দ্রব্যমূল্য মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি চলছে অবিরাম কারণ ছাড়াই সকল পণ্যের বাড়ছে দ্বিগুণ দাম। চালের দাম, ডালের দাম শাক সবজি তেল আঙ্গুর এবং আপেল কলা দু’শো টাকায় বেল। গ্যাসের দাম,পানির দাম বাড়ছে সকল পণ্য প্রশ্ন আমার পানির দাম বাড়লো কার জন্য? আদা রসুন আলু পিঁয়াজ নিত্য লাগে সবার ইচ্ছে মত বাড়ছে দেখো মাসের মধ্যে ক’বার। আটা ময়দা পটল মরিচ রড সিমেন্টে আগুন মজুদদারের কেবল থাকে চৈত্র নয় ফাগুন। ছোট্ট শিশু তার খাদ্যেও লাফিয়ে দাম বাড়ে হৃদয় মাঝে ভীষণ কষ্ট শুধাই বলো কারে ? ওষুধ কিনে নাভিশ্বাসে গুমরে গুমরে কাঁদে ডায়গনস্টিক সেন্টারে আজ পড়ছে মানুষ ফাঁদে। মজুদদারী ফটকাবাজি বন্ধ করে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
১) ধূসরতার ক্যানভাস ব্যাথাতুর মনে কান্না জমিলে খন্ডাব তারে হেসে, মাটির মানুষ একদিন ঠিক মাটিতেই যাবো মিশে। বিশ্বাস-মোহ, প্রেম-প্রীতি, দাহ থাকে সদা যার মনে, মোহময় ঘর বেঁধেছি নিয়ত সেই বোকা জীবনেরই সনে! বালির বাঁধে রোজ রোজ গড়ি রঙ্গিণ তাসের বাড়ি, চোখের সমুখে উড়ে যায় আজও চেনা সে কাকের সারি। কঙ্কালসার এ জীবন হেসে করে যায় উপহাস, মৃত প্রায় এই পৃথিবীর বুকে এ কেমন উল্লাস! ২) জীবনের মায়াজালে মৃত্যু রহস্যময় মৃত্যু, যতবারই তোমাকে কেন্দ্র করে কৌতুহলের বলয় রচনার প্রয়াস ব্যাক্ত করি ততধিক বার মোহময় পৃথিবীর সুরধ্বনি কি ভীষণ মুগ্ধতার সহিত আমাকে সম্মোহন করে! যতটা না গতিতে তোমার কাছে যেতে চাই তার…
বাঙালিরা জাগতে জানে – খান আখতার হোসেন মনে পড়ে একযুগ আগের কথা- বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মাসিক সাহিত্য আসরে উপস্থিত মাত্র চারজন। প্রধান অতিথি মাহবুব তালুকদার ক্ষুব্ধ হননি। কারণ ঢাকা সেদিন স্থবির ছিলো ধর্মঘটে। মনে পড়ে অর্ধযুগ আগের কথা – সংস্কৃতি কেন্দ্রে সোহেল রশীদ এডিএম মনির শাহীসবুর আর আমি ঘন্টা দেড়েক চাতকীর মত ছটফট করেছি। সাহিত্য তৃষ্ণায় আগমনী বার্তা শোনায়নি সেই আড্ডায়। কারন সেদিন বৈশাখী রঙে রাঙিয়ে ছিল শাহবাগ রমনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা। লাল নীল হলুদ প্রেমময় ভাবনারা খিল এঁটে দিয়েছিলো সৃজনশীলতায়। মনে পড়ে আটাশে জুলাইয়ের মহা সমাবেশের কথা- রাজনৈতিক টানা পোড়েনে রাজধানী যখন স্থবির, মুখোমুখি অবস্থানে সাধারণ মানুষ ছিলেন আতঙ্কিত,…
মানুষ তসলিমা হাসান আবার জন্ম নিলে পাখি হয়েই জন্ম নিব তারা একসাথে দল বেঁধে উন্মুক্ত আকাশে উড়ে নেই কোনো সীমানা- বাঁধা নিষেধ, তাদের ভিতর না আছে কোনো হিংসা- অহংকার বিদ্বেষ। মানুষ থাকে শুধু পরচর্চা আর পরনিন্দাই ব্যস্ত, কে কত বড় সেটা বুঝাতেই চলে তর্ক অবিরত- এসব দেখে আমার মনটা হয় ব্যথিত। সৃষ্টির সেরা হওয়ার বড় অহংকার নিজেকে বড়ো ভেবে ভুলে যায় নম্রতা, অন্যকে ছোটো করে পায় যেন মজা। খ্যাতির বিড়ম্বনায় হারায় হিতাহিত জ্ঞান- ছোটো বড় ভুলে গিয়ে করি অপমান। সমাজের মানুষের এমন চরিত্র- দেখে মনে হয় মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়াটাই ছিল আমার বড়ই পাপ। তসলিমা হাসান কানাডা, ২৫-০৭-২০২৩
বাংলার চিরন্তন শোকগাঁথা সাঈদা আজিজ চৌধুরী (কবিতাটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধ উৎসর্গিত ) শতাব্দীর ওপারে জন্মেছিল এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ বাংলার প্রান্তর তেপান্তর টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া নক্ষত্রমন্দ্রিত আকাশ—নাম তাঁর শেখ মুজিবুর রহমান আলোকিত হল দুঃখিনী বাংলার আঁচল শ্যামল বীথি বনতল। দিনে দিনে মায়ের কোলে পরিনত হলো ব্যক্তি মানুষ এক ব্যাঘ্র তরুণ মানতে পারেনি বাংলা মায়ের নিপীড়িত মানুষের ক্রন্দন শাসন আর শোষণের মহাবলি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান গর্জে উঠল পৌরুষদীপ্ত কণ্ঠ বাঙ্গালীর ভাষা আন্দোলন। মহাপুরুষের প্রস্তর তর্জনীর ইশারা সোহরাওয়ার্দি উদ্যান কানায় কানায় ভরে উঠল সংগ্রামী ছাত্র জনতা শ্রমিক কৃষাণ কেঁপে উঠল বঙ্গোপসাগর পাহাড় অরণ্য বন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”—জাতির পিতার…
