ক্লান্ত একটি নদী জেবুন্নেছা সুইটি পাহাড়ের কান্নায়… ঝর্ণা ছুটে নদীর বুকে। পাহাড়ি জলপ্রবাহ… ভিজিয়ে দেয় নদীকে! সাগরের বুকে উথাল পাথাল! ঢেউয়ের পরে ঢেউ! নদীকে অসহায় রেখে, সাগর ছুটে চলে! সাগরের উতলা ঢেউ নদীকে কাঁদায়। কতো রকম খেলা এই পৃথিবীর বুকে? কখনও পাহাড়ি জলপ্রবাহ বৃষ্টির সান্নিধ্যে স্নানে মাতাল! কখনও পিপাসায় নদী কাতর! কখনও আবার পাহাড়ি পথ ফসলি জমি ফেটে চৌচির! আমি ও প্রকৃতির মতোই উষ্ণতায় সাগরের সন্ধানে ব্যাকুল.. পথ হারা ক্লান্ত নদী। সাগরের দিকে চেয়ে থাকি পিপাসায় কাতর শুকিয়ে থাকা আধ মরা নদী।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
হে পাহাড় তসলিমা হাসান আমি একখণ্ড মেঘ বলছি দিনের শুরুতে ফুরফুরে মেজাজেই আছি তোমার চূড়াতে ও দেখছি বরফ কুচির শ্বেত শুভ্র হাসি তাই এখনই কিছু কঠিন কথা তোমাকে বলতে এসেছি হে পাহাড় আমি এই পানিচক্র জীবনটাকে বড় ভালোবাসি তুমি তো ঝরনা ও নদীর উৎপত্তিস্থল এরা খুব বেগবান হয় তাও আমি জানি। আমার উৎপত্তি ও তোমার গিরিখাতে আমার কোন বেগ নেই , আছে কিছু আবেগ বরফ বিগলিত যে পানিটুকু থাকে তার বাষ্পীভূত আবর্ত নেই সৃষ্ট শুভ্র একখণ্ড মেঘ আমি তোমার আশেপাশেই থাকি। ও দূরে ভ্রাম্যমান কিছু মেঘ করছে দলাদলি হয়তো সঙ্গবদ্ধ হবে আবার দ্বিধা বিভক্ত ও হবে ঠিক তখনই হবে ধনাত্মক…
দাম বেড়েছে রিয়াজুল হক সাগর। কিনতে গেলাম এই বাজারে একটি সাধের পণ্য, দাম শুনে হায় প্রাণটা যায় জীবন আমার ধন্য। আগে ছিলো সস্তা দামে এখন ভীষণ চড়া বড় বাবুর মন ভালো নেই মনটা যে তাই কড়া। বাজার দরে দাম বেড়েছে বাড়তি টাকার খেল হটাৎ করে পড়লো মাথায় গাছের পাকাঁ বেল। দামের চোটে বুক ফেটে যায় মন টিকে না কাজে অসৎপথে চিন্তা করে কাজটা যে হায় বাজে।
কেমন আছিস রেজাউল করিম রোমেল বন্ধু, কেমন আছিস? কি খবর তোর? অনেকদিন হোলো তোর কোনো খবর জানি না। তুই তো ছিলি ছাত্র রাজনীতির একজন সক্রিয় সদস্য, দলের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সংগ্রামী মানুষ। মিছিলে-মিছিলে স্লোগানে-স্লোগানে কত না সংগ্রাম করেছিস ন্যায্য দাবি আদায়ের। রাজপথ কাঁপানো বজ্রকন্ঠের সেই স্লোগান, তোর স্লোগানে মুখোর হোতো রাজপথ। মনে পড়ে… তোর আগুন ঝরানো বক্তৃতায় মুগ্ধ হোতো মানুষ। কলেজের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা বলতো- শুভো একদিন বড় নেতা হবে, অবদান রাখবে দেশ ও জাতীর উন্নয়নে। বন্ধু শুভো, কেমন আছিস তুই? কতদিন হল তোকে দেখি না! সেদিনের সেই মিছিলে গোলাগুলির এক পর্যায়ে একটি বন্দুকেরগুলি তোর পায়ে এসে লাগল। তোকে হাসপাতালে নেওয়া হল।…
