ভুল হয়ে যায় শাহীন রেজা (কবি ফররুখ আহমদ; অনন্ত শ্রদ্ধা) ভুল হয়ে যায় ভুল হয়ে যায় ভুল হয়ে যায় সব বর্ষা নেমেছে তবু নাই কেনো ডাহুকের কলরব ফররুখ নাই ভোঁতা বুঝি তাই হাতিমের তলোয়ার সিন্দাবাদের জাহাজের পালে ঈশাণের বায়ুভার ভুল হয়ে যায় ভুল হয়ে যায় ভুল হয়ে যায় শুধু এতো খুঁজি তবু প্রনয়পাষাণে ঈগলের ছোঁয়া ধুধু। আসমানে নাই আদমসুরাত ফোরাতের বুকে পানি সীমারের ছোরা হননের পথে ক্রমাগত সেতো জানি ভুল হয়ে যায় ভুল হয়ে যায় ভুল হয়ে যায় কাজে জমেছে অগ্নি জেগেছে দহন ধূসরের ভাঁজে ভাঁজে ঈমানের জোর নিয়মের বাণী শুধুই একলা কাঁদে ব্যাকুল কবিতা অকরুণ আঁকা জীবনের পাতা ফাঁদে।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
বিজয় দেখেছি তানিয়া ঊষা বিজয় দেখেছি বাংলার চোখে ভোরের আলো মাটি ছোঁয়ার সুগন্ধে; খোকা হারা মায়ের নিদারুণ কান্না, নীরব প্রার্থনা রক্তাক্ত আঁচল স্কন্ধে। বিজয় দেখেছি শহর গ্রামে,পথে প্রান্তরে মাঠে-ঘাটে- কিশোরীর হাতে, পদ্মবনে, নারিকেল ঝাড়ে শর্ষেক্ষেতে। বিজয় দেখেছি চঞ্চল শিশুর হাত পা ছোড়ার ছন্দে; বিজয় দেখেছি বাংলার চোখে মহা মুক্তির আনন্দে। বিজয় দেখেছি রক্তমাখা লাল রাজপটি, বিজয় দেখেছি অলিতে-গলিতে রক্ত রাঙা মাটি বিজয় দেখেছি কৃষকের হাতে কাস্তে লাঙলে; বিজয় দেখেছি পাখির গানে ও ছন্দ তালে। বিজয় দেখেছি শাহবাগের মোড়ে, টিএসসির খোলা প্রান্তরে; বিজয় দেখেছি ভরা বিকেলে নাটাই হাতে উড়াল ঘুড়ির শব্দ অন্তরে। দেখো বিজয় নিশান উড়ে ওই ষোলোই ডিসেম্বরে, এসো গাই…
নবীন জীবন সাদিয়া আক্তার আপন ছেদিয়া করিয়া রোদন, তোমারে যদি করিগো আপন, রহিবে না আর বিরহ বেদন, ধন্য হবে গো আমার জীবন! যৌবনের এই রঙীণ দিনে, তোমার ছবিই আঁকছি মনে, হৃদয় মাঝে সঙ্গোপনে , রাখবো তারে সযতনে। তোমার জীবন সাথী হয়ে, থাকি যেন প্রেম আলয়ে, ভালোবাসার আগুন জ্বেলে, মদির দুটি নয়ন মেলে। প্রেমের যেন হয় না মরণ, বাঁচিয়ে রেখো তা আজীবন, স্বার্থের বলি না হই কভূ, হে আমার জীবন প্রভূ। প্রেমের এই ত্রিনয়নে শোভনে অশোভনে, তারুন্যের আবেদনে মন চায় নিবেদনে। প্রণয়ের এ স্রোতধারা যেন তা না হয় হারা, আছে যতো কামনারা, তৃপ্ত যেন হয় গো তারা।
প্রতারণা। জান্নাতুল নাঈমা শিমু আপনার স্বামী আমারও স্বামী”। সকাল সকাল বাটন মোবাইলে এমন একটি মেসেজ পেয়ে চমকে উঠেছিলাম। মাহতাব দাঁত ব্রাশ করছিলো। সেখানে গিয়ে মাহতাবকে মেসেজটি দেখাতেই ও ভ্রুকুঁচকে কিছুক্ষণ ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলো, তারপর মাহতাব নিজেকে সামলে নিয়ে বলে – আমাদের তো আর শত্রুর অভাব নেই, মেসেজটি ডিলিট করে দাও। আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছিলো। হাসি চেপে রেখে বলেছিলাম- সত্যি করে বলো তো আরেক সংসার কোথায় রেখেছো? সে আমার দিকে চোখ বড় করে তাকাতেই আমি হেসে বলেছিলাম- আরে ফাজলামি করলাম, তুমি এতো সিরিয়াস হচ্ছো কেন? সেদিন সকালে নাস্তা না করেই সে বাহিরে চলে যায়। মানুষটা রসিকতা একদম বুঝে না; কেন যে…
প্রতিবিম্ব প্রকাশ -এ কর্মখালি আছে। জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। মার্কেটিং অফিসার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার / কম্পিউটার অপারেটর, ভিডিও এডিটর / কনটেন্ট ক্রিয়েটর, প্রোব রিডার / বানান নিরীক্ষক: দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় প্রকাশনী সংস্থা “প্রতিবিম্ব প্রকাশ”-এর প্রকাশিত পুস্তক, ম্যাগাজিন, সাহিত্য পত্রিকা বাজারজাত করণের লক্ষ্যে কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা নিম্নলিখিত পদে নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীদের দ্রুত যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। ০১) মার্কেটিং অফিসার /সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার ০২) গ্রাফিক্স ডিজাইনার / কম্পিউটার অপারেটর ০৩) ভিডিও এডিটর / কনটেন্ট ক্রিয়েটর ০৪) প্রোব রিডার / বানান নিরীক্ষক সুবিধাদি: #পার্ট টাইম/ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ আছে। #কাজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতানুযায়ী বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি আলোচনা সাপেক্ষ। #বোনাস…
