নারী তোমাকে সুমিত সাহা কাল পর্যন্ত শরীরের অধিকার ভাগ করনি তুমি। অটুট ছিলে নিজে নিজের ঘেরাটোপে একান্তে। কোন হাত তোমাকে স্পর্শ করতে চায়নি কখনও। তুমি নিজের পবিত্রতাকে ধরে রেখেছ প্রাণভরে। ভালবাসতে সবাইকে, সবাই তোমায় ভালবাসতো। প্রতিটি মানুষের নিঃশ্বাসকে প্রাণভরে বিশ্বাস করেছ। তখনো কারো নিঃশ্বাসের ফণায় কোন বিষ ছিল না। সময়ের সাথে তুমি যতোই হয়ে উঠেছ স্বয়ম্ভরা। তোমার যৌবন তিলে তিলে হয়ে উঠেছে ভরপুর। তুমি চাওয়ার অলক্ষ্যে বেড়ে উঠেছে মৌমাছির দল! অনুভব করতে শিখলে প্রথম শরীরের বিপন্নতা। প্রতি মূহুর্ত অনেকে তোমাকে ভাগ করে নিতে চায়। চন্দ্রিমা রাত ভাগ করার জন্য অনেক মৌমাছি। নিজের বিশ্বাস ভাঙল যেদিন কাউকে দেখলাম। মধ্যবিত্তের বাথরুমের দরজায়…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
কবি নুসরাত হাশেমী’র জন্মদিনে শুভ কামনা: কবি পরিচিতি: জন্ম: কবি নুসরাত হাশেমী। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি জগতে তার বিচরণ। বাবা শিক্ষাবিদ, কবি ও কথাসাহিত্যিক মান্নান হাশেমী। বাবার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই তার সাহিত্য জগতে পদার্পণ। জন্ম ১৯৮০ সালের ৩০ নভেম্বর বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। পড়ালেখা: শিক্ষাজীবন শুরু হয় সরকারি বাকেরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই মাধ্যমিক শেষ করে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। সরকারি ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স মাস্টার্স করেন। সাহিত্যচর্চা : ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও এলাকাভিত্তিক সাময়িকী ও ম্যাগাজিন গুলোয় নিয়মিত লিখতেন। তিনি সততা, স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসকে জীবনের মূলমন্ত্র মনে…
যদি প্রত্যার্বতন হয় শারমীন সুলতানা চলে গেল ট্রেন অকস্মাৎ হঠাৎই কান্নার গমক তুলে দিয়ে শেষ স্টেশনে ট্রেন অগণন যাত্রী । গার্ডের হাতে সবুজ পতাকা জানাতে তার নির্বিঘ্ন যাত্রা বুকের কিনারে বেহালার রাগ। ধীরে ধীরে প্লাটফর্ম অপসৃয়মান বাজিয়ে দেয় প্রকট হুইসেল। নির্বাক চেয়ে দেখি তার চলে যাওয়া হঠাৎ থেমে যায় সাময়িক কোলাহল মধ্যরাতে সুনসান স্টেশন। পরস্পর অচেনা হৃদয় স্মৃতিতে চেনা দৃশ্যপট! দেখা হবে না আর, তবুও বিদায়ের বার্তায় হাত নেড়ে আশ্বস্ত করি আবার দেখা হবে। হৃদয়ে অনুরণন… মনকে প্রবোধ দেয়া-পৃথিবী গোল! ট্রেন ফিরবে নির্ধারিত যাত্রীর গন্তব্য শেষ হলে আবার প্লাটফর্ম অতিক্রম করবে চেনা গন্তব্য…!
আশির দশকের অন্যতম আধুনিক কবি সিকানদার কবীর’র শুভ জন্মদিন: ১৯৫০ এর ৩০ নভেম্বর তিনি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আবদুল হামিদ খান এবং মা ভানু আফরোজ। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখির শুরু এই কবির। ১৯৭৬ এ কবিতায় রাষ্রদ্রোহিতার অভিযোগে তিনি ২ মাস কারাভোগ করেন এবং সরকারিচাকুরী থেকে এক বছরের উর্ধ্বকাল যাবত সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন।তার স্হায়ী নিবাস ঝালকাঠি হলেও বর্তমানে সস্ত্রীক বসবাস করেন খুলনা শহরে এবং চাকুরী করেন ঢাকার কনকর্ড গ্রুপে সিনিয়র এডমিন অফিসার হিসাবে। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ নয়টি,যৌথ পাঁচটি। আগামী একুশে বইমেলায় আসছে একটি অণুগল্প এবং একটি কবিতার বই। জন্মদিনে কবিকে অভিনন্দন ও ভালোবাসা…
সেই শহরে মনজুলা জাহান এলো মেলো ভাবনা- বৃষ্টি স্নাত নিঘুম রাত, ঘুম আসে না- ক্লান্ত দুচোখ চেয়ে আছে আনমনে, কত কথা পরছে মনে, কতরাত কাটিয়েছি দুজনে কত না সুখের পরসে । ভালো লাগে না- কি করে ভালো লাগে বল ! কতদিন কোথাও ঘুরতে যাই না নানা বাড়ি, দাদা বাড়ি সবই অনেক দূরে মসজিদের পাশেই বাঁধ সেটাও পরে আছে আনমনে কতদিন হাঁটি না সেখানে- শুনি না রাখালের বাঁশি- দেখি না পালতোলা নাও শুনতে পাই না মাঝিদের ভাটিয়ালি । পরে আছি সেই শহরে যেখানে নির্জন নিরিবিলি কোন জায়গায় নেই নিঃস্বার্থ কোন মানুষ নেই – পানির মত পবিত্র কোন সম্পর্ক নেই আছে শুধু…
