কনকনে শীত শাওন খন্দকার চারদিকে কনকনে শীত সাথে ধোঁয়া উড়া- এক কাপ চা, কুয়াশায় ঢাকা সবদিক সাথে হিমালয় থেকে আসা হিম শীতল- উত্তরের হাওয়া। দিন আসে আর যায় রোদ লুকোচুরি খেলে, রাত শেষ না হয়- দিন চলে গেলে। হলুদ সরিষার ফুল, খেজুরের রস- অতিথি পাখির ঝাক, এখন সবই অতীত শহুরে জীবন- সানশেডে কাক। শাওন খন্দকার (শাহবাজপুর, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ)
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
শিক্ষা ফুলের সুবাস দিয়ে পারভেজ হুসেন তালুকদার শিক্ষা ফুলের সুবাস দিয়ে মনের মহল গড়ি, শিক্ষা ফুলের সুবাস দিয়ে জীবন সাধন করি। শিক্ষা ফুলের সুবাস দিয়ে খেলি আলোর খেলা, শিক্ষা ফুলের সুবাস দিয়ে রঙিন করি বেলা। শিক্ষা ফুলের সুবাস দিয়ে থাকছি হাসি খুশি, সারাজীবন মিলবে সুবাস এমন আশাই পুষি।
চা আর আমি মোবারক হোসেন চা আর আমি খুব কাছের বন্ধু তার নিরবতায় ধোয়া উঠে আমার নিরবতায় দুঃখ জমে। দুজনের বৈশিষ্টও যেমন এক দুজন দুজনের দেওয়া নেওয়াও এক। আমি তাকে চুমুকের ফাঁকে ফাঁকে তার কষ্টগুলো ধোয়া হয়ে উড়ে যেতে সহায়তা করি আর সে চুমুকের সাথে ভিতরে গিয়ে আমার মনের জ্বলতে থাকা কষ্টকে তার তাপে পুড়িয়ে দেয় আমি স্বস্তি অনুভব করি। শুধু পরিনতিটাই একটু ভিন্ন সে ফুরিয়ে যায় খালি পেয়ালা পড়ে থাকে আর আমি হারিয়ে যাই কিছু ম্মৃতির মধ্যে।
যুবকেরা আল-আমিন মল্লিক নিশাদ যুবকেরা ধিক্কার জানাও সেই নিন্দুক রে যে সামনে কথা বলার সাহস পায় না পিছনে বাঁশ দিতে করে না দেরি যুবকেরা ধিক্কার জানাও সেই নিন্দুক রে যে তোমাকে করবেনা সাহায্য মুখে বড়ো বড়ো কথা বলে ডোল পিটিয়ে করবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা গরম গোলমাল যুবকেরা ধিক্কার জানাও সেই নিন্দুক রে যে কিনা সকাল দুপুর রাত তোমার স্বপ্ন ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগে থাকে। যুবকেরা ধিক্কার জানাও সেই নিন্দুক রে যে তোমার কাজ দেখে হেসে বমি করে ফেলে নিজে কাজ না করে যুবকেরা ধিক্কার জানাও সেই নিন্দুক রে যে কিনা বাঁধাকে বিভীষিকা ময় অন্ধকারে পরিণত করতে তার কথার ঝুলি নিয়ে…
নারীর ভূষণ রুমা পারভীনারা কথায় আছে ‘লজ্জাই নারীর ভূষণ’। যে নারী যত বেশি লজ্জাবতী সে নারী ততই সুলক্ষণা। নারীর এই লজ্জাই তার সম্ভ্রমকে সংযত রাখে। লজ্জাশীলা নারীই সংসারের রমণীয়তায় এক অলংকারে মুড়ে যায়। এমনকি তার সমস্ত সংসার – পৃথিবী হয়ে ওঠে এক সুনীবিড় -সুশীতল ছায়াঘন শীতল আশ্রয়। এসব কথা নাকি প্রাচীন যুগ থেকে প্রবাহমান হয়ে আসছে। তাই বর্তমান দিনের নারীর সঙ্গে প্রাচীন যুগের নারীর এক বিচিত্র বৈপরীত্য তৈরি করতে সদা তৎপর হয়ে উঠেছে মানুষ। বেশিরভাগ প্রবীণ মানুষের গলার স্বর যেন একই ধারায় বইতে চায়। প্রবীণ মানুষই যেন যুগ বিভাজনের রীতির মাপকাঠিতে বেশি গণক হয়ে উঠেছে।বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে নারীর সমস্ত…
