Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

বিষাদের সুর ড. এস, এ, তালুকদার আকাশের মন খারাপ অবিরাম বৃষ্টি অশান্তির কালো মেঘে আকাশ ভর্তি। কষ্টগুলো দিনের আলো নিভিয়ে দিয়েছে থৈ থৈ পানিতে আপনজনের চোখের জল ভাসছে। শ্বাসকষ্টে মরছে করোনার রুগী হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার ঘাটতি। কালো মেঘের ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি কবির মনে তৈরী করছে না কবিতার সৃষ্টি। আয় হীন মানুষ ঘরে ঘরে বন্দী ডাল কিনে খিচুড়ি খাওয়ার নাই সংগতি। নতুন পানিতে খলসে পুটির লাফালাফি লকডাউনে কমেছে মানুষের ঝাঁপাঝাপি। সর্বোচ্চ মৃত্যুতে আষাঢ়ের আকাশ ভার বিষাদের সুরে ছিড়ে গেছে হৃদয়ের তার।

আরো পড়ুন

নিয়মের ব্যাকরণ জগলুল হায়দার এই পৃথিবীর সব কিছুতেই আইন আছে দাদা পথে আছে সিগন্যাল আর জ্যামিতি বাক্সে চাঁদা। ভাষায় আছে অর্থ বানান নানান কানুন বিধি কিন্তু মানুষ সবার ওপর শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি। আইন মানি কানুন মানি ব্যাকরণের প্যাঁচে তারও আছে এদিক সেদিক বাস্তবতার ম্যাচে। নিয়ম এবং নিয়ম ভাঙার মাঝেও আছে রীতি বুঝতে হবে ও মিয়াভাই এসব যথারীতি! ভাষার ওপর খবরদারী কম হওয়াটাই ভালো মানুষ যদি মানুষ তবে তারাই আসল আলো। সেই আলোতে নিজেই তারা নিজের ভাষা মুখে বইয়ে নেবে হাজার বছর স্বাধীনতার সুখে। কিছু নিয়ম বাড়াবাড়ি এমনি যাবে ঝরে কিছু আবার থাকবে টিকে হাজার বছর ধরে। কেউ যা নেবে কাঁধে আবার…

আরো পড়ুন

আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রশিল্পী পাভেল রহমান (নিউ ইয়র্ক, আমেরিকা) লিখেছেন: আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ স্যারকে নিয়ে আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ স্যার ! আমার শ্রদ্ধা !! সায়েন্স ল্যাবের ঐ গলিতে অল্প কিছুটা সময় পেয়েছিলাম আমি। বিখ্যাত রশিদ তালুকদার ভাইয়ের সাথে এবং পরেও। তবে রেগুলার নয় মাঝে মাঝে। সবার মত রশিদ ভাইও প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করতেন আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ স্যারকে। আমার ইচ্ছা থাকলেও দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতে গিয়ে দূরত্ব বেড়েছিল বিপিএস এর সাথে। ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রাম উপকূলে প্রলয় এলো। সেই সাইক্লোনে সাগরের ভিতরে ১২ ঘণ্টা ভেসে থাকা ডুবো চর উড়িরচরকে শুধু বাংলাদেশ নয় চিনলো পৃথিবী, মিডিয়ার কারনে। উড়ির চরে আমি ঝড়ের তৃতীয় দিনে একটা…

আরো পড়ুন

বেশি/বেশী: ‘বেশি’ ও ‘বেশী’ দুটি ভিন্ন অর্থদ্যোতক শব্দ। উচ্চারণ অভিন্ন হলেও বানান ও অর্থ ভিন্ন। ‘বেশি’ শব্দের অর্থ অনেক বা খুব। অন্যদিকে ‘বেশী’ শব্দের অর্থ বেশধারী। সুতরাং খুব বা অনেক বুঝাতে ‘বেশি’ লিখুন। প্রয়োগ: (১) বেশি: বেশি অর্থ মানুষকে অবিবেচক করে দেয়। (২) পাগল-বেশী লোকটা আসলে একজন গোয়েন্দা

আরো পড়ুন

নির্বাসিত স্বপ্ন তানিয়া আফরোজ (মানিকগঞ্জ) নির্বাসিত স্বপ্ন আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে ছাই চাপা অনলে ভস্মীভূত হই অতল গহ্বরে নিমজ্জিত আমি ভগ্ন হৃদয় বীনায় কেবলই বিরহের সুর বাজে। এই আমি এমন ছিলাম না ছিল প্রতিটি নিঃশ্বাসে বিশ্বাসের স্পন্দন। একদিন ভূঁইচাপার মালা খোঁপায় জড়িয়ে জোসনার কিরণে মন ভিজিয়ে ছিলাম, শতকোটি আলোকবর্ষ পেরিয়ে ভ্রমণ করেছিলাম বিশ্বব্রহ্মান্ড। তোমার কথার জাদুতে ছিলাম মন্ত্রমুগ্ধ সম্মোহনী শক্তিতে ভাসিয়ে নিলে আমার ভিতরের আমি এক ঘূর্ণিপাকে ঘুরছিলাম। তুমি হাত বাড়িয়ে আলতো করে ছুঁয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাজারটা গোলাপ তার পাঁপড়ি মেলে ধরলো শুরু হলো কোকিলের কুহুতান। চন্দনের মাতাল করা গন্ধে ভরে গেলো চারপাশ মেঘমালা ভেদ করে ছুটে চললাম অমরাবতীর…