কবি ও কথাসাহিত্যিক পলক রহমান মেজর (অব.)’র গল্পগ্রন্থ: স্তননের সিম্ফনি। বইয়ের ধরন: গল্পগ্রন্থ বইয়ের নাম: স্তননের সিম্ফনি বইয়ের লেখক: মেজর (অব) পলক রহমান প্রচ্ছদ: এম এ মুহিত প্রকাশক: প্রতিবিম্ব প্রকাশ প্রকাশকাল: অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ বিনিময় মূল্য: ৪৫০ টাকা। আইএসবিএন : 978-984-98974-০০-০০ সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা: ____________________ প্রতিবিম্ব প্রকাশ অফিস/শো-রুম: বাড়ি ১১, সড়ক ০৩, সেক্টর ৬, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। ফোন: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯/০১৮২৬৩৯৫৫৪৯ পেইজ: প্রতিবিম্ব প্রকাশ-protibimboprokash ওয়েব: www.protibimboprokash.com
প্রিয় বাবা তোমার ঠিকানায় এই চিঠি পাঠাতে গিয়ে আমি থমকে গেছি। বারবার চোখটা ঝাপসা হয়ে আসছে। জানি, এই চিঠি তোমার হাতে পৌঁছাবে না, তবু আমার হৃদয়ের প্রতিটি কথা লিখতে চাই। তুমি নেই—এ কথা এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। মনে হয়, তুমি হয়তো কোথাও আছো, কোনোদিন হঠাৎ ফিরে এসে বলবে, “কেমন আছিস রে?” কিন্তু জানি, সেই দিন আর আসবে না। জানো বাবা, ছোট ছোট হাতে তোমার আঙ্গুল ধরে মসজিদে যাওয়া, স্কুল থেকে ফিরে তোমার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়া—এসব স্মৃতি আজও আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। নতুন জামার বায়না ধরতাম, আর তুমি মিষ্টি হেসে বলতে, “চিন্তা করিস না, সব হবে।” তোমার সেই…
অতিথি পাখি অপু বড়ুয়া মেঘের শরতে যখন শীতের আগমনী গান বাজে আকাশ তখন শীতের পাখির বাহারি ডানায় সাজে। বরফের সাদা পাহাড় পেরিয়ে শীতের পাখিরা আসে বেঁচে থাকবার দৃঢ় প্রত্যেয়ে দু’চোখে স্বপ্ন ভাসে। আসে তারা উড়ে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে অতিথি পাখির আদরে এদেশ টেনে নেয় ভালোবেসে। আমাদের হ্রদ,ঝিলিমিলি হাসে অতিথি পাখিকে ঘিরে শীত শেষ হলে ঝাঁক বেঁধে ওরা নিজ দেশে যায় ফিরে। ——————————- প্রকৌশলী অপু বড়ুয়া/জেলা পরিষদ/চট্টগ্রাম।
অপেক্ষার প্রহর মনজুলা জাহান এলোমেলো ভাবনা — মন তো খুঁজে পায়না আজ মনের ঠিকানা — তবু্ও খুঁজে- কেন খুঁজে কিছুই তার নেই জানা । রোজ খুঁজে — চেতনে অবচেতনে এলোমেলো ভাবনা তে — হাজার রকম চিন্তাতে সকাল দুপুর সন্ধ্যাতে হেমন্তের শিশিরে — মনের কোণে জমিয়ে রাখা স্মৃতিতে জানি সে আসবে না — মনের গভীরে বেদনা জাগিয়ে চলে গেছে সে ওপারে — তবু্ও খুঁজে । স্মৃতিগুলো আগলে রেখেছি — যদি নিভে যায় জীবনের সব আলো মধুময় স্মৃতির কণা দিয়ে জীবনের প্রদীপখানি জ্বলাবো বলে । আঁধার কেটে যাবে প্রদীপের শিখায় মুছে যাবে সব কালো, যদি রোদ ঝলমলে দিন আসে ফিরে তাকেই দু’হাতে…
শিশুতোষ গল্প শিরোনাম : প্রতিদান লেখায় : আব্দুস সালাম আশির দশকের একটি ঘটনা। জীবন তখন এতো আধুনিক ছিলো না । হাতে হাতে মোবাইল ফোন দেখা যেতো না । রফিক আর বেলাল পরস্পর দুই সহোদর ভাই । ওরা উভয়ে বেশ মেধাবী ছিল । রফিক নবম আর বেলাল সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র । উভয়েই সরকারী বৃত্তি প্রাপ্ত । কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো ওরা এতিম । বছর দুয়েক আগে ওদের প্রাণ প্রিয় বাবা রাস্তা পাড়াপাড়ের সময় চলন্ত এক গাড়ীর সাথে প্রচন্ড ধাক্কা খেয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যান । সংসারের হাল ধরার মত কেউ না থাকায় ওরা ভীষন অসহায় হয়ে পড়ে ।…
