“মনের যন্ত্রণা” রাবেয়া আহমেদ চামেলী একাকীত্ব হচ্ছে জীবনের চলমান নির্জনতা। যারা এই কষ্টের মধ্যে নিজেেকে অতি বাহিত করছে। তারাই শুধু মনের গহিনে অশ্রু ঝড়াচ্ছে নিঃসঙ্গতা মনকে ব্যথার সাগরে ঘুরাচ্ছে। বলে দাও আমরা কোথায় গেলে শান্তি পাবো তুমি আমি সবাই একই অনুভবের সাক্ষী যন্ত্রনা, কষ্ট, সহিষ্ণুতা সবই যেন আমাদের অনুভবে পথের যাত্রী। এই ভাবনায় কেউ নেই সাথী তাই তো জীবনের আলো নিভে যাচ্ছে। মনের গহিনে এক কষ্টের ঝড় বইছে। সব সময় কিভাবে মনটায় বাঁধনে রাখছে। ছিন্ন বিনা কি আজ ও বেজে উঠছে। অনেকের জীবনের যবনিকাপাত হওয়ার আগেই মন থেকে দূরে হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও বলবো মনের নিঃসঙ্গতা, নীরবতা কাটিয়ে চলমান গতিধারার পথে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
সময়ের কাটা মোসাঃ উম্মে জহুরা সময়ের কাটা টা বড্ড বেদনার কখনো কাদায়,কখনো হাসায় কখনো পরম আনন্দে কাটায়। কখনো ভাবায়, কখনো অন্তর ফাটায়। কাটার খোচায় খচ খচ করে শব্দ ফাটায় অবিরাম।। নিয়ম নীতি করে চলমান জীবন যাপন হয়না কখনো চলা তবুওতো জীবন থেমে থাকে না কারোর জন্য কাটার মতো চলতে থাকে….. থেমে থেমে চলা এ বড়ো বেদনাদায়ক কষ্ট দায়ক, সব কথা হয় না বলা তবুও জীবন কাটার মতো চলা।। জীবন খাতার শূন্য হিসাব টুকু আর নাইবা হলো করা। থাকনা এভাবেই চলুক না। হঠাৎ থমকে যাবে জীবনের কাটা তাতে কার বা কি আসে যাবে।।
সুবাসিত চন্দন কাঠের আদর্শ। ।। শেখর সিরাজ।। কোথায় গেলে পাইবো ভাতের নিশ্চয়তা? কোথায় গেলে পাওয়া যাইবে পাখিদের মতো ঘুমের অভয়ারণ্য? ভাতের নিশ্চয়তা আর ঘুমের নিরাপত্তা আমার মতো ছাপোষা গরীব মানুষের ব্যাংক ব্যালেন্স। পাখি হইয়া জন্মাইলে চিন্তা ছিল না ভাত ও ঘুমের। মানুষ হইয়া জন্মাইয়া পড়ছি বিপাকে, চার আঙ্গুলের কপালে খালি পড়ে চিন্তার ভাঁজ। দিন যায় শরীর চামড়ার বলিরেখা স্বচ্ছ জলের মতো স্পষ্ট হতে থাকে। স্পষ্ট হতে থাকে ফাল্গুন মাসের আগুন জ্বালানো বাজার দরের উত্তাপ। সবজি, আলু, পটলের দামের সাথে মিলাইতে পারি না পকেটের হিসাব, মিলে নাই কোনোদিন তেল আর জলের দ্রবণ- পানকৌড়ি পাখির মতো ডুব সাঁতার দিয়ে শূন্য হাতে ফিরে…
সময়ের খেয়া যুথিকা বড়ুয়া ভোরে শিশির স্নানে মগ্ন থাকে পাতা মানুষ থাকে অশ্রুস্নানে লয়ে হ্রদয়ের যতো ব্যথা। রোদ এসে ঢেলে দ্যায় অখন্ড মায়া কোনোখানে জ্বলে আলো আর কোনোখানে ছায়া। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির মাঝে রঙ্গীন স্বপ্নগুলো আজও চোখে ভাসে খুঁজি ফিরি চাহিবারে তারে গভীর রাতে যখন নিঝুম নীরবতা আমার কাছে আসে থাকলে কাছে অনাদর ও অবহেলা একটু দূরে গেলেই যতো হৈ চৈ আবার জোকের মতোও কামড়ে ধরার মানুষ অনেক কিন্তু স্নেহ দিয়ে বুকে আগলে রাখার মানুষ কোথাও নেই। দিন আসে দিন চলে যায় সময়ের স্রোতে কত কিছু যে হারায় শুধু রয়ে যায় তার স্মৃতি গেথে রয় হ্রদয় নামক ফ্রেমে তার অনুভূতি…
সাম্যের ডাক খায়রুল ইসলাম মামুন আজ ভিজে যায় ডায়রির পাতা ঝরে পড়া আাঁখি জলে। এ যেন মৃত্যূর প্রতিযোগিতা এক অথবা বেঁচে যাওয়া ভাগ্যবলে। এখানে ওখানে লাশ আর লাশ আধমরা মানব দেহ। হাশরের মাঠ পৃথিবী আজিকে মনে হয় কারো নয় কেহ। মানবতা যখন ডুকরে কেঁদেছে চেয়েছে পরিত্রাণ উপহাস করে তাড়িয়ে দিয়েছো দুয়ারের ভগবান। কেন তবে আজ তাহার কাছে ক্ষমা চাও অহর্নিশ? কেনইবা তারে বিরক্ত কর অযথা করিয়া কুর্ণিশ। যাও ফিরে যাও মানুষের কাছে যাহারা গরীব দ্বীন। ফিরিয়ে দাও তাদের অধিকার শোধ করে দাও যত ঋণ। এসেছে ‘করোনা’ আসিবে আরো ঠেকাবে কী দিয়ে? তোমাদের দীপ অতি দূর্বল নেভাবে শ’তান ফুঁ দিয়ে। মন্দিরে…