আরো পড়ুন

সমালোচক নিজাম উদ্দিন (নাজরান , সৌদিআরব প্রবাসী) নিজেকে নিজে হয়নি চেনা পর’কে চিনি খুব, সমালোচনার ঝড় তুলে আত্মসম্মানের লোভ। সন্দেহভাজন অবিশ্বাসী মন অন্যের ত্রুটি খোঁজে সদা । শুনে না মন কারো শাসন নিজের চাই উচ্চ আসন মুখে যে তার মধুর ভাষণ, শিখতে চায় না মন কিছুই শিখাতে চায় আমরণ। সমালোচনায় ব্যস্ত সবে হয় না সময় জ্ঞান অন্বেষণ মন রয়েছে বহুদূরে তাই হারিয়ে খোঁজে ধন ও জ্ঞান।

আরো পড়ুন

সবার সুখে আরিফ শামছ্ ২৬/০৭/২০২১ বিজন দুপুর রৌদ্র তাপে, হিজল বনের ছায়ায় বসে, নির্মল হাওয়া গায়ে মেখে, ভাবছি কতো স্বপ্ন দেখে। শয়ন স্বপন হৃদয় কাঁপন, প্রেম বিরহের জীবন যাপন, দিবানিশির স্বপ্নে নয়ন, আশায় আশায় সময় ক্ষেপণ। একলা ভেবে স্বপ্ন দেখে, মরবে কেহো হোঁচট খেয়ে, কেউবা রবে সুখের মাঝে, জীবন জুড়ে সকাল সাঁঝে। সবার মাঝে আমায় খুঁজি, স্বপ্ন বুনি ফসল তুলি, চোখ ধাঁধানো সফল দেখি, চলবে সবার লেখালেখি। স্বপ্ন ঘিরেই বেঁচে থাকা, স্বপ্ন নিয়েই জীবন চলা, কথা কাজে, সবার সেরা, সবার সুখেই শান্তি ফেরা। হাতিরঝিল, ঢাকা।

আরো পড়ুন

শান্তির নীড় সাবেকুন নাহার মুক্তা ছনের ছাউনি বেতের বেড়া ছোট্ট নিজের ঘর, ভালবাসার পূর্ণ আবাস নেই যে কোন ডর। কষ্ট করে নিজের হাতে গড়ে কুটির ঘর, মনের সুখে খুশ আনন্দে থাকবে জনম ভর। সারাটা দিন কাজে কর্মে শ্রান্তি থাকে বেশ, আপন ঘরে ফিরে এলে ক্লান্তি হয় যে শেষ । স্বাধীনতার পূর্ণ সুখ দেয় রে আপন নীড়, পর প্রাসাদে থাকে শুধু চাঁপা কষ্টের ভিড়। আকাশ ছুঁয়া অট্টালিকা সেথা কি সব সুখ ! ষোল আনা হিসাব হবে ভোগ করবে দুখ ।

আরো পড়ুন

তোমাকেই খুঁজি নাজিরা পারভিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সামিয়ানা ছুঁয়ে তেপান্তরের ধুসর আচ্ছাদনের ওপারে অদৃশ্য দিগন্তকে আলিঙ্গন করা আমার তৃষ্ণার্ত চোখ বিলক্ষণ তোমাকে খোঁজে। থমথমে মেঘের জায়নামাজে তোমার অধিষ্ঠান নাকি জমাট কচুরিপানার গালিচায় মোড়ানো টুকরো ভালবাসা ভেসে যায় অবহেলায়। ছুঁয়ে দেখিনি। পানকৌড়ির পালক খসে উন্মত্ত ঢেউয়ে টুপটাপ বৃষ্টির ফোটা আর অশ্রুর বিভেদ বুঝিনা। কলমিলতার বেষ্টনী আমাকে আটকানোর ফিকির করে। জীবন স্রোতের নিরন্তর টানে তবু ভেসে চলি। শাপলার মোহনীয় স্নিগ্ধ সুষমায় লোলুপ আগ্রাসন বিস্ফারিত চোখে হিংসার রক্ত ঝরায়। অস্থিরতার দোলাচালে বিড়ম্বিত পতাকা কামড়ে ধরে শকুনির বিধাতা। আবার ফজরের আযানের সময় হয়েছে। আযান হোক। দিগন্ত ফুঁড়ে আলোর বান আসুক। প্রার্থনাপুষ্ট নিমগ্নচিত্ত ছড়িয়ে পড়ুক ময়দানে।…

আরো পড়ুন

 পাষাণ মায়াবী কাজল ভালবাসি আমি যারে হয়ে গেছে সে পর, তারে ছাড়া কেমন করে বাঁধবো আমি ঘর! নিম তিতা,নিসিন্দা তিতা আরো তিতা খর, তার চাইতে অধিক তিতা ছিলো তার অন্তর। সতীন কভু বোঝে নারে সতী পুত্রের ব্যথা, আমার সখা বুঝলো নারে গোপন মনের ব্যথা। তারে ভালোবেসে আমি দু-চোখে দেখি ধাঁধা, মনে হয় জীবনটা যেন ব্যর্থতার বালুচরে বাঁধা।

আরো পড়ুন