তুমি নশ্বর পৃথিবী (মোঃবকুল ইমাম) হে পৃথিবী তুমি সুন্দর বটে তবে নও অবিনশ্বর, মোরা একসাথে পথ চলি তবু জানি তুমি নশ্বর। তব হাত ধরে চলি এ পথে তোমার প্রেমে পড়িবনা তবু, চোখে চোখ রেখে কাজ করি তবু ভালবাসিব না কভু; যে আমার প্রিয় যাকে ভালবাসি সে যে অবিনশ্বর, তোমার আমার স্রষ্টা সে যে বিশ্ব অধীশ্বর।। তোমার রূপের চাকচিক্যে ভুলাতে চাও তা জানি, তোমার বিত্ত বৈভব নিয়ে করে লোকে কানাকানি ; যারা নিজেরে চিনেনি তোমাতে ব্যকুল চোখে বিধে দাও শর, তুমি যে হেথায় পান্থশালা ক্ষণিক জীবন তর। তোমার অগাধ বৈভব চেয়ে আমি যে অনেক দামী, তোমার মোহেতে তাইত পড়িনা আমি তোমার…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
মোবাইল চুরি (বি এম মোহসীন) ২৪.০৪.২০২২ তিন সদস্যের সংসারে মোর তিনখান থাকার ঘর আয়েশ করে বসত করি চার তলার উপর। চার তলাতে মোবাইল চুরি বিশ্বাস কি আর হয় চুরি যাওয়া সত্য বটে মিথ্যা মোটে নয়। বিশ রোজা ভোর চারটা সেহেরিতে উঠলাম দুসেট মোবাইল চার্জে দিয়ে ডাইনিং এ ছুটলাম। আট মিনিটে সেহেরী খেয়ে এসে দেখি ভাই চার্জার সহ মোবাইল দুটো যায়গা মত নাই। কে নিয়েছে কোথায় গেছে হম্বিতম্বি করি গিন্নি পুত্রের সোজা জ্ববাব দেখিনাইতো সরি। একটু পরে খেয়াল করি পাশের পর্দা তোলা পিছনে তার বন্ধ থাকা জানালাটা খোলা। বুঝতে পারি কি ঘটেছে হম্বিতম্বি মিছে বাহির থেকে চোর বাবাজি সেট দুখানা নিছে।
স্বনামধন্য কৌতুক অভিনেতা আনিসুর রহমান আনিস। আনিস বাংলাদেশের মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের অন্যতম পরিচিত অভিনেতা। জন্ম ১৯৪০ জলপাইগুড়ি, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত মৃত্যু ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ঢাকা, বাংলাদেশ কৌতুক অভিনেতা আনিস চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন অভিনেতা নয়, চিত্রসম্পাদক হিসেবে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ভ্রাতৃদ্বয় এহতেশাম ও মুস্তাফিজের লিও দোসানী ফিল্মসে সহকারী সম্পাদক ও পরিচালক ছিলেন তিনি। এ দুই নির্মাতার মাধ্যমেই একসময় অভিনয়ে নিয়মিত হন আনিস। ১৯৬০ সালে বিষকন্যা ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায় আনিস অভিনীত প্রথম ছবি জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘এইতো জীবন’। তারপর থেকে তিনি অভিনয় করেই গেছেন। বাংলাদেশ…
মেগাস্টার উজ্জল শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের হাতেগোনা কয়েজনের মধ্যে এখনো ভক্তকুলের ভালোবাসায় নন্দিত হয়ে আছেন আমাদের মাঝে মেগাস্টার উজ্জল। দেশপ্রেমিক এই নায়ক পর্দায় যেভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ভেঙেচুরে দিয়েছেন দেশদ্রোহী কুচক্রীর দূর্গ। ঠিক তেমনি ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন অনাচার ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। সম্মুখসারির একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে নিজের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা সাহসিকতার সাথে উজার করে দিয়েছেন দেশমাতৃকার সেবায়। আজ এই জন্মদিনে স্যালুট আপনাকে দেশপ্রেমেক নায়ক উজ্জল। বাংলাদেশের সংস্কৃতি সমুন্নত রাখতে আপনার অপরিসীম পরিশ্রম ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দক্ষতা ও কর্মযজ্ঞ পরিচালনার সাহসী ভূমিকা জাতি চিরদিন মনে রাখবে। আপানার জন্য ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। আশরাফ উদ্দিন আহমেদ জন্ম ২৮ এপ্রিল ১৯৪৬ চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক,…
জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর উদ্যাপন করবে নোয়াখালী: নোয়াখালী জেলার ২০০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৫ ও ৬ মে দুদিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নোয়াখালী পৌরসভার বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল হোসেন কচি কনভেনশন হলে এ উপলক্ষে সূচনা অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াখালী উৎসব কমিটির আহ্বায়ক আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল, কবি আবুল বাশার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম, কবি বদরুল হায়দার, ডা. বায়েজিদ, গবেষক আবদুল্যাহ আল মামুন, নারীনেত্রী লায়লা পারভীন, অ্যাডভোকেট-গবেষক গোলাম আকবর, সংস্কৃতিকর্মী মিঠুন মজুমদার প্রমুখ। সভায় নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিশিষ্টজনদের…
বিস্ময়ের দর্পন [আরেফা রাব্বী মিলি] হৃদয়ের প্রতিটি কোণ কোমল স্পর্শ করে- অজ্ঞাতে নির্জনে যে ঋষি ধ্যানে ডুবে রয়- চুপচাপ নিমগ্নে। ভাবনার অলিতে গলিতে সংক্রমিত হয়ে- খাঁ খাঁ দুপুর জুড়ে উত্তপ্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে- তৃষিত অভিলাষের কম্পনে। প্রশ্বাসের পরতে পরতে অক্সিজেন হয়ে- আছো মন কেমনের পড়ন্ত বিকেলের- কি এক প্রচন্ড অভিমানে। সমস্ত না থাকার অস্তিত্ব জুড়ে ঝড়ো মেঘ- বিরহী অন্তরীক্ষ, তবুও তো আছো- তীব্র অনুভবের অভিধানে। এক চিলতে বেদনায়, ভুল করেই হঠাৎ দরজা- খোলে দেখি কোথাও নেই, ওহো মরীচিকা, আছো কল্পনার ওই পাশে। অনুপস্থিতিতে অবাক হইনা বিন্দুমাত্র- ভাবাবেগে তাড়িত না হয়ে, আছো অনন্ত- অঙ্গিকারে আর বিশ্বাসে। দক্ষিণা বাতাসে ভেসে আসা ফুলের সুবাসে-…
ভালোবাসার রঙ [রেজাউদ্দিন স্টালিন] চোখে চোখ পড়তেই লজ্জায় আরক্ত তোমার গাল হাত ধরতেই ভীরুতায় দৃষ্টির দিগন্ত সিঁদুর সূর্যোদয় লাল সূর্যাস্তও চুল্লির গনগনে জিহ্বা পর্বতের লাভা বিরহের বহ্নি সব লালের সহগামী আর রণাঙ্গনে যোদ্ধার অভিবাদন লাল এবং বিপ্লবীর রক্ত লাল কি ভালোবাসার সংকেত বুঝে উঠার আগেই আমি অন্ধ হয়ে যাই।
অভিমান [জাহানারা বুলা।] অভিমান জমা হয়ে আছে কষ্টও ভাজে ভাজে প্রশমিত হোক না কেন তার পর কথা বোলো এসে। নীল নক্ষত্রের দিকে চেয়ে আছো চেয়ে আছো ধূসর অন্ধকারে আমি কি লভ্য এতই খুঁজে পাবে অনায়াসে! আমি আছি আমার মত চুপ ধ্রুব তারাদের মাঝে ছিটকে পড়বো না জেনো দিগন্তে বা আশেপাশে। তোমার ইচ্ছে পূরণের দাবি জানানো হবে না চোখ বুজে আমাকেও সহসাই তুমি পাবে না খুঁজে। ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ঢাকা।
সময়ের নগ্ন থাবা [মীনা সাহা] সময়ের ব্যাধি মনকে ছুঁয়ে যায় নিশ্চুপ আমার কলম গুমরে কেঁদে ওঠে যখন দেখি আমার প্রাণের অক্ষরমালা ছিনিয়ে নিতে চায় অন্য কেউ যখন দেখি আস্তাকুঁড় থেকে উচ্ছিষ্ট খাবারের দানা খুঁটে খুঁটে খায় আমারই মত মানুষ যখন দেখি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় পৃথিবী উত্তাল খবরের হেডলাইন জুড়ে ভেসে ওঠে সময়ের নগ্ন নিষ্ঠুরতা রক্তক্ষয় … মানবতাহীন লুব্ধ হিংস্র বিবেক…. লেখার টেবিল বই-খাতা … আর কলমের ডগায়… অনবরত ঝরতে থাকে অগ্নি-নিঃশ্বাস আমি তখন শব্দের সাথে শব্দ গাঁথি মানুষের সাথে মানুষের হৃদয় সেলাই করি পৃথিবীর সমস্ত ভাষা সমস্ত ধর্ম সমস্ত শব্দ -যুগল এক করে দেখি রাষ্ট্র- রাজ্যের ভেদরেখা মুছে একটাই মানচিত্র…
স্বামী [তাহ্ মিনা নিশা] আমার নাম রেখা। আমরা নয় ভাইবোন।যেই বছর আমার পাঁচ নম্বর ভাইটার জন্ম হলো সেই বছরই আব্বা আম্মা আমাকে নানা নানীর কাছে পাঠিয়ে দিল। আমি তাই নানা বাড়ীতে মামা খালাদের সাথে মানুষ হয়েছি।আমার আম্মা নানা নানীর বড় সন্তান। অতিরিক্ত সুন্দরী ছিল বলে আমার আব্বা আমার আম্মাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল।সে এক বিশ্রী ইতিহাস! আব্বা তেমন কিছু করতো না, মানে আয় উপার্জন ছিল না বললেই চলে। তার বিয়ের আগে পাড়ার মোড়ে মোড়ে গুন্ডামী, মাস্তানী, চাঁদাবাজী করে দিন কাটাতো।আমার দাদার হোটেলে খেতো আর নেশা করে বেড়াতো। এমনি একদিন আম্মাকে স্কুলে যেতে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায়…
