সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় শুভ জন্মদিনে জন্ম: ৪অক্টোবর ১৯৩১ এছাড়াও সন্ধ্যা মুখার্জী নামে পরিচিত। ভারতীয় নেপথ্য গায়িকা এবং সংগীতশিল্পী, বাংলা সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ। কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী, তিনি ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ পান এবং ১৯৭০ সালে জয় জয়ন্তী এবং নিশি পদ্ম চলচ্চিত্রে তার গানের জন্য সেরা নেপথ্য গায়িকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কলকাতার ঢাকুরিয়াতে ৪ অক্টোবর ১৯৩১ সালে রেলের কর্মকর্তা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং হেমপ্রভা দেবীর ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয় সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তার পিতামহ একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং পরিবারটি ১৯১১ সাল থেকে ঢাকুরিয়াতে বসবাস করতেন। প্রশিক্ষণ এবং কর্মজীবন সম্পাদনা সন্ধ্যা, পণ্ডিত সন্তোষ কুমার বসু, অধ্যাপক…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
নুরুন্নাহার পান্না’র কবিতাগুচ্ছ: অচেতন সুখের পোনা আমি মানসিকভাবে ক্লান্ত, বিচলিত, দুর্ভাবনা আর দুশ্চিন্তারা বিক্ষোভে জড়িত। স্বাধীনতারা এখন বন্দি কারাগারে, সুখ সাগরের পানি গুলো শুকিয়ে গেছে রুদ্রর খরতাপের জোরে। গণতন্ত্ররা স্বপ্ন দেখায় বাহারি রঙিন সুস্বপ্ন, ঘুম ভেঙে গেলে দেখি দাঁড়িয়ে আছে অদ্ভুত বীভৎস দুঃস্বপ্ন। জীবনতো অচেতনতায় কেটে গেল, হেটে গেলো সুসময়ের আনন্দঘন সোনালী মুহূর্তগুলো। ডানাকাটা পায়রারা যুগ যুগ ধরে গৃহবন্দী, হাসিগুলো কৃপণতায় সীমাবদ্ধ আমার সাথে করে না সন্ধি। সোনালি সময় ৬/১০/২০১৬ জীবন মানে মৃত্য কে ছুই ছুই, বাঁচার আস্থায় জেগে রই! চাহিদা গুলো ভীষণ বড় হয়ে যায় , সমার্থের কাছে হার মেনে দ্বারায়! একটা জীবনে আছে কত চাওয়া , দুঃখ…
রেখো বিরামহীন রুমা ব্যানার্জী আজ সকালটা একটু অন্য ভাবে শুরু করব ভাবেছিলাম।কিন্তু কিছুতেই মন বসছে না। গত কাল বেশ কাটলো কিন্তু আজ যেন বাড়িটা গিলে খেতে আসছে । বিগত বেশ ক’মাস ধরে বাড়ির চার দেওয়ালে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে ইস্তক ছোটা ছুটি এই দাও ওই দাও,। সারাক্ষণ শুধু তাড়া আর তাড়া। দু দন্ড বিরাম নেই। বিশ্রামের উপায় নেই। বাড়ির পুরো দ্বায়িত্ব আমার ঘাড়ে ফেলে সবাই কেমন নিশ্চিন্ত। কত দিন একটু গুন গুনিয়ে গান করি না, বইয়ের পাতা উল্টিয়ে দেখি না, রাতে উঠে আকাশ ছুঁই না, হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরি না, সকালের কুয়াশা মাখি না। সারাক্ষণ শুধু কাজ আর কাজ।কার…
