Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে শরীর। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার। বাংলাদেদেশ সারা বছরই বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। সেসব ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। অনেকেই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন সুস্বাদু আমের জন্য। তবে গ্রীষ্মকালের বেশিরভাগ ফল রসালো ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের দেশে বেশিরভাগই আমের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেতে ভালোবাসেন। ম্যাঙ্গো-মিল্কশেক নামেও পরিচিত এই খাবার। কেউ আবার ভাতের সঙ্গে আম-দুধ খেতে ভালোবাসেন। আম একটি পুষ্টিকর ফল, এদিকে দুধও পুষ্টিকর। এই দুই খাবার একসঙ্গে কি শরীরের জন্য উপকার করে? এ নিয়ে ভারতীয় চিকিৎসক ডা. দীক্ষ্মা ভাবসার পরামর্শ- আম-দুধের উপকারিতা আম ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে অনেকগুলো উপকার মেলে।…

আরো পড়ুন

বিছনাকান্দি-সিলেট পরিভ্রমণ। (জেবুন্নেছা সুইটি) অনেক দিনের ইচ্ছে, ঘর হতে দু’পা ফেলিয়া দেখে নিব নিজের স্বদেশ, দেখে নিবো ঘাসের উপর সেই শিশির বিন্দু। সে ইছেরই বাস্তব রূপায়নের মানসেই রওয়ানা হলাম বিছনাকান্দি সিলেটের উদ্দেশ্যে। প্রথমেই চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে এসে “উদয়ন এক্সপ্রেস নামে ট্রেনে উঠলাম রাত নয় টায়। সকাল পাঁচটায় সিলেট রেলস্টেশন গিয়ে পৌঁছলাম। হোটেল ভ্যালি গার্ডেনে আগে থেকে রুম বুকিং দেওয়া ছিল। বিসমিল্লাহ পড়ে, সিলেট শাহজালাল মাজার পরিদর্শন করলাম। তারপর দুপুরে “পানসী” রেস্টুরেন্টে চার রকমের ভর্তা ডাল গরুর মাংস দিয়ে গরম ভাত খেলাম। সারাদিন শহরে ঘোরাঘুরি শেষে রাতে পাঁচ ভাই রেস্তরায় ডিনার করলাম। খাবারের স্বাদ বিশ্লেষণ করলে, পানসীর চেয়ে পাঁচভাই রেস্তরার খাবার বেশি…

আরো পড়ুন

“তোমাকে আমার লাগে” (ফেরদৌসী শারমীন সুমী) তুমিময় ছিল বেশ ক’টা মাস সবসময় তোমাকে লাগতো আমার! সকালে ফুল ফুটলে, দুপুরে রোদ পড়লে, বিকেলে চা টা খেলে, সন্ধ্যায় অনবরত স্মৃতি জ্বললে, তোমাকে আমার লাগতো! একটি গানের অস্থায়ীতে, একটি গানের সুর-তাল-লয়ে, তোমাকে আমার লাগতো! রান্নার তেল মশলা ঝালে, বাজারের বাড়াবাড়ি দামের হুলস্থুলে, বাড়ি ফেরার আগের ডুব সূর্যে, তোমাকে আমার লাগতো! নিবিড় কোন সবুজের ঘোরে, বৃষ্টির শেষে নির্জন প্রহরে, রিক্সার অবিরাম প্যাডেলে প্যাডেলে, চেনা রাস্তার অচেনা মোহে, তোমাকে আমার লাগতো! বই পড়ার মাঝে হঠাৎ না বোঝায়, কিছু ভুল লেখা, ভুল চেতনায়, ধুপ করে বন্ধ করে দেয়া কালো জানালায়, তোমাকে আমার লাগতো শহরের রোদ ঘামে,…

