ভাঙ্গো বিভেদের বেড়াজাল জন্ম নিলাম আমি মায়ের কোলে তীব্র শীতের ভোরে কন্যা আমি নয়তো দামি যদিও বলে সমাজের লোকে গোসল দিয়ে আযান ও ইকামত দিলেন বাবা আমার কানে জানিয়ে দিলেন কন্যা নয় সন্তান এসেছে এই ভূলোকে। আযান শুনে দৌড়ে এলেন পাশের বাড়ির এক চাচী বললেন ও ভাই এবার তোমার ছেলে হলো নাকি? আলহামদুলিল্লাহ এবার ও পেলাম আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত দেখি ভাই দেখি তোমার ছেলের মুখখানা একটু আমি দেখি। ছেলে নয় গো ভাবী এবার ও এসেছে মিষ্টি একটা মেয়ে তাহলে কেন আযান দিলে বল তো আমাকে দেবর জি? আযান দিলাম কারণ আমরা মুসলমান এটাই ধর্মীয় বিধান আল্লাহর নামের সাথে তাওহীদ রিসালাতের…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
বেনামে বেঁচে থাকা। সুরমা খন্দকার। আমি বেড়ে উঠে ছিলাম ব্যাপক মৌল চাহিদার আকালে। পৃথিবীর অক্সিজেন অন্য দখলে আমি বেড়ে উঠে ছিলাম অন্য সময়ে। অন্য কারো জন্য বেঁচে আছি। আমার নিজস্বতা ঢেকে রাখি, উচ্চারণ করি না আমার কথামালা। তুচ্ছ শব্দের পাল্লায় অনুভূতিরা তুচ্ছ। ভাঙা শব্দের টুকরো কখনো বের হয় না, আপন রীতিতে লুকিয়ে থাকে, প্রকাশিত নয় লুকায়িত। আমি হেঁটেছিলাম অন্যের রাস্তায় অন্যের ভঙ্গিতে, আমার দু’খানা পা বিকল করে। আমি জন্মেছিলাম অন্যদের সময়ে, অন্য গ্রহে এই তীর্যক সূর্যের দ্রোহে আমার আপন চৈতন্য বৈভব আর প্রস্ফুটিত হয় না। আমি স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলাম আমার ওদের নিষেধ্যতা, বশ্যতায় আমার স্বেচ্ছাচারী স্বপ্নরা বুকের ভেতরই মরে যায়।…
অনুভূতির বাঁধন রাবেয়া হোসেন কৃষ্চূড়ার গোধূলি লগ্নে নীল সাগরের তীরে তোমার হাতে হাত রেখে ফিরবো তোমার নীড়ে।। অদৃশ্য অনুভূতির একটি যদি ভালোবাসা হয়; তাহলে, আমার হৃদয় তুমি করেছো অনেক আগেই জয়।। ভালোবাসি বলিনি তোমায় কখনো আমি তবুও, এই বাঁধন দুজনের কাছেই অনেক দামি। Montreal, Canada ??
শরৎ রাণীর বরণ নাসরীণ রীণা নীল খামের ওই আকাশ চিঠি আমি যখন হাতে পেলাম, হৃদ গগনে আভাস এলো শরৎটাকে পেয়ে গেলাম। থরে থরে শুভ্র মেঘের অবিশ্রান্ত ওড়াওড়ি, রোদের ঝিলিক হাসছে দেখো রংধনু যে রঙিন ঘুড়ি। কাশের বনে দোল দিয়ে যায় মন পবনের শান্ত ছেলে, কুমুদ ফুলে সাজছে দিঘী কাকচক্ষুর স্বচ্ছ জলে। ঝিরিঝিরি বইছে হাওয়া আকাশে রৌদ্রছায়ার খেলা, এক পশলা জল নামিয়ে ভিজিয়ে দিলো মেঘের ভেলা। প্রকৃতি আজ গাঁথছে মালা গগনশিরীষ, ছাতিম দিয়ে, শরৎ রাণীরে করবে বরণ শিউলি ফুলের ডালা সাজিয়ে। _____________ নাসরীণ রীণা দালাল বাজার, লক্ষ্মীপুর।
সকালটা আজ একলা ভীষণ বনানী আলম সকালটা আজ একলা ভীষণ,ভাবছে বসে মেয়ে মনখারাপের মেঘ জমছে আকাশ ছেয়ে ছেয়ে স্মৃতিগুলো ভাসছে হাওয়ায়,আসছে পিছু ধেয়ে– সূর্যমামা আলোর রথে পাঠালো কোন চিঠি! ঝুলবারান্দার সকালটুকু হাসছে মিটিমিটি রোদের সাথে ছায়ার সেথায় চলছে খুঁনসুটি; রেলিং বেয়ে তরুলতার রঙিন ফুলেল সাজ টবের বাসায় ঝুলে ঝুলে নাচছে সবুজ গাছ পুচ্ছ নেড়ে কাটছে সাঁতার, অ্যাকুরিয়ামে মাছ– খুশির হাওয়া উড়িয়ে ধুলো আকাশ দিলো ছেয়ে মনখারাপের মেঘগুলো সব হাসছে চেয়ে চেয়ে সকালটা হঠাৎ পাল্টে গেছে, চমকে ওঠে মেয়ে!
