ও সমাজের চিত্র চমৎকার…। শৈল্পিক নানন্দনিকতায় পাঠককে আকৃষ্ঠ করে, মুগ্ধ করে’।
আবদুল মান্নান সৈয়দ
তবু কেউ কারো নই-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ॥ ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫, ঢাকা
‘সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে। রাজনীতি সচেতন এই সমকালের অসঙ্গতি ও অন্যায়কে প্রতিবাদী ভাষায় না বলে ঠাট্টা, বিদ্রুপ, হাল্কা চালে ক্ষত- বিক্ষত করতে নিপুণ। বাংলা কবিতায় তাঁর মেজাজের কবি তারাপদ রায় সম্ভবত…
বিষয় যেহেতু আলাদা, ভাষা ব্যবহারে স্নিগ্ধ হওয়ার চেষ্টাও চোখে পড়ে… তরতর করে এগিয়ে গেছি সরল প্ররোচণায় কবির হাতের গুণে এই কবিতাগুলির জয় সেখানেই’।
সিকদার আমিনুল হক
জুন ২০০২, সুবর্ণরেখা, দৈনিক আজকের কাগজ, ঢাকা
‘কৈশোর, স্বপ্ন, আশা, অভিমান, আত্মনির্যাতন, সৌন্দর্য, ক্রোধ, দেশপ্রেম ধরে রেখেছেন, রাখতে চেয়েছেন সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থেই, যার নাম ‘তৃষ্ণার্ত জলপরী’। নামটিই ভড়কে যাওয়ার মতো। যিনি জলে থাকেন তিনি তৃষ্ণার্ত, তিনি মানবী নন, পরী বোঝা যায় শব্দের অর্থকে তিনি মুক্তি দিতে চান, শব্দকে দিয়ে বাড়তি অর্থ আদায় করে নিতে চান।
আসাদ চৌধুরী
১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩, সাপ্তাহিক পূর্বাণী, ঢাকা
‘দুলালের কবিতা দুর্বোধ্য তা হয়তো বলা যাবে না। কেননা, তাঁর কবিতার অর্থব্যঞ্জনা, উপমা-উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্প এবং প্রতিচিত্রেরও কোনো অভাব নেই। তাছাড়া সমাজ, কাল, দেশ এবং বিশ্বপরিস্থিতি তাঁর কবিতায় উঠে এসেছে অবলীলায়। তবে তাঁর কবিতা পাঠের সময় পাঠকের গভীর মনোযোগ দরকার পড়বে। যেহেতু এগুলো একেবারে ভিন্ন স্বাদের কবিতা। অনেকের কাছে হয়তো তা দুর্বোধ্য ঠেকবে, সন্দেহ করি না। কারণ তাঁর কবিতায় রয়েছে সুপ্রচুর সান্ধ-ভাষা, যা আধুনিক কবিতার একটি লক্ষণ’।
তিতাশ চৌধুরী
৩ জুন ’০৫, সাপ্তাহিক পূর্বাণী
‘রাজনীতিমনস্কতা প্রতিবাদী উচ্চারণ বিশেষভাবে চোখে পড়ে- ‘দাহ’ ‘বাহ্ কি চমৎকার বাজে কথা’ আর ক’টা দিন সবুর করো’ প্রভৃতি কবিতায়। …প্রধান সুর হল, স্নিগ্ধ কোমল উষ্ণ মধুর রোমান্টিক ভালোবাসার।
… তবে প্রেম বিষয়ক কবিতাগুলিতেও দুলাল সচেতনভাবে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছেন, প্রায়ই ব্যবহার করেছেন ড্রামাটিক মনোলোগের ফর্ম, কোথাও শরীরী অনুষঙ্গ এবং দেহ বন্দনাকে স্থান দিয়েছেন শৈল্পিক শোভনতার সঙ্গে।… দুলাল একঘেয়েমি ভাঙতে চেষ্টা করেছেন ছন্দ, চরণ ও স্তবকবিন্যাসের ব্যবহারের মধ্যে দিয়েও’।
কবীর চৌধুরী
ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭, প্রথমবর্ষ প্রথম সংখ্যা সূচীপত্র, ঢাকা
… who pretends to be happy but is restless, who attempts involvements but is detached by an indifferent vision, who would be very much for the common man but would not sell his own individual realizations short…. Saifullah Mahmud Dulal remainds us’ of the personalized uncommon lurking behind everything which is common. But then one should do well in remembering T S Eliot’s word as a corrective.