আরো পড়ুন

নিরব আকুতি (তসলিমা হাসান) কঠিন শিলার তৈরি হৃদয়েও যেনো তুমি নির্মল কোমল অনুভূতি আমার তবুও কেনো হারিয়ে যাও বারবার? তোমার আলতো একটু স্পর্শেই যেনো আমি প্রাণ ফিরে পাই বারংবার। তোমার নীলাভ চোখে চোখ পড়লেই আমার কষ্ট গুলো ঝর্না হয়ে ঝরে যায় তোমার ঐ মায়াবী কণ্ঠ শুনলেই যেনো অন্তরে এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে যায়। শত তিক্ততার ভিড়েও যেনো তুমি আমার অদ্ভুত এক মুগ্ধতা হাজারো অবিশ্বাসের মাঝেও যেনো তুমি নির্ভেজাল এক শুদ্ধতা। শত সহস্র নিরাশার ভীড়েও যেনো তুমি আশার প্রদীপের উজ্জ্বল আলোকছটা তোমার দীপ্তিমান আলোর রেখায় কেটে যায় সকল অন্ধকারের ঘনঘটা। আমি চাইনা তোমার সুখের ভাগিদার হতে চাই তোমার কণ্টকাকীর্ণ পথের সঙ্গী…

আরো পড়ুন

অবাধ্য আবদার (রাবেয়া হোসেন) কষ্টের নীল কে করেছি শিরায় ধারণ! তাই, দুঃখ সর্বদাই করেছে আমায় নিঃশব্দে বরণ। হাসির আড়ালে লুকিয়ে রেখেছি যন্ত্রণার পাহাড় তুমি এসে চুরমার করলে আমার সব অহংকার!! তোমার চোখের মাঝে দেখেছি উচ্ছলতা আর হাসিতে সচ্ছলতা!! দেবে কি আমায় জানতে তোমার মনের সমুদ্রের গভীরতা আর অবগাহনে পরিপূর্ণতা!? ছুটে চলেছি অজানা টানে অবাধ্য আবদারগুলো তোমার পানে সেই পথের পথিক হয়ে তুমিও এলে, গোধূলি লগ্নে আমায় বুকে জড়িয়ে নিলে।। ______________ Rabeya Hossain Montreal, Canada June 8, 2022

আরো পড়ুন

পোড়া মন পোড়া ঘর। (নারগিস দোজা) পর্ব: ০১ তাহমিনার কাঁচা ঘুমটা ভেঙে গেল একটা হইচইয়ের শব্দে। মনে হোল রাস্তা থেকে আসছে। হাজারো গলা ছাপিয়ে ক্ষিন একটা কান্নার শব্দ। একটা বাচ্চার গলা। তাহমিনা বিছানা ছেড়ে উঠলো। আস্তে আস্তে বেডরুমের সাথে লাগোয়া বারান্দাটায় বের হয়ে উঁকি দিল। যা দেখলো ওর মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। ল‍্যাম্পোস্টের সাথে আঁটসাট করে বেঁধে রাখা হয়েছে একটা মহিলাকে। জামা কাপড় ছেঁড়া এখানে সেখানে। সাতআটজন মহিলা পুরুষ মিলে তাকে থেকে থেকে লাঠি দিয়ে মারছে আর ছয়সাত বছরের একটা মেয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টায় আগলে রাখার চেষ্টা করছে। তাহমিনা আস্তে করে ঘরে ঢুকে গেল। ওয়াড্রোবের উপর থেকে ব‍্যাগটা নিয়ে রুম…

আরো পড়ুন

মুক্তির আহবান (গোলাম ফেরদৌস মনির) ১১.০৬.২০২২ ঘনঘোর বর্ষণমুখর এমন বাদলও দিনে-একলা বসে ভাবছি আনমনে- কোথায় ছিলাম,এসেছি কোথায়? কখন,কিভাবে,কোথায়ই বা যাবো কি নিয়ে? এমন অগণিত প্রশ্নরা মনে ঘুরপাক খায়।। মোহ-লালসা,চাওয়া-পাওয়ার শেষ কোথা? নিজেরাইতো জানিনা-তাইতো বিধির বিধান মানিনা- অধিক চাওয়ার ইতি কখনো টানিনা; এই যে জীবন-মরণেই যার শেষ সীমানা- নকলের পিছু ছুঁটে-আসল ঠিকানাই জানিনা।। একটি দমের হাওয়ার খেলা-খেলছি নিতুই সারা বেলা- সত্য ও সুন্দরতাকেই করছি হেলা; বেহায়াপনায়ই মত্ত যেন দিন-রজনী- আজব আজব বাহারী রঙের মেলা– উল্টাপাল্টা চলনবলন-চলছে একই খেলা।। হায়রে সাধের মানব জনম! এভাবেই হেলায় হেলায় কাটছে সময়- দিন গড়িয়ে রাত চলে যায়-নিদান কালে পারের কড়ি কোথায় পাবো বলো? থাকতে সময়-সুপথ ধরো!…