সাম্যের বাণী সাগর রায় পড়ি সাম্যের বাণী, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলে মোরা ভাই ভাই, হিংসা, বিদ্বেষ নাহি কবু মানি। শুনি সাম্যের কথা, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ একতা। একই মায়ের চরণে লুটায়, ভিন্ন নদীর স্রোতধারায়। বিপদে মোরা রুখে দাঁড়াই। ভয়কে নাহি কবু ডরাই। গাহি সাম্যের গান, আমার কাছে হিন্দু বৌদ্ধ সকলই সমান। কবুও নাহি করি ধর্ম ভেদে অসন্মান। চলি সাম্যের পথে, যে পথ মাড়িয়াছে নজরুল সে পথে নেই যে কোন ভূল। দিতে হবে নাকো মাশুল আমি সাম্যের কবি, সাম্যের গান গাই। সাম্যবাদী চেতনা বুকে ধরি, অসাম্যের বুকে ছুড়ে মারি বাণ, বাংলা আামার মাতৃভূমি বাংলা মায়ের চরণ চুমি। সাম্য, একতার এক লীলাভূমি।…
অস্তিত্বের কথকতা সোমা তাহেরা চৌধুরী এককালে তাঁরাও একদা ছিলো এইখানে বিচরণ করতো এই নীলাভ পৃথিবীতে, নিঃশ্বাস নিতো এই বায়ুমন্ডলে। তাঁরাও জন্ম নিতো মাতৃজঠরে, তাঁদেরও ছিলো বংশানুক্রম, পিতৃপুরুষ। তারাও অপেক্ষা করতো প্রিয়জনের জন্য, প্রিয়ক্ষণের জন্য। প্রিয় মানুষটির মুখে হাসি ফোটাতে তাঁরাও সাথে নিতো কাঁচের চুড়ি, আলতা, নূপুর, কানের দুল, নাকছাবি। বার বার গন্ধ শুঁকতো সাদা রুমালটির -যার এক কোণে সূচিকর্মে লেখা, ‘ভুলো না আমায়।’ প্রিয়জনের সুখে আর আনন্দে তাঁরাও পুলকিত হতো। প্রিয়ক্ষণে প্রিয়জনকে কাছে পেলে তাঁদেরও পাওয়া হয়ে যেত গোটা পৃথিবীর তাবদ রত্নভান্ডার। খুব কষ্ট পেলে জমাট বাঁধা কান্না তাঁদেরও বুকে বিঁধতো শেলের মতোই। হাল্কা হতে হয়তো বা তাঁরাও দৃষ্টি প্রসারিত…
বসে বসে আজ কলা খেতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল কোনটি? অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় কোন ফল? গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, কলা। যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরে একজন মানুষ অন্তত এক শ কলা খান। আমাদের দেশেও সংখ্যাটি কম হবে না। তবে কলা যেখানে যেভাবেই খান, সচেতন নাগরিক হিসেবে খোসাটা কিন্তু নিরাপদ স্থানে ফেলবেন। নইলে কেউ হয়তো কলার খোসায় আঁতকা চিৎপটাং। ফল হিসেবে কলা পুষ্টিগুণে অনন্য। কলা দিয়ে চিপস, কেক, স্মুদিসহ হরেক রকমের খাবারও হয়। কাঁচা কলা, কলার মোচা, কলা গাছের ভেতরের অংশ সবজি হিসেবে খুব জনপ্রিয়। অনিন্দ্যসুন্দর কলাপাতার কথাইবা বাদ রাখি কেন! বাতাসে দুলতে থাকা কলাপাতার নৃত্য এক অপূর্ব দৃশ্য। সেই…
