Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

ভূতের নামে বানোয়াট গালগল্প: লুৎফর রহমান রিটন ভূতের নামে মন্দ কথা রটিয়ে দিলো নিন্দুকে নিন্দুকেরাই বাড়িয়ে বলে। বৃত্ত বানায় বিন্দুকে। সব ভূত তো খারাপ হয় না, অল্প ক’জন হইলে কী? ভাইবা দেখো ভূত সমাজকে খাটো কইরা কইলে কী! একটা দু’টোর কীর্তি দেখে ভূতকে খারাপ বইলো না নিন্দুকদের রটনাকে সইত্য ভেবে চইলো না। অল্প ক’জন খারাপ মানুষ আছে বলেই ভেবো না– ‘মানুষ খারাপ’ বললে তুমি সেইটা মেনে নেবো? না। ভূতও তেমন, অল্প কিছু মন্দ ভূতের কারণে– মানুষগুলো ব্যস্ত থাকে ভয়ের স্মৃতিচারণে! সেই কবে কোন মন্দ ভূতটা দাঁত খিঁচিয়ে আসছিলো লম্বা নখের ভয় দেখিয়ে হাঁহাঁ হিঁহিঁ হাসছিলো কোন ভূতটা নেঁকো সুরে ভূতং…

আরো পড়ুন

কবি হেলাল হাফিজ-এর শুভ জন্মদিন দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের আজ ৭২তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।  নেত্রকোনা শহরে কেটেছে কবির শৈশব, কৈশোর ও প্রথম যৌবন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র তিনি। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতাটি তাকে কবিখ্যাতি এনে দেয়।  ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। ৩৪ বছর পর আগামী ডিসেম্বরে যুগপৎ ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হচ্ছে ৩৪টি কবিতা নিয়ে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান কবি হেলাল হাফিজ। —————–// ৬৯-এ পুরো দেশ যখন মুক্তির নেশায় মত্ত, তখন পাকিস্তানি…

আরো পড়ুন

রম্যগল্প ‘অবাক সঙ্গীত’ শাহেদ ইকবাল কথা ছিল দীপালি আমার জন্য অপেক্ষা করবে। আমি সন্ধ্যায় দীপালির কাছে যাবো। আমার কাছে থাকবে একটি আংটি। সারপ্রাইজ গিফট। আমি সেই আংটি দীপালির আঙুলে পরিয়ে দেব। এখন আমি আংটি পরিয়ে দিচ্ছি ঠিকই। ঘড়িতে সময়টাও ঠিক আছে। কিন্তু দীপালিকে নয়, আংটি পরাচ্ছি গোঁফওয়ালা এক দারোয়ানকে। যার হাতে প্রমাণ সাইজের একটি লাঠি। কারণ কি? আমার অফিস দিলকুশায়। দুপুরবেলায় হঠাৎ একটি আমন্ত্রণপত্র পেলাম। আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে রিয়াজ। রিয়াজ আমার বন্ধু। পেশায় শিল্পপতি। সেই বন্ধুর ভাতিজার একক সঙ্গীত সন্ধ্যা। সেই ভাতিজা কখন গান শিখল, কার কাছে গান শিখল কিছুই জানতাম না। আজ হঠাৎ এই আমন্ত্রণপত্র। সেই সাথে জরুরি ফোন। না…

আরো পড়ুন

নিশ্চুপ আরাধনা রুনা আক্তার স্বপ্না অন্তরের বোবা ভাষা ইতস্তত ভালোবাসা; প্রাণের সাধনায় নিশ্চুপ আরাধনা। গোধুলির আলো-আঁধারী ছায়া ফেলে চোখে; পৃথিবীর দেয়ালে অস্পষ্ট অক্ষর দেখে। তিক্ত অভিমানে নেমে আসে রাত; শোকাবহ মলয় আর্ত পক্ষাঘাত। অতৃপ্ত আশার যতো নীলাভ ইচ্ছে; নীরব যন্ত্রণা নক্ষত্রের আয়ু মুছে। হৃদয়ে না-বলা কথার ক্লান্তিকর আয়োজন; ডেকে দেয় গুপ্ত ব্যথা রবির কিরণ। শাশ্বত সূর্যের তীব্রতা জানায় কানে কানে; আরো একটি রাত চলে গেলো নির্জনে।