ছোটগল্প: সংসার কানিজ ফাতেমা সত্যি তো, আবির কেন তার জন্য নিজেকে সকল আনন্দ থেকে বঞ্চিত করবে বরং সে-ই দেশে চলে যাবে- ছলছল চোখে লীনা একমনে কথাগুলো ভাবছে-এমন সময় দরজার লক খোলার শব্দ কানে আসলো লীনার। আবির এসেছে বুঝতে পেরে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করে শুয়ে পড়লো সে। যে দিনগুলোতে অফিসের অনুষ্ঠান থাকে, ফিরতে দেরি হবে বুঝতে পারে আবির। সে সব দিনে আবির বাসা থেকে মেইন দরজার একটা চাবি সাথে নিয়ে যায় যেন লীনাকে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতে না হয়। আবির রুমে এসে আস্তে করে পাশে বসে লীনা বলে ডাক দিলো। কিন্তু কোন সাড়া না দেওয়ায় আবার উঠে নিজের কাপড় নিয়ে…
কবিতাগুচ্ছ: তাহেরা আক্তার সুইসাইড নোট এই যে তুমি নিরব খুনি বুকে তুলো ঝড়- তোমার ঘাতক হাসি আঘাত হানে বুকের-ই-উপর। ঠোঁটের কোনে প্রেমে পড়ার মন্ত্রটা যেই পুষো; আমার দুষ্টু হার্টের বিট বেড়ে যায় দেরশো থেকে দুশো! মিষ্টি মাখা ঐ চোখেতে যে দিক পানেই তাকাও- আমার কথায় ইর্শা করে ঠোঁটটা কেনো বাঁকাও! তোমার শুষ্কতার খরতাপেতে শুকিয়ে মনের ভৃমি; সুই-সাইড নোটে থাকবে লেখা তুমি আমার খুনি। আঁধার নীশিতে বসে থাকা প্রতিক্ষা শুধুই তোমার- দীর্ঘ রজনী একাই জাগি ঘুম আসে না আমার! কোলাহলময় ত্রিভূবনে দূরে তুমি থাকো, ছলনার হাসি মেখে আমায় কেনো ডাকো? আলতো ছোঁয়া মায়ার চোখেতে নতুন স্বপ্ন বুনি- কল্পনাময় আশার রাজ্যে বাস্তবিকই…
ধ্যানের নথিপত্র এই ঘোষণা মৃত— রোদ্দুর লিপিবদ্ধ করে; দেয়াল জুড়ে এঁকে দেয় বজ্র মধ্যে একটি নতুন গল্প শুধু ঝিঁঝি পোকার উল্লসিত শীস অসহ আত্নার দিঘিতে ডুব দিয়ে তপ্ত দুপুরে রাজধানীর গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি নতুন ওয়েভ নিখুঁতভাবে বর্ননা করতে পারে আমদের জ্ঞানের বিকাশ অব্যাহত থাকবে শব্দগুলো দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে বোধ স্বভাবের দোষে ধর্ষণের পাপ জমেছে হ্রদ পর্যন্ত সারশূন্য ভগবান শুনলেন গুচ্ছ গুচ্ছ রচনা রেখেছিলেন চমক… উজ্জল পাখায় শঙ্খচিলের ডানায় শুধু ঝিঁঝি পোকা ডাকলে আমি আর কোথাও যাবনা সময় নিয়ে নেয় অক্লান্ত মনোযোগ দেহভঙ্গিমা বা দেহ—দুটিমেঘ একহাতে থামিয়ে ময়নার খিলখিল হাসিতে রাতের অন্ধকারে যাই এখানে তোমার ধ্যানের বৈধ নথিপত্র ছাড়া কিছু…
বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হামিদুর রহমানের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা … মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ – ২৮ অক্টোবর ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমান সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তদানিন্তন যশোর জেলার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে। তার পিতার নাম আক্কাস আলী মন্ডল এবং মায়ের নাম মোসাম্মাৎ…
বাইরে-ভেতরে বকুল আকতার দরিয়া বাইরে তোর খেলা করে সুখী রাজহাঁস ভেতরে তোর বেজে ওঠে শুধু হাসপাস বাইরে তোর চিকচিক সোনাঝরা রোদ ভেতরে তোর কেঁদে ওঠে বেদনারি শোক বাইরে তোর প্রবাহমান স্বচ্ছ সরোবর ভেতরে রক্তক্ষরণ, আপন পায় না খবর বাইরে তোর বিকেলের আলোয়ান জ্যোতি ভেতরে তোর ঝিলমিল জংধরা দ্যূতি বাইরে তোর খিলখিল সারাবেলা হাসি ভেতরে তোর গুমরে মরে দুঃখ রাশি বাইরে তোর ডানা মেলে উড়ে প্রজাপতি ভেতরে তোর কেঁদে ওঠে কুশিয়ারা নদী বাইরে তোর টিপটিপ ঝরে পড়ে দেয়া ভেতরে তোর উঁকিঝুঁকি মল্লারের খেয়া বাইরে তোর নির্মেঘ সুখী সুখী আশ ভেতরে তোর গুমরে মরে বিধবা আকাশ। (ছন্দহারা কবি)