স্বার্থ ও শপথ পারও বটে মেঘদের জোছনায় ভিজাও বৃষ্টিকে পোড়াও জীবন ও মরণের কাছাকাছি হারাও মৃত্যু ক্ষুধা বাড়াও কষ্টও দুখে কৌলিন্যে লালন কর জলাঞ্জলি যেন সুখে। পাথর চোখে ছন্দেমোড়ানো দূর পহাড়ের চওড়া বুকে। জাহানে হয়না ঠাঁই বিশেষ দু’ইঞ্চিতে বিরাজ অনিমেষ! নোনাজল জনমের পরিবেশ কারো আনন্দের নেই শেষ। কারো দেও পোড়াবাশি কারো কেড়ে নেও রাশি রাশি। কেউ সব পেয়েও অখুশি কেউ সব হারিয়ে মুখে হাসি! কাউরে নবাবজাদী কারোকারো ললাট লিখন চিরদাসী। কেউ উপবাসী কেউ পরবাসী,কারো আবার মরণ ফাঁসি কেউ গায় বারমাসি কখনো কখনো আবার হয় সর্বগ্রাসী চলছে খেলা হরধম একদিন শেষ ধম এভাবে দিবানিশি। কেউ মরে কেউ মরার উপর চরে ভবে…
একটু ছোঁয়া তসলিমা হাসান ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছি, তাই শরীর ভরে জ্বর এনেছি! বকা দেবে? দাও! প্রিয়, মন চায়, তোমার হাতে হাত রেখে সাগরের সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখবো! অসীমতায় হারিয়ে যাব! তোমার সাথে সাগর দেখবো,সূর্যাস্ত দেখবো! আমি ব্যাকুল! অস্হির! এইটুকুই তো চাওয়া বল? হবে না পূরণ! হবে না? বল? ধু ধু সমুদ্র পথ অতিক্রম করে, ভূখন্ডে দাঁড়িয়ে শ্বাস নেয়ার প্রতীক্ষায় যেমন নাবিক, তোমার প্রতীক্ষায় তেমনি আমি! যদিও আসবে না তুমি, নিয়মের মালা ছিঁড়ে, মুক্তির আনন্দে মূক্তো ঝরা ফাগুনের বিকেলে! প্রিয়-পাশে একটু বসবে!তোমার সুঘ্রাণ পেতে চাই! কপালে ছুঁয়ে দেখ, কত জ্বর! তোমার স্পর্শ পেতে চাই! তসলিমা হাসান কানাডা: ১০-০৮-২০২২
সুখের বারতা নিপা খান নৈঃশব্দ্যের লীলাভূমিতে পাতা ঝরার শব্দে চকিত হরিণীর মতো চাহনিতে যে মাদকতা ধরা পড়ল, তা ছিল নিতান্তই অপ্রকাশ্য। তোমার হতবিহ্বল হাতছানিতে ইচ্ছে হলো নিজেকে নিঃশেষ করে দিতে। পারোনি তখন, গ্রহণ করোনি আমার অর্ঘ্য। অস্তমিত সূর্যটার লাল আভার পরতে পরতে লেখা আছে আমার যত কবিতা, সব তোমাকে নিয়ে, তোমার অবিসংবাদিত বারতা পাওয়া আমার কাছে ছিল দুঃসাধ্য। তবুও মনটা ছিল খুব অবাধ্য। আমার একান্ত ধ্যান, জ্ঞান, মন সবই ছিল তোমার জন্য। একটু স্পর্শ, একটু নিবিড়তা একটু সাহচর্য ছিল আমার দিনমান আরাধ্য। তবুও তোমাকে চাই, তোমার চার অক্ষরের মধ্যে লুকিয়ে আছে স্বর্ণপ্রভা তুমিই যে আমার ভালোবাসা।