ডিভোর্স ফারহানা আহাসান বইটি পরে আছে টেবিলের এক কোণায়। তুমি পড়বে বলে আজও সেখানেই রাখা আছে। বছর দুইয়েক হলো দেখা নেই প্রিয়তমো মুখটির সাথে। হঠাৎ ফোন’টি এলো মেয়ে কেমন আছে? আমার সর্বস্ব শরীরের ভেতরে কেমন একটা অনুভুতি হলো তোমার কন্ঠের সাক্ষাতে। আমি চুপ করে শুনছিলাম শুধু সেদিন। তোমার শুধু একটি কথাই জানার ছিল মেয়ে কেমন আছে? একটিবারের জন্যও জিজ্ঞেস করলে না আমি কেমন আছি? দুবছরের বিচ্ছেদ থেকেও আমি কি ভুলতে পেরেছি তোমাকে! তুমি বলেছিলে যদি কখনো শর্ত মানতে পারি তবেই যেন ফিরে আসি। আমার আর শর্তের বেড়াজালের সম্পর্কে ফিরে যাওয়া হয়নি। তুমিও তো চাইলে না আমি ফিরে আসি। কিছু দিন…
নয়ন-ইতিবৃত্ত আয়শা সাথী নয়নে নয়নে বাঁধি বাসা আবার নয়নেই রাখি জল, তৃষিত মরু দু’নয়নেই ধরি নয়নেই করিলাম ছল! নয়ন মাঝেই দীপ্তি জ্বলে ঐ নয়নেই ওঠে ঝড়, নয়ন মাঝেই বাঁচে কেহ অতল নয়নেই ডুবে অমর! নয়নেই রাখি আপন করি আবার নয়নেই করি পর, নয়ন জোড়া স্বপ্ন বুনি সেই নয়নেই ভাঙি ঘর! নয়নে নয়নে শত কথা নয়নেই লুকাই যত ব্যথা, ধরি নয়নে জোয়ার ভাটা পোড়া নয়ন-জ্বালা যথাতথা! নয়নে নয়নে না হলে মিলন নয়নেই হোক আত্মগোপন, নয়ন মাঝে যা রহিলো নয়নেই ধরি,করিলাম লালন!
পাচার আফছানা খানম অথৈ আক্কাস ছিল গ্রামের বখাটে ছেলে।সে মেয়েদেরকে খুব ডিস্টার্ব করতো।একদিন মনির মাস্টারের মেয়েকে ইভটিজিং করার দায়ে তার বিরুদ্ধে সরাসরি ম্যাজেট্রেট কোর্টে ইভটিজিং মামলা দায়ের করা হয়।ইভটিজিং আইনের নিয়ম হচ্ছে সরাসরি বাদী-বিবাদী নিয়ে আদালত বসা হয়।আসামী দোষী প্রমাণ হলে সঙ্গে সঙ্গে জেল হাজতে।মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজেট্রেট ছুটে আসল গন্তব্য স্থলে।প্রথমে শিক্ষক তারপর উপস্থিত জনগনের কাছ থেকে রিপোর্ট নিলো।সবার এক কথা, স্যার আক্কাস ছেলেটা আসলে বদমায়েশ বখাটে। শুধু মাস্টারের মেয়ে নয়, সব মেয়েকে ডিস্টার্ব দেয়।ওরে ভালো মতে সাজা দেয়া দরকার। ম্যাজেট্রেট সাহেব আর দেরী করলেন না।তাকে ধরে জেলে দিলেন।কয়েক মাস জেল খাটার পর আক্কাস জেল থেকে বের…
চলে এসো ড. নজরুল ইসলাম খান রাগ-অভিমান আর জীবনের সুখ-সংসার সব ভুলে- জীবন সায়াহ্নে কখনো যদি আমার কথা মনে পড়ে যায়- জীবনের পড়ন্ত বেলায় সবকিছু তুচ্ছ করে আবার যদি ফিরে আসতে চাও পৃথিবীর মোহ-মায়া, আনন্দ-বেদনার তাজমহল যদি আমার বুকেই খুঁজে পাও আমাকে ছাড়া যদি তোমার একটি মুহূর্তও ভালো না লাগে যদি আমার কোলে মাথা রেখে কবিতা পড়ার আগ্রহ জমে, পূর্ণিমা রাতে খোলা আকাশ দেখার যদি শখ হয়- যদি আমার কাছেই পৃথিবীর সুখ-সাগর খুঁজে পাও বাকিটা জীবন যদি হৈ-হুল্লোড় করে ভালোবাসার তল্লাটেই কাটিয়ে দিতে চাও যদি পরাধীনতার শৃংখল ভেঙে স্বাধীনতার আয়েশি সাধ মিটিয়ে নিতে চাও আকাশ বাতাস সাক্ষী রেখে তিলে তিলে…
খোলা মরণ দ্বার মো. আসাদুল হক একদিকে প্রাসাদ পাহাড়! প্রকোষ্ঠে বীণার ঝঙ্কার! আর একদিকে হাহাকার! উপবাসীর সামনে খোলা মরণ দ্বার! একদিকে উন্নয়ন অপরদিকে ভিজা নয়ন! পেটে লয়ে ক্ষুধার জ্বালা! ক্ষুধাতুর মা’য়ের পথ চলা! যদি জুটে ডাল ভাত- রাত পাড় করে দেখবে, আর একটা প্রভাত। শুরু হবে- ভাত দে- ভাত দে- কম নেই- এমন বলার মানুষ! কতোরা আছে পড়ে দুখের খাদে অবাক চোখে দেখে উন্নয়নের ফানুস। যার আছে ভূরি ভূরি; সে করছে দিবস রাতি চুরি! সাহেবের কষ্ট হয় দিতে; শ্রমিকের মজুরি! করে কালোবাজারি, বড়দের সাথে মিতালী গড়ি শহরে করে স্বর্ণকমল বাড়ী বাকি অর্থ করে ভিন দেশে পাচার! আহারে- চক্ষু বন্ধ করে…
