আমাদের গ্রাম —-রাশিদা আক্তার। ০১/০৮/২০১৯ আমাদের গ্রাম দেখি ছবির মতন সকালে দোয়েল পাখি শিষ দিয়ে যায়, তাই দেখে রবি মামা আড় চোখে চায়, নানা ফুল ফোটে পেয়ে রবির কিরণ। গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে নদী মাঝি ভাই পাল ছেড়ে গেয়ে যায় গান, সে গানের সুরে ভরে আমাদের প্রাণ, কুলু কুলু ধ্বনি তার বহে নিরবধি হিন্দু মুসলমান মোরা সবে ভাই ভাই একসাথে থাকি মোরা সবে মিলে মিশে, সারাক্ষণ কাটে যেন শুধু খেলে হেসে, বিভেদ ভুলে একসাথে পাঠশালে যাই। পাবো নাকো কোথা খুঁজে মন কাড়া রূপ, সুুজলা সুফলা যেন সাজে অপরুপ।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
আমার খতিয়ান – মাহফুজা ওয়ারেছী ঝর্না তারিখ: ১৭-০৯-২০২১ রাত গভীর হতে চলেছে- জীবনের হিসেবের খতিয়ান নিয়ে বসি একাকী। কি আছে ও’তে, সবই যে বাকি, হোক তাহা অনাদায়ী দেনা সঞ্চিতি !! আমার কথায় নাকি অনেক ঝাঁঝ, হৃদয়ের গভীরে তাহার রক্তক্ষরণ কথার বিষে বিষময় অন্তর সকল দুপুর দিনানন্তর! ‘বিষকন্যা’ বিশেষনে বিশেষিত আমি আজ…!! দিয়েছিলেম তাহার সত্যের দুয়ারে একটুখানি টোকা আমাকে তাই শুনিয়ে দিলে এমনি অন্তর দহন খোটা। বেশ বেশ বেশ! তোমায় শুভেচ্ছা অশেষ..!! একটা হিসাব অনেক পুরোনো! নীল আকাশের মত রৌদ্রুজ্জল আর ঝলমলে, বিবিধ পাওনাদারের হিসেব! তাহার কাছে আমার চিরকালের ঋণ আমি সত্যিই ঋণখেলাপির দায়ে অভিযুক্ত, চাই নে হতে তাহার দায় হতে…
অদ্ভুত রহস্য অহনা নাসরিন সকল রহস্য নারীর গোলাপি ঠোঁটে বড্ড রহস্যময়ী। রহস্যে ঘেরা নারীর চোখ, কি তার চাহনি! ঘনকালো চুল তার কি তার মুচকি হাসি! দু’ঠোঁটের হাসি যেন কৃষ্ণ তাঁর বাঁশি সুর শুনে রাধা- ভাসাতো জলের ঘাটে প্রেমের কলসি, যমুনার জল জানে রূপ তার কতখানি রঙতুলি জানে তার চলন-বলন জলরঙ জানে, তার হাসির রহস্য ঢেউ জানে, নিতম্ব- নারীর সেরা কাব্য। কেবল প্রকৃতি জানে নারীর আকৃতি মোনালিসা। গোপন সে রহস্যের খনি নারী-মন, নারী-দেহ, নারী-প্রেম জলে ভেসে আসা এক অদ্ভুত রহস্য।।
গুচ্ছকবিতা ইয়াসমিন আরা রানু ১৬-০৯-২০২১. মনের বাড়ি ———————— মনের বাড়ি সঙ্গে রয়ে যায়। তুমি প্রতারিত হলেও হবে না দিন বড় যতোই বাড়ুক দিন! ছোট কথা ——————————– তোমাকে রাখতে দিয়েছি আমার ছোট কথা। একপৃথিবী সমান দাম দিলেও অসম্ভব রয়ে যায় অমূল্য রতন! অতীত ——————————– শুধু তোমার জন্য সাজানো কোন গল্প নয়, মুঠোভর্তি রাগ অনুরাগ। তবু রবি পর্বে লেগে থাকে সাতসুর।