Shaheen Ahmed
August 23-29, 1983, The Weekly Courier, Dhaka
Dulal has travelled abroad extensively, but Britain impressed him the most and he became emotionally involved with the country, its people and the expatriate Bengalis staying there. In this he shares the same feelings that some of us have. For me personally London and Oxford are two towns that deeply satisfy me as I go about the streets watching life go by, go into bookstores, pubs and restaurants, and watch plays and cinemas. It is my great fortune that I have been able to visit these places at least once every year for the last forty years or so. The poems start with ‘Manchester’ and ends with the title poem, and every poem depicts the contemporary scene in London and elsewhere, imbued with the poet’s own personal vision and his dreams. Reading the poems here will make one homesick for England, and I would advise my readers to carry this slim volume with them, if and when they visit England, to feel the immediacy of these poems.
Mahbub Rahman Khan
4th February 2005, Daily Independent, Dhaka
। ছড়ায় ছড়ায় বরণ ।
দুলাল
পবিত্র সরকার
সাইফুল্লাহ মাহমুদ-ভাই, অবশ্য সে ‘দুলাল’ও।
আমাদের যে কত রকম শব্দমায়ায় ভুলালো !
কবিতা তার খুব মনোহর, নিজের মনের গহনে,
যা আছে তার রঙিন আভা বাঁধে কী সম্মোহনে।
আমরা ভাবি, কী করে সে, সেই সুদূরে, কানাডায়,
বসে বসে বাংলাদেশের সকলপ্রান্তে হানা দেয়।
দেশকে কেমন ছুঁয়ে থাক, দেশেই যেন বাস করে,
তার নদীতে খেয়া সে বায়, তার জমিতে চাষ করে।
তার জন্য ভালোবাসা, রাখছি বুকে জমা তো,
হাতে তুলে ফুল দিইনি, সেজন্যে চাই ক্ষমা তো !
==
কবি
লুৎফর রহমান রিটন
দুলাল নামের কবি
তার কবিতার চিত্রনাট্যে
অপূর্ব সব ছবি।
একের ভেতর অনেক ইমেজ
মালার ভেতর মালা
তার ভেতরে অচিন কুহক
ছড়ায় ডালপালা।
একেক ডালে একেক পাখির
অর্কেস্টার ঠোঁটে
রোজ প্রতিদিন অবিশ্রান্ত
মুগ্ধ কুসুম ফোটে!
==
এসএমডি V বিএ
সৈয়দ আল ফারুক
বাংলা একাডেমি থেকে
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
পুরস্কারের কথা বলায়
রেগেছে সাইফুল্লাহ
‘হাসান যখন নিয়েছে… তা
নিতে পারতো দুলালও
প্রবাসী কী! প্রশ্ন তুলে
কেন যে গাল ফুলালো!’
একাডেমির কপালে হাত :
‘পুরস্কারের আশায়
দূর প্রবাসে লেখকেরা
গোপনে বুক ভাসায়।
অথচ সব ফালতু বলে
প্রশ্ন কী যে তুললা
নিলে না নিলে না তুমি
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ!’
‘কে প্রবাসী? কে মূলধারার?
বলবো আমি কী আর কী’
দুলাল বলে : পুরস্কারের
নামে এ কোন ইয়ার্কি!
==
দোস্ত
দীপ মুখোপাধ্যায়
শরীরটা তাঁর টরোন্টোতে
মন রয়েছে ঢাকায়
কলকাতাতেও কাব্য খোঁজেন
একটু ফাঁকায় ফাঁকায়।
থাকেন তিনি ভাবনাজালে
শব্দে বাঁধেন ঘর
দুলাল মানেই চির সবুজ
কাব্য কারিগর।
প্রবন্ধ আর নিবন্ধতেও
দক্ষতা তাঁর জানি
জন্মদিনের দাওয়াতে কই
কাচ্চি বিরিয়ানি?
==
জয়তু দুলাল, দুলাল ভাই
সারওয়ার-উল-ইসলাম
টরন্টোতে কবির শরীর
বাংলাদেশে মন,
পড়ে থাকে দেশের কথাই
ভাবে সারাক্ষণ।
মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু
বাঁধা একই সুতায়
খুনি-নূরের বাড়ির ফটক
পাচ্ছে শোভা জুতায়।
কে ঝোলালো ঘৃণায় জুতা
জানেন আপনি কে তা?
