একজন আরাধ্যার জন্ম রেশমা আক্তার পর্ব-৩ পাগলীটার বয়স আনুমানিক চব্বিশ কি পঁচিশ। বেশীও হতে পারে আবার কিছুটা কমও হতে পারে। ছিপছিপে কঙ্কালসার শরীর। ধবধবে ফর্সা গায়ের রং। চিবুকের মাঝ বরাবর বেশ গাঢ় একটা তিল। চিকন জোড়া ভ্রু। কোকড়ানো চুলগুলো কে বা কারা এলোমেলো ছাঁটে কেটে দিয়েছিলো কে জানে। রাওপুর বাজারে তাকে দেখা যাচ্ছে বছরখানেক হয়। রাওপুর বাজার জমজমাট কারবারী বন্দর এলাকা। মূল বাজার এলাকাটা সবসময় কোলাহলে মুখর থাকে। পাগলীটা বেশীরভাগ সময়েই বিবস্ত্র হয়ে ঘুরে বেড়ায়। কথা তেমন বলতে পারে না। ব্যাথা, ক্ষুধা , তৃষ্ণা নিশ্চই বোঝে। কারণ ক্ষুধা লাগলে খাবারের দোকানে গিয়ে হাত পাতে। আবার পেট ভরা থাকলে সেধে খেতে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
চূর্ণকবিতা শামীম আজাদ পৃথিবীতে প্রকাশ্যে, নিভৃতে বা গোপনে ধর্ম, অর্থ ও বিত্ত দিয়ে চিত্ত বিনষ্টকরণে প্রতিদিন যে অযাচিত আগ্রাসন হয় যে ভয়ের আঘাতে প্রলয়ে বিপর্যয়ে প্রত্যহ মহা মানবতার হচ্ছে ক্ষয় এর প্রতিটিরেই আমার অধর্ম মনে হয় প্রতিটিতেই প্রাণঘাতী অস্ত্র ফুটে রয়।। লন্ডন ১৬.৯.২২
সাধন ভজন মোঃ মফিজ উদ্দিন ভুঁইয়া ময়ূর মেলে যায় পাখা গাছ মেলে যায় শাখা। মানুষ মেলে মায়া মমতা হয় না শেষে দেখা।। মনে মনে মন মিলে না মিললে হয়ে গো সাধন। আত্মায় আত্মা মিলে গেলে তাতেই হয়গো বাঁধন।। সময় থাকতে সাধনা করো ভজনে বাড়াও মন। হাতের নাগালে থাকতে তারে কুঁড়িয়ে নাও গো ধন।। মুখের কথা হাতের টাকা বের হলে ফিরে আসে না। যৌবন জীবন ফুরিয়ে গেলে আর তো ফিরে পাবে না।। দুদিনের এই রঙ মহলে খুঁজে নাও গো মানিক রতন। জীবন যৌবন থাকতে শক্তি করে যাও সাধন ভজন।।
ভালোবাসার বন্ধন যুথিকা জ্যোতি রক্তের সম্পর্ক সবচে’ বড় সম্পর্ক। আপনজন যত দূরেই থাকুক, সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকে। কখনো ছিন্ন হয় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্নভাবে থাকার কারণে সম্পর্কের গভীরতা ধীরে ধীরে কমে আসে। আগের মতো অন্তরের টান তেমন আর থাকে না। তদ্রুপ অনাত্মীয়া, অচেনা অপরিচিত মানুষের সাথে অগাধ মেলামেশা এবং উদয়াস্ত মুখ দর্শণে সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ এবং অজানা একটা আর্কষণ গড়ে ওঠা খুবই স্বাভাবিক। যার সূত্র ধরে অচীরেই আমাদের কোমল হৃদয়ে জন্ম নেয়, ¯েœহ মায়া-মমতা, আদর ও ভালোবাসা। যে ভালোবাসায় কোনো স্বার্থ নেই, কোনো চাহিদা নেই, নেই কোনো ঈর্ষা, ক্রোধ, পারস্পরিক অসামঞ্জস্যতা, মান-অভিমান, অভিযোগ কিছুই নেই। যার সাথে…
প্রহসনের বিচার আশরাফ আলী নীল কণ্ঠ পাখি আসিয়া, গাছের ডালে বসিয়া কাতরে মিনতি জানায় পাখির মিছিলে একটি গেছে মরিয়া বন্দি কাকাতুয়া। কুম্ভকর্ণ বেঘোর ঘুমে, ঘুমায় সে অচেতনে কার কথা কে শোনে? নীল কণ্ঠ উড়িয়া যে যায় বুক ভরা ক্রন্দনে। বিধির লিখন না যায় খণ্ডন পাখির মিছিলও বন্ধ এখন। টিকটিকি আসিয়া ডায়েরির পাতা খুলিয়া চেয়ার পাতিয়া বসে। রিমান্ড মনজুর হইয়াছে কাকাতুয়ার. রিমান্ডে তথ্য পাওয়া গেলো-কে সেই মিছিলের লিডার! চলিতেছে ধরপাকড়, ধরা পড়িলো ফেসকুল্লা সর্দার। পায়ে বেড়ী দিয়ে টানে হিড়হিড় বিড়ালের আদালতে হয়ে গেলো বিচার। ভাগ্য ভালো যাহার, পাইয়া গেলো পার কপালদোষে কারাভোগে ফেসকুল্লার সর্দার। দাবিটা ছিলো তবে কি? দাবি সঠিক না…
ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে সাফ ফুটবলের ফাইনালে বাংলাদেশ নারী দল। হ্যাটট্রিক করেছেন সাবিনা খাতুন। অভিনন্দন বাংলার বাঘিনীদের। অপেক্ষা এবার শিরোপা জয়ের…
নিরক্ষরের অক্ষর জ্ঞান মুহা্ম্মাদ কিবরিয়া বাদল ক. অক্ষ থেকে অক্ষর পাই বর্ণে রঙীন ধূপ অক্ষ থেকে সরে গেলে বর্ণের কিবা রূপ! বিশ্ব ঘুরে অক্ষ পরে কক্ষে করে ভ্রমন তার ভেতরে যা আছে তা ঘটায় অনুরণন। অক্ষ থেকে সরে গেলে কক্ষ ছন্নছাড়া বর্ণ কিহে আলো দেবে অক্ষ-কেন্দ্র ছাড়া? সব কিছুরই কেন্দ্র থাকে অক্ষ সবাই বলে ভাষার অক্ষ হয় অক্ষ’র যাতে শব্দ দোলে। অক্ষর যবে অক্ষ’র লিখি,হয় যে অক্ষএর শব্দ ভাষা বর্ণমূলেই দেয় যে সাক্ষ্য ফের! সকল অক্ষ’ই একটি করে বর্ণ ধারণ করে সকল বর্ণের যুথবদ্ধকে কয় বর্ণমালা ওরে। বর্ণমালার বর্ণ ছিঁড়ে শব্দ লিখি কথার ছলে বাক্য সাজাই ভাব প্রকাশে বর্ণের অক্ষমূলে!…
নিমপাতা পৃথিবীর খেলাঘরে আমি তো নিমপাতা। দূর্ভাগ্যের ঘোর ঘনঘটায় জন্ম আমার। যত ঔষধি গুণ আমার আছে না কেন, কোন কৃতিত্ব ভাগ্যে জুটে না আমার। যত রসের টুইটুইম্বরে ডুব দিয়ে উঠি না কেন, তেতোই মনে হবে আমার কার্যকারিতার ফল। কারো হৃদয়ে নেই আমার কার্যকরী দখল। আমাকে দেখলেই ভ্রু কুচলি ফুলিয়ে, মুখ ভেংচিয়ে,নাক-মুখ খেচিয়ে সমমনা সবাই বলবে, “নিমপাতা নিছক উপকারী কিন্তু খুব তেতো।” সেতো আমার জন্ম-জন্মান্তরের দূর্ভাগ্যের সেতু। পৃথিবীর খেলাঘরে তো সমমনাদের রাজত্ব। আমি শুধু জন্ম অভিশাপে বরণ করি দাসত্ব। তারিখ ০৫-০৯-২০২০ইং। সেকাল একাল সেকালে লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে নিয়ে কৃষক কাক ভোরে যেতো মাঠে, জোড়া গরু লাঙ্গল কাঁধে চষতো জমি হেইত্…
শেষ বিকেলের অপেক্ষায় গাজী জাহাঙ্গীর আলম প্রহর গুনে গুনে বেলা চলে যায়, তেপালতে তেপান্তরের মোহনায়। উজবুক ভেবেই কথামালা গেঁথে নিরসন হবে ভাবনায় গেছে বেঁধে। হায় হায় অপেক্ষার অবসান ঘটে গুমোট ঘুমোট ঘুমোই বিরাট বটে। পারবে না ফেরাতে তাঁরই আলোস্য উঠে না বড্ড কষ্ট হয় সত্যি অবিশ্বাস্য। ফেলে দিলে ফিরিয়ে আনা বড়ই মুশকিল ওই দেখো উঠে গেছে আকাশে আবাবিল। রয়ে গেছি আজো শেষ বিকেলের অপেক্ষায় পান্থপথের শেষ সীমানার আবশ্যিকতায়। দিনাজপুর ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
চল ঘুরে আসি আয়েশা সিদ্দিকা কনক চল ঘুরে আসি দূরে কোথাও, অনেক তো হলো গল্প এমন কোনো নদীর জলে, যার গভীরে সুখ বাঁচে, সে জলে সাঁতার কাটি। দুঃখ নিয়ে ঘরের কোনে, কাজল কালো দিঘির জলে, স্বপ্নগুলোর জলাঞ্জলি দিয়েছি শত শত একবার না হয় নিজের লাগি, সোনালি রোদ্দুর গায়ে মাখি, প্রজাপতির মতো উড়ি। ঝাউবনের যেই হায়াতে, সাঁওতালের মেয়েরা নাচে, চিকন সুতার আবরণে, মনের মতো সাজি। আয়েশা সিদ্দিকা কনক স্থান: টরন্টো, অন্টারিও, কানাডা