নরসুন্দর লেডি প্রক্টর ছন্দ: স্বরবৃত্ত (৪+৪+৪+২) মোহাম্মদ শাহানুর ইসলাম বাল কেটেছে লেডি প্রক্টর ছাল তুলেছে দামড়া সাতে-পাঁচে চৌদ্দ যে হয় এ কি দেখছি আমরা! জ্ঞানে-জ্ঞানে গর্ভবতী জনে-জনে বিলায় ষণ্ডা-পান্ডা দিয়ে আবার শিক্ষার্থীকে কিলায়! হাসিমাখা মুখ নিয়ে সে টকশোখানা সাজায় টিভির পর্দায় নাটক করে দেদারছে ঢাক বাজায়। খুঁটির জোরে তুড়ি ছোড়ে বালকামানো জাতি যদি পারিস কিছু করিস নিভে দিলাম বাতি। মিছিল-মিটিং লাভ হবে না আমার বারো পোয়া সাধ্য কি আর আছে তোদের আমার বালটি ছোঁয়া! ০২.১০.২১ খ্রি. নোট: বাল=(হিন্দি) চুল।
রৌদ্রছায়ায় শিউলি ঝরা জলশ্রী বাণী ডিয়ায গাছের তলায় রৌদ্রছায়ায় শিউলি ঝরা শরতের মৃদুমন্দ হাওয়ায় ঝরা ফুলের রাশে রাশে অরুণ রাঙা চরণ ফেলে কোন্ সে রমণী হেঁটে যায় পুলকিত মনের আয়নায় শিহরণ জাগিয়ে নূপুরের রিনিঝিনি শব্দের ছন্দে শিউলিতলার পাশে পাশে । প্রকৃতির নয়ন ভুলানো রুপের বাহার সাজিয়ে শুভ্র মেঘের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিয়ে যায় দূর আকাশে রুপোলী চাঁদ তার জোছনার আলোর ধারায় মেতে উঠে তারই মাঝে মিষ্টি সুবাসিত শিউলির সুঘ্রাণ মাখা বাতাস কোন্ সে মায়ায় জড়িয়ে সকালবেলার সোহাগ আবেশে । শারদীয় প্রাতে এ কোন অতিথি এলো প্রাণের দ্বারে আনন্দ-বেদনার মর্মকথা মিশে শিশির ভেজা ব্যাকুলতা নিঃশব্দ নীল আকাশের নীরব কথা বেজে উঠে…
৩ অক্টোবর শিশুসাহিত্যিক রহীম শাহ’র জন্মদিন; ১৯৫৯ সালের এই দিন চট্টগ্রামের পশ্চিম বাকলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সম্ভ্রান্ত কাজীবাড়ির কে এম আবদুস শুকুর এবং সৈয়দা রিজিয়া বেগমের ৫ম সন্তান রহীম শাহ। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ঘরানার এই লেখক পরম মমতায় শিশুসাহিত্য রচনা করে চলেছেন। বলা যেতে পারে, দীর্ঘ চার দশক ধরে সাহিত্যের সব শাখায় ফুল ফুটিয়ে চলেছেন শিশুঅন্তপ্রাণ এই মানুষটি। অবিরাম উজ্জ্বলতর করে তুলেছেন শিশুসাহিত্যকে। পেয়েছেন পাঠকপ্রিয়তাও। প্রধানত শিশুকিশোর সাহিত্যের লেখক। ১৯৭০ সাল থেকে লেখালেখি শুরু। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পত্রপত্রিকার নিয়মিত লেখক। সাহিত্যকর্মের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে সম্মানিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কবি আবু জাফর…