বিকলাঙ্গ রাত বিকলাঙ্গ রাতের তিথি আঁধারে ঢাকা তরুবীথি প্রতিবন্ধীর মত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পেরোয় রাতের প্রহর । দূরে শোনা যায় আজানের ধ্বনি ভেসে চলে কিছু কালো মেঘ আঁধার সরিয়ে পূর্বের রক্তিম আকাশ থমথমে আকাশে শীতল বাতাস। তবে কি আজ সূর্যও দেবে ফাঁকি ? অনেক উঁচু থেকে পৃথিবীকে বড় ছোট মনে হয় , যেমন ছোট ছিলো আমাদের সময় । তোমাতে আমাতে মিল ছিলোনা তেমন অমিল ছিলো যেমন তবু আমরা মিলে ছিলাম । বিষে জর্জর ফুলেতে গন্ধ নাই রঙে ঝলমলো মৌচাকে মধু নাই বিষে জর্জর জর্জর স্পর্শে আবেগ নাই কাঁপে থর থর ভাবনা গুলো এলোমেলো চলতি পথে পা টলমলো ঝাপসা দু-নয়ন দেখেনা…
বাকরুদ্ধ দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আজীমি জীবন সংগ্রামের এক একটি মুহূর্ত আমায়, ক্লান্ত করে এগিয়ে যায় অসীম প্রত্যাশার দ্বারে, দিনের শেষে অজস্র ব্যাকুলতায় হিসাব কষে যাওয়া, গণক যন্ত্রের যোগ ফল শুধুই শূন্য। আমার ইচ্ছেগুলো নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে, অনুভূতিহীন এক অজানা বাকরুদ্ধ দ্বার প্রান্তে, সময়ের ক্লেদাক্ত সম্পাদ্যগুলো চোখের পাতায় এঁকে যায়, রংহীন তুলির আঁচড়ে জীবনের অব্যক্ত ছবি। এক জলহীন রক্তস্রোতে ভেসে যায় জীবনের বিদীর্ণ আশা, হতাশার কালো চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমায় বর্ণিল স্বপ্নরা, কত রঙধনুর সিঁড়ি বেয়ে আসা স্বপ্নের রজনী, নিভৃতে কেটেছে একাকী অশ্রু ভেজা পালঙ্কে। কখনো কখনো জানালার কার্ণিশ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ি, বিষণ্ণ নির্বিকার অভিমানের সুরেলা শব্দ হয়ে, কত উৎসব…
ভালোবাসা “ভালোবাসা” শব্দটা হয় না কখনো পুরানো.. হয় না কখনো মলিন..হয় না ধূসর কিংবা বর্ণহীন যা শুধু রামধনুর রঙে রঙিন.. হোক না সেটা এপার কিংবা ওপারের..তারপরেও ভালোবাসা তো শুধুই ভালোবাসা-ই!! ভালোবাসি আমি চাঁদকে ভালোবাসিনি, আমি জোৎস্নাকে ভালোবাসিনি, আমি মেঘকে ভালোবাসিনি, আমি বৃষ্টিকে ভালোবাসিনি, আমি সমুদ্রকে ভালোবাসিনি, আমি পাহাড়কে ভালোবাসিনি, আমি ফুলকে ভালোবাসিনি, আমি পাখিকে ভালোবাসিনি, আমি শুধু রোদ্দুরকে ভালোবেসেছি; আমি শুধু পুড়ে যেতে ভালোবেসেছি, অবহেলা আর আগুনের লেলিহান শিখায়, আমি কেবল রোদ্দুরকে ভালোবেসেছি, হাত বাড়ালেই জ্বলে যাবো জেনেও ভালোবেসেছি, ঐ তেজে ছাই হবো জেনেও ভালোবেসেছি, আমি দূরত্বকে ভালোবেসেছি, আমি অস্পৃশ্যতাকে ভালোবেসেছি, আমি শুধু দহনকে ভালোবেসেছি, আমি শুধু যন্ত্রনাকে ভালোবেসেছি, আমি…