ঘাসফুল ভালোবাসা নাজনীন নিশা খুব ভোরে নীরা, আকাশকে খুব জোরে জোরে আকাশ আকাশ বলে চিৎকার করে ঘুম থেকে ডেকে তুললো ৷ আকাশ পেশায় খুব ব্যস্ত একজন ব্যবসায়ী, ব্যবসা ছাড়া তার মাথায় আর কোনোকিছুই ঘুরপাক খায় না ৷ অনেক টাকা তার কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিনগুলো সে ভুলে যায় প্রতিবছর! আজ ও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ এ নিয়ে নীরার মনে দারুন ক্ষোভ জমে আছে ৷ যদিও পরে আকাশ সেটা নীরাকে পুষিয়ে দেয় ৷ আজ নীরার জন্মদিন ! নীরা প্রতিবারের মত এবারও ভেবেছিলো আকাশ অফিস থেকে ফিরে নীরাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সারপ্রাইজ দিবে ৷ কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি ! এমনটা কখনোই হয়না…
শ্রাবণ এলে অতসী চক্রবর্তী ঠাকুর শ্রাবণ এলে মেঘ ডেকে যায় ভাঙা গড়া ঢেউয়ের কথার ছায়ায় হাসি গেলা কান্নায় শুধুই বয়ে যাওয়া ভালোবাসা চুপ করে থাকে আমি কাজলে আঁকি ঠোঁটের চুপ কথা সুখ এলে প্রদীপ জ্বলে ওঠে চোখের পাতায় জীবনের গোপন খাতা অতীতের ছায়ায় রক্তের মেশামিশি শ্রাবণ এলে পথ হাঁটা যায়।
ভালোবাসা রাবেয়া আহমেদ চামেলী স্মৃতির মাঝেই আছে ভালোবাসা। দুঃখ কষ্টের আড়ালে লুকে থাকা নিরাশা। তাই বলে ভেঙে যায় কি আশা? আনন্দ, সুখ, দুঃখ, শান্তির নেই দিশা তুমি কি দেখেছো কখনো আলোর নেশা। সদানন্দ যাত্রায় সবাই করো মেলামেশা কত নাম না জানা মানুষের কষ্টের আর্তনাদ। এক নিমিষেই সব ভেঙে যায় স্বপ্নবাস তখনই ঘটে কি জীবনের সর্বনাশ। সব কিছুর নিমিশে পাবে কি স্বর্গবাস। ও ভাগ্য তো তোমার আমার নেই। তাই তো মনের অজান্তে মানুষ কে কষ্ট দেয় কেউ কেউ। তাই তো শূন্য মনের গভীরে বইছে কষ্টের ঢেউ। আসলে কিছু মানুষ ভালবাসতেই জানে না। যদিও মানুষ জাতি ভালবাসার কাঙ্গাল মনের শুভ্রতার প্রকাশে আসে…
বিশেষ প্রতিবেদক: বালাগঞ্জ শীতলপাটি সাহিত্য পরিষদ বাংলাদেশ এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে- সাহিত্য সম্মেলন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ২৯ জুলাই, শনিবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তন (নীচতলা ভিআইপি) হলে বিকাল ২:৩০ মিনিট থেকে রাত ৮:৩০ মিনিট পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি দুটি অধিবেশনে সাজানো হয়। এতে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আআওয়ামীলীগ সিলেট মহানগর। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন লেখক, গবেষক জনাব বদরুল ইসলাম শোয়েব, রেজিস্ট্রার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন কবি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক জনাব সাইদুর রহমান সাঈদ। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন, লেখক প্রাবন্ধিক জনাব আবুল কালাম আজাদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- পার্থ সারথি চৌধুরী,…
উপমহাদেশের অমর সংগীত শিল্পী মোহাম্মদ রফির ৪৪তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই তিনি প্রয়াত হন: মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রেকর্ড করা হয়েছিলো ‘শ্যাম ফির কিউ উদাস হ্যায় দোস্ত’। এটাই তার শেষ গান। গানটি ‘আস পাস’ ছবির জন্য গেয়েছিলেন তিনি। এক সময় গান বলতেই সামনে চলে আসতো মোহাম্মদ রফি’র নাম। বলা যায়, তার সব গানই শ্রেষ্ঠ। তার ছাপ্পান্ন বছরের জীবনে সংগীত জীবন ছিলো ৩৫ বছরের। এ সময়ে ২৬ হাজারের মতো গান গেয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। মোহাম্মদ রফির জন্ম ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অমৃতসরে। মাত্র ১২/১৩ বছর বয়সেই কিশোর রফি সে সময়ের সুপারহিট গায়ক ও…