আরো পড়ুন

লজ্জ্বাহীন তাপিত অপরাহ্ন (শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম) মহব্বতের পাঠ চুকিয়ে দিলে —জেমস? বড্ড আদুরে —নাম! আজ বৃষ্টি এসেছিলো —হিমাংশু প্রপাতে! দিনময় শুধু ঘোরলাগা আষাঢ়ের —ধাপাধাপি! আষাঢ় আর বৃষ্টি খুব কাছাকাছি —দর্শনেন্দ্রীয়! তুমি আর আমি দুরত্বের —গুরুত্বের কাছাকাছি নয় আবার —কানামাছিও নয়! দুরত্বের গুরুত্বের —সুঁতোটা অনেকাংশে বেড়ে গেছে—নয় কি? আমি এখন নিত্য মুখ বদলাই —নিথর হয়ে! তারা আসে আবার বদলেও —যায় আলোকময় রাজপথের মতো ফিরতিশয় খুব —দ্রুত! কারণ তারা নিশিধর! পাঁচ আঙ্গুলের কেরামতিতে —বড্ড বাজিকর! স্কাপনের খেলায় —অবয়! আমিও ইরেজারে মুছে ফেলতে চাই শবর গোঁলকধাঁধার —তপ্তপোষের ভেজা— সম্ভার কেননা স্বপ্ন গুলো —অহরহ কাঁপে! বারোমাসি তমশ্রীর ভুত ব্যামো —ধরেছে! আমি নটি ( অভিনেত্রী)…

আরো পড়ুন

ডোমিনো (জাহানারা বুলা) পর্ব- ৫ (শেষ পর্ব) আনোয়ার ভেবেছিলো মাস খানেক ঢাকায় থাকবে। গ্রামের বিষয় সম্পত্তিগুলো গোছাবে। এর পরের বার এসে সেখানে একটা স্কুল করবে। বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করার গরজ নেই তার। কারণ, লন্ডনের বাড়িটা তার বেশ বড়। নিজের রোজগারও কম নয়। তাই, গ্রামের মানুষের কল্যানের জন্য কিছু একটা করবে সে। কিন্তু, এই যাত্রায় কিছুই আর করা হলো না। স্মৃতির বিষয়টাও ভেবে এসেছিলো আনোয়ার। স্মৃতি রাজি হলে নিজের জীবনটাও গুছিয়ে নেবে সে। স্মৃতি জানে, আনোয়ারের জীবনের ধারা। স্মৃতি অনেকটাই সহানুভূতিশীল হয়েছিলো। কিন্তু, বারবার বলছিলো- এমন হওয়াটা ঠিক না। তবে আনোয়ারের সাথে ঘর বাঁধা তার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব তাও সে বলেনি।…

আরো পড়ুন

শব্দহীন আর্তনাদ (মেশকাতুন নাহার) ১১/০৭/২০২০ আমি তো হারিয়ে যেতে চাই – তাদেরই মাঝে পথেই যাদের জন্ম হয় – পথে নামে কাজে রোদ বৃষ্টিতে রাস্তার মোড়ে -ভোর থেকে সাঁঝে। আবর্জনায় খাবার খুঁজে -জঠরের ভাঁজে। ছন্নছাড়া জীবন তাদের -পথই ঠিকানা স্বপ্ন কিভাবে দেখতে হবে -আদৌ নেই জানা সমাজ সভ্যতা শিক্ষা দীক্ষা -পায় নাহি তাঁরা নির্মম পরিহাসে জীবন -হয় দিশাহারা। আমি তো হারিয়ে যেতে চাই -তাদেরই পাশে অবহেলা অনাদরে শেষে – বৃদ্ধাশ্রমে আসে সারা জীবন যাঁরা নিঃস্বার্থে -খাটে পরিবারে শেষকালে সন্তানের চোটে -কাঁদে বারেবারে। শত কষ্ট ক্লেশে যাদেরকে -রাখে পেটে বুকে বিবেকহীন সন্তান দেয় -দূরে ঠেলে দুখে বিশাল বাড়ি তবু মেলেনা -বাবা মা’র…

আরো পড়ুন