আমার শহরে তোমায় নিমন্ত্রণ এই অপরাহ্নে চল হারাই মৃত্তিকা মায়ায় জারুল ছায়ায় ঘাসের চাঁদরে ভয় নেই হাতটা শক্ত করে ধরো আমার শহরে শুনো সমুদ্রের কান্না ফেনিল জলোচ্ছাস নিরাপদ বলয়ে কম্পনে কায়ায় মৃদু আলোয় উঁকি দেয়া সূর্যের ঝলকানিতে ধুরুধুরু বুকে আমার শহরের আকাশ দেখো কতটা নীল নিরিবিলি নির্বাসন কোলাহল বিমুখতায় বিষন্ন বিধুরতায় খড়কুটো কুড়িয়ে রেখে যাই স্পর্শের ঋণ আমার শহরে তারার মিছিলে জোছনায় ধোয়া কাঁধে মাথাখানি ক্রমিক সুখে অলিগলি ঘুরে সুপ্রসন্ন হও হৃদি অনুভবে হারাই সুখের সুতনু ছন্দে আমার শহরে প্রতিটি সূর্যোদয় সূর্যাস্তে উদিত হও শুদ্ধ হও দুহাতে জাগাও বরষার নব জলধারায় তোমায় ছুঁয়ে কদম ফুটুক প্রথম হও সবুজ হও উর্বরা…
তোমার কাছে যেতে চাই: তোমার কাছে আসবো ভেবে স্বর্গসুখ প্রাপ্তি আমি, ডুবে যাই কল্পনার গহীন সমুদ্রে। দেখবো তোমার ঐ মায়া ভরা মুখ সেই আশায় গুনছি প্রহর, করছে বুক ধুক ধুক। তোমার কথা ভেবে ভেবে যেন কাটছে না প্রহর এই মধুক্ষণ ! তন্দ্রাচ্ছন্ন আমি, চেয়ে থাকি দূর আকাশ পানে হারিয়ে যাই চাঁদের দেশে। সেখানে বাঁধবো ছোট্র একটা ঘর তুমি আমি নীল প্রজাপতি হয়ে। উড়ে চলবো মনের সুখে, প্রাণ জুড়াবো তোমায় ভালোবেশে। নিরাশ করোনা প্রিয়, আজ আমারে ! ফিরিয়ে দিয়ো না তুমি শূন্য হাতে ঠাঁই দিয়ো তোমার কর্মব্যস্ত জীবনে, কোরিও স্মরণ স্মৃতির গাংচিলে। আমি যে প্রেম কাঙ্গালিনী তোমার নতুন গল্পের, গল্পটা হবে…
প্রচলিত শব্দ-জিজ্ঞাসা কোথায় কি ব্যবহার করতে হবে: কোন/কোনো/কোনও ‘কোন’ শব্দটি ইংরেজি which-এর মতোই অর্থ প্রকাশ করে। যেমন : Which way is the wind blowing ? (কোন পথে/দিকে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে ?)। অনেকে ’কোন্’ লেখেন, যা বর্জন করাই শ্রেয়। এটি এখন, যখন, যেমন ইত্যাদির মতোই স্বয়ং-উচ্চারণনির্ভর শব্দ,; এ ক্ষেত্রে হস্-চিহ্ন প্রয়োগ করে উচ্চারণ দেখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর ’কোন’ লিখতে কখনও ভুলে ‘কোণ’ লেখা যাবে না; তা হলে corner বা angle অর্থ প্রকাশ পাবে। তা ছাড়া, ’কোন’ শব্দটি কোনো’/’কোনও’ অর্থে ব্যবহার করা সংগত নয়। ‘কোনো’ ও ’কোনও’ সমার্থক। প্রথম শব্দটি অতিব্যবহৃত, দ্বিতীয়টি সাম্প্রতিক। ’কোনো’/’কোনও’ ইংরেজি Any বা of which শব্দের মতোই…