নস্টালজিক জেবুন নাহার কেন জানি কার কথা মনে পড়ে আজ, নস্টালজিক আমি তারে স্মরি বারেবার। ঘুরেফিরে কোন স্মৃতি খুঁজে ফিরি তার, কে সেই সৌভাগ্যবান রাজা মহারাজ ! কোথায় যে ছিল তার জন্ম আদিবাস ! কোন রাজ্যের মুকুট ছিল তার মাথার পরে! কত রাজা মন্ত্রীগণ থাকতো তাকে ঘিরে ! কোন পাহাড়ের চুড়ে ছিল তার স্বপ্ন বিলাস । চোখ ভরা ছিল তার সাগরের নীল , ভালোবাসা ছিল তার প্রকৃতির ছায়া। ধনুক বাঁশি বাজাতো সে হয়ে বিমলিন ঠোঁটে ছিল মিষ্টি হাসি গালে ছিল তিল তেজো দীপ্ত সিংহের ন্যায়, হৃদয়ে মায়া। পশু পাখি জীব প্রেম ছিল অন্তহীন । টরন্টো। কানাডা।
অসঙ্গতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী খান চৌধুরী মানিক কবিতা ছাড়া কবি, বই ছাড়া লেখক, সমাজের কাজ ছাড়া,সমাজ সেবক! শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়া —-শিল্পপতি, সমাজে নাই কোনো—-কাজের রতি! উনি হলেন সমাজপতি! যার নাই কোনো —–বিশেষণ, তিনি বিশেষণের—-ফুলঝুরি উপস্থাপক বলেন! বন্ধু বলেন তাঁকেই —রাখে মহারতি, কথায় কথায় তার—ধরে ভীমরতি! কথায় কাজে নাইকো —– মিল, সে হয় সভাপতি! সব জায়গায় —-অসঙ্গতি অসঙ্গতি! ঝাউতলায় ঝাউগাছ নাই, লোহাইমুড়ীতে লোহা নাই পাহাড়পুরের —পাহাড় নাই! সবই হলো—অসঙ্গতি অসঙ্গতি! মুফতির কাছে ——যুক্তি নাই, যুক্তি গেছে নির্বাসনে! সব কিছুতেই ——খুঁজে পাই, অসঙ্গতি — অসঙ্গতি!!
০১) প্রকৃতি সবুজ- শ্যামল প্রকৃতি শোভার উন্মোচিত স্রোতস্বিনী, আমার গাঁয়ে উজান তরীর বহে সকাল-সন্ধীক্ষণী। ০২) অপেক্ষা নদীর জলে নৌকা ভাসিয়াছে তেপান্তরে, আমার ওগো আসে নাকো আর– আমারি ছোট্ট নীড়ে! আজি যে বড় ক্লান্ত আমি! নাহি আর কোন আশা! ভালোবাসি, বড় ভালোবাসি আসিবে ফিরে সে করিয়াছি অপেক্ষা! ভাঙিব না প্রতীক্ষা। বরণ করে লহিবো প্রাণভরে তারে, করিব না কোন প্রহার; ক্ষমা করো হে- নিত্য দিনের সঙ্গীনী আমারি ঘরের রাজশেখর। ভালবাসি, বড় ভালোবাসি ওরে! আছি অপেক্ষায়।
কবি আসাদ বিন হাফিজ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। রোববার (৩০ জুন) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছোট ছেলে আহমদ শামিল। কবি আসাদ বিন হাফিজ ছিলেন, ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক, ছড়াকার ও সাহিত্যিক, প্রকাশক। এর আগে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আসাদ বিন হাফিজ ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়গাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ হাফিজউদ্দীন মুন্সী এবং মা জুলেখা বেগম। বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং ছড়াকার হিসেবে পরিচিত। তিনি…
একটি কবিতা ডাক্তার মমতাজ রহমান একটি কবিতা বদলে দেয় জীবনকে। একটি কবিতা বাঁচতে শেখায় মানুষকে। একটি কবিতা স্বপ্ন দেখতে শেখায় নতুন করে। একটি কবিতা আদর্শ শিখায় মানব জাতিকে। একটি কবিতা পথ দেখায় অমানুষকে মানুষ হবার। একটি কবিতা বদলে দেয় ভাগ্য নিমেষে। একটি কবিতা প্রশান্তি দেয় জীবনের শেষ বেলায়। একটি কবিতা উজ্জীবিত করে বিস্মৃত স্মৃতিকে। একটি কবিতা শেখায় পরিণত মানুষ হতে। একটি কবিতা শেখায় সুখের স্বপ্ন দেখতে। একটি কবিতা আলো দেয় কালো মেঘ সরিয়ে। একটি কবিতা প্রশান্তি দেয় সমুদ্রের গর্জনেও। একটি কবিতা আকড়ে রাখে মায়ের স্নেহে। একটি কবিতা পরাহত করে সব অপশক্তিকে। একটি কবিতা খুলে দেয় রুদ্ধ দ্বার জীবনের। একটি কবিতা…
