অপেক্ষা
ড. নাঈমা খানম
ভালোবাসা বড় একরোখা, কঠিন অভিমানী,
রাতজাগা, শব্দহীন নিথরতা বুকে বেঁধে
একা আমি বয়ে বেড়াই সে যাতনা –
অপেক্ষারা বড় বেরসিক, ক্রমাগত কষ্ট দিতে থাকে!
স্তব্ধতা ভেদ করে কোথায় যেন সুর শুনতে পাই,
স্পষ্ট, ক্রমশ গভীরে -আমার বুকের ভেতর
কেমন মুচড়ে উঠে!
তুমি আসো আমার আঙিনায় প্রতি রাতে
চাঁদ যখন নিখোঁজ হতে হতে পাটে উঠে –
তুমি হাসো ভরাট কণ্ঠে ,
আমার পৃথিবী সগৌরবে লুটোপুটি খায়
নীলস্নানে স্নাত হয় মুগ্ধ জ্যোৎস্নারাত
তুমি বাঁধো গান হেসে আর খেলে-
কোমরে বিছাও হাত, আমি দুলি তার তালে
তাল,লয় নিয়ে স্বপ্নেরা হয় বিভোর।
ভোলাও তুমি কি দিয়ে সখা, আমারে ভোলাও?
মান-অভিমান, কষ্ট-ব্যথা সব যাই ভুলে
আমার দগ্ধ ক্ষত সারাতে তুমি
কর কত শত আয়োজন,
স্তম্ভিত, অভিমানী এই আমি হয়ে যাই অভিভূত !
ভালোবাসার তীব্রতায় তোমার কাছে
হার মানে আমার অস্থিরতা।
কাছে কিংবা দূরে, সম্ভোগের হাতছানি!
আচমকা ঘুম ভাঙে-স্বপ্নেরা দেখি বহু দূর…
তুমি নেই কাছে, তবু বেঁচে আছি।
বেদনায় আহত বুনো কবুতরের মতো ডানা করি ছটফট
হৃদয় বিছায়ে রাখি, নিঃশ্বাসে তোমারে খুঁজি
জানি তুমি ফিরবেই একদিন ।