শব্দ সৈনিকের করুণ অপেক্ষা দিলু রোকিবা ১০জুলাই,১৯৭১ সন। বর্ষায় সব কিছু পানিতে ভিজে গেছে, কিন্তু জীবন থেমে থাকার না। মনে মনে বুঝতে পারছে কমল সে সত্যিকার অর্থেই একজন প্রতিবাদী লড়াকু সৈনিক হয়ে উঠছে মনের অজান্তেই সীমান্তের ওপারে পৌঁছানোর ঠিক শেষ মুহূর্তে কমল কেন যেন ফিরে আসতে চাইলো!! মনে কু ডেকে উঠছে কেন জানি! হঠাৎ মমতাময়ী মার আকুতি ভরা অনুরোধ এই পথে আসার বাঁধা ছিল ঐ মুহূর্তে। বড়ো আপুর শক্ত দুটি হাত দিয়ে কমলের দূটি হাত ধরে রেখেছিল,তুই যাসনে কমল। এমনিতেই বাবাকে হারানোর আতঙ্ক ও ভয় ওকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করছে। এই অদৃশ্য ভয়কে কমল আর বাড়িয়ে তুলতে চায়না কখনোই। একমাত্র ছোট্ট…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
অনুভূতি ও আবেগের কথা তাসরীনা শিখা। আপনি কি কাউকে খুঁজছেন হৃদয়ে জমে থাকা আপনার আবেগ, অনুভূতি , ভালোলাগা- মন্দলাগা, ফেলে আসা জীবনের মধুর স্মৃতিগুলো মন উজাড় করে বলতে। বলতে বলতে ভারী মনটাকে হালকা করে তুলতে? পেয়েছেন কাউকে? না পাননি। পাবেনও না। কাকে বলবেন আপনার মনে জমে থাকা কথাগুলো ? ছেলে মেয়েকে? যাদের আপনি আদর যত্ন, ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন। যাদের আবদার- সখ আহালাদ পুরন করেছেন খুশী মনে। অসুস্থ হলে সারারাত জেগে কাটিয়েছেন তাদের পাশে। যাদের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় আপনি জায়নামাজ নিয়ে বসেছেন তাদের পরীক্ষা যেনো ভালো হয় সে দোয়া চেয়ে। যাদের পড়াশুনা শিখিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছেন নিজেদের অনেক…
কবিতার রঙমহল সাঈদা আজিজ চৌধুরী সৃজন আনন্দ জলদ মৃদঙ্গ প্রাণের তরুণ অরুণ রস আমার আগমন কবিতার রঙমহলে অনন্য শুভাশিস সন্চারিত সুরের বৈভব মহামৌনী অলৌকিক দৈবলোক উষ্ণ হৃদয় শব্দের তরঙ্গ উচ্ছ্বাস সৃজনের দিবালোক। ঝড়ের ঝাপটার মতো ঝন্জাবায়ূ শিল্পস্রষ্টা অনুজীব বনজ পুষ্প পল্লবে শৌখিন হরিণী কবিতার তৃষ্ণা অনুভব মহানন্দ কাব্যস্রোত সৃজন প্রলয় অনন্য কানন অলৌকিক প্রেমের ধাবমান চমক বাঙ্ময় অম্লান। শব্দের উল্লাসে প্রাগৈতিহাসিক আদি প্রেমের জয়গান কাব্যের দেহে ছন্দের নূপুর নৃত্যকলা পার্বত্য রমণী যেনো পরম আনন্দে পাহাড়ের গায় জুম চাষী নিটোল হরিণী রবীন্দ্র নজরুল জীবানন্দ জসীম উদ্দিন কবিতার তীর্থ ভূমি। চির যৌবনা গ্রন্থাবলী পূর্ণিমার শীতল স্রোতস্বিনী ওয়ার্ডস ওয়ার্থ মিল্টন বায়রন কীটস নীল…
প্রকৃতির সৌন্দর্য রাবেয়া আহমেদ চামেলী প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টিকর্তার তিনি হচ্ছে এক বিশাল পৃথিবীর নির্মাতা। তার প্রকৃতির সৃষ্টির মাধুর্যতা, সত্যি মন চলে যায় মুগ্ধতায়। তার বিশাল সৌন্দর্যের কীর্তি। প্রকৃতি যেন বহন করে মনোরম স্মৃতি। এখানে মনের নেই কোন দুর্গতি। শুধু আছে ভালবাসার বন্ধনের প্রীতি। সবুজ শ্যামল শান্তিময় প্রকৃতি প্রকৃতিতে নেই কোন নিয়মের রীতি। আমরাই সৃষ্টি করি দুর্গতি। নষ্ট হয়ে যায় জীবন চলার ভাবমূর্তি। প্রকাশ করা উচিত সুন্দর সুন্দর অভিব্যক্তি। মানুষের নেই পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি। মহান আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবেসে প্রকাশ করো কৃতজ্ঞতা সৃষ্টির প্রতি। তাতে অনুভব করবো শান্তি ও মহা তৃপ্তি। London, UK