অহম-অবনীর পিতা-মাতাকে নিয়ে কিছু কথা: দিলারা হাফিজ যে আমার অব্বসোনা, সে এখন পিতৃদেবের ভূমিকায় অচল পাহাড়। বৌমা ফারজানা আজাদ তুলি, অহম অবনীর মা হিসেবে ‘স্বর্গাদপি গরিয়সী’। গতকাল ছিলো অব্যয়ের সিটিজেনশিপের পরীক্ষা।মাল্টিপুল চয়েসের এসব পরীক্ষা তো ওদের কাছে কিচ্ছুটি নয়, বুঝি। কিন্তু বঙ্গ মায়ের কাছে পুলসেরাত পার হবার মতো ঘটনা পরম্পরা। যাক,বেশ ভালোভাবেই তরী ভিড়েছে ঘাটে।মা তুলি তো ২০১৮ সাল থেকে সিটিজেন। তাদের প্রথম সন্তান অহমসোনা ২৫ দিন বয়সে এদেশের কানাডিয়ান নাগরিক। আমার আলস্যপ্রবণ সন্তানটির সন্তান অহমসোনা শেষ পর্যন্ত কেক কেটে বাবাকে কানাডিয়ান নাগরিক হিসেবে উইশ করলো, পাশে ছিলাম আমিও।সেসব নিয়ে উড়াল দিগন্তে অতীতচারী হয়ে পড়লাম কিছুক্ষণ। ***কবি রফিক আজাদের মতো…
তোমাকে খুব মনে পড়ছে তোমাকে খুব মনে পড়ছে, ফোন করবো? না থাক, তুমি বোধয় ব্যস্ত এখন অন্য কারো সাথে! হঠাৎ আমার কলে যদি তোমার প্রিয় মূহুর্তটি নষ্ট হয়। তবু আমার মন মানছে না, একবার করেই ফেলি! কেমন আছো জিজ্ঞেস করি, আচ্ছা আমার কন্ঠ শুনে তুমি রেগে যাবে না তো? বিরক্ত হয়ে কলটা রেখে দেবে না তো? তবুও দিয়েই দেখি একবার, তোমাকে যে আজ খুব মনে পড়ছিলো, তাই কল না করে থাকতে পারলাম না। তুমি বিরক্ত হওনি তো? ……………… তোমাকে একনজর দেখার ব্যকুলতায় আমার দু-চোখ অস্থির হয়ে আছে, তাই তোমাকে জানাতে চেয়েছিলাম আমার দু’চোখের অস্থিরতা। আচ্ছা আমার এই অর্থহীন অস্থিরতার কথা…
প্রিয়তমার সুষম বণ্টন বিপ্লবী ধ্বনি এনামুল হক টগর ০২/১০/২০২১ সুষম বণ্টন প্রিয়তমার প্রেম ও ভালোবাসা আমার বিপ্লবী জীবন। তুমি কোথায় কতো দূরে সময়ের চেতনায় ফিরে এসো আধুনিক নিপুণ? মানবতার সাম্য বার্তাটি পৌঁছে দাও পৃথিবীর কাছে সভ্যতার আহ্বান। তোমার জেগে উঠার স্পন্দনে শুরু হবে কালের চৈতন্যে অধিকার সমান। উজ্জ্বল চাঁদের জ্যোৎস্নায় তোমার সংগ্ৰামী জীবন শ্রেণি বৈষম্যহীন গান শুনায়! সে সুরের অতল যৌবনে অনাহারী মানুষের ক্রন্দন ভেসে আসে জীবন অসহায়। পৃথিবীতে যারা ন্যায়-পরায়ণ মানবিক চেতনায় পূর্ণ তারাই দেশপ্রেমিক বিশোধন, সততা ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে তাদের জীবন উৎসর্গ করে আর্দশ কল্যাণ। সমগ্ৰ জাতিকে আঁকড়ে ধরে থাকে দেশপ্রেমে মানবতার জাগরণ। দীর্ঘ জীবন সংগ্ৰাম মহা-সমারোহে তাঁরা…
মা কি তবে জল দিলারা হাফিজ তুমি তো আমার দু’চোখের পিপাসায় ছিলে অনিঃশেষ জল, কত কিছু সঙ্গে করে নিয়ে গেলে তুমি আমার ভেতরে মাগো, কেন তুমি এত কান্না জমা রেখে গেলে ? তুমি কি আমার জল ছিলে শুধু পুকুর ঘাটের, ভরা বর্ষায়ও তুমি জেগে থাকা জল টলমল, কখনো বা তীব্র স্রোতে টানা একতারা ঘূর্ণিজল, নিজের সঙ্গেই কথা বলা ঢেউ; হৃদয় গলানো নদী ছিলে, ফল্গুধারা বয়ে যাওয়া জ্যোৎস্নায় আকাশমাখা জুঁইফুল রাত ছিলে তুমি আমার বুকের মধ্যেখানে নামগোত্রহীন এক ভালোবাসা… জলের অরণ্যে মাগো আজ তুমি দু’চোখের অশ্রুজল শুধু। ২৯/৯/২১ নেভী ওয়ার্ফ, স্প্যাডাইনা টরন্টো, কানাডা