আরো পড়ুন

স্মৃতির আয়নায় তুমি সুরাইয়া আলমগীর আনারকলি কুয়াশা হীন ছিল সে স্মৃতিময় রাত কুয়াশা ছিল আমাদের ভেতরে তখন নক্ষত্রেরা নিরাপদে আর একটু প্রকাশ্যের দিকে বেরিয়ে আসে আকাশের আঁচল ছেড়ে দিয়ে স্মৃতির গ্রামখানি জ্বেলেছে নীল আলো সেই নীল আলোতে দেখেছি তোমার শুভ্র বিশ্বস্ত হাত আকাশ ঘিরে শিরিষ গাছ ঘিরে সেই নীল আলোর কোমলতা ছড়িয়েছিল সেই প্রথম দেখা রাত টিতে কেটে গেল ক’টি মুহূর্ত ফুল জ্বলন্ত লাল রঙিন রাতুল তুমি কোথায় এখন আমি জানিনা বুকের ঘাটলায় বাজে ছলছল জলের কলস বাঁশ বনে আটকে থাকে ভালোবাসার কানা চাঁদ বিনিদ্র গল্পের মধ্যে ট্রেনের হুইসেল বিঁধে থাকে শুধু ক্রমশ শীতরাত বাইরে ঘন হয় সবকিছু ঠিকঠাক আছে…

আরো পড়ুন

কাশকন্যা ফাতেমা ইসরাত রেখা শুভ্র মেঘের পালকে ঝর্ণার হাসি বকের সারির মতো, মনের আয়নায় ভেসে ওঠে আজও কত স্মৃতি অবিরত। সাদা কাশফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ ঢেউয়ে দুলে সারাক্ষণ, তারই মনোহর শোভা দেখে আজ মনে জাগে শিহরণ। আঙুলের ফাঁকে আঙুল জড়িয়ে চোখে চোখে কত কথা! কত খুনসুটি হতো বেলা অবেলায় কত দিন নিরবতা! দেখো শরৎ এসেছে কাশের পুচ্ছে বর্ষাকে ফেলে পিছে, কেন তবে আর মুখ ভার করে বসে থাকা চুপে মিছে। লুটোপুটি খায় ঝলমলে রোদ বায়ু নাচে গাছে গাছে, এত মনোলোভা, এত সুখ শোভা আর বলো কোথা আছে ? এই বাংলার মুখ, বাংলার রূপ প্রতিটি ঋতুর মতো, খুঁজে পাবে না কেউ…

আরো পড়ুন

ÎNCEPUT DE TOAMNĂ – ( poezie pentru copii ) – Necăjite stau pe creangă Frunzele trecute-n timp. Pesemne c-ar vrea să cadă Din copacii fremătând. Vântul bate. Nori adună. Și se-nchină florile… Iar se lasă cu furtună! S-aud trosnind zările! Pe la dosuri se adună Adăposturi căutând: Păsări, animale, fluturi. Într-un gând. Din lumina ce-ncălzește, Acum soarele-a pălit. Nu e vis! Nu e poveste! Este toamnă! În sfârșit!… ALINA PETRONELA HULUBEI (ROMÂNIA) ( 6 OCTOMBRIE 2017) শরতের শুরু – (শিশুদের কবিতা) – কষ্ট করে ডালে বসো সময় মত অতীত পাতা আমার মনে হয় সে পড়ে যেতে চাইবে গাছের ঘষা থেকে…