ভালোবাসার ছাড়পত্র। সুরমা খন্দকার বড় আপার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল দুপুরে।শুভ্র সেই কাক ডাকা ভোরে বের হয়েছে। প্রতিদিন সকালটা শুভ্র কে নতুন উদ্যোমে বাঁচিয়ে রাখার স্বপ্ন দেখায়। শুভ্র মনে করে প্রতি টি সকাল কত মিষ্টি বায়ু স্নিগ্ধ আলো নিয়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়। প্রত্যেকটি সকাল বেঁচে থাকার কত হাজার উপাদান দিয়ে, রাশি রাশি অক্সিজেন দিয়ে পৃথিবীর মানুষকে কৃতজ্ঞ করছে। ভোরে উঠে শুভ্র প্রাতঃকালীন কাজ কর্ম সেরে হেঁটে হেঁটে উপাসনালয়ে যায়। ভোরের নির্মল বাতাস শীতল করে দেয় শুভ্রর মন প্রাণ। স্রষ্টার প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতায় শুভ্র ভরে উঠে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে, শুভ্র এই এলো বলে বড় আফার বাসায়। কি রে এই সময়…
পাথর চাপা কপাল অমি রেজা পাথর চাপা কপাল যেন- সোনা ভেবে হাত বাড়ালে ছাই হয়ে ঝরে পড়ে। পাথর চাপা কপাল কেন? ভালো ভেবে কাছে গেলে মন্দ হয়ে ফিরে তবে। পাথর চাপা কপাল যেন আলো ভেবে ছুঁইতে গেলে অন্ধকারে হারায় যেয়ে। পাথর চাপা কপাল এমন ভালোবাসায় হারাই যখন, মন্দবাসা মিলায় তখন। পাথর চাপা কপাল যেমন সুন্দর পানে তাকাই যখন অসুন্দর ডানা মেলে উড়ে তখন। পাথর চাপা কপাল কেন? সুখের আশা বৃথাই তবে দুঃখ বুকে বাধাই যেন।
আঁধারের প্রহেলিকা জহিরুল হক বিদ্যুৎ চারিদিকে আলো তবু আঁধারের নগ্নতা বিশ্বাসের নাট্যমঞ্চে অবিশ্বাসের নগ্নতা। সভ্যতার কোমর ধরে তা-ধিন তা-ধিন নাচে মদিরার কুটচালে আদিম যুগের নগ্নতা। নির্লজ্জ এ্যানাকোন্ডার চোখে মাংসের ক্ষুধা চেটেপুটে খায় রক্তের শেষ চিহ্নটুকু। অদেখা কুয়াচ্ছন্ন দিগন্তের ওপারে জীবনকে বিরতিহীন টেনে নেয়া যায় না, ওখানে লেখা হয় মানুষের বন্দি ও মুক্তি। মানুষ কী সত্যিই ভুলে গেছে ঘৃণা ও ভালোবাসার মধ্যে তফাৎ কতটুকু? তফাৎ কতটুকু আলো ও আঁধারের মধ্যে? আকাশ ও দিগন্ত মিশে থাকে এক পটে তবু পার্থক্য গড়ে দেয় বিশাল শূন্যতা। যে সময়কে ভালো কিছু উপঢৌকন দেয় সময় তার জন্য লিখে যায় অমর কবিতা।
বিবর্ণ স্বপ্ন। কবিতা। জান্নাত সীমা। প্রতিবিম্ব প্রকাশ। বিবর্ণ স্বপ্ন জান্নাত সীমা যদি পথে হারাই, পথ থেমে যাবে হঠাৎ জমে যাবে সিন্ধুর লোনা জল নির্বাক পাহাড় পাথর হয়ে যাবে সবুজে কঠিন আগ্নেয় শিলা! যদি ডানা মেলি, উড়তে চাই ফিকে হবে মাছরাঙার মখমল শরীর ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় ছেয়ে যাবে আকাশ পথ হারাবে মহাকাশগামী মহাযান। দিনের দ্বিভাগে এসে যদি পড়তে চাই পৃথিবীর পুরোনো সেই পান্ডুলিপি, এখানে আলো এসে থেকে যাবে ছাদের শেষ মাথায়, কোনো মধ্যদুপুরে রুপান্তরিত কাক ডানা ঝাপটে বসবে বিবর্ণ রেলিংয়ের ধার ঘেঁষে। এখানে ভালোবাসা প্রাগৈতিহাসিক শ্যাওলায় ঢাকা যেন জীবন্ত ফসিল যুগ যুগ ধরে ল্যাবে বন্দি কষ্টের এসিডে ডোবা নীল লিটমাস পেপার। এখানে…
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোরশেদ মারা গেছেন: বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরের পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি ও রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। পরে ভাষাবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আবুল কালাম…
প্রতীক নীপা খান সেদিন দাঁড়িয়েছিলাম পথের বাঁকে। হঠাৎ তোমার হেঁটে আসা দেখলাম দূর থেকে। বয়সের ভারে কেমন জানি ন্যুব্জ তুমি। শেষ বিকেলের আলোয় পাখিরা ঘরে ফিরছিল, রাখাল গরুর পালের তদারকিতে ব্যস্ত। আর আমি ন্যস্ত ছিলাম তোমার চোখের ভাষা পড়ায়। জিজ্ঞেস করলে না কেমন আছি? কেমন করে চলছে তুমিহীনা জীবন! জানি বুক ফাটবে তবুও বলবে না——! একসময় তুমিই যে বলতে, আমি অভিমানে সেরা। বাহ্যিক চাকচিক্যময় পৃথিবীর আহ্বানে নতুন স্পন্দনের তুমুল আগ্রাসনে সেই যে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলে! আজও আমি দাঁড়িয়ে আছি তীব্রতর অশ্রুবিসর্জনে। আমার ভাবনাগুলোর ডানা, ডালপালায় বিস্তৃত শাখা মেলে দূর দিগন্তে মিশে যায়। ফেরারি সেই অনুভুতির শিহরণ জাগানো অতীতটাকে মাটিচাপা দিতে…