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, রংপুর জেলা কমিটি গঠন: সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, রংপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত। সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মুকুল। কমিটির অন্য সদস্যগণ- সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন চাঁদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা সুশান্ত চন্দ্র খান, মনোয়ারা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শাহ সুলতান তালুকদার, মোতাব্বের হোসেন টমাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা সাকিল, কোষাধ্যক্ষ এএসএম হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক বীথি রানী সরকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাহিনা সুলতানা, প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন, সহপ্রচার সম্পাদক লাবনী ইয়াসমীন লুনি, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হাসনা চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেজিনা সাফরিন, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রবীন জাকারিয়া, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নীল…
ভালোবাসার গহীনে তসলিমা হাসান তুমি- আমি অভিন্ন সত্তা মতের মিল কিংবা অমিল সেটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া! অহেতুক উপচে পড়া জলেই যতই হোক অনাসৃষ্টি। বন্যার আশঙ্কায় ক্রমশ জল বৃদ্ধি! কুলহারা মানুষগুলো আশ্রয় খোঁজে নিরাপদ আধারে। আমিও তেমনি আশ্রয় খুঁজি তোমার ভালোবাসার গহীনে! যা আমার বসত ভিটা। তসলিমা হাসান কানাডা, ০১-০৪-২০২৩
ভাবনাটা কি বাড়াবাড়ি রহিমা আক্তার লিলি কি যেন এক আশঙ্কাতে হৃদয় পোড়ে মিছেমিছি। তুমি আছো,আমি আছি, তারপরেও কী যেন নেই! কাছাকাছি। প্রেম আছেতো! যেমন ছিল পাশাপাশি? ভালোবাসা! তবে কেনো চোখের কোণে বৃষ্টি নামে হরহামেশা! অন্ধকারে বসে থাকি শুধু শুধু মুখোমুখি, হয় কি দেখা! হৃদয় খুলে চোখোচুখি! ঘুণ পোকাটা মাথার ভেতর করছে কি যে কাটাকাটি, রাতারাতি বাড়ছে কেমন ভিন্ন পথে হাঁটাহাঁটি। দূরত্বটা বাড়লো নাকি তাড়াতাড়ি! ভাবনাটা কি বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি?
বই পড়া আবদুল খালেক বই পড়া শুরু আমার ছোটো বেলা হতে ছাড়তে পারিনি তা আজও কোনোমতে। পাঠ্যবই ফেলে রেখে পড়তাম গল্পের বই রাগ করেনি কেউ, কারণ ক্লাসে প্রথম হই। উপন্যাস পড়া শুরু সেই ছোটো বেলায় পাঠ্যবই পড়া শেষ করতাম অবহেলায়। হাই স্কুলে উঠে পড়ি বিশ্ব সাহিত্যের বই পথের পাঁচালী পড়ে বইয়ের ভক্ত হই। আরণ্যক, দৃষ্টি প্রদীপ, আরও কত পড়া মাসুদ রানাও বাদ যায়নি পড়ে শেষ করা। চোখের বালি, দত্তা, মহাযুদ্ধের ঘোড়া মানিক, আশুতোষ, নিমাই, থোড়া থোড়া। নন্দিত নরকে পড়ে হুমায়ূন আহমেদ শুরু তিনি তখন ছিলেন আমার ভার্সিটির গুরু। হিমু ও মিসির আলি পড়ে শেষ করি তারপর পড়া ছেড়ে লেখায় কলম…
ফিরে আসা জেরিন বিনতে জয়নাল আমি চাতকের ন্যায় অপেক্ষায় ছিলাম, তুমি বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিলে। আমি গান শোনানোর আবদার করলাম তুমি টিনের চালে সুর তুললে। আধারের মাঝে উজ্জ্বল আকাশ দেখতে চাইলাম তুমি বজ্র হয়ে জ্বলে উঠলে। আমি বিষন্ন হয়ে বসেছিলাম, তুমি প্রকৃতিকে জাগিয়ে তুললে। আমি শহুরে কোলাহলে বিরক্ত তুমি সেই কোলাহল থামিয়ে দিলে। আমি কিছুক্ষণ একা থাকতে চেয়েছিলাম তুমি সব হতাশাকে দূরে ঠেলে দিলে। আমি ক্লান্ত চোখে আকাশ পানে চাইলাম তুমি স্নিগ্ধ পবনে ক্লান্তি দূর করলে। আমি এক মুঠো ভালোবাসার কথা বললাম তুমি মুচকি হেসে অন্য পথে চললে। পিছন ফিরে আমায় তুমি বললে, ভয় নেই, ফিরে আসবো আবার মনে পড়লে।