আরো পড়ুন

ফেনী জেলার সাহিত্য: উপকূলের ঢেউয়ে বোনা সাহিত্যভূমি — শাবিহ মাহমুদ ড. দীনেশচন্দ্র সেন কৃত বিশ্বখ্যাত পূর্ববঙ্গ গীতিকার একটি বড় অংশ অধিকার করে থাকা ‘চট্টগ্রাম-নোয়াখালী’ গীতিকার অংশীদার ফেনীও। উনিশ শতকে এ অঞ্চলে ব্যাপ্তি লাভ করেছে ‘ভাটির বীর’খ্যাত স্বাধীনচেতা বাঙালি শমসের গাজীকে নিয়ে রচিত ‘গাজীনামা পুঁথি’। ফেনীর ভূমিপুত্র ও কৃষক আন্দোলনের নায়ক গাজী ছিলেন কুমিল্লা-নোয়াখালী-সিলেট-চট্টগ্রামসহ বিশাল ভূভাগের স্বাধীন অধীস্বর। ১৭৫০ সালের দিকে তিনি ত্রিপুরারাজকে পরাজিত করে ত্রিপুরা অধিকার করেন। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসগ্রন্থ ‘রাজমালা’য় এ কাহিনি বিধৃত রয়েছে। শমসের গাজী ত্রিপুরারাজের বিরুদ্ধে দক্ষিণশিকের (সাগরনাইয়া, ফেনী) জমিদারকে উচ্ছেদ করতে স্থানীয় যুবকদের সংগঠিত করেছিলেন। শেখ মনোহরের ‘গাজীনামা’ পুঁথিতে উল্লেখ: ‘জনপ্রতি পাঁচ টাকা মাস হারা করি…

আরো পড়ুন

একটা কিছুর জন্য মাহফুজ সুমন একটা কিছুর জন্যই- আমরা কখনও কখনও অস্তিত্বের বাহিরে চলে যাই, অচেনা হয়ে যাই চেনা পথ, অজানা হয়ে পড়ি অতীত সময়ের ঘড়ি, ভুলে যাই আমাদের বর্ণ কুহক,চেনা জন, শুধু একটা কিছুর জন্যই। কখনও কখনও আমরা হাঁটতে থাকি অদূরে, গাইতে থাকি অদূর পানসির গান, খুঁজতে থাকি জবুথবু জীবন শানশওকতের মান, তখন আমরা আরও দূরে যাই, বহুদূর, ভীষণ রকম দূর। শুধু একটা কিছুর জন্যই। খুব বড় কিছু নয় ছোট্ট একটা কিছুর জন্যই আমরা বাঁচি, একটা কিছু ধরে রাখতে আরও কিছু, কারো পিছু যাচি। কিছু একটার জন্যই শুধু, সামান্য কিছুর জন্যই নাচি। এই দ্যাখো চাঁদের মতো হাসি, ঝড়ের মতো…

আরো পড়ুন

প্রেমের ধারা মালা মিত্র। 5/10/2021 দু দন্ডের প্রেম, হৃদ কমলে ফুল ফোটায়, বর্ষাধারা জীবন ভোর, ঘনঘোর কুল ছাপায়। আনকাট বিনা এডিটিং নির্ভুল বুকে ছেপে যায়। চাঁদনী রাত, জোনাক প্রহর, শুরুর শুরু বোশেখ মাস, শরৎরানীর তুলোর ভেলায়, হেমন্তেরি সোনার ধান, শীতের লেপে, বসন্ত গান, নতুন লাগে ধারা স্নান, বাগান বাগান, চিরহরিৎ ভরে ওঠে হৃদয় খান। বসন্তদূত গান গেয়ে যায়, সব ঋতুতে এক সমান। পাখীর কুজন সদাই বুকে করে কনসার্ট, প্রেম না পেলে দিল-পাখীটি, বোবা আকাট।

আরো পড়ুন