তাঁর লেখাতেই সন্মানিত
আমার জাতির পিতা।
সাইফুল্লাহ মাহমুদ আগে
দুলাল নামটি পরে,
কবিতাকে নতুন ফর্মে
প্রতিদিনই গড়ে।
==
দুলাল ভাই
আমীরুল ইসলাম
দুলাল মানে ঘোড়সওয়ার
আমীরুল ইসলাম
তার কবিতা নতুন ধারার
আপোষ তিনি জানেন না।নতুন নতুন বাক্যবন্ধে
নতুন শব্দ- চয়ণে
তার কবিতা নদীর মতো
স্বপনে আর শয়নে।বঙ্গবন্ধু প্রেমিক তিনি
বিশাল শ্রদ্ধা- ভক্তি
তীব্র দেশপ্রেমিক তিনি
মনে অনেক শক্তি।প্রতিবাদের প্রতীক তিনি
যে কোনো উপলক্ষে
ভয় পান না বুলেট বোমা
থাকেন ন্যায়ের পক্ষে।দুলাল মানে সংগ্রামী এক-
সফল পরিত্রাতা
দুলাল মানে শুদ্ধ কবি
দুলাল আমার ভ্রাতা।
==
কবি দুলাল একটাই
[সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল কবিবরেষু]
ফারুক নওয়াজ
লেখার ধরন ভিন্নরকম ভাবনাও তার ভিন্ন
শব্দচয়ন ব্যঞ্জনাতে স্বকীয়তার চিহ্ন।…
যায় সহজে পৃথক করা হাজার জনের মধ্যে…
গদ্যে যেমন দক্ষ লেখক তেমনি গুরু পদ্যে।
তার কবিতা কথার জাদু মন ছুঁয়ে যায় পড়লে…
পড়তে পড়তে টের পাবে না গাছের পাতা নড়লে।
দূর-প্রবাসে বসত তবু দেশকে ভাবেন নিত্য …
দেশের মাটি দেশের হাওয়া জড়িয়ে রাখে চিত্ত।
পান সুরভী ফুটলে দেশে সাঁঝমালতি, জুঁইটা
স্বদেশপ্রেমী এমন কবি তার মতো নাই দুইটা।
ভাবের কবি বাবরি দোলায়, আমলা কবি নেকটাই…
সাচ্চা কবি— কবি দুলাল ; দুলাল আছে একটাই!
ঢাকা : ৩০.০৫.২০২৩
==
ছড়া
রাশেদ রউফ
বাংলা ভাষার লেখার রাজ্যে
সবুজ রাজকুমার
আলোয় আলোয় গড়েন ভুবন,
তাড়ান অন্ধকার।
তিনি আছেন ভাষার মাঝে
এগিয়ে যাওয়ার আশার মাঝে
সকল ভালোবাসার মাঝে
স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান
ছড়া-কবিতায়-
ডাক দিয়ে যায় পংক্তিগুলো
আয়রে আয়রে আয়!
দুলাল নামের কবি-
ছন্দ-ছড়ায় কেবল আঁকেন
বাংলাদেশের ছবি।
==
ছড়া
উৎপলকান্তি বড়ুয়া
দেশ-প্রীতির বাঁধ ভাঙা স্রোত
সুরের নদী ছোটা,
প্রেম সাহসে ছড়িয়ে সুবাস
রঙিন হয়ে ওঠা!
টরন্টোতে সুরের কোকিল
বসন্ত দিন হাওয়া,
বাংলাদেশে যমুনার জল
সেচে মানিক পাওয়া।
মায়ার দুলাল ছায়ার সাথী
মাটির সবুজ ঘ্রাণ,
সৃজন ধারার গতির স্রোতে
সচেষ্ট আপ্রাণ!
কথার কলি নন্দিত হয়
ছন্দিত তাঁর ঠোঁটে,
কাব্যকলার গুণ-গরিমায়
মুগ্ধ গোলাপ ফোটে
==
ছড়া
তপন বাগচী
‘দুলাল’ মানে মধুর ধ্বনি
কী মায়াময় আদুরে,
কাব্য ছড়া নাটক গানে
দেখায় কত যাদু রে!!!
জামালপুরের ছেলে তিনি
ছিলেন শহর ঢাকায়
এখন আবার কানাডাতে
লেখার গাড়ি হাঁকায়।
মা, মাটি ও দেশের কথা
এবং মুক্তিযুদ্ধ
তাঁর কলমে জায়গা পেয়ে
হয় যে পরিশুদ্ধ।
লেখার বিশাল আকাশ জুড়ে
বঙ্গবন্ধু আছেন
দেশের জন্য ভাবেন তিনি
আর কিছু না যাচেন।
সাইফুল্লাহ মাহমুদ যে নাম
দুলাল আছে অন্ত্যে
তাঁকে খুঁজে পা্ই যে আমি
গদ্যপদ্য গ্রন্থে।
==
কবি
অজয় দাশগুপ্ত
কবি কি আর সবাই?
এখন অনেক কবি-ই করে
শব্দ বাক্য জবাই।
বৈদেশেতে বসত তবু
অন্তরে দেশ, টান
তার কবিতায় ভালোবাসা
সুরে যেমন গান।
সুদূর থেকে উড়িয়ে আসেন
কাব্য তরীর পাল
ভালো থাকুন জন্মদিনে
সাইফুল্লাহ দুলাল।
==
ছড়া
বদরুল বোরহান
খটমটে খুব
কিন্তু যে তার কবিতায়,
ভিন্ন স্বাদে
মাত্রা পেয়ে
কাব্যসুধা গতি পায়।
দুলাল কবি
রবির ছবি
কাব্যজগত অতিকায়,
ছন্দ-জ্ঞানে
মাত্রা আনে
মার্জিত বৈচিত্রতায়।
প্রিয় তিনি
ভালোই চিনি
নন্দ দুলাল কবিকে,
দেখতে পারি
বুঝতে পারি
কবিমনের ছবিকে।
ছড়া
মোস্তাফিজুল হক
মৃগীর তীরে দিন কেটেছে
কী আনন্দে হেসে,
মুক্তডানার সুরের পাখি
বলতে পারো, কে সে?গান, কবিতা লিখেন তিনি
আঁকেন দেশের ছবি,
উদারমনা দেশপ্রেমী এক
বাংলাদেশের কবি!জাতির পিতা মুক্তিযুদ্ধ
তাঁর কলমে জাগে,
জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই
পরম অনুরাগে।
ছড়া
শিরিন রোজা
মোটেই তিনি (দূর)দেশী নন
বিদেশ থাকেন বলে,
চাঁদের মতো হৃদয়টা তাঁর
বাংলাদেশে জ্বলে।
তাঁর কবিতার কুসুম ডালা
মুগ্ধ করে মন;
(তাহার) সাথে বর্ণমালা
করে আলিঙ্গন।
সব্যসাচী এক জাদুকর
যার স্বর্গ সুষমার।
সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল তিনি
বাংলার অহংকার।
==
ছড়া
সালেহ আহমেদ
এই দুলালে
মন ভুলালে
কবিতা লিখে
চাম চিকে
হয় নি সে
নিরুদ্দেশে
কবিতার শিষে
বাড়ি তার
জন্মদিন তার
ভালোবাসার
ভারে,হোক ভার
দিলাম পুরষ্কার।
ছড়া
জলিল আহমেদ
আধুনিকের অধুনা যে নিত্য নতুন সাজদানে
বক্তব্যে ব্যক্তি মানস সব সময়ই স্বাতন্ত্র্য
কাব্যকলায় ব্যতিক্রমে লুক্কিয়ে ম-হামন্ত্র।
দূর দেশে আজ ঠাঁই নিয়েছেন মৃদু অভিমান করে
তাও স্বদেশের সাহিত্যস্বাদ যাচ্ছেনই যে দান করে
তাঁর কবিতার শব্দগুলি নিত্যনতুন স্বাদ ভরা
বিষয়াশয় সব মিলিয়ে পাঠককে উম্মাদ করা।
বেঁচে থাকুন হাজার বছর বাঁচবেনইতো কাজ দিয়ে
জন্মদিনে তাই তাঁহাকে যাই কবিতার তাজ দিয়ে।
ছড়া
মোশাররফ হোসেন
দুলাল নামের কবি
বোঝেন তিনি সবই
কবিতা ভাঙেন
কবিতা গড়েন
নতুন ছাঁচে ঢেলে
কবিতা তিনি ঘুম পাড়ান
দোলনা ঠেলে ঠেলে।
কবিতার মাঝে
মুক্তা বসান
খুব যত্ন করে
অবলিলায় সাজিয়ে দেন
শব্দ থরে থরে।
==
ছড়া
ইমরান পরশ
দুলাল এখন ঢাকা ছেড়ে
টরন্টোতে থাকেন
বাংলাদেশের আলো বাতাস
গায়ে তিনি মাখেন।
বঙ্গবন্ধু প্রেমিক তিনি
মুক্তিযুদ্ধ বুকে
তার কবিতা গোলাপ হয়ে
ফোটায় হাসি মুখে।
বাংলাদেশের জন্য যে তার
কান্দে মনোপ্রাণ
সুযোগ পেলেই নিতে আসেন
কুমড়ো ফুলের ঘ্রাণ।
আজকে নাকি দুলাল ভাইয়ের
জন্ম নেবার দিন
এমনি করেই মুখে হাসি
থাকুক অমলিন।